WBBSE 10th Class Bengali Solutions Chapter 4 বাচ্য
WBBSE 10th Class Bengali Solutions Chapter 4 বাচ্য
West Bengal Board 10th Class Bengali Solutions Chapter 4 বাচ্য
West Bengal Board 10th Bengali Solutions
আলোচনা অংশ
ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তার এবং ক্রিয়ার ভাবের (অথবা ক্রিয়াবিশেষ্যের) সম্পৰ্কৰ্জনিত ৰাচনভঙ্গিকে বাচ্য বলা হয়ে থাকে।
একই বাক্যের অর্থ পরিবর্তন না করেই শুধুমাত্র বাচ্য পরিবর্তন করে বদলে দেওয়া যায়। যেমন ধরো, এই বাক্যটি—

ক্রিয়াকে যদি প্রশ্ন করি যে, ‘কাজটা কে করেছে?’ উত্তর হবে ‘আমি’। অর্থাৎ ক্রিয়ার (করেছি) সঙ্গে কর্তা (আমি) সরাসরি সম্পর্কিত। এই ধরনের বাক্যে তাই প্রাধান্য পায় কর্তা। আবার ধরো বললাম,

এবার দেখা যাচ্ছে কর্তার (আমার) চেয়ে ক্রিয়ার সঙ্গে কর্মের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ অর্থাৎ বাক্যের মধ্যে প্রাধান্য পাচ্ছে কর্ম। আবার যদি বলি,

তাহলে, দেখা যাচ্ছে এই বাক্যে কর্তা বা কর্ম নয়, ক্রিয়ার ভাবটাই প্রধান হয়ে উঠেছে।
উপরের এই তিনটি উদাহরণ থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রকাশভঙ্গির দিক থেকে ক্রিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন পদের সম্পর্কের পরিবর্তন ঘটছে। একেই বলে বাচ্য। ব্যাকরণের ভাষায়, বাক্যের যে প্রকাশভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায় যে, ক্রিয়ার সঙ্গে কর্তার বা কর্ম-র সম্পর্ক বা ক্রিয়ার নিজস্ব ভাবটি প্রধান হয়ে উঠছে—সেই প্রকাশভঙ্গিকেই বাচ্য বলে।
বাচ্যের শ্রেণিবিভাগ
আমাদের আলোচনা থেকে একথা পরিষ্কার হয় যে, প্রধানত তিন ধরনের বাচ্য হতে পারে। কিন্তু এমন বাক্যও আমরা দেখি যেখানে কর্তা থাকে না, কর্মই কর্তার জায়গা নেয়। যেমন—গ্লাসটা ভেঙে গেল। গ্লাস নিজে নিজে ভাঙে না, তাই গ্লাস কখনোই কর্তার ভূমিকা নিতে পারে না। কিন্তু এই বাক্যটি থেকে মনে হয় গ্লাস (যা আসলে কর্ম) এখানে কর্তার ভূমিকায় আসীন। অতএব, এইসব ধরনের বাক্যের উদাহরণগুলিকে মাথায় রেখে আমরা বাচ্যকে চার ভাগে ভাগ করতে পারি।
কর্তৃবাচ্য
যে বাচ্যে বাক্যের মধ্যে কর্তা (বা কর্তৃপদ)-ই প্রাধান্য লাভ করে এবং ক্রিয়া তার অনুগামী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন—
সোমনাথ দারুণ ফুটবল খেলছে।
এই বাক্যে ক্রিয়াটি (‘খেলছে’) কর্তা (‘সোমনাথ’)-এর অনুগামী এবং ‘সোমনাথ’ প্রাধান্য লাভ করেছে। এই বাচ্যে ক্রিয়া তিনরকমেরই হতে পারে—সকর্মক, দ্বিকর্মক ও অকর্মক। অকর্মক ক্রিয়ার ক্ষেত্রে কর্ম না থাকায় কর্তার সঙ্গে কর্তৃকারকের বিভক্তিচিহ্ন যুক্ত হয়। সকর্মক ক্রিয়ার ক্ষেত্রে কর্মের সঙ্গে কর্মকারকের বিভক্তিচিহ্ন যুক্ত হয়।
আমি কাজটা করব। (বাচ্যে সকর্মক ক্রিয়া ব্যবহৃত) |
উৎপল দিল্লি গেছে। (বাচ্যে অকর্মক ক্রিয়া ব্যবহৃত) |
সজলবাবু দিদিকে অঙ্ক করান। (বাচ্যে দ্বিকর্মক ক্রিয়া ব্যবহৃত) |
কর্মবাচ্য
যে বাচ্যে বাক্যের মধ্যে কর্ম (বা কর্মপদ) প্রাধান্য পায় এবং ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে কর্মবাচ্য বলে। কর্তার সঙ্গে সম্বন্দ্বপদের বিভক্তি বা অনুসর্গ যুক্ত হয়। কর্তা উহ্যও থাকতে পারে। অকর্মক ক্রিয়ায় এই বাচ্য হয় না। যেমন—
ছাগলটি বাঘ দ্বারা (বা বাঘ-কর্তৃক) নিহত হয়েছে।
এই বাক্যটিই কর্তৃবাচ্যে হবে:
বাঘ ছাগলটিকে হত্যা রেছে।
এই কর্মবাচ্য সাধারণত বাংলায় হয় না। বাক্যটি তখন হয়ে যায় ‘ছাগলটি বাঘের হাতে মারা পড়েছে।’
কর্তৃবাচ্যে | কর্মবাচ্যে |
আমি কাজটা করব। | কাজটা আমাকে করতে হবে। |
পুলিশ চোর ধরেছে। | চোর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। |
ভাববাচ্য
যে বাচ্যে কর্তা বা কর্ম নয়, বাক্যের ক্রিয়া বা ক্রিয়ার ভাবটাই প্রধান হয়ে ওঠে, তাকে ভাববাচ্য বলে। এই ক্রিয়ার কর্তা থাকে না। কখনো কখনো সম্বন্ধপদ কর্তার রূপ নেয়। সাধারণত যৌগিক ক্রিয়া হয় এবং সমাপিকা অংশে ‘হ’, ‘চল্’, ‘পা’ ধাতু হয়। যেমন- আপনার কোথায় যাওয়া হচ্ছে? এই বাক্যটিই কর্তৃবাচ্যে হবে: আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
কর্তৃবাচ্যের বাক্যে ‘আপনি’-র প্রাধান্য ভাববাচ্যে পরিবর্তিত হয়ে ‘যাওয়া’ ক্রিয়ার উপর বর্তাচ্ছে।
কর্তৃবাচ্যে | ভাববাচ্যে |
আমি যাব। | আমাকে যেতে হবে। |
মহাশয় কোথায় থাকেন? | মহাশয়ের কোথায় থাকা হয়? |
বাংলা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে ভাববাচ্য নানা ধরনের হতে পারে। নীচের সারণিতে ভাববাচ্যের শ্রেণিবিভাগটি দেখানো হল:

এবার ভাববাচ্যের প্রতিটি বিভাগের উদাহরণগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক-
[১] সাধারণ ভাববাচ্যে
অকর্মক ক্রিয়ার সাধারণ ভাববাচ্য | আর কতক্ষণ বসে থাকা হবে? |
সকর্মক ক্রিয়ার সাধারণ ভাববাচ্য | মেসি হওয়া কি সোজা কথা! |
লুপ্ত কর্ম সকর্মক ক্রিয়ার সাধারণ ভাববাচ্য | ওর কাজ চুকল। |
[২] সম্ভাবনাবোধক ভাববাচ্যে
এখানে সরকারি পাঠ্যপুস্তকগুলি পাওয়া যায়। |
এখন তাহলে ওঠা যাক। |
[৩] আবশ্যকতাবোধক ভাববাচ্যে
আমাকে কালই কলকাতা যেতে হবে। | প্রয়োজন হলে করতে হবে। |
কর্মকর্তৃবাচ্য
যে বাক্যবিন্যাসে কর্তা অনুপস্থিত থাকে এবং কর্মই কর্তা হিসেবে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। যেমন— বাঁশি বাজে।
সাধারণত বাঁশি নিজে নিজে-বাজে না, বাঁশি বাজানো হয়। কিন্তু এই বাক্যের ক্ষেত্রে বাঁশি যে বাজাচ্ছে (অর্থাৎ কর্তা), তার উল্লেখ নেই। এখানে কর্মই সেই কর্তার স্থান পাচ্ছে। এইরকম আরও কয়েকটি বাক্য-
দিন কেটে যায়। | সভা ভেঙে গেছে। |
সময় বহিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়। |
বাচ্য পরিবর্তন
বাক্যের অর্থ পরিবর্তিত রেখে যখন এক বাচ্যের বাক্যকে অন্য বাচ্যের বাক্যে রূপান্তরিত করা হয়, তখন তাকে বাচ্য পরিবর্তন বলে। কয়েকটি বাচ্য পরিবর্তনের দৃষ্টান্ত—
[১] কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে: কর্তৃবাচ্যের কর্তাকে ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তিযুক্ত করতে হয় এবং প্রায়শই তার সঙ্গে ‘দ্বারা’, ‘দিয়ে’ প্রভৃতি অনুসর্গ বসাতে হয়। কর্তৃবাচ্যে যদি একটি কর্ম থাকে, তবে তা বিভক্তিশূন্য হয়ে বাক্যের উদ্দেশ্যে পরিণত হয়। দ্বিকর্মক ক্রিয়ার কর্তৃবাচ্যে গৌণকর্মের রূপ একই থাকে আর মুখ্যকর্ম বিভক্তিশূন্য হয়। কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়ার ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ বা ‘আনো’ বা ‘তে’ প্রত্যয় যুক্ত করে তৈরি হয় কর্মবাচ্যের যৌগিক ক্রিয়ার অসমাপিকা অংশটি। সঙ্গে থাকে ‘আছে’ বা ‘নেই’ পদ অথবা ‘হ’ বা ‘যা’ বা ‘আছ’ বা ‘পড়’ ধাতুজাত সমাপিকা ক্রিয়া।
কর্তৃবাচ্যে | কর্মবাচ্যে |
আমি এ কাজ করতে পারব না। | আমাকে দিয়ে এ কাজ হবে না। |
এ জমি লইব কিনে। | এ জমি কিনিয়া লওয়া হইবে। |
[২] কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে: কর্মবাচ্যের কর্মরূপী কর্তার বিভক্তি ও অনুসর্গ তুলে দিতে হয়। কর্মবাচ্যের যৌগিক ক্রিয়ার সমাপিকা অংশটি লুপ্ত হয়, অসমাপিকা ক্রিয়ার ধাতুটির সঙ্গে কর্তার পুরুষ ও বচন বিভক্তিযুক্ত করে তৈরি করতে হয় কর্তৃবাচ্যের একপদী ক্রিয়া। কর্মবাচ্যের যুক্তক্রিয়ার প্রথম পদ প্রত্যয়হীন হয় এবং সঙ্গে বসে কর্তার উপযোগী সমাপিকা ক্রিয়া।
কর্মবাচ্যে | কর্তৃবাচ্যে |
তোমার দ্বারা এ কাণ্ড ঘটতে পারে না। | তুমি এ কাণ্ড ঘটাতে পারো না। |
চোখে পড়ছে না। | চোখে দেখছি না। |
[৩] কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য: কর্তৃবাচ্যের কর্তা ভাববাচ্যে ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তিযুক্ত হয়। কর্তৃবাচ্যের কর্ম ভাববাচ্যে ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। তবে কর্তৃবাচ্যে কর্তা উহ্য থাকলে, তার কর্ম ভাববাচ্যে পৃথকভাবে বসে। কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়ার ধাতুর সঙ্গে ‘আ’ বা ‘আনো’ বা ‘তে’ প্রত্যয় যুক্ত করে তৈরি হয় ভাববাচ্যের যৌগিক ক্রিয়ার অসমাপিকা অংশটি। সঙ্গে থাকে ‘আছে’ বা ‘নেই’ পদ অথবা ‘হ’ ধাতুজাত সমাপিকা ক্রিয়া। সকর্মক কর্তৃবাচ্যকে ভাববাচ্যে পরিণত করার ক্ষেত্রে ‘হ’ ধাতুর বদলে ‘যা’, ‘আছ’ বা ‘পড়’ ধাতু ব্যবহার করা হয়।
কর্তৃবাচ্যে | ভাববাচ্যে |
কেমন বেড়ালেন? | কেমন বেড়ানো হল? |
সেই বেশি চায়। | তারই বেশি চাওয়া হয়। |
কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্যে রূপান্তর সাধারণত তিনভাৰে হয়—
[ক] অকর্মক ক্রিয়ার ভাববাচ্য
কর্তৃবাচ্যে | ভাববাচ্যে |
এই সন্ধ্যায় কোথায় যাচ্ছেন? | এই সন্ধ্যায় কোথায় যাওয়া হচ্ছে? |
[খ] লুপ্ত সকর্মক ক্রিয়ার ভাববাচ্য
কর্তৃবাচ্যে | ভাববাচ্যে |
সকালে চা খেয়েছ তো? | সকালে চা খাওয়া হয়েছে তো? |
[গ] যুক্ত সকর্মক ক্রিয়ার ভাববাচ্য
কর্তৃবাচ্যে | ভাববাচ্যে |
কাল থেকেই সে আনন্দ করছে। | কাল থেকেই তার আনন্দ করা হচ্ছে। |
[8] ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য: ভাববাচ্যের কর্তা থেকে বিভক্তি লুপ্ত হবে। ভাববাচ্যে ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকে পৃথক করতে হয়। ভাববাচ্যের স্বাধীন কর্ম কর্তৃবাচ্যে অপরিবর্তিত থাকে। কর্মবাচ্যের মতোই ভাববাচ্যের যৌগিক ক্রিয়ার সমাপিকা অংশটি কর্তৃবাচ্যে লুপ্ত হয়। ভাববাচ্যের যুক্তক্রিয়ার প্রথম পদ প্রত্যয়হীন হয় এবং সঙ্গে বসে কর্তার উপযোগী সমাপিকা ক্রিয়া।
ভাববাচ্যে | কর্তৃবাচ্যে |
আমার আজ যাওয়া হল না। | আমি আজ যাচ্ছি না। |
আচ্ছা, সে দেখা যাবে। | আচ্ছা, সে দেখব। |
বহুৰিকল্পীয় প্রশ্ন [MCQ] ও উত্তর
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো।
১. যে বাক্যে কর্তা প্রধান এবং ক্রিয়া কর্তার অনুগামী তাকে বলে-
(ক) কর্তৃবাচ্য
(খ) কর্মবাচ্য
(গ) কর্মকর্তৃবাচ্য
(ঘ) ভাববাচ্য
২. কর্মবাচ্য সম্বন্ধে কোন্ বিকল্পটি ঠিক নয়?
(ক) সকর্মক ক্রিয়ার কর্মবাচ্য হয়।
(খ) অকর্মক ক্রিয়ার কর্মবাচ্য হয়।
(গ) দ্বিকর্মক ক্রিয়ার কর্মবাচ্য হয়।
(ঘ) সকর্মক ও দ্বিকর্মক ক্রিয়ার কর্মবাচ্য হয়।
৩. যে বাচ্যে কর্তার উল্লেখ থাকে না, সেই বাচ্যের নাম-
(ক) কর্মকর্তৃবাচ্য
(খ) ভাববাচ্য
(গ) কর্মবাচ্য
(ঘ) কর্তৃবাচ্য
৪. যে বাচ্যে কর্মকেই কর্তা বলে মনে হয় তাকে বলে-
(ক) কর্তৃবাচ্য
(খ) কর্মবাচ্য
(গ) ভাববাচ্য
(ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য
৫. আমার বাড়ি যাওয়া হল না। > আমি বাড়ি বাইনি।—এখানে যে বাচ্যান্তরটি ঘটেছে তা হল-
(ক) কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
(খ) কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
(গ) ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(ঘ) ভাববাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
৬. তোমার শুধু আঘাত দেওয়ার শক্তিই আছে। > তুমি শুধু আঘাত দেওয়ার শক্তিই ধর। —এখানে যে বাচ্যান্ডরটি ঘটেছে তা হল—
(ক) কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
(খ) কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(গ) কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
(ঘ) ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
৭. নীরবে দিয়েছি আমি সব। > নীরবে আমার সব দেওয়া হয়েছে। এখানে যে বাচ্যান্ডরটি ঘটেছে তা হল-
(ক) কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
(খ) কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(গ) ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(ঘ) কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
৮. করুন রক্ষে গরিবের ভিটেবানি। > পরিবের ভিটেখানি (আপনার দ্বারা) রক্ষা পাক। এখানে যে বাচ্যান্ডরটি ঘটেছে তা হল-
(ক) কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
(খ) কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(গ) ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(ঘ) কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
৯. শুভাশিসের তো তাই বলেই মনে হল। > শুভাশিস তো তাই বলেই মনে করল। এখানে যে বাচ্যান্ডরটি ঘটেছে তা হল-
(ক) কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
(খ) কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(গ) ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
(ঘ) কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
১০. সময়ে বুঝা যাবে। —এই বাক্যটিকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তরিত করলে হবে-
(ক) সময়ে বুঝে নেব
(খ) সময় এলে বোঝা
(গ) সময়কে বুঝে নেব
(ঘ) কোনোটিই নয়
১১. একটা অন্ধকারময় জটিলতার সৃষ্টি করেছিল। -এই বাক্যটিকে ভাববাচ্যে রূপান্তরিত করলে হবে-
(ক) একটা অন্ধকারময় জটিল হয়েছিল।
(খ) একটা অন্ধকারময় জটিলতা সৃষ্টি করা হোক।
(গ) একটা অন্ধকারময় জটিলতা সৃষ্ট হয়েছিল।
(ঘ) কোনোটিই নয়।
১২. কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ হল–
(ক) ঢাকিরা ঢাক বাজায়
(খ) ঢাক বাজে
(গ) ঢাক বাজায়
(ঘ) ঢাক বাজানো হল
১৩. বাচ্য পরিবর্তনে বাক্যের কী কী পরিবর্তন হয়?
(ক) কর্তা, কর্ম, ক্রিয়া
(খ) কর্তা, ক্রিয়া
(গ) কর্ম, ক্রিয়া
(ঘ) ক্রিয়া
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
১. কর্তৃবাচ্যে অকর্মক ক্রিয়ার ব্যবহার হয়েছে এমন একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর – কর্তৃবাচ্যে অকর্মক ক্রিয়ার ব্যবহার হয়েছে এমন একটি উদাহরণ— তুমি হাজারবার বললেও আমি ও বাড়িতে আর যাব না।
২. ভাববাচ্যকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায়? প্রত্যেকটি ভাগের নাম লেখো।
উত্তর – ভাববাচ্যকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়—সাধারণ ভাববাচ্য, সম্ভাবনাবোধক ভাববাচ্য ও আবশ্যকতাবোধক ভাববাচ্য।
৩. যুক্ত সকর্মক ক্রিয়ার ভাববাচ্যকে কীভাবে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তরিত করা যায়, তার একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর – যুক্ত সকর্মক ক্রিয়ার ভাববাচ্য: আজ আমার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কর্তৃবাচ্য: আজ আমি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেছি।
৪. কীসের ভিত্তিতে বাচ্য নির্ধারণ করা হয়?
উত্তর – কর্তা বা ক্রিয়ার সঙ্গে কর্ম বা ক্রিয়ার নিজস্ব ভাবের সম্পর্কের ভিত্তিতে বাচ্য নির্ধারণ করা হয়।
৫. কর্তাহীন ভাববাচ্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর – কর্তাহীন ভাববাচ্যের একটি উদাহরণ—কোথায় যে যাওয়া হবে জানা নেই।
৬. অসম্পাদক কর্তা কর্তৃবাচ্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর – অসম্পাদক-কর্তা কর্তৃবাচ্যের উদাহরণ: গ্লাসটা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
৭. গৌণকর্ম-কর্তা ভাববাচ্যের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর – গৌণকর্ম-কর্তা ভাববাচ্যের উদাহরণ: আমাকে এবার উঠে পড়তে হবে।
৮. সম্বন্ধকর্তা ভাববাচ্যের একটি উদহারণ দাও।
উত্তর – শ্যামলের বুঝি আর ম্যাচ দেখা হল না।
৯. কর্মকর্তৃবাচ্য কী ? উদাহরণ দাও।
উত্তর – যে বাক্যবিন্যাসে কর্তা অনুপস্থিত থাকে এবং কর্মই কর্তা হিসেবে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। উদাহরণ —বাঁশি বাজে।
১০. ঘটক কর্তৃবাচ্য কাকে বলে?
উত্তর – সাধারণভাবে, কর্তাপ্রধান যেসমস্ত কর্তৃবাচ্য (অর্থাৎ কর্মকর্তৃবাচ্য নয়) তাদেরকেই ঘটক কর্তৃবাচ্য বলা হয় ।
১১. কোথায় থাকেন? — ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর – কোথায় থাকা হয়?
১২. গুন্ডারা হঠাৎ লোকটিকে আক্রমণ করল। কর্মবাচ্যে রূপান্তর করো।
উত্তর – গুন্ডাদের দ্বারা লোকটি হঠাৎ আক্রান্ত হল।
১৩. নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত। (বাক্যটি ভাববাচ্যে লেখো)
উত্তর – নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করা হচ্ছিল।
১৪. এখন আপনার কি খাওয়া হবে?—বাক্যটি কোন্ বাচ্যের উদাহরণ?
উত্তর – বাক্যটি কর্মবাচ্যের উদাহরণ।
১৫. একটি অকর্মক ক্রিয়ার ভাববাচ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর – আপনার দ্রুত এখানে আসা হোক।
১৬. লুপ্ত কৰ্তাবাচক একটি ভাববাচ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর – এরকম গান শুনলে মন ভরে ওঠে।
১৭. কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে রূপান্তরের একটি নিয়ম লেখো।
উত্তর – কর্তৃবাচ্যের কর্তাকে কর্মবাচ্যে রূপান্তরের সময় তার সঙ্গে ‘র’, ‘এর’ বিভক্তি যুক্ত করতে হয় এবং তার সঙ্গে ‘দ্বারা’, ‘দিয়ে’ প্রভৃতি অনুসর্গ যুক্ত করতে হয়।
১৮. কোন্ বাচ্যের রূপান্তর সম্ভব নয়?
উত্তর – কর্মকর্তৃবাচ্যের রূপান্তর সম্ভব নয়।
১৯. কর্মকর্তৃবাচ্য কাকে বলে?
উত্তর – যে বাচ্যে কর্তা অনুপস্থিত থাকে এবং কর্মই কর্তারূপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে।
২০. বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।—কর্মবাচ্যে পরিণত করো।
উত্তর – বুড়ো মানুষের কথাটা শ্ৰুত হোক।
২১. কর্তৃবাচ্য কাকে বলে?
উত্তর – যে বাচ্যে কর্তা প্রধান হয় এবং ক্রিয়া কর্তার অনুগামী হয় তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
২২. “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।”—ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর – তাদের আর স্বপ্ন দেখা হল না।