WBBSE 10th Class Science Solutions Biology Chapter 2 জীবনের প্রবহমানতা (TOPIC 2 জনন)
West Bengal Board 10th Class Science Solutions Biology Chapter 2 জীবনের প্রবহমানতা (TOPIC 2 জনন)
West Bengal Board 10th Biology Solutions
TOPIC 2 জনন
বিষয়সংক্ষেপ
- জীব প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জনন গুরুত্বপূর্ণ। জনন প্রধানত দুইপ্রকার—অযৌন জনন এবং যৌন জনন। এ ছাড়া এক বিশেষ প্রকার অযৌন জনন পদ্ধতি হল অঙ্গজ জনন। গ্যামেট তৈরি ছাড়াই একটি জীবের দেহকোশ বা রেণু দ্বারা অপত্য সৃষ্টিকে বলে অযৌন জনন। দুটি ভিন্ন জীবের ভিন্নধর্মী গ্যামেট বা জননকোশ নিষেক দ্বারা মিলিত হয়ে নতুন অপত্য সৃষ্টিকে বলে যৌন জনন। যেমন মানুষ বা সপুষ্পক উদ্ভিদের জনন। আবার উদ্ভিদদেহের কোনো অংশ থেকে নতুন অপত্য সৃষ্টির সহজ-সরল পদ্ধতিকে বলে অঙ্গজ জনন।
- অযৌন জননে একটি জীব লাগে। যৌন জনন দুটি বিপরীত লিঙ্গের জীবের মধ্যে ঘটে। যৌন জনন অপেক্ষাকৃত উন্নত ও এর ফলে জীবে প্রকরণ তৈরি হয় (মিয়োসিস দ্বারা)।
- অযৌন জনন নানা প্রকার হয়। যেমন—বিভাজন [Amoeba (অ্যামিবা) ও Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম)], কোরকোগম [Hydra (হাইড্রা) ও ঈস্ট], খণ্ডীভবন [Spirogyra (স্পাইরোগাইরা)], পুনরুৎপাদন . [Planaria (প্ল্যানেরিয়া)] ও রেণু উৎপাদন (মস, ফার্ন ও ছত্রাক)।
- অঙ্গজ বংশবিস্তারে উদ্ভিদের কোনো দেহাংশ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। এটি প্রাকৃতিক(যেমন—মূল, কাণ্ড বা পাতা থেকে) অথবা কৃত্রিম প্রকৃতির (যেমন—কাটিং, প্রাফটিং বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন দ্বারা) হতে পারে।
- জীবের জীবনে হ্যাপ্পয়েড (n) এবং ডিপ্পরেড (2n) জনুর চক্রাকার আবর্তনকে জনুক্রম বলে। ফার্নে স্পষ্ট জনুক্রম দেখা যায়। ফার্নে ডিপ্লয়েড রেণুধর জনু (2n) এবং হ্যাপ্পয়েড লিধর জনু (n) চক্রাকারে আবর্তিত হয়।
বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
1. জনন কাকে বলে? জননের প্রয়োজনীয়তা বা জননের গুরুত্ব উল্লেখ করো।
উত্তর – জনন: যে জৈবনিক পদ্ধতিতে জীব নিজ আকৃতি ও প্রকৃতিবিশিষ্ট এক বা একাধিক অপত্য জীব সৃষ্টির মাধ্যমে নিজের প্রজাতির অস্তিত্ব পৃথিবীতে বজায় রাখে, তাকে জনন বলে।
জননের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব: জীবজগতে জননের গুরুত্ব অপরিসীম। এগুলি নিম্নরূপ —
- অস্তিত্ব রক্ষা করা: জননের সাহায্যে জীব নতুন অপত্য সৃষ্টি করে। ফলে, তার নিজ প্রজাতির সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় থাকে।
- বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতা অটুট রাখা: জননের ফলে নতুন অপত্য জীব সৃষ্ট হয়। এর ফলে জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
- জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষা: জীবের মৃত্যুর ফলে জীবের সংখ্যার হ্রাস ঘটে। জননের ফলে নতুন জীব সৃষ্টির মাধ্যমে মৃত্যুজনিত সংখ্যাহ্রাস পূরণ হয়। এর ফলে পৃথিবীতে জীবের ভারসাম্য তথা বাস্তুতান্ত্রিক সাম্য বজায় থাকে।
- জীব অভিব্যক্তি: যৌন জননের দ্বারা জীবদেহে মিউটেশন বা পরিব্যক্তি ঘটে। আবার, মিউটেশনের ফলে জীবদেহের মধ্যে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য বা ভেদ বা প্রকরণের উদ্ভব হয়। প্রকরণ জীবের অভিযোজন ও অভিব্যক্তিতে সহায়তা করে।
2. জননের প্রকারভেদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।
অথবা, বিভিন্ন প্রকার জনন পদ্ধতির নাম, সংজ্ঞা ও উদাহরণ লেখো।
উত্তর – জননের প্রকারভেদ : জীবজগতে প্রধানত দুইপ্রকার জনন দেখা যায়, যথা— (1) অযৌন জনন এবং (2) যৌন জনন। এ ছাড়া উদ্ভিদজগতে বিশেষ ধরনের অযৌন জনন বা অঙ্গজ জনন দেখা যায়।
- অযৌন জনন: যে জনন প্রক্রিয়ায় জননকোশ বা গ্যামেট উৎপন্ন না হয়ে রেণুর সাহায্যে বা সরাসরি দেহকোশ বিভাজনের মাধ্যমে অপত্য জীবের সৃষ্টি হয়, তাকে অযৌন জনন বলে। এক্ষেত্রে একটিমাত্র জনিতৃ জীবের প্রয়োজন হয়। জনিতৃ জীবটির সমস্ত বৈশিষ্ট্য উৎপন্ন সকল অপত্যে সঞ্চারিত হয়। অপত্যগুলি জিনগতভাবে জনিতৃ জীবের সমগ্রকৃতির হয়। অপুষ্পক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে অযৌন জননের একক হল হ্যাপ্লয়েড (n) রেণু। এই পদ্ধতিতে স্বল্প সময়ে বেশি সংখ্যক জীব সৃষ্টি হয়। যেমন—অ্যামিবা (Amoeba), ব্যাকটেরিয়া, মিউকর (Mucor) প্রভৃতির জনন পদ্ধতি।
- অঙ্গজ বংশবিস্তার: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে উদ্ভিদদেহের যে-কোনো অঙ্গ বা তার অংশবিশেষ জনিতৃ উদ্ভিদদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুনরুৎপাদনের দ্বারা নতুন অপত্যের সৃষ্টি করে, তাকে অঙ্গজ বংশবিস্তার বলে। অঙ্গজ বংশবিস্তার দুইপ্রকার—প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার এবং কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার। উদ্ভিদ প্রাকৃতিক উপায়ে অনুকূল পরিবেশে মূল, কাণ্ড ও পাতার মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার শাখাকলম, জোড়কলম, অণুবিস্তারণের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
- যৌন জনন: যে জনন পদ্ধতিতে দুটি ভিন্নধর্মী গ্যামেট বা জননকোশ মিলিত হয়ে অপত্যের সৃষ্টি করে, তাকে যৌন জনন বলে। এইপ্রকার জননে একই প্রজাতির দুটি জীবের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে দুটি ভিন্নধর্মী গ্যামেট বা জননকোশের মিলন হয়, অর্থাৎ পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন ঘটে। পুংজনন মাতৃকোশ বা স্ত্রীজনন মাতৃকোশে মিয়োসিস পদ্ধতিতে হ্যাপ্লয়েড (n) পুং বা স্ত্রী জননকোশ তৈরি করে। যেমন—ব্যাং, মানুষ, সপুষ্পক উদ্ভিদ প্রভৃতির জনন পদ্ধতি।
3. অযৌন জননের সুবিধা ও অসুবিধা লেখো।
উত্তর – অযৌন জননের সুবিধা: 1. অযৌন জনন পদ্ধতিতে কেবলমাত্র একটি জীব অংশগ্রহণ করে, ফলে সহজে জনন সম্ভব হয়। 2. এই পদ্ধতিতে একসঙ্গে বহু অপত্য জীব সৃষ্ট হয়। 3. অযৌন জননে কম শক্তি ব্যয়িত হয়। 4. এই পদ্ধতি সরল, নিশ্চিত এবং এতে সময় কম লাগে। 5. অপত্য জীবে বর্তমান কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে না। অপত্যগুলি তাদের পরিচিত পরিবেশে সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
অযৌন জননের অসুবিধা: 1. অযৌন জননে প্রকরণের (variation) কোনো সম্ভাবনা থাকে না। 2. এই পদ্ধতিতে সৃষ্ট অপত্য জীবের মধ্যে অভিযোজন ক্ষমতা কমে আসে এবং ফলে অবলুপ্তির সম্ভাবনা থাকে। এই জননে গ্যামেট বা জননকোশের প্রয়োজন হয় না, তাই গ্যামেট গঠনকালে মিয়োসিসের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয় না।
4. জীবদেহে দেখা যায় এইরূপ অযৌন জনন পদ্ধতিগুলি উদাহরণসহ লেখো।
অথবা, উপযুক্ত উদাহরণসহ অযৌন জননের পাঁচটি পদ্ধতি বর্ণনা করো।
অংশ প্রশ্ন, চিহ্নিত চিত্রের সাহায্যে ঈস্ট ও হাইড্রা-র কোরকোগম পদ্ধতি বর্ণনা করো।
উত্তর – অযৌন জনন পদ্ধতিসমূহ: জীবদেহে যেসব অযৌন জনন পদ্ধতি দেখা যায়, সেগুলি হল—
- বিভাজন: অধিকাংশ এককোশী জীবে মাইটোসিস বা অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজন পদ্ধতির দ্বারা দুই (দ্বিবিভাজন) বা দুইয়ের অধিক (বহুবিভাজন) নতুন অপত্য সৃষ্টি করার পদ্ধতিকে বিভাজন বলে। নীচে বিভাজন পদ্ধতির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল।
[i] অ্যামিবা: [a] দ্বিবিভাজন — অনুকূল পরিবেশে Amoeba (অ্যামিবা)-র নিউক্লিয়াসটি অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে দ্বিবিভাজিত হয়। এর সাইটোপ্লাজম বিভাজনরত নিউক্লিয়াসের লম্বতলে (90°) খাঁজ (furrow) সৃষ্টি করে বিভাজিত হয় ও দুটি অপত্য সৃষ্টি করে। [b] বহুবিভাজন—প্রতিকূল পরিবেশে Amoeba (অ্যামিবা)র ক্ষণপদ বিনষ্ট হয় ও সিস্ট প্রাচীর (cyst wall) দ্বারা আবদ্ধ হয়। সিস্টের মধ্যে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের বহুবিভাজন দ্বারা অসংখ্য ক্ষুদ্র স্পোর তৈরি হয়। এইপ্রকার বহুবিভাজনকে স্পোরুলেশন বলে। পরিবেশ অনুকূল হলে সিস্ট প্রাচীর বিদীর্ণ করে স্পোরগুলি মুক্ত হয় ও নতুন Amoeba (অ্যামিবা) সৃষ্টি করে। [ii] গ্লাসমোডিয়াম: এক্ষেত্রে বহুবিভাজন দুটি দশায় ঘটে—সাইজন্ট এবং স্পোরন্ট। সাইজন্ট এবং স্পোরন্ট দশায় স্ত্রী Anopheles (অ্যানোফিলিস) মশার পাকস্থলীতে যথাক্রমে সাইজোগনি ও স্পোরোগনি নামক বহুবিভাজন দ্বারা অসংখ্য অপত্য Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম) তৈরি হয়। সাইজোগনি এবং স্পোরোগনি দ্বারা সৃষ্ট অপত্য Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম)-দের যথাক্রমে মেরোজয়েট ও স্পোরোজয়েট বলে।
- কোরকোগম: যে বিশেষ ধরনের অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনিতৃ জীবদেহের কোনো প্রবর্ধিত দেহাংশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিচ্যুত হয়ে অপত্য জীবদেহ সৃষ্টি করে তাকে কোরকোগম বা বাড়িং বলে। নীচে কোরকোগম পদ্ধতির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল।
[i] ঈস্ট: ঈস্ট মাতৃকোশের অসমান বিভাজনের ফলে ক্ষুদ্র প্রবর্ধকের মতো কোরক সৃষ্টি হয়, যার মধ্যে জনিত নিউক্লিয়াস বিন্যস্ত থাকে। পরবর্তীকালে মাতৃদেহ থেকে কোরকটি বিচ্ছিন্ন হয় ও নতুন অপত্য ঈস্ট তৈরি করে। বিশেষ ক্ষেত্রে, টরুলা দশায় ঈস্টের কোরকটি টরুলেশন পদ্ধতিতে বার বার বিভাজিত হয়ে ছদ্ম মাইসেলিয়াম গঠন করে।
[ii] হাইড্রা : Hydra (হাইড্রা)র কোরক জনিতুর দেহের বাইরে সৃষ্টি হয় (এক্সোজেনাস বাড)। প্রথমে প্রবর্ধকরূপে সৃষ্টি হওয়ার পর অপত্য Hydra (হাইড্রা)-র মুখছিদ্র, কর্ষিকা প্রভৃতির গঠন সম্পূর্ণ হয় এবং সেটি মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
- খণ্ডীভবন: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনিতৃ জীবের দেহ দুই বা ততোধিক খণ্ডে ভেঙে যায় ও প্রতিটি খণ্ড অপত্যের সৃষ্টি করে, তাকে খণ্ডীভবন বলে ৷
উদাহরণ—Spirogyra (স্পাইরোগাইরা) নামক শৈবালের সূত্রাকার দেহটি জলস্রোতের প্রভাবে বা আঘাতজনিত কারণে খণ্ডিত হয়ে যায়। প্রতিটি দেহাংশ মাইটোসিস কোশ বিভাজন পদ্ধতি দ্বারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টি করে।
- পুনরুৎপাদন: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে জনিতৃ জীবের সামান্য দেহাংশ সম্পূর্ণ নতুন জীব সৃষ্টি করে, তাকে পুনরুৎপাদন বলে। এইপ্রকার অযৌন জনন পদ্ধতিকে মরফাল্যাক্সিস বলে। (পক্ষান্তরে, দেহের সামান্য অংশ বিচ্ছিন্ন হলে সেই হারানো দেহাংশ পুনঃস্থাপনকে বলে এপিমরফোসিস)। উদাহরণ – Planaria (প্ল্যানেরিয়া) নামক চ্যাপটা কৃমির কোশদেহের যে-কোনো অংশ বিচ্ছিন্ন হলে, প্রতিটি বিচ্ছিন্ন অংশ থেকে নতুন অপত্যের সৃষ্টি হয়। Planaria (প্ল্যানেরিয়া) ছাড়া স্পঞ্জ, Hydra (হাইড্রা)-তেও পুনরুৎপাদন দেখা যায়।
- রেণু উৎপাদন: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে মস, ফার্ন ও ছত্রাকদেহে সৃষ্ট এককোশী রেণু জনিতৃ দেহ থেকে আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নতুন অপত্য সৃষ্টি করে, তাকে রেণু উৎপাদন বা স্পোরুলেশন বলে। নীচে রেণু উৎপাদন পদ্ধতির কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল।
[i] ছত্রাক: ছত্রাকে বিভিন্নরকম গঠনের এবং গমন ক্ষমতাযুক্ত বা গমন ক্ষমতাবিহীন রেণু দেখা যায়, যা উপযুক্ত পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে অপত্য ছত্রাক গঠন করে। বিভিন্ন ধরনের রেণুগুলি হল—চলন ক্ষমতাযুক্ত জুস্পোর, চলন ক্ষমতাবিহীন অ্যাপ্লানোস্পোর, পুরু প্রাচীরযুক্ত ক্ল্যামাইডোস্পোর, অণুসূত্র খণ্ডীভবনের দ্বারা সৃষ্ট ওইডিয়া ও কনিডিয়া, স্পোরানজিয়ামে উৎপন্ন স্পোরানজিওস্পোর। [ii] মস ও ফার্ন: মসের রেণুধর উদ্ভিদের রেণুধর কলা থেকে রেণুর সৃষ্টি হয়। ফার্নের রেণুধর উদ্ভিদের রেণুস্থলীতে সমআকৃতির রেণু বা বিষম আকৃতির রেণু উৎপন্ন হয়।
5. চিহ্নিত চিত্রের সাহায্যে অ্যামিবা ও প্লাসমোডিয়াম-এর বিভাজন পদ্ধতি বর্ণনা করো।
উত্তর – অ্যামিবার বিভাজন পদ্ধতি: Amoeba (অ্যামিবা) একটি স্বাধীনজীবী আদ্যপ্রাণী, Amoeba (অ্যামিবা)-র নিউক্লিয়াসটি অ্যামাইটোসিস
নিউক্লিয়াস পদ্ধতিতে দ্বিবিভাজিত হয়। এইসময় সমগ্র কোশটি এবং নিউক্লিয়াস-দুই-ই লম্বায় বেড়ে যায়। নিউক্লিয়াস লম্বায় বিবর্ধিত হয়ে ডাম্বেল-এর আকার ধারণ করে। এরপর কোশপর্দা ও নিউক্লিয়াসের মাঝ বরাবর খাঁজ (furrow) সৃষ্টির মাধ্যমে বিভাজনরত নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম লম্বতলে (90°) বিভাজিত হয়ে দুই অপত্য কোশ তৈরি করে।

প্লাসমোডিয়াম-এর বিভাজন পদ্ধতি: Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম) একটি এককোশী পরজীবী। এটি মানবদেহে ম্যালেরিয়া রোগের জন্য দায়ী। এটি মানুষের যকৃতে সাইজোগোনি নামক বহুবিভাজন পদ্ধতি সম্পন্ন করে। বেশ কয়েকটি দশার মধ্যে দিয়ে নিজের জীবনচক্র অতিবাহিত করে। সাইজন্ট নামক দশায়, মাইটোসিসের ক্যারিওকাইনেসিস বিভাজন দ্বারা দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস সৃষ্টি করে। এরপর কোশের মধ্যে একাধিকবার ক্যারিওকাইনেসিস ক্রিয়া সম্পন্ন করে অসংখ্য অপত্য নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। পরবর্তী পর্যায়ে সাইটোকাইনেসিস পদ্ধতি দ্বারা অসংখ্য মেরোজয়েট উৎপন্ন হয়। এইভাবে Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম)-এ বহুবিভাজন পদ্ধতিটি সম্পন্ন হয়। এই মেরোজয়েটগুলি নতুন কোশকে আক্রমণ করে ও একই পদ্ধতিতে আরও বেশি সংখ্যক মেরোজয়েট উৎপন্ন করে। উসিস্ট বা স্পোরন্ট দশায় বহুবিভাজন ঘটলে তা থেকে স্পোরোজয়েট সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াকে স্পোরোগোনি বলে।
6. অঙ্গজ বংশবিস্তার বা অঙ্গজ জনন কাকে বলে? অঙ্গজ বংশবিস্তারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর – অঙ্গজ বংশবিস্তার বা অঙ্গজ জনন: যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে উদ্ভিদেহের যে-কোনো অঙ্গ বা তার অংশবিশেষ জনিতৃ উদ্ভিদদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোশ বিভাজন ও বৃদ্ধির দ্বারা নতুন অপত্যের সৃষ্টি করে, তাকে অঙ্গজ বংশবিস্তার বা অঙ্গজ জনন বলে।
অঙ্গজ বংশবিস্তারে সুবিধা: 1. অঙ্গজ বংশবিস্তারে একই রকম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়। 2. এইপ্রকার বংশবিস্তারে একটি উদ্ভিদ থেকেই অনেক উদ্ভিদ সৃষ্টি করা যায়। 3. কম সময়ের মধ্যে অপত্য সৃষ্টি করা যায়। 4. বছরের যে-কোনো ঋতুতে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা যায়। 5. অপত্যদেহে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তিত থাকে।
অঙ্গজ বংশবিস্তারের অসুবিধা: 1. অঙ্গজ বংশবিস্তারে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উন্নত উদ্ভিদ পাওয়া যায় না। 2. এইপ্রকার বংশবিস্তারে অভিব্যক্তি ঘটা সম্ভব নয়। 3. অপত্য উদ্ভিদগুলির অভিযোজন ক্ষমতা কমে যায় বলে অবলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
7. উদ্ভিদের প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার বা প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন পদ্ধতি সম্পর্কে লেখো।
উত্তর – প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার বা প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন পদ্ধতি: প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে অঙ্গজ জনন বিভিন্ন প্রকারের হয়। এগুলি সম্পর্কে পরবর্তী অংশে আলোচনা করা হল।
- মূলের মাধ্যমে : কিছুকিছু উদ্ভিদে, যেমন—মিষ্টি আলু বা রাঙা আলু, পটল প্রভৃতি উদ্ভিদের রসালো মূল থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়। একে মূলজ মুকুল বলে। পরে এই মুকুলসহ মূল খণ্ড খণ্ড করে মাটিতে রোপণ করলে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
- কাণ্ডের মাধ্যমে : পরিবর্তিত কাণ্ডের দ্বারা অঙ্গজ জনন দু-ভাবে সম্পন্ন হয়। এগুলি হল—[ii] মুদগত কাণ্ডের সাহায্যে: আদা, পেঁয়াজ, আলু প্রভৃতি উদ্ভিদের কাণ্ড মাটির নীচে খাদ্য সঞ্চয় বা প্রতিকূল পরিবেশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরিবর্তিত হয়ে বিশেষ আকার ধারণ করে। একে মৃদ্গত কাণ্ড বলে। এই মৃগত কাণ্ডের গা থেকে মুকুল উৎপন্ন হয় এবং উৎপন্ন মুকুল অঙ্গজ জননের মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়। বিভিন্ন প্রকারের মৃগত কাণ্ড হল— আলুর স্ফীতকন্দ, আদার গ্রন্থিকাণ্ড, পেঁয়াজের কন্দ এবং ওলের গুঁড়িকন্দ। [ii] অর্ধবায়বীয় কাণ্ডের সাহায্যে: কচুরিপানা উদ্ভিদের কাণ্ডে বায়ু ও জলের সংলগ্ন স্থান দিয়ে ছোটো অর্ধবায়বীয় কাণ্ড অনুভূমিকভাবে বিস্তৃত হয়। এইপ্রকার কাণ্ডকে খর্ব-ধাবক বলে। এই অংশ থেকে অস্থানিক মূল, কাণ্ড ও পাতা সৃষ্টি হয় ও পরে এই অংশে মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
- পাতার মাধ্যমে: কিছুকিছু উদ্ভিদের ক্ষেত্রে, যেমন—পাথরকুচি, Begonia (বিগোনিয়া) প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কিনারা থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়। একে পত্রাশ্রয়ী মুকুল বলে। এই পত্রাশ্রয়ী মুকুলের নীচের দিক থেকে আবার প্রচুর অস্থানিক মূল বের হয়। পরে মূলসহ প্রতিটি পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে অনুকূল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়।
৪. কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার বলতে কী বোঝ লেখো। উদ্ভিদের কত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তারের শাখাকলম, জোড়কলম ও মাইক্রোপোপাগেশন পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
উত্তর – কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার: হর্টিকালচার বা উদ্যানপালন বিদ্যায় ব্যবহৃত মানবসৃষ্ট অঙ্গজ বংশবিস্তারের পদ্ধতিসমূহকে কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার বা কৃত্রিম অঙ্গজ জনন বলে।
কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তারের পদ্ধতি: উদ্ভিদের কৃত্রিম অঙ্গজ বংশবিস্তার বিভিন্ন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। সেগুলি সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হল।
- কাটিং বা শাখাকলম দ্বারা: যে কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে উদ্ভিদের শাখা কেটে ভিজে মাটিতে রোপণ করা হয়, প্রয়োজনমতো জল দিতে থাকলে পর্ব থেকে নতুন অস্থানিক মূল বের হয় এবং ক্রমশ ওই শাখা থেকেই একটি পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদের জন্ম হয়, তাকে কাটিং বা শাখাকলম বলে। গোলাপ, জবা, গাঁদা, সজনে ইত্যাদি উদ্ভিদে এইভাবে জনন সম্ভব।
- গ্রাফটিং বা জোড়কলম দ্বারা: যে কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে দুটি ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদকে বা উদ্ভিদের দুটি শাখাকে পরস্পরের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কয়েক মাস রেখে দিলে সেই জোড়া অংশ মিশে যায় এবং নতুন ধরনের উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রাফটিং বা জোড়কলম বলে। এই পদ্ধতিতে উন্নততর যে উদ্ভিদটিকে জোড়া লাগানো হয়, তাকে সিয়ন বলে এবং যার ওপর জোড়া লাগানো হয় তাকে স্টক বলে। সিয়ন সাধারণত স্টক অপেক্ষা উন্নতমানের হয়। সিয়ন ও স্টক-এর সংযোগস্থলটিকে মাটি দিয়ে আবৃত করে কাপড় বা খড়ের সাহায্যে বেঁধে দেওয়া হয় । উন্নতমানের উদ্ভিদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। আম, জাম, লেবু, কুল প্রভৃতি উদ্ভিদে এইভাবে জনন সম্ভব।
- মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণ দ্বারা: যে কৃত্রিম অঙ্গ জনন পদ্ধতিতে ল্যাবরেটরিতে কোশ, কলা বা অঙ্গ কর্ষণ মাধ্যমে পালন দ্বারা দ্রুত নতুন উদ্ভিদ তৈরি করা হয়, তাকে মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণ বলে। এক্ষেত্রে উদ্ভিদের উপযুক্ত দেহাংশ বা এক্সপ্ল্যান্ট নির্বীজ করে পুষ্টি মাধ্যমে কর্ষণ করা হয়। এর ফলে নতুন চারাগাছ সৃষ্টি হয়। মূলত সজ্জা উদ্ভিদ (ornamental plant), যেমন—অর্কিড, কলাজাতীয় ফল উৎপাদক উদ্ভিদ, কফি, সেগুন প্রভৃতি অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন উদ্ভিদ প্রভৃতিতে অণুবিস্তারণ পদ্ধতির অধিক ব্যবহার হয়ে থাকে।
9. মাইক্রোপ্রোপাগেশনের নীতি কী? অযৌন ও যৌন জননের পার্থক্য লেখো।
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশনের নীতি: উদ্ভিদকোশের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এইপ্রকার কোশ যে-কোনো কলাকোশ থেকে কোশ বিভাজন দ্বারা সম্পূর্ণ উদ্ভিদ সৃষ্টি করতে পারে। একে কোশের টোটিপোটেন্সি ধর্ম বলে। ‘মাইক্রো’ শব্দের অর্থ হল ক্ষুদ্র। অর্থাৎ, উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড বা পাতার ছোটো টুকরো উপযুক্ত কর্ষণ মাধ্যম (culture medium)-এ রেখে বিভাজিত হতে দিলে, তা অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
অর্থেীণ ও যৌন জননের পার্থক্য
10. মাইক্রোপ্রোপাগেশন কীভাবে সম্পন্ন করা হয়? এর সুবিধা কী ?
অথবা, মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণ পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দাও।
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশন: মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অণুবিস্তারণ পদ্ধতির ধারাবাহিক পর্যায়গুলি হল—
- এই পদ্ধতিতে প্রথমে উপযুক্ত এক্সপ্ল্যান্ট বা উদ্ভিদ দেহাংশ নির্বাচন করা হয়, যা পুরোপুরি প্রজাতিনির্ভর।
- নির্বাচিত এক্সপ্ল্যান্টটিকে প্রথমে 70% অ্যালকোহলে 1 মিনিট ধুয়ে, পরে 10% হাইপোক্লোরাইট দ্রবণে 15 মিনিট রেখে নির্বীজ বা স্টেরিলাইজ করা হয়। এরপর এক্সপ্ল্যান্টটিকে কর্ষণ মাধ্যমে স্থাপন করা হয়।
- এই কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির উৎসরূপে সুক্রোজ ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রকরূপে কৃত্রিম অক্সিন, সাইটোকাইনিন এবং বিভিন্ন পরিপোষক ব্যবহৃত হয়।
- প্রথমে উদ্ভিদ দেহাংশ থেকে একগুচ্ছ অবিভেদিত কোশ বা ক্যালাস সৃষ্টি হয়। এটি পরে বিভেদিত হয়ে বিভিন্ন কলা সৃষ্টির মাধ্যমে অসংখ্য এমব্রিঅয়েড (embrioid) গঠন করে। এমব্রিঅয়েড ক্রমে বিভেদিত হয়ে অপত্য উদ্ভিদ বা প্ল্যান্টলেট (plantlet) সৃষ্টি করে।
মাইক্রোপ্রোপাগেশনের সুবিধা: মাইক্রোপ্রোপাগেশনের সুবিধাগুলি হল—
- এই পদ্ধতিতে কম জায়গায় দ্রুত ও অধিক সংখ্যক চারা তৈরি করা যায়।
- এর দ্বারা রোগমুক্ত চারাগাছ তৈরি করা সম্ভব হয়।
- পছন্দমাফিক উদ্ভিদ ভ্যারাইটির উৎপাদন সম্ভব হয়। বন্ধ্যা উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করা যায়।
- এই পদ্ধতির সাহায্যে বছরের যে-কোনো সময়ে চারা উৎপন্ন করা যায়।
- এই পদ্ধতির সাহায্যে যৌন জননে অক্ষম উদ্ভিদের ক্ষেত্রে বংশবিস্তার সম্ভব।
11. রেখাচিত্রের সাহায্যে ফার্ন-এর জনুক্রম প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো ও তার পর্যায় চিত্র আঁকো।
উত্তর – ফার্ন-এর জনুক্রম প্রক্রিয়া: যৌন জননকারী জীবের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড (n) জনু এবং ডিপ্লয়েড (2n) জনুর চক্রাকার আবর্তনকে জনুক্রম বলা হয়। ফার্নের ক্ষেত্রে ডিপ্লয়েড (2n) রেণুধর জনু এবং হ্যাপ্লয়েড (n) লিঙ্গধর জনু চক্রাকারে আবর্তিত হয়। ফার্নের যে

উদ্ভিদদেহটির রেণু ধারণ করে, তাকে রেণুধর উদ্ভিদ বা স্পোরোফাইট বলে। এই দশাটিকে লিঙ্গধর জনু বলে। মিয়োসিস পদ্ধতিতে ফার্নের রেণুধর জনুর রেণুমাতৃকোশ থেকে হ্যাপ্লয়েড (n) রেণু উৎপন্ন হয়। এরপর এই রেণু, পরিবেশে মুক্ত হয়ে এবং অঙ্কুরিত হয়ে লিঙ্গধর উদ্ভিদ বা গ্যামেটোফাইট সৃষ্টি করে। গ্যামেটোফাইট দশাটিকে লিঙ্গধর জনু বলে। গ্যামোটোফাইটের অ্যানথেরিডিয়ামে উৎপন্ন শুক্রাণু (n), আর্কিগোনিয়ামে উৎপন্ন ডিম্বাণুকে (n) নিষিক্ত করে এবং ডিপ্লয়েড জাইগোট (2n) সৃষ্টি করে। সেই জাইগোট থেকে পুনরায় রেণুধর বা স্পোরোফাইট উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। এইভাবে পর্যায়ক্রমে রেণুধর ও লিঙ্গধর উদ্ভিদ জনুর আবর্তন দ্বারা ফার্নের জনুক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফার্নের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড জনু ও ডিপ্লয়েড জনু প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে এই ধরনের জনুক্রমকে ডিপ্লোবায়োন্টিক জনুক্রম বলা হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. জনন কী?
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 1 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
2. জননের সাধারণ বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর – জননের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল— (1) মাইটোসিস, মিয়োসিস অথবা উভয় পদ্ধতিতেই কোশ বিভাজনের মাধ্যমে জননের বিভিন্ন পর্যায় সম্পন্ন হয়। জননকালে জননকোশ তথা গ্যামেট সৃষ্টি থেকে শুরু করে ভ্রূণের উৎপত্তি তথা অপত্য জীব সৃষ্টি, প্রতিক্ষেত্রেই কোশ বিভাজন ঘটে। (2) জননের আণবিক ভিত্তি হল DNA-র প্রতিলিপিকরণ বা রেপ্লিকেশন। (3) জননকোশ বা গ্যামেট অথবা রেণু থেকে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়।
3. কোনো জীবের জন্য প্রজনন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 4 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
4. জনন কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর – জনন প্রধানত দুই-প্রকার, যথা—(1) অযৌন জনন এবং (2) যৌন জনন। এ ছাড়া অঙ্গজ বংশবিস্তার বা অঙ্গজ জনন ও অপুংজনি বা পার্থেনোজেনেসিস-এর সাহায্যেও জীবেরা জনন সম্পন্ন করে।
5. অযৌন জনন কাকে বলে?
উত্তর – যে জনন প্রক্রিয়ায় গ্যামেট উৎপাদন ছাড়াই শুধুমাত্র দেহকোশ বিভাজিত হয়ে অথবা রেণু উৎপাদনের মাধ্যমে জনিতৃ জীবের মতো অপত্য জীব সৃষ্টি হয়, তাকে অযৌন জনন বলে। যেমন—ঈস্ট-এর কোরকোগম পদ্ধতি।
6. যৌন জনন কাকে বলে?
উত্তর – জনন কোশাধারে বা জনন-অঙ্গে সৃষ্ট দুটি ভিন্ন জননকোশ, অর্থাৎ পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে সংঘটিত উন্নততম জনন প্রক্রিয়াকে যৌন জনন বলে। যেমন—মানুষ, খরগোশ, হরিণ প্রভৃতি উন্নত প্রাণীর জনন।
7. অযৌন ও যৌন জননের এককদ্বয়ের নাম লেখো।
উত্তর – অযৌন জননের একক রেণু (উদ্ভিদ), যৌন জননের একক গ্যামেট (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু)।
8. রেণু ও গ্যামেটের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর – রেণু ও গ্যামেটের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
| বিষয় |
রেণু |
গ্যামেট |
| 1. জনন পদ্ধতি |
অযৌন জননের একক। |
যৌন জননের একক। |
| 2. বিকাশ পদ্ধতি |
স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে নিজে নিজেই নতুন জীব সৃষ্টি করে। |
অপর গ্যামেটের সঙ্গে নিষেকের পর নতুন জীব সৃষ্টি হয়। |
| 3. অ্যালিল সংখ্যা |
হ্যাপ্লয়েড (n) বা ডিপ্লয়েড (2n) হতে পারে। |
গ্যামেট সর্বদা হ্যাপ্লয়েড (n) হয়। |
9. যৌন জননের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর – যৌন জননের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (1) যৌন জননে দুইপ্রকার গ্যামেট, যথা—শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে অপত্যের সৃষ্টি হয়। (2) এইপ্রকার জননের মাধ্যমে ভেদ বা প্রকরণ সৃষ্টি হয়, যা নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতে তথা জীবের বিবর্তনে সাহায্য করে।
10. সিনগ্যামি কী ?
উত্তর – যে যৌন জননে জনন কোশাধার (gametangium)-এর বাইরে পুং ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন সম্পূর্ণভাবে এবং স্থায়ীরূপে সংঘটিত হয়, তাকে সিনগ্যামি বলে। যেমন— Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডো-মোনাস)-এ এই ধরনের জনন দেখা যায়।
11. আইসোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর – যে যৌন জননে পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেট অঙ্গসংস্থানগতভাবে ও শারীরবৃত্তীয়ভাবে একই রকমের হয়, তাদের মিলনকে আইসোগ্যামি বলে। যেমন— Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডোমোনাস) নামক শৈবাল, Monocystis (মনোসিস্টিস) নামক প্রোটোজোয়া ইত্যাদিতে প্রধানত আইসোগ্যামি দেখা যায়।
12. অ্যানাইসোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর – যে যৌন জননে পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের, আকার, আয়তন ও আকৃতি সমান হয় না এবং গ্যামেটের মিলন জনন-অঙ্গের বাইরে ঘটে, তাকে অ্যানাইসোগ্যামি বলে। যেমন – Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডোমোনাস) নামক শৈবালে এই পদ্ধতি দেখা যায়।
13. ঊগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর – যে যৌন জননে পুংগ্যামেটটি ক্ষুদ্র ও সচল প্রকৃতির হয়, এবং স্ত্রীগ্যামেটটি বড়ো ও নিশ্চল প্রকৃতির হয়, তাদের মিলনকে উগ্যামি বলে। যেমন— Oedogonium (ইডোগোনিয়াম) ও Volvox (ভলভক্স) নামক শৈবাল এবং উন্নতশ্রেণির সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণী এইপ্রকার জনন সম্পন্ন করে।
14. যৌন জননের সুবিধাগুলি লেখো।
উত্তর – যৌন জননের সুবিধাগুলি হল—
- যৌন জননের মাধ্যমে পিতামাতার বহু গুণাবলী সন্তান-সন্ততির মধ্যে সঞ্চারিত হয়, ফলে তারা সহজেই নতুন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
- যৌন জননের মাধ্যমে যে নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত অপত্য জীবের উদ্ভব ঘটে, তাদের অভিব্যক্তি ঘটাও সম্ভব হয়।
- যৌন জননের মাধ্যমে পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যাবলী সন্তান-সন্ততির মধ্যে সঞ্চারিত হওয়ার ফলে পুরুষানুক্রমে বংশের ধারা অক্ষুণ্ণ থাকে।
- যৌন জননের ফলে যেসব জীব বংশবিস্তার করে তাদের কিছুসংখ্যক প্রতিনিধি যে-কোনো রকম প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিয়ে পুনরায় বংশবিস্তার করে।
15. যৌন জননের অসুবিধাগুলি লেখো।
উত্তর – যৌন জননের অসুবিধাগুলি হল—
- এটি ধীর গতির প্রক্রিয়া তাই যৌন জননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের জন্য বেশিমাত্রায় সময় ব্যয়িত হয়।
- এই পদ্ধতিতে দুটি ভিন্ন লিঙ্গের জীবের (পুরুষ ও স্ত্রী) প্রয়োজন হয়, যা সর্বদা পাওয়া নাও যেতে পারে।
- এই পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল ও অসংখ্য গ্যামেটের অপচয় ঘটে, ফলে সাফল্য লাভের সম্ভাবনাও কম থাকে।
16. অযৌন ও যৌন জননের মধ্যে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পার্থক্য নিরূপণ করো।
(1) জনিতৃ জীবের সংখ্যা (2) অপত্য জনুর প্রকৃতি
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 9 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
17. উদাহরণসহ অযৌন জননের দুটি পদ্ধতির নাম লেখো।
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 4 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
18. বিভাজন (fission) কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 4 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
19. বহুবিভাজন কাকে বলে?
উত্তর – এককোশী জীবকোশ যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে বিভক্ত হয়ে বহুসংখ্যক অপত্য সৃষ্টি করে, তাকে বহুবিভাজন বলে ।
যেমন— Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম), সাইজোগনি ও স্পোরোগনি দ্বারা অসংখ্য অপত্য Plasmodium (প্লাসমোডিয়াম) তৈরি করে।
20. বাডিং বা কোরকোগম কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 4 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
21. টরুলা দশা ও টরুলেশন কী?
উত্তর – ঈস্টের কোরকোগম নামক অযৌন জনন পদ্ধতিতে নতুন উৎপন্ন কোরকটি মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বেই পুনরায় কোরক তৈরি করা শুরু করে এবং ছদ্ম মাইসেলিয়াম গঠন করে। এই অবস্থাটি টরুলা নামক জীবের মতো হওয়ায় একে টরুলা দশা বলা হয়। কোরকোগম পদ্ধতিতে ছদ্ম মাইসেলিয়াম গঠনের মাধ্যমে জনন প্রক্রিয়াকে টরুলেশন বলে।
22. খণ্ডীভবন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 4 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
23. পুনরুৎপাদন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 4 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
24. স্পাইরোগাইরা ও প্ল্যানেরিয়ার অযৌন জনন কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়?
উত্তর – Spirogyra (স্পাইরোগাইরা)র অযৌন জনন খণ্ডীভবন পদ্ধতিতে ও Planaria (প্ল্যানেরিয়া)র অযৌন জনন পুনরুৎপাদন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।
25. চলরেণু বা জুস্পোর কাকে বলে?
উত্তর – উদ্ভিদের অযৌন জননের রেণুগুলি সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলাযুক্ত হলে তা গমনে সক্ষম হয়। এদের চলরেণু বা জুস্পোর বলে। যেমন—Volvox (ভলভক্স), Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডোমোনাস) প্রভৃতি শৈবালের চলরেণু।
26. সোরাস ও অ্যাপ্লানোস্পোর কী ও তা কোথায় দেখা যায় ?
উত্তর – সোরাস: ফার্ন ও ছত্রাকে যে গুচ্ছকার স্পোর বা রেণুপূর্ণ স্পোরানজিয়া বা রেণুস্থলী দেখা যায় তাকে সোরাস বলে। যেমন—Dryopteris (ড্রায়োপটেরিস) নামক ফার্ন।
অ্যাপ্লানোস্পোর: ছত্রাকে যে বিশেষ ফ্ল্যাজেলাবিহীন, প্রাচীরযুক্ত, হ্যাপ্লয়েড অচলরেণু দেখা যায় তাকে অ্যাপ্লানোস্পোর বলে। যেমন – Penicillium (পেনিসিলিয়াম), Agaricus (অ্যাগারিকাস)।
27. জাইগোস্পোর (zygospore) কাকে বলে?
উত্তর – নিম্নশ্রেণির জীবের দুটি গ্যামেটের সংযুক্তি পদ্ধতিতে মিলনের ফলে যে ডিপ্লয়েড কোশের সৃষ্টি হয়, তাকে জাইগোস্পোর বা ভ্রূণরেণু বলে। যেমন— Spirogyra (স্পাইরোগাইরা)-র দেহে জাইগোস্পোর দেখা যায়।
28. অঙ্গজ বংশবিস্তার বা অঙ্গজ জনন কাকে বলে?
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 6 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
29. প্রাকৃতিক উপায়ে অঙ্গজ বংশবিস্তার ঘটে, উদাহরণ দাও।
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর -এর 7 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
30. মিষ্টি আলুর মূল কী প্রকৃতির হয় ও তার কাজ কী?
উত্তর – মিষ্টি আলুর মূল রসালো প্রকৃতির কন্দাল মূল। এটি প্রকৃতপক্ষে অস্থানিক মূল। এটি খাদ্য সঞ্চয়ের ফলে স্ফীত হয়ে কন্দের আকার ধারণ করে। ব্রততী শ্রেণির উদ্ভিদের ক্ষেত্রে এই মূল উৎপন্ন হয়। এই মূল উদ্ভিদের অঙ্গজ বংশবিস্তারে সহায়তা করে।
31. অঙ্গজ জনন প্রক্রিয়া কোন্ উদ্ভিদে দেখা যায় ?
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 7 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
32. একটি প্রাকৃতিক ও একটি কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতির উদাহরণ দাও।
উত্তর – প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন পদ্ধতির একটি উদাহরণ হল পত্রাশ্রয়ী মুকুল দ্বারা পাথরকুচির অঙ্গজ জনন।
কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতির উদাহরণ হল অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন।
33. জোড়কলম কাকে বলে?
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর 6 নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
34. স্টক ও সিয়ন কাকে বলে?
উত্তর – গ্রাফটিং বা জোড়কলমের ক্ষেত্রে যে গাছের কাণ্ড কেটে ফেলে শুধু তার মূল অংশ ব্যবহৃত হয়, তাকে স্টক বলে। পক্ষান্তরে যে উন্নত ও অভিপ্রেত উদ্ভিদের শাখা স্টকের সঙ্গে সংযোজিত করা হয়, তাকে সিয়ন বলে।
35. ‘ধান বা ভুট্টাগাছে (একবীজপত্রী) জোড়কলম বা গ্রাফটিং সম্ভব নয়’—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – একবীজপত্রী উদ্ভিদ, যেমন—ধান, গম, ভুট্টা, তাল বা নারকেল-এর ক্যামবিয়াম কলা থাকে না। ক্যামবিয়াম কলা বৃদ্ধি পেয়ে জোড়কলমে নতুন জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলা সৃষ্টি করে দুটি উদ্ভিদের সংযোগ তৈরি করে। ক্যামবিয়াম কলা থাকে না বলে সমস্ত একবীজপত্রী উদ্ভিদের জোড়কলম সম্ভব হয় না।
36 কৃত্রিম অঙ্গজ জননের প্রয়োজন হয় কেন?
অথবা, কলম প্রস্তুতির সার্থকতা কী ?
উত্তর – কৃত্রিম অঙ্গজ জননের প্রয়োজন হয়, কারণ —
- বীজবিহীন উদ্ভিদ, যেমন—কলা, আনারস, আঙুর প্রভৃতি উদ্ভিদের সহজে নতুন উদ্ভিদ করা যায়।
- নির্দিষ্ট ও অভিপ্রেত বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদ চারা তৈরি এই পদ্ধতিতে পাওয়া সম্ভব হয়।
- দ্রুত, কম খরচে চারা উদ্ভিদ কৃত্রিম অঙ্গজ জনন তথা কলম প্রস্তুতি দ্বারা পাওয়া সম্ভব হয়।
37. স্টক, সিয়ন ও গ্রাফটিং শব্দগুলির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করো।
উত্তর – গ্রাফটিং বা জোড়কলম হল একপ্রকার কৃত্রিম অঙ্গজ জনন। এক্ষেত্রে একটি অভিপ্রেত উদ্ভিদের কাণ্ড বা শাখা অর্থাৎ সিয়ন নিয়ে, অপর একটি একই প্রজাতি বা সমগোত্রীয় কোনো উদ্ভিদের কাণ্ড বা শাখা কেটে অর্থাৎ স্টক, এর ওপর জুড়ে দেওয়া হয়।
38. অণুবিস্তারণ বা মাইক্রোপ্রোপাগেশন কাকে বলে?
উত্তর – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর-এর ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দ্রষ্টব্য।
39. টোটিপোটেন্সি কী? একটি টোটিপোটেন্ট কোশের নাম লেখো।
উত্তর – টোটিপোটেন্সি: বিচ্ছিন্ন দেহকোশের উপযুক্ত পরিবেশে সম্পূর্ণ জীবদেহে পরিণত হওয়ার ক্ষমতাকে টোটিপোটেন্সি বা পূর্ণত্বক্ষমতা বলে।
টোটিপোটেন্সি কোশের নাম: একটি টোটিপোটেন্ট কোশের নাম হল স্টেম কোশ।
40. কলোজেনেসিস ও রাইজোজেনেসিস কী?
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতিতে ক্যালাস কলা থেকে প্রাথমিক মূল বা বিটপ সৃষ্টি হওয়াকে বলা হয় অরগ্যানোজেনেসিস। ক্যালাস কলা থেকে প্রাথমিক বিটপ সৃষ্টি হওয়াকে বলে কলোজেনেসিস (caulogenesis) এবং প্রাথমিক মূল সৃষ্টি হওয়াকে বলে রাইজোজেনেসিস (rhizogenesis) |
41. প্রোপাগিউল (propagule) কাকে বলে?
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশন বা অন্যান্য বংশবিস্তার পদ্ধতিতে যে উদ্ভিদ দেহাংশ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়, তাকে প্রোপাগিউল বলে। যেমন—কাণ্ড বা মুকুল। যৌন জননের ক্ষেত্রে বীজ হল প্রোপাগিউল।
42. ক্লোনিং কাকে বলে? তোমার জানা একটি ক্লোনিং পদ্ধতির নাম লেখো।
উত্তর – ক্লোনিং: একই জিনগত উপাদান বিশিষ্ট জীব তৈরিকে ক্লোনিং বলে।
ক্লোনিং পদ্ধতি: অণুবিস্তারণ পদ্ধতিতে একটি উদ্ভিদ দেহাংশ থেকে অসংখ্য প্ল্যান্টলেট বা চারাগাছ ক্লোন করা হয়।
43. মাইক্রোপ্রোপাগেশনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (1) মাইক্রোপ্রোপাগেশন কলাকর্ষণ বা টিস্যু কালচার পদ্ধতির একটি বিশেষ প্রকার যার মাধ্যমে কম সময়ে উদ্ভিদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করা হয়। (2) এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদের পছন্দমাফিক ভ্যারাইটির সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটানো হয়।
44. কলাকর্ষণ বা টিস্যু কালচার কাকে বলে?
উত্তর – যে প্রযুক্তি পদ্ধতিতে জীবদেহ থেকে সংগৃহীত কলা, উপযুক্ত পুষ্টিমাধ্যমে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে কর্ষণ করা হয়, তাকে কলাকর্ষণ বা টিস্যু কালচার বলে। মাইক্রোপ্রোপাগেশনে কলাকর্ষণ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
45. বিশেষ কর্ষণ মাধ্যমে (culture medium) কোন্ কোন্ উদ্ভিদ হরমোন যুক্ত করা হয়?
উত্তর – বিশেষ কর্ষণ মাধ্যমে অক্সিন ও সাইটোকাইনিন হরমোন যুক্ত করা হয়। এই হরমোনগুলি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রকরূপে ব্যবহৃত হয়।
46. এক্সপ্ল্যান্ট কী?
উত্তর – উদ্ভিদের যে বিশেষ ক্ষুদ্র অংশ অণুবিস্তারণের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাকে এক্সপ্ল্যান্ট বলে। ভাজক কলাপূর্ণ অংশ, যেমন—অগ্রমুকুল, মূলাগ্র, কন্দজাতীয় অঙ্গ ইত্যাদি এক্সপ্ল্যান্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
47. ক্যালাস কী ?
উত্তর – জীবাণুমুক্ত এক্সপ্ল্যান্টকে টেস্টটিউবে কর্ষণ মাধ্যম (culture media)-এ রাখলে ধীরে ধীরে কোশ বিভাজন শুরু হয় এবং এক্সপ্ল্যান্টের কোশগুলি থেকে অবিভেদিত কোশসমষ্টির সৃষ্টি হয়, একেই ক্যালাস বলে। ক্যালাসের কোশগুলি টোটিপোটেন্ট প্রকৃতির হয় এবং তা থেকে সম্পূর্ণ উদ্ভিদ সৃষ্টি হতে পারে।
48. কর্ষণ দ্রবণটি কী কী দ্বারা প্রস্তুত করা হয়?
উত্তর – কর্ষণ দ্রবণে উপাদন হল—
- ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট: নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার প্রভৃতি খনিজের লবণ।
- মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট: লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, বোরন, তামা ও মলিবডেনাম-এর লবণ।
- কার্বন ও শক্তি-উৎস: সুক্রোজ শর্করা, এ ছাড়াও গ্লুকোজ বা ফ্রুক্টোজ।
- ভিটামিন: থায়ামিন, নিকোটিনিক অ্যাসিড, বায়োটিন।
- নাইট্রোজেন সরবরাহকারী উপাদান (অ্যামিনো অ্যাসিড): গ্লুটামিন, অ্যাসপারজিন ও অ্যাডিনিন।
- বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক উপাদান (হরমোন) : IAA, 2, 4-D, NAA (অক্সিন), 6-বেনজিনঅ্যামিনোপিউরিন (সাইটোকাইনিন), GA3 (জিব্বেরেলিন) ও অ্যাবসিসিক অ্যাসিড।
49. মাইক্রোপ্রোপাগেশনে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কেন সাবধানতা নিতে হয়?
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশনে ব্যবহৃত কর্ষণ মাধ্যমের পরিপোষক অণুজীব, যেমন—ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বৃদ্ধির পক্ষে অত্যন্ত সহায়ক। এই জীবাণুর সংক্রমণে নতুন উদ্ভিদ বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সংক্রমণ রোধে সংক্রমণ রোধক, গ্লাভস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
50. কলাকর্ষণ মাধ্যমে অধিক অক্সিন ও অধিক সাইটোকাইনিন ব্যবহারে কী সমস্যা দেখা দেয় ? এই সমস্যার কীভাবে সমাধান সম্ভব ?
উত্তর – সমস্যা: অধিক অক্সিন ব্যবহারে অপত্য উদ্ভিদে মূলের অধিক বৃদ্ধি ঘটে। পক্ষান্তরে অধিক সাইটোকাইনিন ব্যবহারে অপত্য উদ্ভিদে মূলের বিটপের বৃদ্ধি বেশি হয়ে যায়।
সমাধান: এই সমস্যা দূর করতে কর্ষণ মাধ্যমে প্রজাতির ওপর নির্ভর করে ওই হরমোন দুটির সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করা দরকার।
51. প্ৰাকৃতিক অঙ্গজ জনন ও যৌন জননের পার্থক্য লেখো।
অথবা, [1] অপত্যের প্রকৃতি ও [2] সময়সীমা-এর ভিত্তিতে প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন ও যৌন জননের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর – প্রাকৃতিক অগ্রজ জনন ও যৌন জননের পার্থক্যগুলি হল—
| বিষয় |
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন |
যৌন জনন |
| 1. অপত্যের প্রকৃতি |
প্রকরণ সৃষ্টি হয় না। ফলে অভিযোজন ক্ষমতা কম হয়। |
প্রকরণ সৃষ্টি হয়, ফলে পরিবেশে অভিযোজন ক্ষমতা বেশি হয়। |
| 2. সময়সীমা |
এটি একটি দ্রুত সংঘটিত সরল পদ্ধতি। |
এটি সময় সাপেক্ষ ও জটিল পদ্ধতি। |
| 3. জননের একক |
উদ্ভিদ দেহাংশ। |
জনন কোশ বা গ্যামেট। |
| 4. জনিতৃ জীব সংখ্যা |
একটি। |
দুইটি। |
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
1. যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় জীব নিজের প্রতিরূপ গঠন করে, তাকে বলে –
(a) শ্বসন
(b) সংবহন
(c) রেচন
(d) জনন
উত্তর – (d) জনন
2. গ্যামেট উৎপাদন ছাড়াই শুধুমাত্র দেহকোশ বিভাজিত হয়ে অপত্য সৃষ্টি হয়—
(a) যৌন জননে
(b) অঙ্গজ জননে
(c) অযৌন জননে
(d) অপুংজনিতে
উত্তর – (c) অযৌন জননে
3. অযৌন জননের একক হল—
(a) গ্যামেট
(b) রেণু
(c) পরাগ
(d) স্টক ও
উত্তর – (b) রেণু
4. যে জননে মিয়োসিস অবশ্যম্ভাবী তা হল —
(a) অঙ্গজ বিস্তার
(b) অযৌন জনন
(c) যৌন জনন
(d) মাইক্রোপ্রোপাগেশন
উত্তর – (c) যৌন জনন
5. দুটি সমগোত্রীয় গ্যামেটের সম্পূর্ণ ও স্থায়ী মিলনকে বলে—
(a) আইসোগ্যামি
(b) অ্যানাইসোগ্যামি
(c) সিনগ্যামি
(d) হেটেরোগ্যামি
উত্তর – (c) সিনগ্যামি
6. হ্যাপ্লয়েড গ্যামেটের মিলনকে বলে—
(a) সাইটোসিস
(b) সিনগ্যামি
(c) কোশচক্র
(d) মিয়োসিস
উত্তর – (b) সিনগ্যামি
7. দুটি গ্যামেটের মিলনকে বলে—
(a) সংশ্লেষ
(b) নিষেক
(c) অপুংজনি
(d) অযৌন জনন
উত্তর – (b) নিষেক
৪. জাইগোটের ক্রোমোজোমীয় প্রকৃতি—
(a) 2n
(b) n
(c) 3n
(d) 4n
উত্তর – (a) 2n
9. নিষিক্ত ডিম্বাণু হল—
(a) এমব্রায়ো
(b) জাইগোট
(c) স্পোর
(d) মরুলা
উত্তর – (b) জাইগোট
10. সম-আকৃতির দুটি জননকোশের মিলন পদ্ধতিকে বলে—
(a) আইসোগ্যামি
(b) অ্যানাইসোগ্যামি
(c) উগ্যামি
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (a) আইসোগ্যামি
11. উন্নত জীবের যৌন জননকালে পুং ও স্ত্রীগ্যামেটের নিষেক প্রক্রিয়ার নাম হল—
(a) আইসোগ্যামি
(b) অ্যানাইসোগ্যামি
(c) উগ্যামি
(d) সিনগ্যামি
উত্তর – (c) উগ্যামি
12. যৌন জনন সম্পর্কিত নীচের কোন বক্তব্যটি সঠিক?
(a) যৌন জননে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপাদন অপরিহার্য
(b) যৌন জনন কেবলমাত্র মাইটোসিস নির্ভর
(c) যৌন জননে একটিমাত্র জনিতৃ জীব থেকেই অপত্য জীব সৃষ্টি হতে পারে
(d) যৌন জননের ফলে উৎপন্ন অপত্য জীব জিনগতভাবে হুবহু জনিতৃ জীবের মতো হয়।
উত্তর – (a) যৌন জননে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপাদন অপরিহার্য
13. নীচের কোন্ বক্তব্যটি সঠিক নয়—
(a) কিছু কিছু ক্ষেত্রে অযৌন জনন অ্যামাইটোসিস নির্ভর
(b) অযৌন জননে জনিতৃ জীবের সংখ্যা একটি
(c) যৌন জননে গ্যামেট উৎপাদন প্রক্রিয়াটি মিয়োসিস নির্ভর
(d) যৌন জননে অপত্য জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টি হয় না
উত্তর – (d) যৌন জননে অপত্য জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টি হয় না
14. অ্যামিবা-তে লক্ষ করা যায় —
(a) বিভাজন
(b) কোরকোগম
(c) খণ্ডীভবন
(d) রেণু উৎপাদন
উত্তর – (a) বিভাজন
15. বিভাজন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে—
(a) প্লাসমোডিয়াম
(b) হাইড্রা
(c) ফার্ন
(d) প্ল্যানেরিয়া
উত্তর – (a) প্লাসমোডিয়াম
16. বহুবিভাজন পদ্ধতিতে অযৌন জনন সম্পন্ন করে এমন জীব হল—
(a) স্পাইরোগাইরা
(b) প্লাসমোডিয়াম
(c) হাইড্রা
(d) ঈস্ট
উত্তর – (b) প্লাসমোডিয়াম
17. যে প্রক্রিয়াটি গ্লাসমোডিয়াম-এর সাইজন্ট দশায় দেখা যায়—
(a) দ্বিবিভাজন
(b) খণ্ডীভবন
(c) বহুবিভাজন
(d) স্পোরোগনি
উত্তর – (c) বহুবিভাজন
18. যে প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়ার অঙ্গজ জনন ঘটে তার নাম-
(a) দ্বিবিভাজন
(b) খণ্ডীভবন
(c) বহুবিভাজন
(d) মাইটোসিস
উত্তর – (a) দ্বিবিভাজন
19. টরুলা দশা দেখা যায় কোন্ জীবে?
(a) ঈস্ট
(b) মস
(c) ফার্ন
(d) সাইকাস
উত্তর – (a) ঈস্ট
20. কোরকোগম বা বাডিং পদ্ধতিতে বা কোরকের সাহায্যে জনন সম্পন্ন করে—
(a) অ্যামিবা
(b) প্লাসমোডিয়াম
(c) হাইড্রা
(d) প্ল্যানেরিয়া
উত্তর – (c) হাইড্রা
21. খণ্ডীভবন পদ্ধতি দেখা যায় —
(a) হাইড্রা-তে
(b) ঈস্ট-এ
(c) প্লাসমোডিয়াম-এ
(d) স্পাইরোগাইরা-তে
উত্তর – (d) স্পাইরোগাইরা-তে
22. পুনরুৎপাদন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে—
(a) ইউগ্লিনা
(b) স্পাইরোগাইরা
(c) প্ল্যানেরিয়া
(d) অ্যামিবা
উত্তর – (c) প্ল্যানেরিয়া
23. প্ল্যানেরিয়া, চ্যাপটাকৃমি এবং নীচের যে প্রাণীতে পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়া ঘটে, তা হল—
(a) স্পঞ্জিলা
(b) অ্যামিবা
(c) প্লাসমোডিয়াম
(d) প্যারামেসিয়াম
উত্তর – (a) স্পঞ্জিলা
24. রেণু উৎপাদন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে না—
(a) মস
(b) প্ল্যানেরিয়া
(c) ফার্ন
(d) ছত্রাক
উত্তর – (b) প্ল্যানেরিয়া
25. স্পোরানজিয়ামে যেটি উৎপন্ন হয় –
(a) স্পোরানজিওস্পোর
(b) অ্যাপ্লানোস্পোর
(c) জুস্পোর
(d) জাইগোস্পোর
উত্তর – (a) স্পোরানজিওস্পোর
26. অযৌন জননে উৎপন্ন রেণুগুলি অসম আকারের হলে, তাদের বলে—
(a) অপুংজনি
(b) পুংকেশর
(c) সমরেণু
(d) অসমরেণু
উত্তর – (d) অসমরেণু
27. রেণু উৎপাদন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন করে—
(a) ছত্রাকজাতীয় উদ্ভিদ
(b) প্ল্যানেরিয়া
(c) হাইড্রা
(d) অ্যামিবা
উত্তর – (a) ছত্রাকজাতীয় উদ্ভিদ
28. নীচের কোন্ জোড়টি সঠিক?
(a) কোরকোগম—ঈস্ট
(b) খণ্ডীভবন—কেঁচো
(c) রেণু উৎপাদন—অ্যামিবা
(d) পুর্নরুৎপাদন—ড্রায়োপটেরিস
উত্তর – (a) কোরকোগম—ঈস্ট
29. নীচের কোন্ জোড়টি সঠিক?
(a) খণ্ডীভবন—ঈস্ট
(b) কোরকগম—প্ল্যানেরিয়া
(c) পুনরুৎপাদন—ফার্ন
(d) রেণু উৎপাদন—ছত্রাক
উত্তর – (d) রেণু উৎপাদন—ছত্রাক
30. সঠিক জোড়টি নির্বাচন করো এবং লেখো ।
(a) বহুবিভাজন—হাইড্রা
(b) খণ্ডীভবন—স্পাইরোগাইরা
(c) পুনরুৎপাদন—ফার্ন
(d) কোরকোদগম—প্ল্যানেরিয়া
উত্তর – (b) খণ্ডীভবন—স্পাইরোগাইরা
31. মূলজ মুকুল দ্বারা বংশবৃদ্ধি করে—
(a) গোলাপ
(b) ডালিয়া
(c) পটল
(d) পাথরকুচি
উত্তর – (c) পটল
32. কাণ্ড স্টোলন প্রকৃতির যে উদ্ভিদে, তার নাম—
(a) মিষ্টি আলু
(b) স্ট্রবেরি
(c) কচুরিপানা
(d) পাথরকুচি
উত্তর – (b) স্ট্রবেরি
33. কচুরিপানার যে পরিবর্তিত অর্ধবায়বীয় কাণ্ডের মাধ্যমে অঙ্গজ জনন ঘটে, তার নাম –
(a) ঊর্ধ্বধারক
(b) খর্বধারক
(c) বজ্রধাবক
(d) ধাবক
উত্তর – (b) খর্বধারক
34. বুলবিল গঠনের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে—
(a) রাঙা আলু
(b) আমরুল
(c) চুপড়ি আলু
(d) ডালিয়া
উত্তর – (c) চুপড়ি আলু
35. কোন্ উদ্ভিদ ভূনিম্নস্থ কাণ্ডের মাধ্যমে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন করে?
(a) মেথা
(b) পাথরকুচি
(c) বিগোনিয়া
(d) ওল
উত্তর – (a) মেথা
36. আদা কীসের সাহায্যে জনন করে?
(a) ধাবক
(b) টিউবার
(c) রাইজোম
(d) কন্দ
উত্তর – (c) রাইজোম
37. আলুচাষের সময় আলু কাক্ষিক মুকুলসহ কেটে মাটিতে লাগানো হয়। এটি একপ্রকারের—
(a) অপুংজনি
(b) যৌন জনন
(c) দাবাকলম পদ্ধতি
(d) অঙ্গজ জনন
উত্তর – (d) অঙ্গজ জনন
38. বিগোনিয়া ও পাথরকুচির জননে সাহায্য করে যে অংশ—
(a) পত্রাশ্রয়ী মুকুল
(b) পরাশ্রয়ী মুকুল
(c) স্থানিক মুকুল
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (a) পত্রাশ্রয়ী মুকুল
39. কোন্ জোড়াটি সঠিক?
(a) ডালিয়া—পত্ৰজ মুকুল
(b) পটল—কাণ্ডজ মুকুল
(c) স্পাইরোগাইরা—খণ্ডীভবন
(d) স্পঞ্জ—দ্বিবিভাজন
উত্তর – (c) স্পাইরোগাইরা—খণ্ডীভবন
40. তুমি একটি নতুন উদ্ভিদ কলম পদ্ধতিতে তৈরি করলে। কলমের সাহায্যে উদ্ভিদের জনন হল—
(a) কৃত্রিম অঙ্গজ জনন
(b) অযৌন জনন
(c) যৌন জনন
(d) প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন
উত্তর – (a) কৃত্রিম অঙ্গজ জনন
41. কাটিং কোন্ উদ্ভিদে ব্যবহৃত হয়?
(a) কচুরিপানা
(b) গাঁদা
(c) ডালিয়া
(d) আম
উত্তর – (d) আম
42. মূলের শাখাকলম দেখা যায় —
(a) গোলাপে
(b) আপেলে
(c) কমলালেবুতে
(d) আখে
উত্তর – (c) কমলালেবুতে
43. আখ যে প্রকার শাখাকলমের সাহায্যে অঙ্গজ বংশবিস্তার করে, তা হল—
(a) মূলের
(b) কাণ্ডের
(c) পাতার
(d) সবকটি
উত্তর – (b) কাণ্ডের
44. জবা ও গাঁদার ক্ষেত্রে সাধারণত যে কৃত্রিম অঙ্গজ জনন ঘটানো হয়, তার নাম—
(a) শাখাকলম
(b) গুটিকলম
(c) দাবাকলম
(d) জোড়কলম
উত্তর – (a) শাখাকলম
45. জোড়কলম একপ্রকার—
(a) যৌন জনন
(b) অযৌন জনন
(c) অঙ্গজ জনন
(d) অপুংজনি
উত্তর – (c) অঙ্গজ জনন
46. জোড়কলমের ক্ষেত্রে যে উদ্ভিদের কাণ্ডে নতুন উন্নত উদ্ভিদ জুড়ে দেওয়া হয়, তাকে বলে—
(a) বল্কল
(b) স্টেম
(c) স্টক
(d) কন্দ
উত্তর – (c) স্টক
47. স্টক ও সিয়নের যে অংশ জোড়া লাগে তা হল —
(a) জাইলেম-জাইলেম
(b) ফ্লোয়েম-ফ্লোয়েম
(c) জাইলেম-ফ্লোয়েম
(d) ক্যামবিয়াম-ক্যামবিয়াম
উত্তর – (d) ক্যামবিয়াম-ক্যামবিয়াম
48. সবচেয়ে উন্নত ধরনের কলম হল —
(a) শাখাকলম
(b) দাবাকলম
(c) গুটিকলম
(d) জোড়কলম
উত্তর – (d) জোড়কলম
49. জোড়কলমে উদ্ভিদের কোন্ কলা অংশ পর্যন্ত চেঁছে ফেলা হয়?
(a) জাইলেম
(b) ফ্লোয়েম
(c) ক্যামবিয়াম
(d) মজ্জা
উত্তর – (c) ক্যামবিয়াম
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও
1. প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর – কোনো একটি প্রজাতির নতুন অপত্য বংশ উৎপাদনকে প্রজনন বলে।
2. প্রজননের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর – প্রজননের মূল উদ্দেশ্য হল পৃথিবীতে কোনো জীবপ্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষা করা।
3. উদ্ভিদের অযৌন জননে রেণু কোন্ অঙ্গে তৈরি হয়?
উত্তর – উদ্ভিদের অযৌন জননে রেণু থলির মতো আকৃতির রেণুস্থলীতে বা স্পোরানজিয়ামে তৈরি হয়।
4. অযৌন জননের ক্ষেত্রে অপত্য জনুর প্রকৃতি কেমন তা লেখো।
উত্তর – অযৌন জননের ক্ষেত্রে অপত্য জনু জিনগতভাবে জনিতৃ জনুর অনুরূপ হয়, অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোনো প্রকরণ ঘটে না।
5. অযৌন জনন কী ধরনের কোশ বিভাজনের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর – অযৌন জনন প্রধানত মাইটোসিস ও কিছুক্ষেত্রে অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনের ওপর নির্ভরশীল।
6. যৌন জননের একটি গুরুত্ব লেখো।
উত্তর – যৌন জননে অপত্যের দেহে নতুন বৈশিষ্ট্য প্রকাশের সম্ভাবনা থাকে।
7. যৌন জনন আরও কী কী নামে পরিচিত?
উত্তর – যৌন জনন অ্যাম্ফিমিক্সিস, সিনজেনেসিস প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
৪. যৌন জননের একক কী?
উত্তর – গ্যামেট।
9. গ্যামেটের ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?
উত্তর – হ্যাপ্লয়েড (n)।
10. গ্যামেট গঠনের প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর – গ্যামেটোজেনেসিস।
11. শুক্রাশয়ের মধ্যে যে পদ্ধতিতে শুক্রাণু উৎপন্ন হয়,তাকে কী বলে?
উত্তর – স্পার্মাটোজেনেসিস।
12. ডিম্বাশয়ের মধ্যে যে পদ্ধতিতে ডিম্বাণু উৎপন্ন হয় তাকে কী বলে?
উত্তর – ঊজেনেসিস।
13. একই জীবদেহে উৎপন্ন গ্যামেটের মধ্যে নিষেক প্রক্রিয়াটির কী নাম?
উত্তর – স্বনিষেক।
14. ভিন্ন জীবদেহে উৎপন্ন গ্যামেটের মধ্যে নিষেক প্রক্রিয়াটির কী নাম?
উত্তর – পরনিষেক।
15. অন্তঃনিষেক কোথায় দেখা যায় ?
উত্তর – পাখি, গোরু ইত্যাদি প্রাণীর দেহে অন্তঃনিষেক দেখা যায়।
16. জীবদেহের বাইরে, উন্মুক্ত পরিবেশে নিষেক ঘটলে তাকে কী বলে?
উত্তর – বহিঃনিষেক।
17. জননাঙ্গ ছাড়া অন্যান্য বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য দেখে একলিঙ্গ প্রাণীর পুরুষ ও স্ত্রীকে আলাদা করা যায়। একে কী বলে?
উত্তর – যৌন দ্বিরুপতা।
18. যৌন জননে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর – জাইগোট বা ঘৃণাণু।
19. কোন প্রকার জনন প্রকরণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে?
উত্তর – যৌন জনন।
20. হেটেরোগ্যামি কাকে বলে?
উত্তর – দুটি ভিন্ন আকার, আয়তন ও স্বভাববিশিষ্ট পুং এবং স্ত্রীগ্যামেটের মিলনকে হেটেরোগ্যামি বলে।
21. দুটি গ্যামেটের সম্পূর্ণ ও স্থায়ী মিলনকে কী বলে?
উত্তর – সিনগ্যামি।
22. একটি বিশেষ প্রকার অ্যানাইসোগ্যামির নাম লেখো।
উত্তর – ঊগ্যামি।
23. সংযুক্তি পদ্ধতিতে জনন সম্পাদন করে, এমন একটি জীবের নাম লেখো।
উত্তর – Paramoecium (প্যারামেসিয়াম)।
24. স্পাইরোগাইরা নামক শৈবাল কোন প্রক্রিয়ায় জনন (যৌন) সম্পন্ন করে?
উত্তর – সংযুক্তি।
25. কোন্ আদ্যপ্রাণীর অযৌন ও যৌন জনন দেখা যায় ?
উত্তর – Paramoecium (প্যারামেসিয়াম), এরা দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে অযৌন জনন ও কনজুগেশন পদ্ধতিতে যৌন জনন সম্পন্ন করে।
26. অ্যামিবা-তে কী ধরনের জনন সংঘটিত হয়?
উত্তর – অযৌন জনন (দ্বিবিভাজন)।
27. দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে জনন করে এমন একটি আদ্যপ্রাণীর নাম বলো।
উত্তর – Amoeba (অ্যামিবা)।
28. ম্যালেরিয়া রোগসৃষ্টিকারী প্রোটোজোয়ার দেহে কোন্ কোন্ ধরনের অযৌন জনন দেখা যায় ?
উত্তর – বহুবিভাজন।
29. কোরকোগম হয় এমন একটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর – Hydra (হাইড্রা)।
30. কোরকের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটে কোন্ ছত্রাকের?
উত্তর – ঈস্ট।
31. গেমিউল কী ?
উত্তর – স্পঞ্জের দেহাভ্যন্তরে অবস্থিত যে কোরক অযৌন জননে সাহায্য করে তাকে গেমিউল বলা হয় (এটি থেকে সম্পূর্ণ নতুন অপত্য স্পঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে)।
32. টরুলা দশা কী?
উত্তর – ঈস্টের কোরকের গঠন টরুলা প্রাণীর মতো দেখায় যায় বলে, এই দশাকে টরুলা দশা বলে।
33. প্ল্যানেরিয়ার ক্ষেত্রে যে খণ্ডীভবন ঘটে, তাকে কী বলে?
উত্তর – পুনরুৎপাদন।
34. পুনরুৎপাদন ঘটে এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর – Hydra (হাইড্রা)।
35. জীবদেহের কোনো খণ্ডিত অংশ থেকে পূর্ণাঙ্গ অপত্য জীবের উৎপত্তিকে কী বলে ?
উত্তর – পুনরুৎপাদন।
36. চলরেণুর সাহায্যে অযৌন জনন দেখা যায় কোন জীবে?
উত্তর – Chlamydomonas (ক্ল্যামাইডোমোনাস)।
37. অচলরেণু দেখা যায় এমন একটি জীবের নাম লেখো।
উত্তর – Mucor (মিউকর)।
38. কনিডিয়ার সাহায্যে বংশবিস্তার করে কোন্ ছত্রাক ?
উত্তর – Penicillium (পেনিসিলিয়াম)।
39. একটি রসালো মূলের নাম করো যা অঙ্গজ বংশবিস্তারে সাহায্য করে।
উত্তর – রাঙা আলু।
40. উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক অঙ্গজ বিস্তার পদ্ধতির উদাহরণ দাও।
উত্তর – উদ্ভিদের একটি প্রাকৃতিক অঙ্গজ বিস্তার পদ্ধতির উদাহরণ হল- রাঙা আলুর রসালো মূল দ্বারা বংশবিস্তার।
41. সুসনি যে পরিবর্তিত কাণ্ডের উদাহরণ তাকে কী বলে?
উত্তর – ধাবক বা রানার।
42. খবধাবকের সাহায্যে অঙ্গজ জনন হয় কোন্ উদ্ভিদে?
উত্তর – কচুরিপানা।
43. স্টোলন কোন্ উদ্ভিদের অঙ্গজ বংশবিস্তারে সাহায্য করে?
উত্তর – মেথা।
44. ‘টেরর অফ বেঙ্গল’ বা ‘বাংলার আতঙ্ক’ কোন্ উদ্ভিদকে বলে ও কেন?
উত্তর – কচুরিপানা খবধাবক দ্বারা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে জলাশয়ের ভারসাম্য বিনষ্ট করে, তাই কচুরিপানাকে এই নামে অভিহিত করা হয়।
45. পাতার সাহায্যে অঙ্গজ জনন হয় কোন উদ্ভিদে ?
উত্তর – পাথরকুচি।
46. কোন্ প্রাণীতে অঙ্গজ, অযৌন ও যৌন তিন প্রকারের জনন প্রক্রিয়া ঘটে?
উত্তর – Hydra (হাইড্রা)।
47. দুটি কৃত্রিম অঙ্গজ জননের নাম ও উদাহরণ লেখো।
উত্তর – শাখাকলম, যেমন—গোলাপের কাণ্ড ও জোড়কলম, যেমন—আম।
48. যে পদ্ধতিতে একই প্রজাতিভুক্ত দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের শাখা জোড়া দেওয়া হয় তাকে কী বলে?
উত্তর – গ্রাফটিং বা জোড়কলম।
49. মাইক্রোপ্রোপাগেশন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশন আবিষ্কার করেন ফ্রেডেরিক ক্যামপিয়ন স্টিউয়ার্ড নামক উদ্ভিদবিদ।
50. উদ্ভিদ কলাকর্ষণে কোন্ কলা অংশ ব্যবহার সাফল্য প্রদান করে?
উত্তর – উদ্ভিদ কলাকর্ষণে ভাজক কলা সমৃদ্ধ অংশ, যেমন—কাণ্ড, মূলপ্রান্ত ও মুকুল অংশের ব্যবহার সাফল্য প্রদান করে।
51. অণুবিস্তারণ কোন্ কোশধর্মের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর – টোটিপোটেন্সি।
52. কর্ষণ মাধ্যমের কাজ কী?
উত্তর – এক্সপ্ল্যান্টগুলি থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টির সময় পুষ্টি উপাদানের জোগান দেওয়া কর্ষণ মাধ্যমের কাজ।
53. কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির জোগান দেয় কোন উপাদান?
উত্তর – কর্ষণ মাধ্যমে শক্তির জোগান দেয় সুক্রোজ-নামক শর্করা।
54. মাইক্রোপ্রোপাগেশনে ব্যবহার্য দুটি হরমোনের নাম লেখো।
উত্তর – অক্সিন (IAA, IBA) ও সাইটোকাইনিন।
55. ক্যালাসে মূল সৃষ্টির পদ্ধতিকে কী বলে?
উত্তর – রাইজোজেনেসিস।
শূন্যস্থান পূরণ করো
1. যে জীব থেকে নতুন জীব সৃষ্টি হয়, তাকে ……… জীব বলে।
উত্তর – জনিতৃ
2. মাতৃজনু থেকে সৃষ্ট নতুন জীবটিকে ………. জীব বলে।
উত্তর – অপত্য
3. জননের ফলে জীবের সংখ্যা …….. পায়।
উত্তর – বৃদ্ধি
4. অযৌন জননে ……… মাত্র জনিতৃ জীবের প্রয়োজন হয়।
উত্তর – একটি
5. যৌন জনন ………. কোশ বিভাজনের ওপর নির্ভরশীল।
উত্তর – মিয়োসিস
6. নিষেকের ফলে উৎপন্ন ডিপ্লয়েড কোশকে ………. বলে।
উত্তর – জাইগোট
7. গ্যামেটের আকৃতির ওপর নির্ভর করে যৌন জনন ………. প্রকারের হয়।
উত্তর – তিন
৪. সিনগ্যামিতে একই আকার ও আয়তনের দুটি গ্যামেট জনন কোশাধারের মধ্যে মিলিত হলে, তাকে ……… বলা হয়।
উত্তর – আইসোগ্যামি
9. যে যৌন জননে পুরুষ ও স্ত্রী গ্যামেটের আকৃতি অসমান হয়, তাকে ………. বলে।
উত্তর – অ্যানাইসোগ্যামি
10. যে যৌন জননে পুংগ্যামেট আকৃতিতে ছোটো এবং স্ত্রীগ্যামেট আকৃতিতে বড়ো হয়, তাকে ……… বলে।
উত্তর – ঊগ্যামি
11. স্তন্যপায়ীর যৌন জনন …………. প্রকৃতির।
উত্তর – উগ্যামি
12. অযৌন জনন সম্পন্নকারী একটি প্রাণী হল …………… |
উত্তর – অ্যামিবা
13. সাইজোগনি দ্বারা সৃষ্ট অপত্য প্লাসমোডিয়াম-দের ………… বলে।
উত্তর – মেরোজয়েট
14. স্পোরোগনি দ্বারা সৃষ্ট অপত্য প্লাসমোডিয়াম-দের ………… বলে।
উত্তর – স্পোরোজয়েট
15. মসের রেণুধর উদ্ভিদের রেণুধর কলা থেকে ……… সৃষ্টি হয়।
উত্তর – রেণু
16. রেণুর বিকাশ যার মধ্যে ঘটে থাকে সেটি হল ……… |
উত্তর – রেণুস্থলী
17. রাঙাআলুর ………. মুকুলের দ্বারা জনন সম্পন্ন করে।
উত্তর – মূলজ
18. পাথরকুচি পাতা ………. মুকুল অঙ্গজ বিস্তারে সাহায্য করে।
উত্তর – পত্রাশ্রয়ী
19. কলাকর্ষণের মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশবিস্তারের পদ্ধতিকে ……….. বলে।
উত্তর – মাইক্রোপ্রোপাগেশন
20. যে-কোনো কলাকোশ থেকে কোশ বিভাজন দ্বারা সম্পূর্ণ উদ্ভিদ সৃষ্টির ক্ষমতাকে ………. ধর্ম বলা হয় ।
উত্তর – টোটিপোটেন্সি
21. জীবের জীবনচক্র হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড জনুর চক্রাকার আবর্তনকে ………… বলে ।
উত্তর – জনুক্রম
22. জনুক্রম দেখা যায় ……… উদ্ভিদে।
উত্তর – ফার্ন-জাতীয়
23. যে উদ্ভিদটি রেণু ধারণ করে, তাকে ……….. বলে ।
উত্তর – স্পোরোফাইট/রেণুধর
24. উদ্ভিদের জীবনচক্রে হ্যাপ্লয়েড দশার প্রাধান্য থাকলে, তাকে ………. জীবনচক্র বলে।
উত্তর – হ্যাপ্লন্টিক