wb 10th science

WBBSE 10th Class Science Solutions Biology Chapter 5 পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (TOPIC 3 পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি)

WBBSE 10th Class Science Solutions Biology Chapter 5 পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (TOPIC 3 পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি)

West Bengal Board 10th Class Science Solutions Biology Chapter 5 পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (TOPIC 3 পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি)

West Bengal Board 10th Biology Solutions

TOPIC 3 পরিবেশ এবং মানব জনসমষ্টি

বিষয়সংক্ষেপ

  • ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন— খনিজ তেল, কয়লা আজ প্রায় নিঃশেষিত, অরণ্যবিনাশ বা ডিফরেস্টেশনও ঘটছে। এ ছাড়াও বাসস্থানের প্রয়োজনে কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে, পানীয় জলের অভাব দেখা দিচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন, বিশেষত পৃথিবীব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়ছে। ফলে বিশ্ব উন্নায়ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তা ছাড়া জলাভূমি, যাকে ‘প্রকৃতির বৃক্ক’ বলা হয়, সেটির নির্বিচারে বিনাশ হচ্ছে। খাদ্যসংকট-ও দেখা দিচ্ছে নানান স্থানে।
  • ফুসফুসের রোগ ও ক্যানসারের পিছনে পরিবেশদূষণের ভূমিকা রয়েছে। এদের মধ্যে ফুসফুসের রোগ, যেমন—অ্যাজমা বা হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ও ক্যানসার উল্লেখযোগ্য।
  • অ্যাজমা সৃষ্টি হয় প্রাণীর শুকনো, গুঁড়ো হয়ে যাওয়া মল, পরাগরেণু,ধুলো, ছত্রাক থেকে। এই রোগে শ্বাসকষ্ট হয়।
  • ব্রংকাইটিস মূলত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত রোগ হলেও রাসায়নিকের সূক্ষ্ম কণা, ধোঁয়া প্রভৃতি রোগটির প্রকোপ বৃদ্ধি ঘটায় এবং ফুসফুসের ব্রংকাস ও ব্রংকিওলগুলিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ঝালাইকর্মী, দমকলকর্মীদের রোগটি বেশি হয়।
  • কোশের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনের ফলে ক্যানসার রোগটির সৃষ্টি হয়। ধূমপান, কীটনাশক ও আগাছানাশক কারসিনোজেন রূপে ক্যানসার ঘটায়। ক্যানসার সৃষ্টিতে অঙ্কোজিনেরও ভূমিকা রয়েছে।

বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

1. ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সমস্যাগুলি উল্লেখ করো।
অথবা, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ফলে একটি অঞ্চলে কী কী পরিবেশগত সমস্যা ঘটতে পারে? 
উত্তর – ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সমস্যা: উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে এবং বিভিন্নপ্রকার সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই অংশে কয়েকটি সমস্যা সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।
  1. প্রাকৃতিক সম্পদের অতিব্যবহার এবং তার হ্রাস: পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ অফুরন্ত নয়। মানব জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে প্রাকৃতিক সম্পদের সংকট দেখা দিয়েছে। অতিব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে ব্যক্তিপিছু প্রাকৃতিক সম্পদের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে।
  2. অরণ্য ধ্বংস এবং বাস্তুতন্ত্রের ক্ষয়: জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিল্পস্থাপন, বাসস্থান প্রতিষ্ঠা, বনজ দ্রব্য (যেমন—কাঠ, মধু) আহরণ, কৃষিজমির বিস্তার, গবাদিপশুর চারণভূমি বৃদ্ধি প্রভৃতি নানা কারণে বর্তমানে অরণ্য ধ্বংসের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান মানবসংখ্যা ও তাদের নির্বিচার ক্রিয়াকলাপের ফলে মরুভূমির বিস্তার ও বাস্তুতন্ত্রে অন্যান্য উপাদানের ক্ষয়, যেমন—ভূমিক্ষয়, জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি প্রভৃতি দেখা দিচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন—বন্যা, অনাবৃষ্টি, ঝড় প্রভৃতি ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  3. কৃষিজমির হ্রাস: জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে বাসস্থানের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলত শহরাঞ্চলগুলির প্রান্তভাগে অবস্থিত কৃষিজমি বাসভূমিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল স্থানে কৃষিজমি হ্রাসের হার সর্বাধিক। ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
  4. মিষ্টি জলের অভাব: পৃথিবীর সমগ্র জলের 1% হল পানযোগ্য ও ব্যবহারযোগ্য। জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধির ফলে কৃষি, শিল্প এবং দৈনন্দিন বিভিন্ন প্রয়োজনে এই জলের ব্যবহার অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ভৌমজলস্তর ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
  5. বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন এবং বিশ্ব উন্নায়ন: শিল্প, কৃষি ও মানব উন্নয়নের অন্যান্য বিভিন্ন কার্যকলাপে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের ভৌত ও রাসায়নিক অবস্থার পরিবর্তন করে। তাপশক্তি ও পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনকেন্দ্র বায়ুমণ্ডলের উয়তা বৃদ্ধি করে। ফলস্বরূপ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে বিশ্ব উন্নায়ন ঘটছে।
  6. বায়ু, মাটি এবং জলদূষণ: ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত কলকারখানা স্থাপন, কৃষিজ দ্রব্য উৎপাদন, বনজ সম্পদ আহরণ, ভূগর্ভস্থ জল নিষ্কাশন, কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে ক্রমাগত বায়ু, মাটি, জল ইত্যাদি পরিবেশের উপাদানগুলি দূষিত হচ্ছে।
  7. জলাভূমি ধ্বংস: অধিক জনসংখ্যার প্রভাবে বাসস্থান নির্মাণ, শিল্পস্থাপন, নগরায়ণ, কৃষিজমির সম্প্রসারণের ঘটনায় সাম্প্রতিক কালে পুকুর, হ্রদ ধ্বংস করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে, স্থানীয় আবহাওয়া  পরিবর্তিত হচ্ছে ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
  8. খাদ্যসংকট: অত্যধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হল বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম প্রধান সমস্যা। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য উৎপাদন ও তার সঠিক বণ্টন করা কঠিন কাজ। এর পরিণতি হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বহু মানুষ অপুষ্টির শিকার হচ্ছে এবং খাদ্যাভাবে অসংখ্য মানুষ, বিশেষত শিশুর মৃত্যু ঘটছে।
  9. সমাজের ওপর প্রভাব: সমাজে দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অপরাধ প্রবণতা প্রভৃতিও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাড়তে থাকে।
    [Note: এখানে উল্লিখিত সমস্যাগুলির মধ্যে প্রশ্নমান অনুযায়ী কয়েকটি উল্লেখ করতে হবে।]
2. জনসংখ্যা বৃদ্ধি কীভাবে জনস্বাস্থ্য বিঘ্নিত করে, তা সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর – জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য: জনসংখ্যা বৃদ্ধি যেভাবে জনস্বাস্থ্যকে বিঘ্নিত করে, তা এখানে উল্লেখ করা হল।
  1. খাদ্যাভাব ও অপুষ্টি: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কৃষিজমির অভাবে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পায় এবং খাদ্যের অভাব দেখা যায়। খাদ্যাভাব এবং অপুষ্টি জনস্বাস্থ্যকে ব্যাহত করে।
  2. শিল্পঘটিত দূষণ ও জনস্বাস্থ্য: বৃহৎ জনসংখ্যার বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে প্রচুর সংখ্যায় শিল্পস্থাপন করা হচ্ছে। এইসব শিল্প থেকে নির্গত ধোঁয়া, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, ধাতব বর্জ্য পদার্থ ক্রমেই বায়ু, জল ও মাটিকে দূষিত করে তোলে। এর ফলে জনস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।
  3. আবর্জনাঘটিত রোগের প্রকোপ: জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আবর্জনার পরিমাণ বাড়ে। আবর্জনা সময়মতো অপসারণ করা না হলে, সেখানে ইঁদুর, মাছি, মশার উপদ্রব বাড়ে। সেখান থেকে কলেরা, বসন্ত, প্লেগ, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি রোগের প্রকোপ বেড়ে জনস্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয়।
  4. চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা হ্রাস: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য শয্যা এবং ওষুধ পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। অনেক সময় শয্যার অভাবে মেঝেতে শুইয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হয়। ফলে চিকিৎসার অভাবে অনেকসময়ে রোগীর মৃত্যুও ঘটে।
3. “ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার একটি সমস্যা হল বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন এবং বিশ্ব উয়ায়ন”।—পরিবেশে এর কী কী প্রভাব পড়তে পারে তার সারসংক্ষেপ করো। শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের নানা শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা যায়—এরূপ দুটিসমস্যার নাম লেখো এবং তাদের একটি করে উপসর্গ বিবৃত করো।
উত্তর – পরিবেশের ওপর বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্বায়নের প্রভাব: জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট একটি সমস্যা হল বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন ও বিশ্ব উয়ায়ন। পরিবেশের ওপর এর প্রভাবগুলি হল—
  1. পরিবেশে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলির পরিমাণ পরিবর্তিত হচ্ছে। এই গ্যাসগুলি পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলস্বরূপ মেরু অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। মেরু ভালুক, মেরু খ্যাঁকশিয়াল প্রভৃতি প্রাণীর বাসস্থান হারিয়ে যাওয়ায় তাদের অস্তিত্ব সংকট দেখা দিচ্ছে।
  2. বিশ্ব উয়ায়নের ফলে সমুদ্রের জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে সমুদ্র পার্শ্ববর্তী নীচু স্থলভাগ সমুদ্রের গ্রাসে চলে যাচ্ছে।
  3. বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন ও বিশ্ব উয়ায়নের ফলে পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
  4. বিশ্ব উয়ায়নের ফলে বহু জীব তথা সমগ্র বাস্তুতন্ত্র বিনষ্ট হচ্ছে, জীববৈচিত্র্যও হ্রাস পাচ্ছে। যেমন—অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ক্রমশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে চলেছে।
  5. জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং খাদ্যসংকট দেখা দিচ্ছে।
  6. পরিবর্তিত তাপমাত্রায় নানা রোগজীবাণু অধিক সক্রিয় হচ্ছে এবং বিভিন্ন রোগ (যেমন—মশাবাহিত রোগ)-এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শীতকালে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে পরিলক্ষিত শ্বাসজনিত সমস্যা ও উপসর্গ
সমস্যা উপসর্গ
1. অ্যালার্জি-জনিত অ্যাজমা ব্রংকিওলের সংকোচন ও ফলস্বরূপ প্রবল শ্বাসকষ্ট।
2. ব্রংকাইটিস প্রধানত ভোরের দিকে প্রবল কাশি ও কাশির সাথে শ্লেষ্মা নির্গমন।
4. অ্যাজমা বা হাঁপানি কাকে বলে ? অ্যাজমার পরিবেশগত কারণ সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর – অ্যাজমা বা হাঁপানি: প্রদাহজনিত কারণে মানুষের শ্বাসনালী স্ফীত হয়ে বায়ু চলাচলের পথ রুদ্ধ হওয়া ও শ্বাসকষ্ট-সহ অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হওয়াকে অ্যাজমা বা হাঁপানি বলে । অ্যাজমা বা হাঁপানি হল একটি দীর্ঘকালীন পরিবেশঘটিত শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ।
অ্যাজমার পরিবেশগত কারণ: অ্যাজমা অ্যালার্জিক এবং নন-আ্যালার্জিক দুই প্রকারের হয়। এখানে দু-প্রকার অ্যাজমার পরিবেশগত কারণ আলোচনা করা হল।
  1. অ্যালার্জিক অ্যাজমা: এইপ্রকার অ্যাজমার জন্য দায়ী মূলত বায়ুদূষণ। পরিবেশের বিভিন্ন পদার্থ, যেমন—ধূলিকণা, পরাগরেণু ইত্যাদি অ্যালার্জেন তথা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ দেহের ভিতরে প্রবেশ করলে অ্যালার্জি ঘটে। অ্যালার্জি ঘটলে রক্তে ইওসিনোফিল কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়। ইওসিনোফিল ও মাস্ট কোশ থেকে হিস্টামিন, লিউকোট্রাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এগুলি ব্রংকিওলের সংকোচন ঘটিয়ে অ্যালার্জিক অ্যাজমা সৃষ্টি করে। এই-জাতীয় অ্যাজমা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
  2. নন-অ্যালার্জিক অ্যাজমা: এই-জাতীয় অ্যাজমার জন্য দায়ী হল অত্যধিক ধূমপান ও ভাইরাস সংক্রমণ। অনেক সময় নাকের ভিতর পলিপ সৃষ্টি হলেও এই-জাতীয় হাঁপানি বা অ্যাজমা ঘটে। এক্ষেত্রে ক্লোমশাখার প্রাচীরগাত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এর ফলে ক্লোমশাখার অন্তঃস্থ গহ্বরের ব্যাস কমে যায় ও নন্-অ্যালার্জিক অ্যাজমা ঘটে।
5. ব্রংকাইটিস কী? ব্রংকাইটিসের পরিবেশগত কারণ লেখো।
উত্তর – ব্রংকাইটিস: ক্লোমশাখা বা ব্রংকাসের প্রদাহকে ব্রংকাইটিস বলা হয়। এটি হলে ফুসফুসের ব্রংকাস ও ব্রংকিওলগুলির শ্লেষ্মাপর্দায় প্রদাহ ঘটে। এটি প্রধানত দু-প্রকারের হয়। যথা—(1) তীব্র ব্রংকাইটিস, (2) দীর্ঘকালীন ব্রংকাইটিস।
ব্রংকাইটিসের পরিবেশগত কারণ:ব্রংকাইটিসের জন্য দায়ী হল কিছু রাসায়নিক দূষক ও ধোঁয়া । এইগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
  1. রাসায়নিক দূষক: বিভিন্ন রাসায়নিক দূষকগুলি (যেমন—অ্যাসবেসটস, সিলিকন ইত্যাদি) পরিবেশ থেকে শ্বাসক্রিয়ার সময় নাক দিয়ে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করলে ব্রংকাইটিস ঘটে।
  2. ধোঁয়া: দীর্ঘকালীন বা ক্রনিক ব্রংকাইটিসের প্রধান কারণ হল ধোঁয়া। ঝালাই কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং দমকলকর্মীদের ক্ষেত্রেও এই রোগের প্রকোপ লক্ষ করা যায়। পরিবেশদূষণকেও এই রোগের জন্য  দায়ী করা যায়। কলকারখানার ধোঁয়া, গাড়ির পেট্রোল ও ডিজেলের ধোঁয়াও ব্রংকাইটিসের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই রোগের ফলে শ্বাসনালীর ক্লোমশাখার শ্লেষ্মাস্তর থেকে অধিক পরিমাণ শ্লেষ্মা বা মিউকাস ক্ষরিত হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
6. ক্যানসার রোগ সৃষ্টিতে পরিবেশের ভূমিকার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, পরিবেশগত কী কী কারণে মানুষের ক্যানসার হতে পারে?
উত্তর – ক্যানসার রোগ সৃষ্টিতে পরিবেশের ভূমিকা : ক্যানসার রোগটি জিন ও পরিবেশগত কারণের সমন্বয়ে ঘটে থাকে। ক্যানসার রোগ সৃষ্টিতে পরিবেশের ভূমিকা নীচে আলোচনা করা হল।
  1. কীটনাশক ও আগাছানাশক : কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্নপ্রকার রাসায়নিক, জৈব-অভঙ্গুর কীটনাশক এবং আগাছানাশক খুব সহজেই মানবদেহে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রবেশ করে ক্যানসার সৃষ্টি করে।
  2. পরিবেশগত অধিবিষ: বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে পরিবেশগত অধিবিষের সঙ্গে ক্যানসারের যোগসূত্র বর্তমান। কারসিনোজেন বা কারসিনোজেনিক পদার্থগুলি (যেমন—নিকোটিন, টার, কার্বন মনোক্সাইড, বেঞ্জোপাইরিন, হাইড্রোজেন সায়ানাইড প্রভৃতি) স্বাভাবিক কোশের DNA-র স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায়। যার ফলে কোশে উপস্থিত জিন অঙ্কোজিনে রূপান্তরিত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টি করে।
  3. তামাক সেবন: তামাকে নিকোটিন নামক কারসিনোজেন থাকে। দীর্ঘদিন জর্দা, খৈনি ইত্যাদি সেবন করলে তাতে উপস্থিত তামাক তথা নিকোটিন শরীরে প্রবেশ করে দাঁত, মুখ, জিহ্বা ও গলায় ক্যানসার সৃষ্টি করে।
  4. ধূমপান; যারা নিয়মিত ধূমপান করে তাদের দেহে বেঞ্জোপাইরিন, দগ্ধ টার ইত্যাদি কারসিনোজেনিক পদার্থগুলি খুব সহজে প্রবেশ করে এবং ফুসফুসের ক্যানসার ঘটায়।
  5. তেজস্ক্রিয় পদার্থ: যে সমস্ত ব্যক্তি তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে নিয়মিত কাজ করে থাকে তাদের শরীরে তেজস্ক্রিয়তাজনিত ক্যানসার বেশি দেখা যায়। খনিতে কর্মরত শ্রমিকরা রেডন নামক একপ্রকার তেজস্ক্রিয় গ্যাসের সংস্পর্শ এলে তাদের ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  6. রাসায়নিক দূষক: বিভিন্ন রাসায়নিক দূষক, যেমন—অ্যাসবেসটস, ক্রোমিয়াম ইত্যাদির গুঁড়ো থেকেও ফুসফুসের ক্যানসার ঘটে। নির্মাণ কর্মী, ঝালাই-এর কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্টিল কারখানার কর্মীদের দেহে খুব সহজেই অ্যাসবেসটস, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি দূষক পদার্থ প্রবেশ করে। এর থেকে ফুসফুস ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ে।
  7. প্লাস্টিক দ্রব্য: এ ছাড়া যে সমস্ত কর্মী প্লাস্টিকজাত দ্রব্য উৎপাদনের কারখানায় কাজ করে তাদের মধ্যে যকৃৎ ও মূত্রথলির ক্যানসারের প্রবণতা বেশি হয়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

1. মানব জনসমষ্টি বা পপুলেশনের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর – একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের মোট সংখ্যাকে মানব জনসমষ্টি বলা হয়।
2. আদমশুমারি কাকে বলে?
উত্তর – জনগণনা এবং জনগণনা-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজকে বলে আদমশুমারি। ভারতে প্রতি 10 বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। ভারতে সর্বশেষ জনগণনা করা হয় 2011 সালে।
3. জনবিস্ফোরণ বা অতিপ্রজতা কাকে বলে?
উত্তর – অনিয়ন্ত্রিত জন্মহারের কারণে কোনো নির্দিষ্ট পপুলেশনের আকৃতি যদি এমন হয় যে, তার সদস্য সংখ্যা ধারণ ক্ষমতাকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই অবস্থাকে জনবিস্ফোরণ বা অতিপ্রজতা বলে।
4. জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী?
উত্তর – জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণগুলি হল— (1) শিক্ষার অভাব, কুসংস্কার ও ধর্মীয় প্রভাবের জন্যই মূলত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলিতে জন্মহার বেশি যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম মূল কারণ। (2) খাদ্য, ওষুধপত্র ও অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র অধিক উৎপাদনের ফলে মানুষের গড় আয়ু যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে মৃত্যুর হারও কমেছে। (3) বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম অনুমান ও বিভিন্ন মহামারিজনিত রোগের প্রকোপ কম হওয়াতে জনসংখ্যাও ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
5. জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুটি ক্ষতিকারক দিক উল্লেখ করো।
উত্তর – জনসংখ্যা বৃদ্ধির দুটি ক্ষতিকারক দিক হল – (1) প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার: খনিজ তেল ও অন্যান্য খনিজ উপাদান, জলাভূমি, খাদ্য প্রভৃতির অতিরিক্ত ব্যবহারে প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষিত অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। (2) পরিবেশদূষণ: অতিরিক্ত জনসংখ্যার উন্নয়নের প্রবল চাপে বায়ু, মাটি, জল, শব্দ প্রভৃতির দূষণ প্রবল হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
6. মানব জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জীববৈচিত্র্যের দুটি ক্ষতি লেখো।
উত্তর – জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জীববৈচিত্র্যের দুটি ক্ষতি হল— (1)জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বনভূমি বিনাশ করে বাসস্থান সৃষ্টির ঘটনা ঘটে। ফলে জীবের বাসস্থান হ্রাস পায় ও জীববৈচিত্র্য যা কষ্টের সম্মুখীন হয়। (2) জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বায়ু ও জলদূষণ বৃদ্ধি পায় যা জীবের বেঁচে থাকার নানা সমস্যা সৃষ্টি করে।
7. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিবেশগত বাধা কী কী?
উত্তর – জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিবেশগত বাধাগুলি হল – (1) খাদ্যের অভাব, (2) জল ও বাসস্থানের অভাব, (3) রোগের প্রাদুর্ভাব, (4) দুর্ভিক্ষ ও মহামারি।
8. জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে অরণ্য বিনাশ করা হলে কী সমস্যা হয় ?
উত্তর – জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে অরণ্য বিনাশের সমস্যাগুলি হল—(1) বৃষ্টিপাতের মাত্রা হ্রাস পায় ও তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। (2) ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায় ও মরুকরণ ঘটে থাকে। (3) জীবের বাসস্থান ও খাদ্যের অভাব ঘটে, ফলে জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি ঘটে। (4) জলদূষণ ও বায়ুদূষণ ঘটে থাকে।
9. ক্রমাগত জলাভূমি ধ্বংস ও কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাসের পরিবেশগত পরিণাম কী কী হতে পারে?
উত্তর – জলাভূমি ধ্বংসের পরিবেশগত পরিণাম হল – (1) জলাভূমিতে যে জলজ জীবগুলি বসবাস করে (যেমন— জলজ গাছ, মাছ, ব্যাং, সাপ ইত্যাদি) তাদের বৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে। (2) পৃথিবীব্যাপী জলের অভাব দেখা দিচ্ছে। (3) স্থানীয় আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।
কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাসের পরিবেশগত পরিণাম হল – (1) উৎপাদিত খাদ্যশস্যের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে ও খাদ্যের অভাব প্রকট হয়ে উঠছে। (2) স্বল্প পরিমাণ জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের প্রচেষ্টায় জমিতে রাসায়নিক সার অধিক মাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অধিক জলসেচের ফলে জলের অভাব দেখা দিচ্ছে। (3) অধিক পরিমাণ ফসল উৎপাদনের উদ্দেশ্যে উচ্চফলনশীল শস্যবীজ ব্যবহৃত হওয়ায় কোনো শস্যের স্থানীয় ভ্যারাইটিগুলি লোপ পাচ্ছে। ফলে জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে।
10. জলাশয়কে ‘প্রকৃতির বৃক্ক’ বলা হয় কেন?
উত্তর – জলাশয় পরিবেশের দূষকগুলি থিতিয়ে, পরিস্রাবণ করে পরিবেশকে পরিশ্রুত রাখে। বৃক্ক যেমন রক্তকে পরিশ্রুত করে দেহকে সুস্থ রাখে, জলাশয়ও তেমনি স্থানীয় পরিবেশের দূষক হ্রাস করে। এ ছাড়া বর্ষাকালে অতিরিক্ত জল সংগ্রহ করে ও গ্রীষ্মে জলের জোগান দিয়ে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে।
11. অ্যাজমা বা হাঁপানির কারণগুলি কী কী ?
উত্তর – অ্যাজমা বা হাঁপানির কারণগুলি হল— (1) পরিবেশগত কারণ: বিভিন্ন প্রাকৃতিক অ্যালারজেন-এর সংস্পর্শে রোগটি বৃদ্ধি পায়, যেমন—প্রাণীর মল, উদ্ভিদের পরাগরেণু, ধুলো ও ছত্রাক। এ ছাড়া, বিভিন্ন গৌণ দূষক, যেমন—ওজোন, ফরম্যালডিহাইড, PAN প্রভৃতি অ্যালারজেনের প্রভাব বাড়িয়ে দিয়ে অ্যাজমার প্রকোপ বৃদ্ধি করে। (2) মনুষ্যসৃষ্ট কারণ: কলকারখানা বা গৃহে কয়লা, তেলের দহনে সৃষ্ট ধোঁয়া, কলকারখানায় সৃষ্ট সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2), নাইট্রোজেনের বিভিন্ন অক্সাইড ইত্যাদি।
12. হাঁপানির রোগ লক্ষণগুলি লেখো।
উত্তর – হাঁপানির রোগ লক্ষণগুলি হল— (1) কাশি প্রধানত রাতের দিকে কাশি হওয়া। (2) দম বন্ধ হয়ে আসা। (3) বুকে চাপ অনুভব করা। (4) বুকে সাঁইসাঁই আওয়াজ হওয়া।
13. অ্যাসবেসটোসিস কী? 
উত্তর – অ্যাসবেসটসের কণা ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসতন্ত্রের যে রোগ সৃষ্টি করে তাকে অ্যাসবেসটোসিস বলে। এর ফলে ফাইব্রোসিস ও প্লুরা পর্দার ক্যানসার হতে পারে।
14. ব্রংকাইটিসের রোগ লক্ষণগুলি লেখো। 
উত্তর – ব্রংকাইটিসের রোগ লক্ষণগুলি হল— (1) কাশি ও শ্বাসকষ্ট, (2) ক্লান্তি, (3) স্বল্প জ্বর ও ঠান্ডাবোধ, (4) বুকে চাপ ধরা অর্থাৎ দমবন্ধভাব।
15. মানুষের ফুসফুস ক্যানসারের একটি কারণ ও একটি উপসর্গ লেখো।
অংশ প্রশ্ন, ক্যানসারের জন্য দায়ী মানবসৃষ্ট কারণগুলি লেখো।
উত্তর – ফুসফুস ক্যানসারের কারণ হল—মানুষের ফুসফুস ক্যানসারের একটি কারণ হল ধূমপান। তামাকজাত ধোঁয়ায় ফরম্যালডিহাইড, অ্যাসিট্যালডিহাইড প্রভৃতি কারসিনোজেন থাকে। এ ছাড়াও দূষিত পরিবেশে দীর্ঘদিন বসবাস করার ফলেও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে।
ফুসফুস ক্যানসারের উপসর্গ হল—এই রোগে অনবরত কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত নির্গমন ঘটে থাকে। তা ছাড়াও গলায় ঘরঘর শব্দ, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা, নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিস সংক্রমণও ঘটে থাকে।
16. কারসিনোজেন কী?
উত্তর – যেসব ভৌত বা রাসায়নিক পদার্থ বা রশ্মি, কোশের DNA-র মধ্যে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যানসার সৃষ্টি করে, তাদের কারসিনোজেন বলে। এটি একপ্রকার মিউটাজেন (মিউটেশন ঘটাতে সক্ষম পদার্থ)।
17. সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়ায় উপস্থিত তিনটি কারসিনোজেনের নাম লেখো যেগুলি ফুসফুস ক্যানসার ঘটায়।
উত্তর – সিগারেট বা বিড়ির ধোঁয়ায় উপস্থিত তিনটি কারসিনোজেন, যেগুলি ফুসফুস ক্যানসার ঘটায়, সেগুলি হল—অ্যাসিট্যালডিহাইড, ভিনাইল ক্লোরাইড, ফরম্যালডিহাইড।
18. ক্যানসার সৃষ্টিকারী দুটি রাসায়নিক পদার্থের নাম লেখো।
অথবা, রাসায়নিক কারসিনোজেন-এর নাম লেখো।
উত্তর – ক্যানসার সৃষ্টিকারী দুটি রাসায়নিক পদার্থ হল–বেঞ্জোপাইরিন (অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, যা তামাক সেবনের ফলে দেহে প্রবেশ করে) এবং EMS (ইথাইল মিথেন সালফোনেট)।
19. ক্যানসার সৃষ্টির প্রধান দুটি পর্যায় কী কী?
উত্তর – ক্যানসার সৃষ্টির প্রধান দুটি পর্যায় হল — (1) ক্যানসার সৃষ্টির প্রথম পর্যায়ে স্বাভাবিক কোশের মধ্যে জিনগত পরিবর্তনের কারণে কোশে দ্রুত অস্বাভাবিক বিভাজন শুরু হয় এবং সেখান থেকে টিউমার সৃষ্টি হয়। (2) দ্বিতীয় পর্যায়ে ম্যালিগ্যান্ট টিউমারের কোশগুলির আন্তরকোশীয় সংযোগ বিনষ্ট হওয়ায় তা রক্ত বা লসিকায় বাহিত হয়ে অন্য স্থানে পৌঁছোয় (মেটাস্ট্যাসিস) ও অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন শুরু করে গৌণ টিউমার তৈরি করে রোগটি দেহে ছড়িয়ে দেয়।
20. ওভার পপুলেশন কীভাবে জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব ফেলে আলোচনা করো।
উত্তর – (1) ওভার পপুলেশনের ফলে মিষ্ট জলের সংকট দেখা যায়। ফলে জীব সংকটগ্রস্ত হয়ে পড়ে। (2) বনজ সম্পদের অধিক আহরণের ফলে জীবের বাসস্থান, খাদ্য ও প্রজননে সমস্যা দেখা দেয়। (3) অধিক দূষণের ফলে জীব ও তার বাসস্থান বিনষ্ট হয়।
21. জনসংখ্যা বৃদ্ধি কীভাবে বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন ঘটায় ?
উত্তর – (1) শিল্প, কৃষি ও অন্যান্য স্বাচ্ছন্দ্য দানকারী পদার্থের ব্যবহারের ফলে নানা দূষক, যেমন গ্রিনহাউস গ্যাস (CH4, CFCs) পরিবেশে মুক্ত হয়। এগুলি বিশ্ব উয়ায়ন ঘটায়। (2) জনসংখ্যা বৃদ্ধি বনবিনাশের কারণ। এর ফলে মরুকরণ ঘটে, ফলে বৃষ্টিপাতের ধরনের পরিবর্তন ঘটে এবং বৃষ্টিপাতের সামগ্রিক মাত্রাও হ্রাস পায়।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

1. পৃথিবীব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার —
(a) 1.2%
(b) 2.2%
(c) 3.2%
(d) 4.2%
উত্তর – (a) 1.2%
2. অত্যধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে বলা হয় —
(a) জন সম্প্রসারণ
(b) জন উন্নয়ন
(c) জনবিস্ফোরণ
(d) জনসংকোচন
উত্তর – (c) জনবিস্ফোরণ
3. UNFPA-এর বর্তমান নামটি কী?
(a) ইউনাইটেড নেশন্‌স ফান্ড ফর পপুলেশন
(b) ইউনাইটেড নেশন্‌স পপুলেশন ফান্ড
(c) ইউনাইটেড নেশন্‌স ফিনানসিয়াল প্রপার্টি
(d) ইউনাইটেড নেশন্‌স ফান্ড ফর পারসোনাল অ্যাক্টিভিটিস
উত্তর – (b) ইউনাইটেড নেশন্‌স পপুলেশন ফান্ড
4. কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের বা দেশের মোট জনসংখ্যাকে ওই অঞ্চলের বা দেশের মোট জমির পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায়—
(a) জনসংখ্যা আয়তন
(b) জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ
(d) ধারণ ক্ষমতা
(d) জনসংখ্যা ঘনত্ব
উত্তর – (d) জনসংখ্যা ঘনত্ব
5. যে প্রভাবকটি জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিপরীতে কাজ করে, তা হল—
(a) সম্পৃক্ত বিন্দু
(b) ধারণ ক্ষমতা
(c) জনসংখ্যার চাপ
(d) পরিবেশগত বাধা
উত্তর – (d) পরিবেশগত বাধা
6. বিজ্ঞানের যে শাখায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে জনসংখ্যার পরিবর্তন সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়, তাকে বলে—
(a) ডেমোগ্রাফি
(b) ক্যালিগ্রাফি
(c) বায়োগ্রাফি
(d) সাইকোলজি
উত্তর – (a) ডেমোগ্রাফি
7. প্রতি বছর 11 জুলাই দিনটিতে আমরা পালন করি—
(a) বিশ্ব পরিবেশ দিবস
(b) বিশ্ব AIDS দিবস
(c) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
(d) বিশ্ব জলাভূমি দিবস
উত্তর – (c) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
৪. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ঘটা বাস্তুতান্ত্রিক ক্ষতি হল –
(a) ভূমিক্ষয়
(b) জৈববৈচিত্র্যের হ্রাস
(c) মরুভূমির বিস্তার
(d) সবকটি
উত্তর – (d) সবকটি
9. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কোন্ সমস্যা দেখা দেয়?
(a) মানব উন্নয়ন
(b) সামাজিক বিভাজন
(c) খাদ্য সংকট
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (c) খাদ্য সংকট
10. জনসংখ্যা ক্রমবৃদ্ধি ঘটলে ঘটে থাকে—
(a) পরিবেশ বিনাশ
(b) জলদূষণ
(c) দারিদ্র্য
(d) সবকটি
উত্তর – (d) সবকটি
11. নীচের কোন্‌টি ‘প্রকৃতির বৃক্ক’ নামে পরিচিত?
(a) সমুদ্র
(b) জলাভূমি
(c) N2 গ্যাস
(d) নালি
উত্তর – (b) জলাভূমি
12. বায়ুদূষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগগুলি হল –
(a) ডায়ারিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস
(b) হেপাটাইটিস, ব্রংকাইটিস, বধিরতা
(c) ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, ফুসফুস ক্যানসার
(d) ফুসফুস ক্যানসার, পোলিও, ম্যালেরিয়া
উত্তর – (c) ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, ফুসফুস ক্যানসার
13. বায়ুতে পরাগরেণু, ছত্রাকের রেণু ও ধূলিকণার পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে গেলে নীচের কোন্ সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় তা স্থির করো।
(a) যক্ষ্মা
(b) অ্যাজমা
(c) ম্যালেরিয়া
(d) ডেঙ্গু
উত্তর – (b) অ্যাজমা
14. শ্বাসনালী ও ব্রংকাসের সংকোচনে শ্বাসক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তাকে বলা হয় —
(a) এমফাইসিমা
(b) অ্যাজমা
(c) নিউমোনিয়া
(d) ক্যানসার
উত্তর – (b) অ্যাজমা
15. বিশ্ব অ্যাজমা দিবস হল —
(a) 5 সেপ্টেম্বর
(b) 6 জুন
(c) 5 মে
(d) ৪ ডিসেম্বর
উত্তর – (c) 5 মে
16. অ্যাজমা রোগের কারণ—
(a) ধূলিকণা
(b) তেজস্ক্রিয় পদার্থ
(c) N2 গ্যাস
(d) SO2
উত্তর – (a) ধূলিকণা
17. হাঁপানির জন্য দায়ী—
(a) হিস্টামিন
(b) প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন
(c) লিউকোট্রিন
(d) সবকটি
উত্তর – (d) সবকটি
18. ব্রংকাইটিস হল—
(a) মস্তিষ্কের রোগ
(b) হৃৎপিণ্ডের রোগ
(c) যকৃতের রোগ
(d) ফুসফুসের রোগ
উত্তর – (d) ফুসফুসের রোগ
19. ফুসফুসের বায়ু চলাচলের পথে প্রদাহ হল—
(a) ব্রংকাইটিস
(b) ক্যানসার
(c) অ্যাসবেসটোসিস
(d) হাইপক্সিয়া
উত্তর – (a) ব্রংকাইটিস
20. ব্রংকাইটিসের লক্ষণগুলি হল –
(a) কাশি ও কফ
(b) দমবন্ধভাব
(c) অবরুদ্ধ নাক
(d) সবকটি
উত্তর – (d) সবকটি
21. ফুসফুসের কলাকোশের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনের ফলে ফুসফুসের কাজে বাধা সৃষ্টি হলে, তাকে বলে—
(a) ফুসফুসীয় যক্ষ্মা
(b) ফুসফুস ক্যানসার
(c) এমফাইসিমা
(d) সিস্টিক ফাইব্রোসিস
উত্তর – (b) ফুসফুস ক্যানসার
22. ফুসফুস ক্যানসারের জন্য দায়ী গ্যাসটি হল—
(a) রেডন
(b) কার্বন ডাইঅক্সাইড
(c) হাইড্রোজেন
(d) নাইট্রোজেন
উত্তর – (a) রেডন
23. দেহের কলাকোশ অনিয়ন্ত্রিভাবে বিভাজিত হয়ে সারাদেহে ছড়িয়ে পড়াকে বলে—
(a) অ্যাপোপটোসিস
(b) মেটাস্ট্যাসিস
(b) হাইপোস্ট্যাটিস
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (b) মেটাস্ট্যাসিস
24. কারসিনোজেন ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে কারণ—
(a) এগুলি শরীরের অনাক্রম্যতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে
(b) এগুলি DNA-র পরিবর্তন ঘটাতে পারে
(c) এগুলি কোশ বিভাজন বন্ধ করে দেয়
(d) এগুলি জীবাণু সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়
উত্তর – (b) এগুলি DNA-র পরিবর্তন ঘটাতে পারে
25. ক্যানসার সৃষ্টিকারী জিনকে বলে—
(a) ট্রান্সজিন
(b) অঙ্কোজিন
(c) স্প্লিট জিন
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (b) অঙ্কোজিন
26. নীচের কোন্ বক্তব্যটি ত্রুটিপূর্ণ?
(a) ক্যানসার সৃষ্টির প্রথম ধাপ হল টিউমার সৃষ্টি
(b) ক্যানসার সৃষ্টির অন্তিম ধাপে টিউমার সৃষ্টি হয়
(c) অস্বাভাবিক হারে কোশ বিভাজনই ক্যানসারের কারণ
(d) সকলপ্রকার টিউমার ক্যানসার নয়
উত্তর – (b) ক্যানসার সৃষ্টির অন্তিম ধাপে টিউমার সৃষ্টি হয়
27. রেডন গ্যাস যে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে উৎপন্ন হয়, সেটি হল—
(a) প্লুটোনিয়াম
(b) ইউরেনিয়াম
(c) সেলেনিয়াম
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (b) ইউরেনিয়াম
28. নীচের কোন্‌টি ক্যানসারের কারণ নয়?
(a) অ্যাসিট্যালডিহাইড
(b) রেডন গ্যাস
(c) নাইট্রোজেন গ্যাস
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (c) নাইট্রোজেন গ্যাস
29. বায়োসি করা হয় —
(a) ক্যানসার নিরাময়ের জন্য
(b) ক্যানসার নির্ণয়ের জন্য
(c) ক্যানসার সৃষ্টির জন্য
(d) ক্যানসার প্রতিরোধের জন্য
উত্তর – (b) ক্যানসার নির্ণয়ের জন্য
30. কেমোথেরাপি যে রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় তা হল—
(a) ক্যানসার
(b) AIDS
(c) ব্রংকাইটিস
(d) অ্যাজমা
উত্তর – (a) ক্যানসার
31. রেডিয়েশন থেরাপি যে রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় তা হল—
(a) AIDS
(b) ব্রংকাইটিস
(c) অ্যালার্জি
(d) ক্যানসার
উত্তর – (d) ক্যানসার

দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও

1. 2018-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে জনসংখ্যার বাৎসরিক বৃদ্ধির হার কত শতাংশ?
উত্তর – 1.2 শতাংশ।
2. ভারতবর্ষে 2001-2010 সালের মধ্যে কত শতাংশ কৃষিজমি থেকে বাসভূমি হয়েছে?
উত্তর – 1 শতাংশ।
3. বিশ্বে সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ কোনটি?
উত্তর – মোনাকো।
4. মানব জনগোষ্ঠীর বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়নকে কী বলে?
উত্তর – ডেমোগ্রাফি।
5. জৈবিক ক্ষমতা কাকে বলে?
উত্তর – পরিমিত শর্তসাপেক্ষে সর্বাধিক জনন ক্ষমতার হারকে জৈবিক ক্ষমতা বলে।
6. পপুলেশনের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি অর্জনের প্রধান অন্তরায় কী?
উত্তর – পরিবেশগত বাধা।
7. কৃষিজমির পরিমাণ কোন্ কারণে হ্রাস পাচ্ছে?
উত্তর – অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে কৃষিজমি বাসভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।
৪. অ্যাজমা বা হাঁপানি কী জাতীয় রোগ ?
উত্তর – অ্যাজমা বা হাঁপানি একপ্রকার ফুসফুসের অ্যালার্জি-ঘটিত রোগ।
9. অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কোনপ্রকার রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ?
উত্তর – অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে ইওসিনোফিল নামক শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
10. ফুসফুসের ক্লোমশাখা বা ব্রংকাসের প্রদাহ হয় কোন্ রোগে?
উত্তর – ব্রংকাইটিস।
11. ব্রংকাইটিসে কাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?
উত্তর – ঝালাইকর্মী, দমকলকর্মী ও ধূমপায়ীদের ব্রংকাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
12. ডাক্তার তোমাকে বুকের এক্স-রে ও লাং ফাংশন টেস্ট করতে বললেন। তোমার কোন রোগের সম্ভাবনা আছে যা বায়ুদূষণের ফলে হয়ে থাকতে পারে ?
উত্তর – ব্রংকাইটিস ও হাঁপানি।
13. সার্জিকাল মাস্ক পরলে কোন রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব?
উত্তর – সার্জিকাল মাস্ক পরলে বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগ এবং ব্রংকাইটিস-জাতীয় রোগ (Chronic Obstructive Pulmonary Disease) থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
14. ফুসফুস ক্যানসার কোন্ কলাকোশে সৃষ্টি হয় ?
উত্তর – ফুসফুস ক্যানসার মূলত ক্লোমশাখার আবরণী কলাকোশে সৃষ্টি হয়।
15. প্রধান দু-প্রকার ফুসফুস ক্যানসারের নাম লেখো।
উত্তর – প্রধান দু-প্রকার ফুসফুস ক্যানসার হল—ক্লোমশাখার ক্যানসার অর্থাৎ ব্রংকোজেনিক কারসিনোমা (95%) ও প্লুরাপর্দার ক্যানসার অর্থাৎ মেসোথেলিওমা।
16. অ্যাসবেসটোসিস কাদের মধ্যে দেখা যায় ?
উত্তর – অ্যাসবেসটস শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে অ্যাসবেসটোসিস রোগ দেখা দেয়।
17. অ্যাসবেসটস ও ক্রোমিয়াম দেহের কোন অংশের ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ?
উত্তর – অ্যাসবেসটস ও ক্রোমিয়াম ফুসফুস ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
18. ক্যানসার কী?
উত্তর – যে রোগে দেহের কলাকোশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয় এবং তা সারাদেহে ছড়িয়ে পড়ে (মেটাস্ট্যাসিস) অন্যান্য কলার ক্ষতিসাধন করে, তাকে ক্যানসার বলে।
19. একটি ভৌত কারসিনোজেন ও একটি রাসায়নিক কারসিনোজেনের নাম লেখো।
উত্তর – একটি ভৌত কারসিনোজেন হল অতিবেগুনি রশ্মি এবং একটি রাসায়নিক কারসিনোজেন হল ফরম্যালিন।
20. মেটাস্ট্যাসিস কী ?
উত্তর – ক্যানসারের চূড়ান্ত পর্যায়ে (advance stage) ক্যানসার কোশগুলি দেহের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়ার বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, এই পর্যায়কে মেটাস্ট্যাসিস বলে।
21. একটি প্রাকৃতিক কারসিনোজেনের নাম লেখো।
উত্তর – অতিবেগুনি রশ্মি বা UV রশ্মি।
22. কীটনাশক এবং আগাছানাশকের একটি করে ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ করো।
উত্তর – কীটনাশক ও আগাছানাশক কারসিনোজেন-রূপে কাজ করে ও ক্যানসার রোগ সৃষ্টি করে।
23. ক্যানসার সৃষ্টির জন্য সক্রিয় জিনকে কী বলে?
উত্তর – অঙ্কোজিন।
24. ক্যানসার সৃষ্টিতে সক্ষম পদার্থকে কী বলা হয়?
উত্তর – কারসিনোজেন।

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. পৃথিবীর মোট জলের ……… হল মিষ্টি জল।
উত্তর – 3 শতাংশ
2. পৃথিবীতে পানযোগ্য জলের পরিমাণ সমগ্র জলের ………..।
উত্তর – 1 শতাংশ
3. ………. গ্যাসগুলি বিশ্ব উষ্মায়নের কারণ।
উত্তর – গ্রিনহাউস
4. বিশ্ব উষ্মায়নের ফলে সমুদ্রের জলতল ……… পায়।
উত্তর – বৃদ্ধি
5. বায়ুদূষণজনিত একটি ফুসফুসের রোগ হল ………..।
উত্তর – ব্রংকাইটিস
6. ………… একটি দীর্ঘকালীন শ্বাসতন্ত্রীয় রোগ।
উত্তর – অ্যাজমা
7. উদ্ভিদের পরাগরেণু ……….. রোগের একটি কারণ।
উত্তর – হাঁপানি
8. ………. রোগে ফুসফুসের ব্রংকাস ও ব্রংকিওলগুলির শ্লেষ্মাপর্দায় প্রদাহ ঘটে।
উত্তর – ব্রংকাইটিস
9. কয়লাখনিতে কর্মরত শ্রমিকদের ফুসফুসে ……….. রোগ দেখা যায়।
উত্তর – অ্যানথ্রাকোসিস
10. ফুসফুসে তুলোর তন্তু জমে ………. নামক রোগ হয়।
উত্তর – বিসিনোসিস
11. শ্বাস চলাচল পথের প্রদাহ হল ………..।
উত্তর – ব্রংকাইটিস
12. ধূমপানে ………… ও ফুসফুস ক্যানসার রোগ হয়ে থাকে।
উত্তর – ব্রংকাইটিস
13. ফুসফুস ক্যানসারের মূল কারণ হল ………..।
উত্তর – ধূমপান
14. কলাকোশ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হলে ………. রোগটি হয়।
উত্তর – ক্যানসার
15. মুখের অভ্যন্তরে ক্যানসার হওয়ার একটি প্রধান কারণ হল ………..।
উত্তর – তামাক সেবন
16. ………. . বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালিত হয়।
উত্তর – 4 ফেব্রুয়ারি
17. ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থকে ……… বলে।
উত্তর – কারসিনোজেন

The Complete Educational Website

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *