wb 10th science

WBBSE 10th Class Science Solutions Biology Chapter 1 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (TOPIC 5 প্রাণীদের সাড়াপ্রদানের একটি প্রকার হিসেবে গমন)

WBBSE 10th Class Science Solutions Biology Chapter 1 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (TOPIC 5 প্রাণীদের সাড়াপ্রদানের একটি প্রকার হিসেবে গমন)

West Bengal Board 10th Class Science Solutions Biology Chapter 1 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (TOPIC 5 প্রাণীদের সাড়াপ্রদানের একটি প্রকার হিসেবে গমন)

West Bengal Board 10th Biology Solutions

TOPIC 5 প্রাণীদের সাড়াপ্রদানের একটি প্রকার হিসেবে গমন

বিষয়সংক্ষেপ

  • প্রাণী নানা কারণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায় বা গমন করে। গমনের প্রধান কারণ বা চালিকাশক্তিগুলি হল—খাদ্য খোঁজা, আত্মরক্ষা বা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা, পরিযান বা দেশান্তরে চলে যাওয়া, আশ্রয় বা বাসস্থান খোঁজা এবং প্রজননের তাগিদ।
  • অ্যামিবা সিউডোপোডিয়া বা ক্ষণপদের সাহায্যে গমন করে।
  • প্যারামেসিয়াম অসংখ্য সিলিয়া ইউগ্লিনা একক ফ্ল্যাজেলা একাজে ব্যবহার করে।
  • মাছের সন্তরণ বা সাঁতার কাটতে সাহায্য করে দেহে বিন্যস্ত ‘V’ আকৃতির মায়োটম পেশি এবং নানা জোড় ও বিজোড় পাখনা।
  • পাখির ওড়া বা উড্ডয়নে ডানার পালক রেমিজেস এবং ল্যাজের পালক রেক্ট্রিসেস সাহায্য করে। এ ছাড়াও উড্ডয়ন পেশি, যেমন—পেক্টোরালিস মেজর, পেক্টোরালিস মাইনর।
  • মানুষের গমনকে দ্বিপদ গমন বলে। মানুষের গমনের সময় অন্তঃকর্ণের অর্ধবৃত্তাকার নালী এবং লঘুমস্তিষ্ক দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • মানব গমনে সচল সন্ধি ও কঙ্কাল পেশির গুরুত্ব অপরিসীম, সচল অস্থিসন্ধি বা সাইনোভিয়াল সন্ধিতে সাইনোভিয়াল তরল থাকে যা ঘর্ষণ রোধ করে।
  • সচল সন্ধির মধ্যে কবজা সন্ধি বা হিঞ্জ জয়েন্ট-এর উদাহরণ হল হাঁটু ও কনুইয়ের অস্থিসন্ধি। বল ও সকেট সন্ধির উদাহরণ হল কোমর ও কাঁধের অস্থিসন্ধি।
  • মানুষের গমনে কঙ্কাল পেশির ফ্লেক্সন চলনে দুটি হাড় কাছাকাছি আসে। এক্সটেনশন চলনে দুই হাড় পরস্পর থেকে দূরে চলে যায়। দেহের অংশ মধ্যরেখা থেকে দূরে গেলে তাকে অ্যাবডাকশন ও তা মধ্যরেখার কাছে এলে অ্যাডাকশন বলে। এ ছাড়াও পেশি রোটেশন বা কোনো অঙ্গের ঘূর্ণনে সাহায্য করে।

বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন – 1. গমনের সংজ্ঞা দাও। এর চালিকাশক্তি বা উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
অথবা, বিশ্রামরত একটি প্রাণী গমনে উদ্যত হল। এর চারটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর – গমন: যে প্রক্রিয়ায় সাধারণত প্রাণীরা উদ্দীপকের প্রভাবে সাড়া দিয়ে বা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে, তাকে গমন বলে।
গমনের চালিকাশক্তি বা উদ্দেশ্য: গমনের চালিকাশক্তি তথা উদ্দেশ্যগুলি সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল।
  1. খাদ্য খোঁজা বা খাদ্যান্বেষণ: অধিকাংশ উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করতে পারে। তাই উদ্ভিদকে খাদ্যন্বেষণে অন্যত্র গমন করতে হয় না। কিন্তু প্রাণীরা সাধারণত পরভোজী, অর্থাৎ প্রাণীদেরকে খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই প্রাণীকে খাদ্যের সন্ধানে স্থানান্তরে গমন করতে হয়।
  2. খাদকের খাদ্যে পরিণত হওয়া এড়িয়ে চলা বা আত্মরক্ষা: যেসব জীব নিজেরা খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে না, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খাদ্যের জন্য অপরের ওপর নির্ভরশীল, তাদের খাদক বলে। এক শ্রেণির খাদক অপর শ্রেণির খাদককে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে অগ্রসর হয়। তাই শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচাবার জন্য প্রাণীকে স্থানান্তরে গমন করতে হয়। যেমন—বাঘ শিকারের সময় হরিণকে আক্রমণ করলে, হরিণ অন্যস্থানে গমন করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে।
  3. পরিযান: পরিবেশগত কারণে প্রাণীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। একে পরিযান বলে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি থেকে রক্ষা পেতে, প্রজননের জন্য প্রাণীরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে।
  4. অনুকূল পরিবেশের সন্ধান: উপযুক্ত মাত্রায় জল, আলো, বাতাস ইত্যাদির জন্য প্রাণীকে স্থানান্তরে গমন করতে হয়। যেমন—বর্ষাকালে পিঁপড়েরা মাটি ছেড়ে ঘরের ভিতর চলে আসে।
  5. নতুন এবং সুরক্ষিত বাসস্থান খুঁজে নেওয়া: সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য নিরাপদ বাসস্থানের প্রয়োজন হয়। বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বাসস্থানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, তখন নতুন বাসস্থানের সন্ধানে গমনের প্রয়োজন হয়। ফলে উপযুক্ত বাসস্থানের জন্য প্রাণীকে স্থানান্তরে গমন করতে হয়।
  6. প্রজননিক কাজের জন্য জীবের একত্রিত হওয়া: বংশবিস্তারের জন্য প্রাণী ও নিম্নশ্রেণির কিছু উদ্ভিদকে উপযুক্ত প্রজনন স্থান খুঁজে নেওয়ার জন্য বা উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচনের জন্য স্থানান্তরে গমন করতে হয়। যেমন-ইলিশ মাছ সমুদ্রের লবণাক্ত জলে বাস করে। প্রধানত ডিম পাড়ার জন্য এরা নদীর মিঠে জলে আসে।
প্রশ্ন – 2. ‘গমন, চলনের ওপর নির্ভরশীল’—ব্যাখ্যা করো। চলন ও গমনের পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তর – চলনের ওপর গমনের নির্ভরশীলতা: যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে একস্থানে স্থির থেকে তার দেহের কোনো অংশকে সঞ্চালন করে, তাকে চলন বলে। আবার যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের দ্বারা সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তাকে গমন বলে। অর্থাৎ গমনের জন্য প্রাণী চলনের ওপর নির্ভরশীল, কিন্তু চলন কখনোই গমনের ওপর নির্ভরশীল হয় না।
চলন ও গমনের পার্থক্য
প্রশ্ন – 3. অ্যামিবা-র গমনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার মধ্যে তুলনা করো। 
অথবা, অ্যামিবার গমনে সিউডোপোডিয়ার ভূমিকা বর্ণনা করো। সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার তুলনা উল্লেখ করো।
উত্তর – অ্যামিবার গমন: 
(1) অ্যামিবার গমনাঙ্গ হল ক্ষণপদ বা সিউডোপোডিয়া। অ্যামিবার গমনের সময় কোশস্থ সাইটোপ্লাজমের ঘনত্ব পরিবর্তনের ফলে কোশের পরিধির দিকে কোশপর্দাসহ সাইটোপ্লাজমের আঙুলের মতো প্রবর্ধক সৃষ্টি হয়। এটিই ক্ষণপদ। অ্যামিবা যেদিকে গমন করতে সচেষ্ট হয়, সেই দিকে ক্ষণপদ তৈরি হয়।
(2) ওই ক্ষণপদের  আঠালো অগ্রভাগকে অ্যামিবা কোনো কঠিন বস্তু বা গমনের মাধ্যম (সাবস্ট্রাটাম)-এর সাথে সংলগ্ন করে।
(3) দেহের বাকি প্রোটোপ্লাজম এরপর ধীরে ধীরে ক্ষণপদের মধ্যে প্রবাহিত হয়। এর ফলে অ্যামিবার পশ্চাদ্ভাগ গুটিয়ে আসে ও অ্যামিবা গতিপথের দিকে অগ্রসর হয়।
(4) ক্ষণপদের সাহায্যে অ্যামিবার এইজাতীয় গমনকে অ্যামিবয়েড গমন বলে।
সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলা-র তুলনা
প্রশ্ন – 4. প্যারামেসিয়াম-এর গমনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। প্যারামেসিয়াম ছাড়া অন্যান্য কোন্ কোন্ জীবের দেহে সিলিয়ার উপস্থিতি লক্ষ করা যায় ?
অথবা, সিলিয়ার সাহায্যে প্যারামেসিয়াম কীভাবে গমন করে তা লেখো। প্যারামেসিয়াম ছাড়া অন্যান্য কোন্ কোন্ প্রাণীর দেহে সিলিয়ার উপস্থিতি লক্ষ করা যায় ?
উত্তর – প্যারামেসিয়াম-এর গমন:
  1. প্যারামেসিয়াম-এর গমনাঙ্গ হল সিলিয়া। সিলিয়াগুলি আণুবীক্ষণিক সূক্ষ্ম সুতোর মতো ও আকারে ছোটো হয়। প্যারামেসিয়াম নামক আদ্যপ্রাণীর দেহের সমগ্রতলে অর্থাৎ সমগ্র কোশের চারপাশে অসংখ্য সিলিয়ার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এদের সিলিয়াগুলি একই সময়ে প্রায় একই দিকে সঞ্চালিত হয়। এর ফলে প্যারামেসিয়াম জলে বা তরল মাধ্যমে সিলিয়া সঞ্চালনের বিপরীত দিকে গমন করে।
  2. পরবর্তী পর্যায়ে সিলিয়াগুলি আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
  3. এইভাবে সিলিয়ার পর্যায়ক্রমিক সঞ্চালনের মাধ্যমে প্যারামেসিয়াম অগ্রসর হয়।
  4. সিলিয়ার সাহায্যে গমনের এই ধরনের পদ্ধতিকে সিলিয়া-নির্ভর গমন বা সিলিয়ারি গমন বলা হয়।
প্যারামেসিয়াম ব্যতীত সিলিয়া-যুক্ত জীব: প্যারামেসিয়াম ছাড়া অন্যান্য কিছু সিলিয়াযুক্ত জীব ভর্টিসেলা নামক প্রোটোজোয়া, এ ছাড়া বিভিন্ন বহুকোশী প্রাণীর কিছু কোশে সিলিয়া উপস্থিত। যেমন—মানুষের শ্বাসনালীর আবরণী কলাকোশ।
প্রশ্ন – 5. ইউগ্লিনার গমন পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। ইউগ্লিনার সাথে অ্যামিবার গমনের পার্থক্য লেখো।
উত্তর – ইউগ্লিনার গমন পদ্ধতি: 
  1. ইউগ্লিনার গমনাঙ্গ হল ফ্ল্যাজেলা। এগুলি আণুবীক্ষণিক, সূক্ষ্ম তন্তুর মতো, সঞ্চালনে সক্ষম, একক পর্দাবৃত সাইটোপ্লাজমীয় বহিঃবৃদ্ধি। ফ্ল্যাজেলার সুশৃঙ্খল সঞ্চালনের মাধ্যমে সংঘটিত ইউগ্লিনার গমন পদ্ধতিকে ফ্ল্যাজেলা-নির্ভর গমন বা ফ্ল্যাজেলারি গমন বলা হয়।
  2. ইউপ্লিনা জল বা তরল মাধ্যমে এক বা একাধিক ফ্ল্যাজেলাকে চাবুকের মতো সঞ্চালনের দ্বারা একস্থান থেকে অন্যস্থানে যায়।
  3. ফ্ল্যাজেলাটিকে সঞ্চালনের মাধ্যমে জলে সক্রিয় ঘাতের সৃষ্টি হয়। এর প্রত্যাঘাতে ইউগ্লিনা ফ্ল্যাজেলার চলনের বিপরীতে গমন করে।
  4. ইউগ্লিনার ফ্ল্যাজেলার কাছে উপস্থিত চক্ষুবিন্দু সূর্যালোক অনুভব করে ফ্ল্যাজেলার সঞ্চালনে সাহায্য করে।
ইউমিনার সাথে অ্যামিবার গানের পার্থক্য
প্রশ্ন – 6. চিত্রসহ মাছের গমন পদ্ধতি বর্ণনা করো।
অথবা, চিত্রসহ মাছের সন্তরণ পদ্ধতি সংক্ষেপে লেখো।
অথবা, রুইমাছের গমনে পাখনা ও মায়োটম পেশির ভূমিকা লেখো।
উত্তর – মাছের গমন পদ্ধতি:
  1. মাছের প্রধান গমনাঙ্গ হল পাখনা। এ ছাড়া মায়োটম পেশি ও পটকা বা সুইম ব্লাডারও গমনে সাহায্য করে।
  2. পাখনার সাহায্যে মাছ জলে সাঁতার কাটতে পারে। মাছের দেহে সাধারণত সাত প্রকার পাখনা থাকে। এর মধ্যে দুটি জোেড় ও তিনটি বিজোড় পাখনা।
  3. বক্ষপাখনা ও শ্রোণিপাখনা নামক জোড় পাখনার সাহায্যে মাছ জলের মধ্যে ওপরে-নীচে ওঠা-নামা করতে পারে।
  4. পুচ্ছপাখনা মায়োটম পেশির সংকোচন-প্রসারণকে কাজে লাগিয়ে ক্রমিক আন্দোলন গতি সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রবল ঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে মাছ জলের মধ্যে অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় বল সৃষ্টি করে। এর পাশাপাশি পুচ্ছ পাখনা নৌকার হালের মতো মাছকে দিক পরিবর্তনে সহায়তা করে।
  5. পৃষ্ঠপাখনা ও পায়ুপাখনা মাছকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে এবং জলের মধ্যে মাছের স্থিতাবস্থা বজায় রাখে।
  6. বেশিরভাগ অস্থিবিশিষ্ট মাছের দেহের পটকা বা বায়ুথলি মাছকে জলের মধ্যে প্লবতা নিয়ন্ত্রণ করে ওপর-নীচে ওঠা-নামা করতে সাহায্য করে।
  7. পটকায় গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পেলে, মাছের দেহের আপেক্ষিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় ফলে মাছ জলের গভীরে নেমে আসে।
  8. আবার বিপরীতভাবে পটকায় গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে মাছের দেহের আপেক্ষিক গুরুত্ব কমে। ফলে মাছ জলের উপরিতলে উঠে আসে।
  9. মাছের মেরুদণ্ডের দুই পাশে অবস্থিত আকৃতির মায়োটম পেশিগুলিও মাছের গমনে সাহায্য করে। এই পেশির সংকোচন-প্রসারণের ফলে মাছের দেহে তরঙ্গের মতো আন্দোলন সৃষ্টি হয়। যার ফলে মাছ সামনে এগোতে পারে।
প্রশ্ন – 7. পাখির উড্ডয়নে সহায়ক বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর – পাখির উড্ডয়নে সহায়ক বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য:
  1. পাখিরা খেচর প্রাণী। এরা দুই পায়ে হাঁটা-চলা করলেও এদের প্রধান গমন পদ্ধতি হল উড্ডয়ন। উড্ডয়নের জন্য পাখির দেহ মাকু আকৃতির হয়। এইরূপ দেহাকৃতির জন্য এরা বাতাসের ধাক্কা এড়িয়ে সহজেই এগিয়ে যেতে পারে।
  2. পাখির অস্থিগুলি হালকা, বায়ুপূর্ণ হওয়ার ফলে পাখি সহজেই বাতাসে ভেসে থাকতে পারে।
  3. এদের ফুসফুসের লাগোয়া বায়ুথলিগুলি বায়ুপূর্ণ হয়ে দেহকে হালকা রাখতে সাহায্য করে। এদের উড্ডয়নের সময় অতিরিক্ত অক্সিজেন এবং শক্তির প্রয়োজন হয়। বায়ুথলিগুলি উড্ডয়নের সময় প্রয়োজনীয় এই অতিরিক্ত অক্সিজেন ও শক্তি সরবরাহ করে থাকে।
  4. পাখির অগ্রপদ ডানায় রূপান্তরিত হয়েছে। ডানা দুটি সামনের দিকে চওড়া এবং পেছনের দিকে ক্রমশ সরু হয়েছে। ডানার ওপরের তল উত্তল এবং নীচের তল অবতল। এরূপ গঠনের জন্য সহজেই বাতাসের বাধা অতিক্রম করতে পারে।
  5. পাখির সারা দেহ পালকে আবৃত। পাখির ডানায় 23 টি রেমিজেস পালক এবং ল্যাজে 12 টি রেক্ট্রিসেস পালক থাকে। এ ছাড়া পালকে বার্ব, বার্বিউল এবং হুক থাকে, যা পালকের একটি তল সৃষ্টি করে থাকে। ডানার পালক উড়তে এবং ল্যাজের পালক দেহের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। এই পালকগুলি থাকায় পাখির দেহ খুবই হালকা হয়।
  6. ক্রমাগত ডানা সঞ্চালনের দরকার হওয়ায় পাখির উড্ডয়ন পেশি অত্যন্ত সুগঠিত এবং উন্নত। পেক্টোরালিস মেজর, পেক্টোরালিস মাইনর এবং কোরাকো ব্রাকিয়ালিস ইত্যাদি উড্ডয়ন পেশিগুলি খুব উন্নত এবং এরা বিভিন্নভাবে ডানার সঞ্চালনে সাহায্য করে উড্ডয়নে সহায়তা করে।
প্রশ্ন – 8. মানুষের দ্বিপদ গমন পদ্ধতি বর্ণনা করো।
উত্তর – মানুষের দ্বিপদ গমন পদ্ধতি:
  1. মানুষের গমন পদ্ধতিকে দ্বিপদ গমন বলে। মানুষের গমনাঙ্গ হল একজোড়া পা হওয়ায় এই গমন দ্বিপদ গমন নামে পরিচিত। পা-সংলগ্ন অস্থি, অস্থিপেশি এবং বিভিন্ন অস্থিসন্ধি একত্রিত হয়ে গমনে সাহায্য করে।
  2. মানুষের হাঁটার সময়ে দেহের ওপরের অংশ অগ্রগতি লাভ করে এবং পা দুটি ভূমির ওপর অবস্থান করে।
  3. দেহের ওপরের অংশ অগ্রগতি লাভ করলে দেহকাণ্ড সামনের দিকে পতনের সম্মুখীন হয়। এই পতন রোধ করার জন্য একটি পা, ধরা যাক বাঁ পা সামনের দিকে অগ্রসর হয়। ফলে দেহ এগিয়ে আসে এবং বাঁ পা ভূমি স্পর্শ করে। এইসময়ে ডান পা ভূমি সংলগ্ন থাকে এবং দেহের সম্পূর্ণ ভার বহন করে।
  4. বাঁ পা ভূমি স্পর্শ করলে ডান পায়ের গোড়ালি উত্তোলিত হয় এবং হাঁটু ভাঁজ হয়। ফলে দেহ সামনের দিকে এগিয়ে আসে। এই সময়ে দেহের ভার বাঁ পায়ের ওপর এসে পড়ে।
  5. এরপর ডান পায়ের তল ভূমি স্পর্শ করলেই আবার বাঁ পা উঠে আসে। এইভাবে ডান ও বাঁ পায়ের পর্যায়ক্রমিক সঞ্চালনের পুনরাবৃত্তির ঘটতে থাকে। এইরূপ সঞ্চালনের দ্বারাই মানুষের গমন সাধিত হয়।
  6. এইরকম গমনের সময়ে মানুষের হাত দুটিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। মানুষের দুটি হাত গমনের সময়ের পর্যায়ক্রমে সামনে ও পিছনে আন্দোলিত হয়। মানুষের ডান পা অগ্রসর হওয়ার সময় বাঁ হাত এবং বাঁ পা অগ্রসর হওয়ার সময় ডান হাত প্রসারিত হয়। এইভাবে হাত দুটি দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  7. এ ছাড়া পশ্চাদমস্তিষ্কে অবস্থিত লঘুমস্তিষ্ক ও অন্তঃকর্ণের অর্ধবৃত্তাকার নালীও মানুষের গমনের সময় দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন – 9. মানুষের দ্বিপদ গমন কাকে বলে? গমনের সময় মানবদেহের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গগুলি সম্বন্ধে আলোচনা করো। 
উত্তর – দ্বিপদ গমন: মানুষের প্রধান গমনাঙ্গ হল দুটি পা। যেহেতু দুটি পা বা পদের ক্রমসঞ্চালনের মাধ্যমে গমন সম্পন্ন হয়, তাই একে দ্বিপদ গমন বলা হয়।
গমনে দেহের ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গের ভূমিকা: গমনের সময়ে মানবদেহের ভারসাম্য রক্ষাকারী বিভিন্ন অঙ্গের ভূমিকা নীচে আলোচনা করা হল।
  1. হাত: গমনের সময় হাত দুটি সামনে-পিছনে আন্দোলনের মাধ্যমে দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।
  2. লঘুমস্তিষ্ক: [i] গমনের সময় হাত ও পায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে। [ii] দেহভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করে। ঐচ্ছিক পেশির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পেশিটান বজায় রেখে সাবলীল চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে।
  3. অন্তঃকর্ণ: অন্তঃকর্ণের ভেস্টিবুলার যন্ত্র দেহের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্তঃকর্ণের ইউট্রিকল ও অর্ধচন্দ্রাকৃতি নালীর সংযোগস্থলে অ্যাম্পুলাতে সংবেদনশীল রোম থাকে যার সাথে ভেস্টিবুলার স্নায়ু যুক্ত থাকে। দেহ স্থানচ্যূত হলে অর্ধচন্দ্রাকৃতি নালীর এন্ডোলিম্ফে আন্দোলন হয়, যা সংবেদনশীল রোমের সাহায্যে স্নায়ুর মাধ্যমে লঘুমস্তিষ্কে পৌঁছোয় ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা পায়।
প্রশ্ন – 10. অস্থিসন্ধির সংজ্ঞা এবং প্রকারভেদগুলি উল্লেখ করো। অচল সন্ধির সঙ্গে সাইনোভিয়াল সন্ধির পার্থক্য লেখো। 
উত্তর – অস্থিসন্ধি: কঙ্কালতন্ত্রের যেসব অংশে দুই বা তার বেশি সংখ্যক অস্থির প্রান্ত পরস্পর যুক্ত হয়, তাকে অস্থিসন্ধি বলা হয়।
অস্থিসন্ধির প্রকারভেদ: অস্থিসন্ধি-সমূহকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা– (1) অচল সন্ধি বা তন্তুময় সন্ধি, (2) স্বল্প সচল সন্ধি বা তরুণাস্থিময় সন্ধি, (3) সচল সন্ধি বা সাইনোভিয়াল সন্ধি।
অচল সন্ধি ও সাইনোভিয়াল সন্ধির পার্থক্য
প্রশ্ন – 11. সচল বা সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলতে কী বোঝায়? চিত্রসহ এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
অথবা, একটি আদর্শ সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধির চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
উত্তর – সচল বা সাইনোভিয়াল সন্ধি: যেসব অস্থিসন্ধিতে সংশ্লিষ্ট অস্থিগুলি সঞ্চালনশীল অর্থাৎ সহজে বিচলন ঘটে, সেই ধরনের অস্থিসন্ধিকে সচল অস্থিসন্ধি বলে। সাধারণত এই সন্ধিস্থলগুলি সাইনোভিয়াল তরল নামক একপ্রকার তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে, তাই এদের সাইনোভিয়াল সন্ধিও বলা হয়।
সচল বা সাইনোভিয়াল সন্ধির বর্ণনা:
  1. এইজাতীয় সন্ধিতে সংশ্লিষ্ট অস্থি দুটির প্রান্ত একটি লিগামেন্ট নামক সরু দড়ির মতো অংশ দিয়ে যুক্ত থাকে।
  2. এই অংশে সাইনোভিয়াল পর্দা নামে একটি পাতলা আবরণ থাকে।
  3. এই পর্দার অভ্যন্তরে, অস্থির প্রান্ত দুটির মধ্যবর্তী অংশে একটি গহ্বর থাকে যাকে সাইনোভিয়াল গহবর (synovial cavity) বলে।
  4. এই গহ্বর একপ্রকার তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে, যাকে সাইনোভিয়াল তরল (synovial fluid) বলে।
  5. সাইনোভিয়াল তরলের কাজগুলি হল – [i] সংশ্লিষ্ট অস্থির প্রান্তের ঘর্ষণ জনিত ক্ষয় রোধ করা, [ii] সংশ্লিষ্ট কলাকোশে পুষ্টিদ্রব্য সরবরাহ করা, [iii] অস্থি দুটির বিচলনে বা নড়াচড়ায় সহায়তা করা।
  6. এই সন্ধির প্রান্তে তরুণাস্থির আস্তরণ থাকে, যাকে আর্টিকিউলার তরুণাস্থি বলে।
  7. সচল সন্ধি নানা প্রকারের হতে পারে। গঠনের ওপর ভিত্তি করে প্রধানত চারপ্রকার সচল সন্ধি দেখা যায় কবজা সন্ধি, বল ও সকেট সন্ধি, কৌণিক সন্ধি ও পিভট সন্ধি।
প্রশ্ন – 12. কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন এবং উদাহরণ লেখো।
উত্তর – কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধি: যে সচল অস্থিসন্ধিতে সংযুক্ত অস্থি দুটির প্রান্ত দরজার কবজার মতো সংলগ্ন থাকে, তাদের কবজা বা কপাট অস্থি-সন্ধি বা হিঞ্জ জয়েন্ট বলা হয়। বিচলনে সক্ষম হওয়ায় কবজা বা হিঞ্জ বা কপাট অস্থিসন্ধিকে সচল অস্থিসন্ধি বা সাইনোভিয়াল জয়েন্ট-ও বলা হয়ে থাকে। এখানে প্রশ্নানুযায়ী এই অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন এবং উদাহরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
  1. অবস্থান: এই ধরনের সন্ধি কনুইতে এবং হাঁটুতে দেখা যায়। কনুইতে হিউমেরাস ও রেডিয়াস-আলনা অস্থির মধ্যবর্তী অংশে এবং হাঁটুতে ফিমার ও টিবিয়া-ফিবিউলার মধ্যবর্তী অংশে এইজাতীয় অস্থিসন্ধি দেখা যায়।
  2. গঠনগত বৈশিষ্ট্য: এই সন্ধির গঠনগত বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
    [i] এইপ্রকার সন্ধিতে দুটি অস্থির প্রান্ত অনেকটা দরজার কবজার মতো বিন্যস্ত থাকে। এই কারণে একে কবজা সন্ধি বা হিঞ জয়েন্ট বলা হয়।
    [ii] এক্ষেত্রে অস্থি কেবলমাত্র একটি অক্ষেই 180°-তে বিচলন করতে সক্ষম হয়।
  3. সঞ্চালন: সংশ্লিষ্ট অস্থি দুটি লিগামেন্ট দ্বারা যুক্ত থাকে এবং কেবলমাত্র একটি তল বরাবর বিচলন হয়। অর্থাৎ ফ্লেক্সন এবং এক্সটেনশন দেখা যায়।
  4. উদাহরণ: হিউমেরাস ও রেডিও আলনার সংযোগস্থল হল কবজা বা হিঞ্জ সন্ধির উদাহরণ।
প্রশ্ন – 13. বল ও সকেট অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন ও উদাহরণ লেখো।
উত্তর – বল ও সকেট অস্থিসন্ধি: যে সচল অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার মস্তক অপর অস্থির কাপের মতো সকেটের মধ্যে সংলগ্ন হয়, তাকে বল ও সকেট সন্ধি বলে। বিচলনের সক্ষম হওয়ায় বল ও সকেট অস্থিসন্ধিকে সচল অস্থিসন্ধি বা সাইনোভিয়াল জয়েন্ট-ও বলা হয়ে থাকে। এখানে প্রশ্নানুযায়ী এই অস্থিসন্ধির অবস্থান, গঠনগত বৈশিষ্ট্য, সঞ্চালন এবং উদাহরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
  1. অবস্থান: এইজাতীয় সন্ধি মানুষের কাঁধে ও কোমরে দেখা যায়। কাঁধে হিউমেরাস ও স্ক্যাপুলার মধ্যবর্তী অংশে এবং কোমরে বা নিতম্বে ফিমার ও শ্রোণিচক্রের মধ্যবর্তী অংশে এইজাতীয় অস্থিসন্ধি উপস্থিত।
  2. গঠনগত বৈশিষ্ট্য: [i] এইজাতীয় অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার প্রান্ত অপর অস্থির খাঁজের মধ্যে অবস্থান করে। [ii] এই ধরনের গঠন-বিন্যাসের ফলে এই সন্ধিতে অস্থিগুলির সব অক্ষেই বিচলন ঘটতে পারে।
  3. সঞ্চালন: এই অস্থিসন্ধিতে সংশ্লিষ্ট দীর্ঘ অস্থি এক্সটেশন, ফ্লেক্সন, অ্যাবডাকশন, অ্যাডাকশন, রোটেশন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার বিচলনে সক্ষম।
  4. উদাহরণ: মানুষের শ্রোণিচক্রের অ্যাসিটাবুলাম গহ্বরের মধ্যে ফিমারের মস্তক অংশ প্রবিষ্ট থেকে এই ধরনের বল ও সকেট অস্থিসন্ধি গঠন করে। এক্ষেত্রে ফিমারের মস্তক বলের মতো এবং অ্যাসিটাবুলাম গহ্বর সকেটর মতো আচরণ করে।
প্রশ্ন – 14. মানুষের কঙ্কাল পেশির ক্ষেত্রে উল্লিখিত পেশি ক্রিয়াগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও— (1) ফ্লেক্সন (2) এক্সটেনশন (3) অ্যাবডাকশন (4) অ্যাডাকশন (5) রোটেশন।
উত্তর – মানুষের কয়েকটি কঙ্কাল পেশি ক্রিয়া
পেশি ক্রিয়ার নাম পেশির প্রকৃতি ক্রিয়া উদাহরণ
1. ফ্লেক্সন ফ্লেক্সর অস্থিসংলগ্ন পেশিটি সংকুচিত হলে, পরপর অবস্থিত দুটি অস্থি ভাঁজ হয়ে পরস্পরের কাছাকাছি আসে। বাইসেপ্স পেশির সংকোচনে কনুই ভাঁজ হয়।
2. এক্সটেনশন এক্সটেনসর অস্থিসংলগ্ন পেশিটি সংকুচিত হলে, পরপর অবস্থিত দুটি অস্থি পরস্পরের থেকে দূরে সরে যায়। ট্রাইসেপ্স পেশির সংকোচনে ভাঁজ করা হাত সোজা হয়।
3. অ্যাবডাকশন অ্যাবডাক্টর এই অস্থি পেশির ক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ দেহের মধ্যবর্তী অক্ষ থেকে দূরে সরে যায়। ডেলটয়েড পেশির সংকোচন হাতকে দেহাক্ষ থেকে দূরে সরে যেতে সাহায্য করে।
4. অ্যাডাকশন অ্যাডাক্টর এই অস্থি পেশির ক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ দেহের মধ্যবর্তী অক্ষের কাছাকাছি আসে। ল্যাটিসিমাস ডরসি পেশির সংকোচন হাতকে দেহাক্ষের কাছে নিয়ে আসে।
5. রোটেশন রোটেটর রোটেটর পেশির ক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ বা অস্থি অপর কোনো অঙ্গ বা অস্থির চারপাশে বৃত্তাকারে ঘুরতে পারে। স্টারনোক্লিডোম্যাটয়েড পেশি ঘাড়ের ঘূর্ণনে সাহায্য করে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন – 1. প্রাণীদের ক্ষেত্রে সাড়াপ্রদান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর – প্রাণীদের ক্ষেত্রে সাড়াপ্রদান করা বলতে পেশি, অস্থি এবং অস্থিসন্ধি ব্যবহার করে দ্রুত চলাচল করার ক্ষমতাকে বোঝায়।
প্রশ্ন – 2. গমনের দুটি কারণ উল্লেখ করো।
অথবা, গমনের দুটি চালিকাশক্তি উল্লেখ করো।
উত্তর – (1) খাদ্যান্বেষণ: উপযুক্ত আলো, বাতাস, জল ও খাদ্যের সন্ধানে প্রাণী গমন করে।
(2) আত্মরক্ষা: শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অর্থাৎ আত্মরক্ষার্থেও প্রাণী গমন করে।
প্রশ্ন – 3. অ্যামিবয়েড গমন বলতে কী বোঝ? অন্য কোন্ জীবে এই গমন দেখা যায় ?
উত্তর – অ্যামিবয়েড গমন: ক্ষণপদ-নির্ভর গমন যা প্রধানত অ্যামিবার ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়, তাকে অ্যামিবয়েড গমন বলে।
উদাহরণ: অ্যামিবা ছাড়াও মানুষের কিছু শ্বেত রক্তকণিকায় ও অন্যান্য কিছু প্রাণীতে, প্রোটোজোয়া ও ছত্রাকে অ্যামিবয়েড গমন দেখা যায়।
প্রশ্ন – 4. ক্ষণপদ বা সিউড়োপোডিয়াম কী ?
উত্তর – অ্যামিবার গমনের সময় কোশস্থ সাইটোপ্লাজমের ঘনত্বের পরিবর্তনের ফলে কোশের পরিধির দিকে কোশপর্দাসহ সাইটোপ্লাজমের আঙুলের মতো প্রবর্ধক সৃষ্টি হয়। এই ধরনের প্রবর্ধককে ক্ষণপদ বা সিউডোপোডিয়াম বলে।
প্রশ্ন – 5. সিলিয়া কাকে বলে? এটি কোন্ জীবে দেখা যায় ?
উত্তর – সিলিয়া: আণুবীক্ষণিক সূক্ষ্ম সুতোর মতো, সঞ্চালন ক্ষমতাসম্পন্ন, একক পর্দাবৃত সাইটোপ্লাজমীয় বহিঃবৃদ্ধি বা কোশীয় প্রবর্ধককে সিলিয়া বলে।
উদাহরণ: এটি প্যারামেসিয়াম নামক প্রোটোজোয়ায় দেখা যায়।
প্রশ্ন – 6. সিলিয়ারি গমন কাকে বলে?
উত্তর – দেহের পরিধি বরাবর বিন্যস্ত সিলিয়ার পর্যায়ক্রমিক সঞ্চালনের দ্বারা গমন সম্পন্ন হলে তাকে সিলিয়ারি গমন বলা হয়। প্যারামেসিয়াম নামক এককোশীর দেহে এইপ্রকার গমন দেখা যায়।
প্রশ্ন – 7. ফ্ল্যাজেলা কাকে বলে? এটির অবস্থান উল্লেখ করো। 
উত্তর – ফ্ল্যাজেলা: আণুবীক্ষণিক সূক্ষ্ম তন্তুর মতো, সঞ্চালন ক্ষমতাযুক্ত, একক পর্দাবৃত সাইটোপ্লাজমীয় বহিঃবৃদ্ধি বা কোশীয় প্রবর্ধককে ফ্ল্যাজেলা বলা হয়। এই ফ্ল্যাজেলাগুলি সাধারণত সিলিয়ার থেকে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ ও মোটা হয়।
অবস্থান: এটি ইউগ্লিনার গমন অঙ্গ।
প্রশ্ন – 8. ফ্ল্যাজেলারি গমন বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – যখন কোনো জীবের গমন ফ্ল্যাজেলার সুশৃঙ্খল সঞ্চালনের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়, তখন সেই ধরনের সঞ্চালনকে ফ্ল্যাজেলারি গমন বা ফ্ল্যাজেলা-নির্ভর গমন বলে।
প্রশ্ন – 9. ইউগ্লিনা-র গমনে ফ্ল্যাজেলার ভূমিকা লেখো।
অথবা, ইউগ্লিনা কীভাবে ফ্ল্যাজেলা ব্যবহার করে?
উত্তর – ইউগ্লিনার গমন অঙ্গ হল ফ্ল্যাজেলা। ফ্ল্যাজেলাটিকে চাবুকের মতো সঞ্চালিত করে জলে ঘাত সৃষ্টি করে, এর প্রত্যাঘাতে দেহ বিপরীতে এগিয়ে যায়।
প্রশ্ন – 10. মাছের গমনে পাখনার ভূমিকা কী ?
উত্তর – মাছের দেহে উপস্থিত বিভিন্ন পাখনা মাছের গমনে সাহায্য করে। যেমন- (1) বক্ষপাখনা ও শ্রোণিপাখনা মাছকে জলের ওপরে ও নীচে নিয়ে  যেতে, (2) পায়ু ও পৃষ্ঠপাখনা মাছকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে এবং (3) পুচ্ছপাখনা দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে।
প্রশ্ন – 11. একটি অস্থিযুক্ত মাছের জোড় পাখনা কেটে দিলে মাছটির কী হবে?
উত্তর – একটি অস্থিযুক্ত মাছের জোেড় পাখনা কেটে দিলে মাছটি জলে স্থির হয়ে এক জায়গায় ভেসে থাকতে পারবে না ও জলের গভীরে যেতে পারবে না।
প্রশ্ন – 12. মাছের পুচ্ছপাখনার কাজ কী?
উত্তর – মাছের পুচ্ছপাখনার কাজ— (1) সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চলন বল (driving force) সৃষ্টি করা, (2) চলাচলের সময় হালের মতো দিক পরিবর্তনে সাহায্য করা।
প্রশ্ন – 13. মায়োটম পেশি কাকে বলে?
উত্তর – মাছের মস্তকের পিছন থেকে শুরু করে ল্যাজ পর্যন্ত, মেরুদণ্ডের দুপাশে অবস্থিত ‘V’ আকৃতির যে পেশিগুলি মাছের সাঁতার কাটার সময়ে দেহকে দুপাশে আন্দোলিত করতে সাহায্য করে, তাকে মায়োটম পেশি বলে।
প্রশ্ন – 14. মায়োটম পেশির অবস্থান লেখো। এর কাজ উল্লেখ করো।
উত্তর – অবস্থান : মায়োটম পেশি মাছের মেরুদণ্ডের দুই পাশে কানকো থেকে পুচ্ছপাখনার গোড়া পর্যন্ত সজ্জিত।
কাজ : মায়োটম পেশি সংকোচন-প্রসারণের দ্বারা মাছের দেহে তরঙ্গের মতো আন্দোলন সৃষ্টি করে এবং মাছকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন – 15. পাখির উড্ডয়ন পেশিগুলির নাম লেখো।
উত্তর – পাখির উড্ডয়ন পেশিগুলির নাম হল —(1) পেক্টোরালিস মেজর, (2) পেক্টোরালিস মাইনর ও (3) কোরাকো ব্রাকিয়ালিস।
প্রশ্ন – 16. পেক্টোরালিস মেজর পেশির কাজ কী?
উত্তর – পেক্টোরালিস মেজর হল পাখির প্রধান বক্ষপেশি, যার সংকোচন ও প্রসারণ পাখির ডানা ঝাপটানোর জন্য বল সৃষ্টি করে। ফলে পাখি উড়তে পারে।
প্রশ্ন – 17. পাখির উড্ডয়ন পালক (উড়বার পালক) কাকে বলে? এগুলি কত প্রকার ?
উত্তর – উড্ডয়ন পালক: পাখির ডানায় ও ল্যাজে বিন্যস্ত যে পালকগুলি পাখির উড্ডয়নে সাহায্য করে, তাদের উড্ডয়ন পালক বলে।
প্রকারভেদ: পাখির উড্ডয়ন পালক দুই প্রকার, ডানার পালক বা রেমিজেস এবং ল্যাজের পালক বা রেক্টিসেস।
প্রশ্ন – 18. পাখির পালক বাতাসের চাপে নষ্ট হয়ে যায় না কেন?
উত্তর – পাখির পালকগুলিতে থাকা বার্ব, বার্বিউল ও হুক একে অপরের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আটকে থেকে পালকগুলিতে একটি তল সৃষ্টি করে। ফলে বাতাসের চাপে পায়রার পালক ছিঁড়ে যায় না।
প্রশ্ন – 19. গমনে লঘু মস্তিষ্কের ভূমিকা লেখো।
উত্তর – লঘু মস্তিষ্ক গমনের সময় হাত ও পায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে এবং দেহভঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া ঐচ্ছিক পেশির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পেশিটান বজায় রেখে সাবলীল চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন – 20. অন্তঃকর্ণ কীভাবে মানবদেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে?
উত্তর – অন্তঃকর্ণের ভেস্টিবুলার যন্ত্র দেহের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্তঃকর্ণের ইউট্রিকল ও অর্ধচন্দ্রাকৃতি নালীর সংযোগস্থলে অ্যাম্পুলাতে সংবেদনশীল রোম থাকে যার সাথে ভেস্টিবুলার স্নায়ু যুক্ত থাকে। দেহ স্থানচ্যূত হলে অর্ধচন্দ্রাকৃতি নালীর এন্ডোলিম্ফে আন্দোলন হয়, যা সংবেদনশীল রোমের সাহায্যে স্নায়ুর মাধ্যমে লঘুমস্তিষ্কে পৌঁছোয় ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা পায়।
প্রশ্ন – 21. গমনে মানুষের কঙ্কালতন্ত্রের ভূমিকা কী?
উত্তর – মানুষের কঙ্কালতন্ত্র বিভিন্ন অস্থির সমন্বয়ে গঠিত। ঐচ্ছিক পেশির ক্রিয়াশীলতায় সংশ্লিষ্ট অস্থিগুলির বিচলন ঘটে। তার ফলেই মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয় ও মানুষের দ্বিপদ গমন সম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন – 22. সাইনোভিয়াল সন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – সাইনোভিয়াল সন্ধি: যেসব অস্থিসন্ধিতে সংশ্লিষ্ট অস্থিগুলির সহজে বিচলন ঘটে, সন্ধিস্থলগুলি সাধারণত সাইনোভিয়াল তরল দ্বারা পূর্ণ থাকে, তাদের সাইনোভিয়াল সন্ধি বলা হয়।
উদাহরণ: বল ও সকেট সন্ধি।
প্রশ্ন – 23. সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের কাজ কী?
উত্তর – সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের কাজ হল – (1) দুটি হাড়ের ঘর্ষণজনিত ক্ষয় রোধ করা। (2) সন্ধিতে অবস্থিত কার্টিলেজকে পুষ্টি প্রদান করা।
প্রশ্ন – 24. কবজা সন্ধি বা হিঞ্জ জয়েন্ট কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – কবজা সন্ধি: যে সচল অস্থিসন্ধিতে সংযুক্ত অস্থি দুটির প্রান্ত দরজার কবজার মতো সংলগ্ন থাকে, তাকে কবজা সন্ধি বা হিঞ্জ জয়েন্ট বলে। এই অস্থিসন্ধিগুলি 180° কোণে বিচলন করতে পারে।
উদাহরণ: হাঁটু ও কনুইয়ের সন্ধি এই প্রকৃতির।
প্রশ্ন – 25. বল ও সকেট সন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – বল ও সকেট সন্ধি: যে সচল অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার মস্তক অপর অস্থির কাপের মতো সকেটের মধ্যে সংলগ্ন হয়, তাকে বল ও সকেট সন্ধি বলে।
উদাহরণ: কোমর ও কাঁধের সন্ধি এইপ্রকারের হয়ে থাকে।
প্রশ্ন – 26. ফিমার অস্থি কোনটি? এর কাজ কী?
উত্তর – ফিমার: এটি মানবদেহের দুটি পায়ের ঊরুতে অবস্থিত দীর্ঘতম অস্থি।
কাজ: সংযুক্ত পেশির সংকোচন ও প্রসারণ ঘটিয়ে চলনে সাহায্য করে।
প্রশ্ন – 27. অ্যাসিটাবুলাম কী ? এর গুরুত্ব লেখো।
উত্তর – অ্যাসিটাবুলাম: মানুষের শ্রোণিচক্রের দুটি অর্ধাংশের প্রতিটির বাইরের দিকে একটি অবতল অংশ বা কাপের মতো গহ্বর বর্তমান। একে অ্যাসিটাবুলাম বলে।
গুরুত্ব : এই গহ্বরের মধ্যে পায়ের ফিমার নামক অস্থির গোলাকার খণ্ডক অংশ প্রবিষ্ট থেকে বল ও কোটর সন্ধি গঠন করে।
প্রশ্ন – 28. টিবিয়া ও ফিবিউলার অবস্থান ও কাজ লেখো।
উত্তর – টিবিয়া ও ফিবিউলা অস্থি দুটি প্রতি পায়ের জঙ্ঘায় অবস্থিত। এদের ঊর্ধ্বপ্রান্ত ফিমারের সঙ্গে জানুসন্ধি গঠন করে চলনে সাহায্য করে। এই সন্ধি 180° কোণে বিচলন করতে পারে। ফলে মানুষের গমন সহজসাধ্য হয়।
প্রশ্ন – 29. টেনডন বা কণ্ডরা কী ?
অথবা, টেনডনের কাজ কী?
উত্তর – ঐচ্ছিক পেশির রজ্জুর মতো, প্যাঁচানো প্রান্ত যা পেশির সঙ্গে অস্থির সংযোগ রক্ষা করে, তাকে টেনডন বা কণ্ডরা বলে। এটি সাধারণত সাদা বর্ণের হয়ে থাকে।
প্রশ্ন – 30. লিগামেন্ট বা অস্থি-
বন্ধনী কাকে বলে?
উত্তর – অস্থিসন্ধিগুলি যাদের সাহায্যে পরস্পর যুক্ত থাকে, সেগুলিকে লিগামেন্ট বা অস্থিবন্ধনী বলে। এটি তন্তুময় যোগকলা দ্বারা গঠিত একটি অংশ।
প্রশ্ন – 31. পেশি-নির্ভর গমন বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – মানুষ ও অন্যান্য উন্নত প্রাণীদেহে পেশির ক্রিয়াশীলতায় যে গমন সম্পন্ন হয়, তাকে পেশি-নির্ভর গমন বলা হয়। এক্ষেত্রে পেশির সংকোচন-প্রসারণশীলতার জন্য প্রাণীর গমন ঘটে থাকে।
প্রশ্ন – 32. কঙ্কাল পেশি কাকে বলে? গমনে সহায়ক দুটি পেশির নাম করো।
উত্তর – কঙ্কাল পেশি: মানবদেহে অস্থি সংলগ্ন যেসব ঐচ্ছিক পেশি মানুষের গমনে সাহায্য করে, তাদের কঙ্কাল পেশি বলে।
গমনে সহায়ক পেশি: গমনে সাহায্যকারী দুটি পেশি হল—বাইসেপ্‌স ফিমোরিস, গ্যাস্ট্রকনেমিয়াস পেশি।
প্রশ্ন – 33. এক্সটেনসর পেশি কী ? উদাহরণ দাও।
উত্তর – এক্সটেনসর পেশি: যে পেশি সংকোচনের দ্বারা ভাঁজ হওয়া অস্থিকে দূরে সরে যেতে সাহায্য করে, তাকে এক্সটেনসর পেশি বলে।
উদাহরণ: ট্রাইসেপ্স পেশি।
প্রশ্ন – 34. ফ্লেক্সর পেশি কী? এই প্রকার পেশির উদাহরণ দাও। 
উত্তর – ফ্লেক্সর পেশি: যে পেশি সংকোচনের দ্বারা দুটি অস্থিকে কাছাকাছি আসতে সাহায্য করে, সেই পেশিকে ফ্লেক্সর পেশি বলে।
উদাহরণ: বাইসেপ্‌স পেশি।
প্রশ্ন – 35. অ্যাডাক্টর পেশি কী? একটি উদাহরণ দাও। 
উত্তর – অ্যাডাক্টর পেশি: যে সকল অস্থিপেশির ক্রিয়ায় কোনো অঙ্গ দেহের অক্ষের কাছাকাছি আসে, তাদের অ্যাডাক্টর পেশি বলে।
উদাহরণ: অ্যাডাক্টর লঙ্গাস পেশি, ল্যাটিসিমাস ডরসি।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

1. কোনো জীবের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তনই হল-
(a) চলন
(b) গমন
(c) বহন
(d) আরোহণ
উত্তর – (b) গমন
2. স্থান পরিবর্তনে অক্ষম প্রাণী হল—
(a) স্পঞ্জ
(b) সাগরকুসুম
(c) স্পঞ্জ ও সাগরকুসুম
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (c) স্পঞ্জ ও সাগরকুসুম
3. অ্যামিবয়েড গমন যে জীবে দেখা যায়, তা হল—
(a) প্যারামেসিয়াম
(b) ইউগ্লিনা
(c) অ্যামিবা
(d) সবগুলি
উত্তর – (c) অ্যামিবা
4. সিলিয়া যে জীবের গমন অঙ্গ—
(a) মাছ
(b) ইউগ্লিনা
(c) তারামাছ
(d) প্যারামেসিয়াম
উত্তর – (d) প্যারামেসিয়াম
5. ইউগ্লিনার গমনাঙ্গ হল—
(a) সিলিয়া
(b) কর্ষিকা
(c) ফ্ল্যাজেলা
(d) মাংসল পদ
উত্তর – (c) ফ্ল্যাজেলা
6. ফ্ল্যাজেলার সাহায্যে যে প্রাণী গমন করে তা হল—
(a) ইউগ্লিনা
(b) প্যারামেসিয়াম
(c) অ্যামিবা
(d) প্লাজমোডিয়াম
উত্তর – (a) ইউগ্লিনা
7. সূর্যালোক নিম্নলিখিত যে জীবের গমন ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, তা হল—
(a) অ্যামিবা
(b) প্যারামেসিয়াম
(c) A ও B উভয়ই
(d) ইউক্লিনা
উত্তর – (d) ইউক্লিনা
৪. সন্তরণ পদ্ধতিতে গমন সম্পন্ন করে—
(a) হাইড্রা
(b) ইউগ্লিনা
(c) মাছ
(d) অ্যামিবা
উত্তর – (c) মাছ
9. অস্থিযুক্ত মাছের দেহে পাখনার সংখ্যা—
(a) একটি
(b) 5টি
(c) 7টি
(d) 9টি
উত্তর – (c) 7টি
10. তরুণাস্থিযুক্ত মাছ হাওরের দেহে পাখনা সংখ্যা —
(a) ৪টি
(b) 5টি
(c) 7টি
(d) 9টি
উত্তর – (a) ৪টি
11. মাছের দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে—
(a) পুচ্ছপাখনা
(b) পৃষ্ঠপাখনা
(c) পায়ুপাখনা
(d) শ্রোণিপাখনা
উত্তর – (a) পুচ্ছপাখনা
12. মাছকে জলে ভাসতে সাহায্য করে—
(a) পাখনা
(b) পটকা
(c) কানকো
(d) পার্শ্বরেখা
উত্তর – (b) পটকা
13. নীচের কোন্‌টি দিয়ে মাছের পটকা রক্তজালক থেকে গ্যাস শোষণ করে?
(a) রেডগ্রন্থি
(b) অগ্র প্রকোষ্ঠ
(c) গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি
(d) রিটি মিরাবিলি
উত্তর – (d) রিটি মিরাবিলি
14. মায়োটম পেশি পাওয়া যায় —
(a) মাছে
(b) বাদুড়ে
(c) ফড়িং-এ
(d) পায়রায়
উত্তর – (a) মাছে
15. উড্ডয়ন পদ্ধতিতে গমন সম্পন্ন করে-
(a) কেঁচো
(b) শামুক
(c) পাখি
(d) টিকটিকি
উত্তর – (c) পাখি
16. পায়রার ডানা গঠনকারী রেমিজেস পালকের সংখ্যা—
(a) 11
(b) 13
(c) 19
(d) 23
উত্তর – (d) 23
17. পায়রার পুচ্ছে রেক্ট্রিসেস পালকের সংখ্যা –
(a) 6টি
(b) ৪টি
(c) 12টি
(d) 16টি
উত্তর – (c) 12টি
18. পেক্টোরালিস মেজর দেখা যায় –
(a) মৎস্যে
(b) পায়রায়
(c) অ্যামিবা-য়
(d) প্যারামেসিয়াম।
উত্তর – (b) পায়রায়
19. একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে কতগুলি অস্থি থাকে?
(a) 100টি
(b) 350টি
(c) 206টি
(d) 260টি
উত্তর – (c) 206টি
20. লিগামেন্ট, টেনডন ও অস্থিসন্ধি হল—
(a) শ্বাসতন্ত্রের অংশ
(b) পেশিতন্ত্রের অংশ পেক্টোরালিস
(c) কঙ্কালতন্ত্রের অংশ
(d) রক্তসংবহনতন্ত্রের অংশ
উত্তর – (c) কঙ্কালতন্ত্রের অংশ
21. অস্থিসন্ধি যে বন্ধনী দ্বারা আবদ্ধ থাকে সেটি হল –
(a) টেনডন
(b) লিগামেন্ট
(c) কার্টিলেজ
(d) শ্বেততন্তু
উত্তর – (b) লিগামেন্ট
22. বল ও সকেট সন্ধি দেখা যায় —
(a) কাঁধে
(b) হাঁটুতে
(c) বুড়ো আঙুলে
(d) কনুইতে
উত্তর – (d) কনুইতে
23. হিঞ্জ বা কবজা সন্ধি দেখা যায় –
(a) কোমরে
(b) কাঁধে
(c) কনুইতে
(d) করোটিতে
উত্তর – (c) কনুইতে
24. নীচের অস্থিগুলির মধ্যে যেটির অবস্থান হাতে নয়, সেটি হল-
(a) রেডিয়াস
(b) আলনা
(c) হিউমেরাস
(d) ফিমার
উত্তর – (d) ফিমার
25. ফিমার, টিবিয়া ও প্যাটেলার সম্মিলিত অস্থিসন্ধিটির নাম হল-
(a) শ্রোণিচক্র
(b) হাঁটু
(c) কনুই
(d) গোড়ালি
উত্তর – (b) হাঁটু
26. ঊরুসন্ধি বলা হয়—
(a) ফিমার ও শ্রোণিচক্রের সন্ধিকে
(b) ফিমার ও স্ক্যাপুলার সন্ধিকে
(c) স্ক্যাপুলা ও হিউমেরাসের সন্ধিকে
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (a) ফিমার ও শ্রোণিচক্রের সন্ধিকে
27. কাঁধের সন্ধিতে অবস্থিত দুটি অস্থি হল—
(a) স্ক্যাপুলা ও হিউমেরাস
(b) হিউমেরাস ও আলনা
(c) ফিমার ও টিবিয়া
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (a) স্ক্যাপুলা ও হিউমেরাস
28. দেহের সংশ্লিষ্ট দুটি অংশকে ভাঁজ হতে সাহায্য করে যে কঙ্কাল পেশি—
(a) রোটেটর
(b) ফ্লেক্সর
(c) এক্সটেনসর
(d) অ্যাবডাক্টর
উত্তর – (b) ফ্লেক্সর
29. কোনো অংশকে দেহের মধ্যরেখার কাছাকাছি আনতে সহায়তা করে যে পেশি, সেটি হল –
(a) রোটেটর
(b) ফ্লেক্সর
(c) এক্সটেনসর
(d) অ্যাডাক্টর
উত্তর – (d) অ্যাডাক্টর
30. কোন্ পেশি অঙ্গকে দেহের অক্ষ থেকে দূরে সরে যেতে সাহায্য করে?
(a) অ্যাডাক্টর পেশি
(b) এক্সটেনসর পেশি
(c) অ্যাবডাক্টর পেশি
(d) ফ্লেক্সর পেশি
উত্তর – (c) অ্যাবডাক্টর পেশি
31. দেহের কোনো অংশকে ঘোরাতে সাহায্য করে, এমন কঙ্কাল পেশি হল –
(a) রোটেটর
(b) ফ্লেক্সর
(c) এক্সটেনসর
(d) অ্যাডাক্টর
উত্তর – (a) রোটেটর
32. ফ্লেক্সনে সাহায্যকারী পেশি (ফ্লেক্সর পেশি) হল—
(a) ট্রাইসেপস
(b) বাইসেপ্‌স
(c) ডেলটয়েড
(d) রোটেটর
উত্তর – (b) বাইসেপ্‌স
33. কোন্‌টি শুধুমাত্র এক্সটেনসর পেশি? 
(a)  বাইসেপ্স
(b) ট্রাইসেপ্স
(c) পাইরিফরমিস
(d) ডেলটয়েড
উত্তর – (b) ট্রাইসেপ্স
34. অ্যাডাকশনে সাহায্য করে—
(a) ট্রাইসেপ্স
(b) বাইসেপ্‌স
(c) ডেলটয়েড
(d) ল্যাটিসিমাস ডরসি
উত্তর – (d) ল্যাটিসিমাস ডরসি
35. ডেলটয়েড পেশি হল –
(a) এক্সটেনসর পেশি
(b) অ্যাবডাক্টর পেশি
(c) ফ্লেক্সর পেশি
(d) রোটেটর পেশি
উত্তর – (b) অ্যাবডাক্টর পেশি
36. ‘Hands up’ নির্দেশটি অপরাধী দ্বারা মানা হলে কোন্ পেশিটি সক্রিয় হয়?
(a) ট্রাইসেপ্স
(b) ডেলটয়েড
(c) ল্যাটিসিমাস ডরসি
(d) বাইসেপ্স
উত্তর – (b) ডেলটয়েড
37. একটি রোটেটর পেশির উদাহরণ —
(a) বাইসেপ্স
(b) পাইরিফরমিস
(c) ডেলটয়েড
(d) ল্যাটিসিমাস ডরসি
উত্তর – (b) পাইরিফরমিস
38. পাইরিফরমিস পেশি কোন্ বিচলনে সাহায্য করে?
(a) এক্সটেনশন
(b) অ্যাবডাকশন
(c) রোটেশন
(d) সবগুলি
উত্তর – (d) সবগুলি

দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও

1. অ্যামিবা এর গমনাঙ্গের নাম লেখো।
উত্তর – ক্ষণপদ।
2. অ্যামিবা কখন ক্ষণপদ সৃষ্টি করে?
উত্তর – খাদ্যগ্রহণ ও গমনের সময়ে অ্যামিবা ক্ষণপদ সৃষ্টি করে।
3. কোন্ রক্তকোশে অ্যামিবয়েড গমন দেখা যায় ?
উত্তর – নিউট্রোফিল।
4. গমনে অক্ষম প্রাণীর উদাহর দাও।
উত্তর – স্পঞ্জ, প্রবাল।
5. কোন্ জীবের সিলিয়ারি গমন দেখা যায় ? 
উত্তর – প্যারামেসিয়াম।
6. ইউগ্লিনা-র গমনাঙ্গ কী ?
উত্তর – ফ্ল্যাজেলা।
7. মাছের গমনাঙ্গের নাম কী ?
উত্তর – পাখনা।
৪. মাছের গমনে সাহায্যকারী পেশির নাম কী? [Chetla Boys’ High School]
উত্তর – মায়োটম পেশি।
9. মাছের বিজোড় পাখনাগুলি কী কী?
উত্তর – পৃষ্ঠপাখনা, পায়ুপাখনা ও পুচ্ছপাখনা।
10. মাছের জোড় পাখনাগুলি কী কী?
উত্তর – বক্ষপাখনা ও শ্রোণিপাখনা।
11. মাছের পৃষ্ঠপাখনার কাজ কী?
উত্তর – এটি দেহের স্থিতি বা ভারসাম্য বজায় রাখে।
12. মাছকে জলের গভীরে যেতে বা ভেসে উঠতে কোন্ পাখনা সাহায্য করে?
উত্তর – বক্ষপাখানা ও শ্রোণিপাখনা।
13. কোন্ পাখনা মাছকে দিক পরিবর্তন করতে সাহায্য করে?
উত্তর – পুচ্ছপাখনা।
14. মাছের পায়ুপাখনার কাজ কী?
উত্তর – মাছের পায়ুপাখনা দেহের স্থিতি বজায় রাখে।
15. মাছের কোন্ কোন্ পাখনা জলে ভাসতে সাহায্য করে?
উত্তর – বক্ষপাখনা ও শ্রোণিপাখনা।
16. যদি মাছের সমস্ত পাখনা সুতো দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় তবে কী হতে পারে?
উত্তর – মাছের সব পাখনা সুতো দিয়ে বেঁধে দিলে মাছ সাঁতার কাটতে পারবে না।
17. অস্থিযুক্ত মাছের প্লবতা রক্ষাকারী অঙ্গ কোনটি?
উত্তর – পটকা।
18. পাখির গমনাঙ্গের নাম কী?
উত্তর – পা ও ডানা।
19. পাখির ডানার পালককে কী বলা হয় ?
উত্তর – রেমিজেস ।
20. পাখির ল্যাজের পালকের নাম কী?
উত্তর – রেক্ট্রিসেস।
21. পায়রার একটি উড্ডয়ন পেশির নাম লেখো।
উত্তর – পেক্টোরালিস মেজর।
22. মানুষের গমনাঙ্গের নাম কী?
উত্তর – পা।
23. মানুষের গমনকে কী বলে?
উত্তর – দ্বিপদ গমন ।
24. গমনের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে কোন্ কোন্ অঙ্গ?
উত্তর – গমনের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে হাত, লঘুমস্তিষ্ক ও অন্তঃকর্ণের অর্ধবৃত্তাকার নালী।
25. অন্তঃকর্ণের কোন্ অংশটি দেহের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে?
উত্তর – অর্ধচন্দ্রাকার নালী।
26. দুটি অস্থির সংযোগস্থলকে কী বলে?
উত্তর – অস্থিসন্ধি ।
27. অচল সন্ধির উদাহরণ দাও।
উত্তর – মানবখুলির অস্থিসমূহের সন্ধি।
28. হিঞ্চু বা কবজা সন্ধি কোথায় থাকে?
উত্তর – হিঞ্জ সন্ধি বা কবজা অস্থিসন্ধি মানুষের হাঁটু এবং কনুই-তে থাকে।
29. বল ও সকেট সন্ধির উদাহরণ দাও।
উত্তর – বল ও সকেট সন্ধি কাঁধ ও কোমরের সন্ধিতে দেখা যায়।
30. হাঁটুর সন্ধি কী প্রকারের সন্ধি?
উত্তর – কপাট সন্ধি বা কবজা সন্ধি।
31. মানুষের দেহে দীর্ঘতম অস্থি কোন্‌টি?
উত্তর – ফিমার।
32. গমনে সহায়ক পায়ের দুটি পেশির নাম লেখো।
উত্তর – কোয়াড্রিসেপস ফিমোরিস (থাই-এর পেশি), গ্লুটিয়াস ম্যাক্সিমাস।
33. একটি ফ্লেক্সর পেশির নাম লেখো।
উত্তর – বাইসেপ্‌স।
34. রোটেশনের সঙ্গে জড়িত একটি পেশির নাম লেখো।
উত্তর – ল্যাটিসিমাস ডরসি (হাতের ঘূর্ণন)।
35. একটি অ্যাডাক্টর পেশির উদাহরণ দাও।
উত্তর – ল্যাটিসিমাস ডরসি।
36. ফিমারের আবর্তনে কোন্ পেশি সাহায্য করে?
উত্তর – সারটোরিয়াস।
37. একটি এক্সটেনসর পেশির নাম লেখো।
উত্তর – ট্রাইসেপ্‌স।
38. পরস্পর বিপরীতধর্মী ক্রিয়া করে মানবদেহের এমন দুটি পেশির নাম লেখো।
উত্তর – বাইসেপ্‌স ও ট্রাইসেপ্‌স।
39. দেহের সংশ্লিষ্ট দুটি অংশকে ভাঁজ করতে কোন্ পেশি সহায়তা করে?
উত্তর – ফ্লেক্সর পেশি।
40. ভাঁজ হওয়া অবস্থা থেকে দেহের সংশ্লিষ্ট অংশ দুটিকে প্রসারিত হতে সহায়তা করে কোন্ পেশি?
উত্তর – এক্সটেনসর পেশি ।
41. দেহের মধ্যরেখা থেকে দেহাংশকে দূরে সরিয়ে নিতে সাহায্য করে কোন্ পেশি?
উত্তর – অ্যাবডাক্টর পেশি।
42. দেহের মধ্যরেখার কাছে কোনো দেহাংশকে আনতে সাহায্য করে কোন্ পেশি ?
উত্তর – অ্যাডাক্টর পেশি।
43. দেহের কোনো অংশকে ঘোরাতে সাহায্য করে কোন্ পেশি?
উত্তর – রোটেটর পেশি।

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. খাদ্যান্বেষণ ………. -এর একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
উত্তর – গমন
2. ………. নামক প্রাণী গমনে অক্ষম।
উত্তর – স্পঞ্জ
3. ……… হল গমনে সক্ষম একটি উদ্ভিদ।
উত্তর – ক্ল্যামাইডোমোনাস
4. প্যারামেসিয়াম সিলিয়ার চলনের অভিমুখের ……….. দিকে গমন করে।
উত্তর – বিপরীত
5. ইউক্লিনার ফ্ল্যাজেলার সঞ্চালনে ……… সাহায্য করে।
উত্তর – চক্ষুবিন্দু
6. ইউক্লিনার কোশে অবস্থিত ………… সূর্যালোক অনুভব করতে পারে।
উত্তর – চক্ষুবিন্দু
7. …………… হল অস্থিবিশিষ্ট মাছের প্রধান গমনাঙ্গ।
উত্তর – পাখনা
8. বক্ষপাখনা ও ……….. হল জোড় পাখনা।
উত্তর – শ্রোণিপাখনা
9. মাছের …….. পেশি গমনে সাহায্য করে।
উত্তর – মায়োটম
10. ……….. পেশির আকৃতি ‘V’-এর মতো।
উত্তর – মায়োটম
11. যে পালক পাখিকে উড়তে সাহায্য করে তাকে………. পালক বলে।
উত্তর – উড্ডয়ন
12. পায়রার প্রতিটি ডানায় রেমিজেস পালকের সংখ্যা ……….. |
উত্তর – 23
13. …………… হল পাখির একটি উড্ডয়ন পেশি।
উত্তর – পেক্টোরালিস মেজর
14. মানুষের গমন পদ্ধতিকে ………. গমন পদ্ধতি বলে।
উত্তর – দ্বিপদ
15. ……….. হল গমনের সময় দেহের ভারসাম্য রক্ষকারী একটি অঙ্গ।
উত্তর – হাত
16. আর্টিকুলার হায়ালিন তরুণাস্থি উপস্থিত থাকে ……….. সন্ধিতে।
উত্তর – সাইনোভিয়াল
17. যেসব পেশি অস্থিসঞ্চালনে সাহায্য করে, তাদের ………. বলা হয়।
উত্তর – অস্থিপেশি
18. কবজা সন্ধিতে সংশ্লিষ্ট অস্থি দুটি একটি তলে ……….. কোণে বিচলন করতে পারে।
উত্তর – 180°
19. কোমরের অস্থিসন্ধিতে ……….. ও ফিমার উপস্থিত।
উত্তর – শ্রোণিচক্র
20. কনুইয়ের অস্থিসন্ধি হল ………. সন্ধি।
উত্তর – কবজা
21. রোটেশনের সঙ্গে জড়িত একটি পেশি হল …………. |
উত্তর – পাইরিফরমিস
22. ……… নামক সঞ্চলনে স্টারনোক্লিডোম্যাটয়েড নামক পেশি সাহায্য করে।
উত্তর – রোটেশন
23. কনুই ভাঁজ করলে ……….. পেশি সংকুচিত হয়।
উত্তর – বাইসেপ্স
24. হাতের ট্রাইসেপ্স পেশির সংকোচন ………… -এ সাহায্য করে।
উত্তর – এক্সটেনশন
25. অ্যাডাকশনে সাহায্যকারী পেশির উদাহরণ হল ………… |
উত্তর – ল্যাটিসিমাস ডরসি
26. মানুষের দেহের সচল সন্ধিতে ………… তরল থাকে।
উত্তর – সাইনোভিয়াল
27. দুটি অস্থি ………. দ্বারা যুক্ত থাকে।
উত্তর – লিগামেন্ট

The Complete Educational Website

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *