wb 10th science

WBBSE 10th Class Science Solutions Physics Chapter 5 আলো

WBBSE 10th Class Science Solutions Physics Chapter 5 আলো

West Bengal Board 10th Class Science Solutions Physics Chapter 5 আলো

West Bengal Board 10th Physics Solutions

TOPIC – A গোলীয় দর্পণে আলোর প্রতিফলন

বিষয়সংক্ষেপ

গোলীয় দর্পণ: (i) কোনো প্রতিফলক তল যদি কোনো গোলকের অংশবিশেষ হয়, তবে তাকে গোলীয় দর্পণ বলা হয়। (ii) গোলীয় দর্পণ দু-ধরনের হতে পারে—অবতল দর্পণ ও উত্তল দর্পণ।
অবতল দর্পণ: যে গোলীয় দর্পণের অবতল পৃষ্ঠ প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে তাকে অবতল দর্পণ বলা হয়।
উত্তল দর্পণ: যে গোলীয় দর্পণের উত্তল পৃষ্ঠ প্রতিফলক হিসেবে কাজ করে তাকে উত্তল দর্পণ বলা হয়।
গোলীয় দর্পণের জ্যামিতি:
  • বক্তৃতা কেন্দ্র: কোনো গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্তৃতা কেন্দ্র বলে।
  • বক্তৃতা ব্যাসার্ধ: কোনো গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই গোলীয় দর্পণের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ বলা হয়।
  • প্রধান অক্ষ: কোনো গোলীয় দর্পণের মেরু ও বক্রতা কেন্দ্রগামী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলা হয়।
  • উপাক্ষীয় রশ্মি: কোনো গোলীয় দর্পণের মেরুর খুব নিকটবর্তী অংশে আপতিত এবং প্রধান অক্ষের সঙ্গে খুব কম নতিবিশিষ্ট রশ্মিকে উপাক্ষীয় রশ্মি বলা হয়।
মুখ্য ফোকাস:
  • অবতল দর্পণ: কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত কোনো অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে এসে আপতিত হলে, দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের ওপর একটি বিন্দুতে মিলিত হয়, সেই নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস বলা হয়।
  • উত্তল দর্পণ: কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত কোনো উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে এসে আপতিত হলে, দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের ওপর একটি বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, সেই নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাস বলা হয়।
রশ্মি অনুসরণ পদ্ধতি:
  1. অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রগামী ও উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রের দিকে পরিচালিত রশ্মি দর্পণে লম্বভাবে আপতিত হওয়ায় আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণের মান ০° হয়। ফলে প্রতিফলিত রশ্মি একই পথে ফিরে যায়।
  2. অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাসগামী বা উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাসের দিকে পরিচালিত কোনো রশ্মি দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে প্রতিফলিত হয়।
অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে ফোকাস দূরত্ব ও বক্তৃতা ব্যাসার্ধের মধ্যে সম্পর্ক: ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত MPM1 অবতল দর্পণের P, F ও C হল যথাক্রমে মেরু, মুখ্য ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্র। ফোকাস দূরত্ব, PF = f ও বক্তৃতা ব্যাসার্ধ, PC = r। অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে AB আলোকরশ্মি B বিন্দুতে দর্পণের ওপর আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর ফোকাসের (F) মধ্য দিয়ে যায়। C, B যুক্ত করা হল। CB হল B বিন্দুতে দর্পণের ওপর অভিলম্ব ।
চিত্রানুযায়ী, আপতন কোণ ∠ABC = প্রতিফলন কোণ ∠FBC
  • অবতল দর্পণে বিবর্ধিত সদবিশ্বঃ অবতল দর্পণের সামনে বস্তু ফোকাস ও  বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যে থাকলে বিবর্ধিত সদ্‌বিম্ব গঠিত হয় [চিত্র 2]। বস্তু দূরত্ব = u, প্রতিবিম্ব দূরত্ব = υ, ফোকাস দৈর্ঘ্য = হলে, এক্ষেত্রে  f < u < 2f, υ > 2 হবে।
  • অবতল দর্পণে অসম্বি: অবতল দর্পণের সামনে বস্তু ফোকাস দূরত্বের চেয়ে কম দূরত্বে থাকলে প্রতিবিম্ব অসদ্ ও বিবর্ধিত হয় অর্থাৎ এক্ষেত্রে বস্তু দূরত্ব u < f হবে [চিত্র 3]।
উত্তল দর্পণের ব্যবহার:
  1. মোটর সাইকেল, বাস, লরি ইত্যাদি গাড়ির ভিউফাইন্ডার হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
  2. স্ট্রিট ল্যাম্পের প্রতিফলক হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
অবতল দর্পণের ব্যবহার:
  1. টর্চ, সার্চলাইট বা গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
  2. এইসব লাইটের বাতি দর্পণের ফোকাসে রাখা হয়, ফলে বাতি থেকে নির্গত আলোকরশ্মি অবতল দর্পণে প্রতিফলিত হয়ে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। এইজন্য অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় এবং গাড়ির চালকের খুব সুবিধা হয়।
  3. দন্ত চিকিৎসকেরা দাঁত পরীক্ষার সময় অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন।
  4. দাড়ি কামানোর সময়, বিউটি পার্লারে ও সোলার কুকারে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।

বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

TOPIC – A গোলীয় দর্পণে আলোর প্রতিফলন

সংক্ষিপ্ত / দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

1. একটি চক্চকে চামচের অবতল ও উত্তল দিকের সামনে মুখ রাখলে কী ধরনের প্রতিবিম্ব দেখা যাবে ?
উত্তর – একটি চকচকে চামচের অবতল দিকের খুব সামনে মুখ রাখলে মুখের বিবর্ধিত, সমশীর্ষ প্রতিবিম্ব চামচে দেখা যাবে। এবার চামচ থেকে দূরে সরে গেলে প্রতিবিম্ব অবশীর্ষ ও খর্বকায় হয়। আবার চামচের উত্তল দিকের কাছে মুখ রাখলে সমশীর্ষ ও খর্বকায় প্রতিবিম্ব দেখা যাবে।
2. উত্তল দর্পণ ও অবতল দর্পণ কাকে বলে?
উত্তর – উত্তল দর্পণ: যে গোলীয় দর্পণের বাইরের উত্তল পৃষ্ঠ, প্রতিফলক তল হিসেবে কাজ করে তাকে উত্তল দর্পণ বলা হয়।
অবতল দর্পণ: যে গোলীয় দর্পণের ভিতরের অবতল পৃষ্ঠ, প্রতিফলক তল হিসেবে কাজ করে তাকে অবতল দর্পণ বলা হয়।
3. একটি অবতল ও একটি উত্তল দর্পণ অঙ্কন করো এবং এতে মেরু, বক্তৃতা কেন্দ্র, বক্তৃতা ব্যাসার্ধ ও প্রধান অক্ষ চিহ্নিত করো।
উত্তর –
19 (a) ও (b) নং চিত্রে P হল মেরু, C হল বক্রতা কেন্দ্র, PC হল বক্তৃতা ব্যাসার্ধ এবং XY হল প্রধান অক্ষ।
4. গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ ও কৌণিক উন্মেষ কাকে বলে? চিত্রে দেখাও।
উত্তর – গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ: কোনো গোলীয় দর্পণের পরিসীমা বৃত্তাকার। এই বৃত্তের ব্যাসকে গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ বলা হয়।
গোলীয় দর্পণের কৌণিক উন্মেষ: কোনো গোলীয় দর্পণের প্রধান ছেদের দুটি প্রান্ত বিন্দু বক্রতা কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে গোলীয় দর্পণের কৌণিক উন্মেষ বলা হয়।
চিত্রে MPM1 হল একটি অবতল দর্পণের প্রধান ছেদ, C হল বক্র কেন্দ্র। MM1 হল দর্পণটির রৈখিক উন্মেষ এবং ∠MCM1 হল কৌণিক উন্মেষ।
5. গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর – কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত কোনো গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর যদি প্রধান অক্ষের ওপর কোনো বিন্দুতে মিলিত হয় (অবতল দর্পণ) বা প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (উত্তল দর্পণ), সেই বিন্দুটিকে ওই গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস
বলা হয়।
6. উপাক্ষীয় রশ্মি কাকে বলে? চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর – যে সমস্ত রশ্মি গোলীয় দর্পণের মেরুর খুব নিকটবর্তী অংশে আপতিত হয় এবং প্রধান অক্ষের সঙ্গে যে সমস্ত রশ্মির নতি খুব কম তাদের উপাক্ষীয় রশ্মি বলা হয়।
7. অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাসের চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো।
উত্তর – কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত কোনো অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয়, সেই বিন্দুটিকে দর্পণটির মুখ্য ফোকাস বলা হয় [22 নং চিত্রে F বিন্দু]।
৪. উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাসের চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো।
উত্তর – কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত কোনো উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, সেই বিন্দুটিকে দর্পণটির মুখ্য ফোকাস বলা হয় [23 নং চিত্রে F বিন্দু]।
9. অবতল দর্পণের ফোকাসকে অভিসারী ফোকাস ও উত্তল দর্পণের ফোকাসকে অপসারী ফোকাস বলে কেন?
উত্তর – কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর [চিত্র 24(a)] মুখ্য  ফোকাস, F বিন্দুতে মিলিত হয়। এক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অভিসারী হয় বলে অবতল দর্পণের ফোকাসকে অভিসারী ফোকাস বলা হয়।
আবার কোনো সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত হলে দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর [চিত্র 24(b)] মুখ্য ফোকাস, F বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অপসারী হয় বলে উত্তল দর্পণের ফোকাসকে অপসারী ফোকাস বলা হয়।
10. কোনো গোলীয় দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করলে ফোকাস দৈর্ঘ্যের কোনো পরিবর্তন হবে কি?
উত্তর – গোলীয় দর্পণে আলোর প্রতিফলন হয় এবং আলোর প্রতিফলন সংক্রান্ত সূত্রগুলি মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে না। তাই কোনো গোলীয় দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করলে ফোকাস দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকবে।
11. অবতল দর্পণের গৌণ ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর – অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে আনতভাবে আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ, দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর ফোকাস ফোকাস তলের ওপর যে বিন্দুতে (F’ -এ) মিলিত হয়, সেই বিন্দুকে দর্পণের গৌণ ফোকাস বলা হয় ।
12. উত্তল দর্পণের গৌণ ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর – উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে আনতভাবে আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ, দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর ফোকাস তলের ওপর কোনো বিন্দু (F’) থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। এই বিন্দুটিকে দর্পণটির গৌণ ফোকাস বলা হয় ।
13. অবতল দর্পণে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছের প্রতিফলন চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – অবতল দর্পণের অনুপস্থিতিতে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ দর্পণের পিছনে O বিন্দুতে মিলিত হত। দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ প্রধান অক্ষের ওপর I বিন্দুতে মিলিত হয়। এখানে O হল অসদ্বস্তু ও I হল তার সদ্‌বিম্ব এবং অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলনের পরও অভিসারী থাকে।
14. উত্তল দর্পণে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছের প্রতিফলন চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – উত্তল দর্পণে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে কী হবে তা নির্ভর করে দর্পণের অনুপস্থিতিতে রশ্মিগুচ্ছ দর্পণের পিছনে কোথায় মিলিত হবে তার ওপর। যদি দর্পণের অনুপস্থিতিতে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ ফোকাস দূরত্বের চেয়ে কম দূরত্বে মিলিত হয় [চিত্র 28(a)] তাহলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অভিসারী হয় এবং সদ্‌বিম্ব গঠিত হয়। কিন্তু যদি ওই দূরত্ব ফোকাস দূরত্বের চেয়ে বেশি হয় তাহলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অপসারী হয় এবং অসদবিম্ব গঠিত হয়।
15. নিম্নলিখিত শর্তে প্রতিক্ষেত্রে অবতল দর্পণে ও উত্তল দর্পণে প্রতিফলনের রশ্মিচিত্র অঙ্কন করো। (i) আপতিত রশ্মি যখন প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হয়। (ii) আপতিত রশ্মি যখন ফোকাস বিন্দু অভিমুখী হয়।
উত্তর – (i) আপতিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরাল ।
প্রতিফলিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মি ফোকাস বিন্দুগামী হয় [চিত্র (a)]।
উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে প্রতিফলিত রশ্মিকে পিছনদিকে বাড়ালে তা ফোকাস থেকে আসছে বলে মনে হয় [ চিত্র (b)]।
(ii) আপতিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: ফোকাস বিন্দু (F) অভিমুখী।
প্রতিফলিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: উভয় দর্পণের ক্ষেত্রেই প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হয়।
16. কোনো গোলীয় দর্পণের অভিলম্ব কীভাবে অঙ্কন করা হয় চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – (a) ও (b) নং চিত্রে যথাক্রমে অবতল দর্পণ ও উত্তল দর্পণে AB হল আপতিত রশ্মি এবং C হল বক্রতা কেন্দ্র। B গোলীয় দর্পণের আপতন বিন্দু। B, C যুক্ত করা হল। কোনো বৃত্তচাপের কোনো বিন্দুতে অঙ্কিত ব্যাসার্ধ ওই বিন্দুতে স্পর্শকের ওপর লম্ব। BC গোলীয় দর্পণের ব্যাসার্ধ, সুতরাং BC হল B বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্ব।
17. গোলীয় দর্পণে প্রতিফলনের সূত্রগুলি লেখো।
উত্তর – গোলীয় দর্পণে প্রতিফলনের সূত্র — (1) আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি, আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে। (1) আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সর্বদা সমান হয়।
18. নিম্নলিখিত শর্তে প্রতিক্ষেত্রে অবতল দর্পণে ও উত্তল দর্পণে প্রতিফলনের রশ্মিচিত্র অঙ্কন করো। (i) আপতিত রশ্মি যখন দর্পণের বক্তৃতা কেন্দ্র অভিমুখী। (ii) আপতিত রশ্মি যখন দর্পণের মেরু অভিমুখী।
উত্তর – (i) আপতিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র (C) অভিমুখী।
প্রতিফলিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: উভয় দর্পণের ক্ষেত্রেই আপতিত রশ্মির পথ ধরে ফিরে যায়।
(ii) আপতিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: দর্পণের মেরু অভিমুখী।
প্রতিফলিত রশ্মির বৈশিষ্ট্য: প্রধান অক্ষের সঙ্গে আপতিত রশ্মি যে কোণে নত থাকে, প্রতিফলিত রশ্মিও একই কোণে প্রধান অক্ষের সঙ্গে নত থাকে।
19. গোলীয় দর্পণে অপসারী রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছের গতিপথ কেমন হবে তা চিত্রসহ দেখাও।
উত্তর – (a) নং চিত্রে একটি অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের ওপর একটি বিন্দু-বস্তু O থেকে আগত অপসারী রশ্মিগুচ্ছ দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর দর্পণের সামনে প্রধান অক্ষের ওপর I বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ এখানে অপসারী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলনের পর অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয় তবে অবতল দর্পণে আপতিত অপসারী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলনের পর অভিসারী,
সমান্তরাল না অপসারী হবে তা নির্ভর করে বিন্দু-বস্তুর অবস্থানের ওপর। বিন্দু-বস্তু, ফোকাসের বেশি দূরত্বে থাকলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ হবে অভিসারী, বিন্দু বস্তু ফোকাসে থাকলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ হবে সমান্তরাল এবং ফোকাসের কম দূরত্বে থাকলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ হবে অপসারী। আবার (b) নং চিত্রে উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত একটি বিন্দু-বস্তু O থেকে আগত অপসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর আরও অপসারী হয় এবং দর্পণের পিছনে I বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়।
20. অবতল দর্পণ দ্বারা একটি বিস্তৃত বস্তুর বিবর্ধিত অসদবিম্ব গঠন চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত একটি অবতল দর্পণের MPM1 হল প্রধান ছেদ। P, FC হল যথাক্রমে অবতল দর্পণটির মেরু, মুখ্য ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্র। অবতল দর্পণের ফোকাসের চেয়ে কম দূরত্বে প্রধান অক্ষের ওপর লম্বভাবে অবস্থিত OO1 হল একটি বিস্তৃত বস্তু। O1 থেকে প্রধান অক্ষের সমান্তরাল O1A রশ্মি দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর মুখ্য ফোকাস F-এর মধ্য দিয়ে যায়। অপর একটি রশ্মি O1D, দর্পণের ওপর লম্বভাবে আপতিত হয়ে
বক্তৃতা কেন্দ্র C-এর মধ্য দিয়ে DC পথে প্রতিফলিত হয়। প্রতিফলিত রশ্মি দুটি অপসারী হওয়ায় প্রতিফলনের পর মিলিত হয় না। রশ্মি দুটিকে পিছনদিকে বাড়ালে I1 বিন্দুতে মিলিত হয় অর্থাৎ প্রতিফলিত রশ্মি দুটি I1 থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। I1 থেকে প্রধান অক্ষের ওপর I1I লম্ব টানা হল। II1 হল OO1 বস্তুর অসবিম্ব। এখানে প্রতিবিম্বের সাইজ বস্তুর চেয়ে বড়ো এবং প্রতিবিম্ব বস্তু সাপেক্ষে সোজা অর্থাৎ প্রতিবিম্ব অসৎ, বিবর্ধিত ও সমশীর্ষ।
21. নিম্নলিখিত শর্তে অবতল দর্পণে বিস্তৃত বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠনের একটি পরিষ্কার রেখাচিত্র অঙ্কন করো। প্রতিক্ষেত্রে প্রতিবিম্বের অবস্থান, আকার ও প্রকৃতি উল্লেখ করো। [i] বস্তুর অবস্থান অসীমে [ii] বস্তুর অবস্থান অসীমে নয় কিন্তু বক্তৃতা কেন্দ্র ছাড়িয়ে [iii] বস্তুর অবস্থান বক্তৃতা কেন্দ্রে [iv] বস্তুর অবস্থান বক্তৃতা কেন্দ্র ও ফোকাসের মাঝে [v] বস্তুর অবস্থান ফোকাসে [vi] বস্তুর অবস্থান ফোকাস ও মেরুর মাঝে।
উত্তর –
22. গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত বিশ্বের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর – গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত সবিশ্বের বৈশিষ্ট্য – (1) সদবিঙ্গ বন্ধু সাপেক্ষে অবশীর্ষ হয়। (2) বস্তু ও প্রতিবিম্ব দর্পণের একই পার্শ্বে গঠিত হয়। (3) প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর তুলনায় ছোটো, সমান ও বড়ো হতে পারে।
23. গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত অসদবিশ্বের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর – গোলীয় দর্পণ দ্বারা গঠিত অসদবিশ্বের বৈশিষ্ট্য— (1) অসবিধ বস্তু সাপেক্ষে সমশীর্ষ হয়। (2) বন্ধু ও প্রতিবিম্ব বিপরীত পার্শ্বে গঠিত হয়। (3) প্রতিবিম্বের আকার বস্তুর তুলনায় ছোটো বা বড়ো হতে পারে।
24. উত্তল দর্পণের ব্যবহার লেখো।
উত্তর – উত্তল দর্পণের ব্যবহার হল- (1) মোটর সাইকেল, বাস, লরি ইত্যাদি গাড়িতে ভিউফাইন্ডার হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়। উত্তল দর্পণ তার সামনে থাকা কোনো বস্তুর সর্বদা খর্বকায় অসদবিঘ্ন গঠন করে। ফলে কোনো গাড়ির চালক তাঁর পিছনে অনেক দূরের কোনো গাড়ি বা বস্তু বা ব্যক্তির খর্বকায় অসবিধ উত্তল দর্পণে দেখতে পান এবং দুর্ঘটনা না ঘটিয়ে গাড়ি চালাতে সুবিধা হয়। (2) স্ট্রিট ল্যাম্পের প্রতিফলক হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়। এই দর্পণ, স্ট্রিট ল্যাম্পের আলোকে অনেকটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে দেয়।
25. অবতল দর্পণের ব্যবহার লেখো।
উত্তর – অবতল দর্পণের কয়েকটি ব্যবহার হল – (1) টর্চ, সার্চলাইট বা গাড়ির হেডলাইটে পালিশ করা ধাতব অবতল তল ব্যবহার করা হয় যা অবতল দর্পণ হিসেবে কাজ করে। এইসব লাইটের বাতি দর্পণের ফোকাসে রাখা হয় ফলে বাতি থেকে নির্গত আলোকরশ্মি অবতল প্রতিফলকে  প্রতিফলিত হয়ে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। এইজন্য অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায় এবং গাড়ির চালকের খুব সুবিধা হয়।
(2) দন্ত চিকিৎসকেরা (dentists) দাঁত পরীক্ষার সময় অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন। এই দর্পণ দাঁতের বড়ো এবং সোজা প্রতিবিম্ব গঠন করে, ফলে দাঁতে কোনো গর্ত বা ফাটল থাকলে তা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। (3) অবতল দর্পণের ফোকাসের মধ্যে কোনো বস্তু থাকলে তার বিবর্ধিত অসবিম্ব গঠিত হয়, এই ধর্মকে কাজে লাগিয়ে দাড়ি কামানোর কাজে বা বিউটি পার্লারে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
26. গাড়ির হেডলাইটে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয় ও কেন?
উত্তর – গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা যায়।
গাড়ির হেডলাইটে পালিশ করা ধাতব অবতল তল ব্যবহার হয় যা অবতল দর্পণ হিসেবে কাজ করে। এইসব লাইটের বাতি দর্পণের ফোকাসে রাখা হয়ফলে বাতি থেকে নির্গত আলোকরশ্মি অবতল প্রতিফলকে প্রতিফলিত হয়ে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়। এইজন্য অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায় এবং গাড়ির চালকের খুব সুবিধা হয়।
27. তোমাকে তিনটি দর্পণ দেওয়া হল—একটি সমতল, একটি উত্তল ও একটি অবতল। স্পর্শ না করে কীভাবে দর্পণগুলিকে শনাক্ত করবে?
উত্তর – সমতল দর্পণ কোনো বস্তুর সমান সাইজের অসদ্‌বিম্ব গঠন করে। উত্তল দর্পণ সর্বদা কোনো বস্তুর খর্বকায় অসবিম্ব গঠন করে এবং অবতল দর্পণের ফোকাস দূরত্বের কম দূরত্বে একটি বস্তু রাখলে বস্তুটির বিবর্ধিত অসবিম্ব গঠিত হয়।
একটি পেনসিলকে কোনো দর্পণের খুব কাছে ধরলে যদি সমান সাইজের অসদবিম্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি সমতল, যদি খর্বকায় অসবিম্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি উত্তল এবং যদি বিবর্ধিত অসবিম্ব গঠিত হয় তাহলে দর্পণটি অবতল।
28. সূর্যালোকে একটি অবতল দর্পণকে রেখে ফোকাসে একটুকরো কাগজ রাখলে কী হবে?
উত্তর – সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মিগুচ্ছকে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ ধরে নিলে অবতল দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর রশ্মিগুচ্ছ ফোকাসে মিলিত হয়। দর্পণের ফোকাসে একটুকরো কাগজ রাখলে কাগজে রশ্মিগুচ্ছ মিলিত হয় এবং কাগজের উয়তা বাড়তে থাকে এবং একসময় কাগজটি পুড়ে যায়।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

1. চকচকে স্টিলের চামচের ভিতরের পৃষ্ঠ কীসের মতো আচরণ করে?
(a) উত্তল দর্পণ
(b) অবতল দর্পণ
(c) সমতল দর্পণ
(d) অবতল লেন্স
উত্তর – (b) অবতল দর্পণ
2. গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক তলের মধ্যবিন্দুকে বলা হয়—
(a) উন্মেষ
(b) ফোকাস
(c) আলোককেন্দ্র
(d) মেরু
উত্তর – (d) মেরু
3. চিত্রে উপাক্ষীয় রশ্মি হল —
(a) AB
(b) CD
(c) EF
(d) AB, CD, EF
উত্তর – (a) AB
4. সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ —
(a) শূন্য
(b) অসীম
(c) ধনাত্মক
(d) ঋণাত্মক
উত্তর – (b) অসীম
5. গোলীয় দর্পণের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র উন্মেষ বলতে বোঝায় –
(a) 10° অপেক্ষা কম
(b) 5° অপেক্ষা কম
(c) 15° অপেক্ষা কম
(d) 20° অপেক্ষা কম
উত্তর – (a) 10° অপেক্ষা কম
6. প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ অবতল দর্পণে প্রতিফলিত হয়ে প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হবে তা হল —
(a) ফোকাস
(b) আলোককেন্দ্র
(c) বক্তৃতা ব্যাসার্ধ
(d) মেরু
উত্তর – (a) ফোকাস
7. গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস —
(a) একটি
(b) দুটি
(c) তিনটি
(d) চারটি
উত্তর – (a) একটি
৪. উত্তল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি প্রতিফলনের পর—
(a) বক্রতা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যায়
(b) বক্রতা কেন্দ্র থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
(c) মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে যায়
(d) মুখ্য ফোকাস থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
উত্তর – (d) মুখ্য ফোকাস থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
9. অবতল দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি প্রতিফলনের পর —
(a) বক্রতা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যায়
(b) বক্তৃতা কেন্দ্র থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
(c) মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে যায়
(d) মুখ্য ফোকাস থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
উত্তর – (c) মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে যায়
10. অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস থেকে অপসৃত রশ্মিগুচ্ছ দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর –
(a) একই পথে ফিরে যায়
(b) প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে যায়
(c) বক্রতা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যায়
(d) বক্রতা কেন্দ্র থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
উত্তর – (b) প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে যায়
11. উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাসের দিকে পরিচালিত রশ্মি দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর—
(a) একই পথে ফিরে যায়
(b) প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে যায়
(c) বক্রতা কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে যায়
(d) বক্রতা কেন্দ্র থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
উত্তর – (b) প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে যায়
12. অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রগামী রশ্মি দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর—
(a) একই পথে ফিরে যায়
(b) প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে যায়
(c) মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে যায়
(d) মুখ্য ফোকাস থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
উত্তর – (a) একই পথে ফিরে যায়
13. উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রের দিকে পরিচালিত রশ্মি দর্পণ দ্বারা প্রতিফলনের পর —
(a) একই পথে ফিরে যায়
(a) প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে যায়
(c) মুখ্য ফোকাস থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়
(d) মুখ্য ফোকাসের মধ্য দিয়ে যায়
উত্তর – (a) একই পথে ফিরে যায়
14. একটি অবতল দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করা হলে তার ফোকাস দৈর্ঘ্য –
(a) বাড়বে
(b) কমবে
(c) একই থাকবে
(d) অসীম হবে
উত্তর – (c) একই থাকবে
15. কোনো বিন্দু-উৎস থেকে সমান্তরাল আলোকরশ্মি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় –
(a) উত্তল দর্পণ
(b) অবতল দর্পণ
(c) সমতল দর্পণ
(d) উত্তল দর্পণ বা অবতল দর্পণ
উত্তর – (b) অবতল দর্পণ
16. আলোকের প্রতিফলনে আপতন কোণ i এবং প্রতিফলন কোণ r -এর মধ্যে সম্পর্কটি হল—
(a) i = r
(b) i < r
(c) i + r = 90°
(d) r < i
উত্তর – (a) i = r
17. উত্তল দর্পণ সর্বদা সৎ বস্তুর কী ধরনের প্রতিবিম্ব গঠন করে?
(a) সৎ
(b) অসৎ
(c) সৎ ও অসৎ
(d) এর কোনোটিই নয়
উত্তর – (b) অসৎ
18. সর্বদা অসৎ ও খর্বাকৃতি প্রতিবিম্ব গঠন করে—
(a) উত্তল লেন্স
(b) অবতল দর্পণ
(c) সমতল দর্পণ
(d) উত্তল দর্পণ
উত্তর – (d) উত্তল দর্পণ
19. একটি অবতল দর্পণের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ 20 cm হলে ফোকাস দৈর্ঘ্য —
(a) 20 cm
(b) 15 cm
(c) 10 cm
(d) 40 cm
উত্তর – (c) 10 cm
20. অবতল দর্পণের মেরু ও মুখ্য ফোকাসের মাঝে কোনো বস্তু থাকলে প্রতিবিম্ব হবে—
(a) সৎ, বিবর্ধিত
(b) অসৎ, খর্বকায়
(c) সৎ, খর্বকায়
(d) অসৎ, বিবর্ধিত
উত্তর – (d) অসৎ, বিবর্ধিত
21. অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র থেকে দূরে কোনো বস্তু থাকলে প্রতিবিম্ব হবে —
(a) সৎ, বিবর্ধিত
(b) অসৎ, খর্বকায়
(c) সৎ, খর্বকায়
(d) অসৎ, বিবর্ধিত
উত্তর – (c) সৎ, খর্বকায়

একটি বা দুটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও

1. গোলীয় দর্পণ কাকে বলে?
উত্তর – কোনো প্রতিফলক তল যদি কোনো গোলকের অংশবিশেষ হয় তবে তাকে গোলীয় দর্পণ বলা হয়।
2. গোলীয় দর্পণ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর – গোলীয় দর্পণ দু-ধরনের (1) অবতল দর্পণ ও (2) উত্তল দর্পণ।
3. গোলীয় দর্পণের মেরু কাকে বলে?
উত্তর – কোনো গোলীয় দর্পণের মধ্যবিন্দুকে মেরু বলা হয়।
4. গোলীয় দর্পণের বক্রতা কেন্দ্রের সংজ্ঞা লেখো।
উত্তর – কোনো গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্রতা কেন্দ্র বলা হয়।
5. গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যসার্ধ কাকে বলে?
উত্তর – কোনো গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে ওই গোলীয় দর্পণের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ বলা হয়।
6. কোনো গোলীয় দর্পণের পরিসীমার ব্যাসকে কী বলে?
উত্তর – কোনো গোলীয় দর্পণের পরিসীমা বৃত্তাকার। এই বৃত্তের ব্যাসকে গোলীয় দর্পণের রৈখিক উন্মেষ বলা হয়।
7. অবতল দর্পণের বক্তৃতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?
উত্তর – অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে অবস্থিত।
৪. উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?
উত্তর – উত্তল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র প্রতিফলক তলের পিছনে অবস্থিত।
9. অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?
উত্তর – অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের সামনে অবস্থিত।
10. উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের সামনে না পিছনে অবস্থিত?
উত্তর – উত্তল দর্পণের মুখ্য ফোকাস প্রতিফলক তলের পিছনে অবস্থিত।
11. গোলীয় দর্পণে গৌণ ফোকাস বিন্দুর সংখ্যা কতগুলি ?
উত্তর – গোলীয় দর্পণে গৌণ ফোকাস বিন্দু অসংখ্য।
12. গোলীয় দর্পণে আপতিত রশ্মি বক্তৃতা কেন্দ্র অভিমুখী হলে প্রতিফলিত রশ্মির গতিপথ কীরূপ হবে?
উত্তর – গোলীয় দর্পণে আপতিত রশ্মি বক্রতা কেন্দ্র অভিমুখী হলে প্রতিফলিত রশ্মি একই পথ ধরে ফিরে যায়।
13. একটি অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য 10 cm । জলে নিমজ্জিত করলে ফোকাস দৈর্ঘ্য কত হবে?
উত্তর – জলে নিমজ্জিত করলেও ফোকাস দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকবে, তাই এক্ষেত্রে অবতল দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য 10 cm -ই থাকবে।
14. গোলীয় দর্পণের ফোকাস দূরত্ব কাকে বলে?
উত্তর – গোলীয় দর্পণের মেরু থেকে মুখ্য ফোকাসের দূরত্বই হল ফোকাস দূরত্ব।
15. গোলীয় দর্পণের ফোকাস তল কী?
উত্তর – গোলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্ব ও মুখ্য ফোকাস বিন্দুগামী সমতলকে ফোকাস তল বলা হয়।
16. একটি সমতল দর্পণের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ কত?
উত্তর – একটি সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ অসীম।
17. একটি অবতল দর্পণের সামনে কোনো বস্তুকে কোথায় রাখলে সমান সাইজের সদ্‌বিম্ব গঠিত হবে?
উত্তর – একটি অবতল দর্পণের সামনে কোনো বস্তুকে বক্রতা কেন্দ্রে রাখলে সমান সাইজের সদবিম্ব গঠিত হবে।
18. ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে বক্তৃতা ব্যাসার্ধ 40 cm হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর – ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে বক্তৃতা ব্যাসার্ধ 40 cm হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য 40/2 বা 20 cm
19. ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যবর্তী ব্যবধান 20 cm হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর – ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত গোলীয় দর্পণে ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যবর্তী ব্যবধান 20 cm হলে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য 20 cm-ই হবে।
20. কোনো অবতল দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য 15 cm হলে বক্তৃতা ব্যাসার্ধ কত?
উত্তর – দর্পণটির বক্রতা ব্যসার্ধ = 2 × 15 cm = 30 cm |
21. বক্তৃতা কেন্দ্রগামী কোনো রশ্মি উত্তল দর্পণে আপতিত হলে আপতন ও প্রতিফলন কোণের মান কত হবে? 
উত্তর – এক্ষেত্রে আপতন কোণ = প্রতিফলন কোণ = 0° |
22. একটি আলোকরশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণ কত হবে?
উত্তর – একটি আলোকরশ্মি অবতল দর্পণের বক্রতা কেন্দ্র দিয়ে গেলে আপতন কোণ হবে 0°।
23. উত্তল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের আকার ও প্রকৃতি লেখো।
উত্তর – উত্তল দর্পণ দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের আকার খর্বকায় ও প্রকৃতি অসৎ।
24. কোনো অবতল দর্পণের ফোকাস থেকে একটি বস্তুকে প্রধান অক্ষ বরাবর দূরের দিকে সরালে প্রতিবিম্বের সাইজ বাড়বে না কমবে?
উত্তর – এক্ষেত্রে প্রতিবিম্বের সাইজ কমবে।
25. অবতল দর্পণের ফোকাসে কোনো বস্তু অবস্থিত হলে তার প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
উত্তর – অবতল দর্পণের ফোকাসে কোনো বস্তু অবস্থিত হলে প্রতিবিম্ব অসীমে গঠিত হবে।
26. অবতল দর্পণ যখন কোনো বস্তুর অসবিম্ব গঠন করে তা বিবর্ধিত না খর্বকায় হয়?
উত্তর – অবতল দর্পণ যখন কোনো বস্তুর অসবিম্ব গঠন করে তা বিবর্ধিত হয়।
27. অবতল দর্পণ কখন একটি বস্তুর সদ্‌বিম্ব গঠন করে?
উত্তর – কোনো বস্তু অবতল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব থেকে বেশি দূরত্বে থাকলে বা ফোকাস দূরত্বে থাকলে সদ্‌বিম্ব গঠিত হয়।
28. অবতল দর্পণ কখন একটি বস্তুর অসবিম্ব গঠন করে?
উত্তর – কোনো বস্তু অবতল দর্পণের মেরু ও ফোকাসের মধ্যে থাকলে বস্তুর অসদবিম্ব গঠন করে।
29. কোনো অবতল দর্পণের সামনে একটি বস্তু 2f অপেক্ষা বেশি দূরত্বে থাকলে প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
উত্তর – প্রতিবিম্ব অবতল দর্পণের সামনে ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মধ্যে গঠিত হবে।
30. কোনো অবতল দর্পণের ফোকাস ও বক্রতা কেন্দ্রের মাঝে কোনো বস্তু থাকলে প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
উত্তর – প্রতিবিম্ব দর্পণের সামনে বক্তৃতা কেন্দ্র থেকে দূরে বা 2f -এর বেশি দূরত্বে গঠিত হবে।
31. সোলার কুকারে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?
উত্তর – সোলার কুকারে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
32. কোন্ দর্পণের জন্য দৃষ্টিক্ষেত্র সর্বাধিক?
উত্তর – উত্তল দর্পণের জন্য দৃষ্টিক্ষেত্র সর্বাধিক।
33. একটি গোলীয় দর্পণে বস্তুর একটি বিশেষ অবস্থানে বস্তুর সমান সাইজের প্রতিবিম্ব গঠিত হল। দর্পণটির প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর – এক্ষেত্রে গোলীয় দর্পণটি অবশ্যই অবতল দর্পণ।
34. সমতল দর্পণের প্রতিফলন ক্ষমতা কত?
উত্তর – সমতল দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ অসীম তাই এর প্রতিফলন ক্ষমতা শূন্য।
35. কোনো অবতল দর্পণে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে, প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ কীরূপ হয়?
উত্তর – কোনো অবতল দর্পণে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিফলিত রশ্মিগুচ্ছ অভিসারী হয়।
36. একটি অবতল দর্পণের বক্তৃতা কেন্দ্রে রাখা বস্তুর প্রতিবিম্বের বিবর্ধনের মান কত?
উত্তর – বস্তুর প্রতিবিম্বের বিবর্ধনের মান 1।
37. কোনো গোলীয় দর্পণে বস্তু ও দর্পণের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখে সমগ্র ব্যবস্থাটিকে জলে নিমজ্জিত করলে প্রতিবিম্বের অবস্থানের পরিবর্তন হবে কি?
উত্তর – না, প্রতিবিম্বের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে।
38. একটি সমতল দর্পণের ক্ষমতা কত?
উত্তর – একটি সমতল দর্পণের ক্ষমতা শূন্য।
39. গাড়ির হেডলাইটে কোন্ ধরনের গোলীয় দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর – গাড়ির হেডলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
40. মোটরগাড়ির ভিউফাইন্ডারে কোন্ ধরনের দর্পণ ব্যবহৃত হয়?
উত্তর – মোটরগাড়ির ভিউফাইন্ডারে উত্তল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
41. দন্ত চিকিৎসকরা কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করেন?
উত্তর – দন্ত চিকিৎসকরা অবতল দর্পণ ব্যবহার করেন।
42. সমতল, অবতল ও উত্তল দর্পণের মধ্যে কোন্‌টির দৃষ্টিক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি?
উত্তর – উত্তল দর্পণের দৃষ্টিক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি।
43. প্রতিফলক টেলিস্কোপে কোন ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর – প্রতিফলক টেলিস্কোপে অবতল দর্পণ ব্যবহৃত হয়।
44. স্ট্রিট ল্যাম্পে প্রতিফলক হিসেবে কী ধরনের দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর – স্ট্রিট ল্যাম্পে প্রতিফলক হিসেবে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. চকচকে চামচের উত্তল পৃষ্ঠ …….. দর্পণের ন্যায় আচরণ করে।
উত্তর – উত্তল
2. গোলীয় দর্পণের ……… থেকে ফোকাস বিন্দুর দূরত্ব হল দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য্য।
উত্তর – মেরু
3. গোলীয় দর্পণের মেরু ও বক্রতা কেন্দ্রগামী সরলরেখাকে …….. বলে।
উত্তর – প্রধান অক্ষ
4. আপতিত রশ্মি গোলীয় দর্পণের ………. অভিমুখী হলে প্রতিফলিত রশ্মি একই পথ দিয়ে ফিরে যায়।
উত্তর – বক্তৃতা কেন্দ্র
5. গোলীয় দর্পণের ………. ফোকাস একটি স্থির বিন্দু।
উত্তর – মুখ্য
6. সমতল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব ………।
উত্তর – অসীম
7. কোনো গোলীয় দর্পণের বক্রতা ব্যাসার্ধ, ফোকাস দূরত্বের ………।
উত্তর – দ্বিগুণ
8. গোলীয় দর্পণের সামনে থাকা কোনো বস্তুর ………. অবশীর্ষ হয়।
উত্তর – সদবিম্ব
9. গোলীয় দর্পণের সামনে থাকা কোনো বস্তুর ……… সমশীর্ষ হয়।
উত্তর – অসদবিম্ব
10. গোলীয় দর্পণে বস্তু ও তার প্রতিবিম্ব সর্বদা ফোকাসের ……… পার্শ্বে থাকে।
উত্তর – একই

TOPIC – B আলোর প্রতিসরণ

সংক্ষিপ্ত। দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

1. আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?
উত্তর – আলোকরশ্মি কোনো সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে অন্য কোনো সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যমের বিভেদতলে তির্যকভাবে আপতিত হলে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন হয়, এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলা হয়। বিভিন্ন আলোকীয় মাধ্যমে আলোর গতিবেগ আলাদা হওয়ার জন্য আলোর প্রতিসরণ হয়।
2. আলোর সাপেক্ষে লঘু ও ঘন মাধ্যম বলতে কী বোঝ ? জল ও কাচে আলোর বেগ যথাক্রমে 2.25 × 108m/s ও 2 × 108m/s। কাচ থেকে জলে আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে কোন্‌টি বড়ো হবে তা যুক্তিসহ লেখো।
উত্তর – দুটি আলোকীয় মাধ্যমের মধ্যে যেটিতে আলোর বেগ বেশি সেটিকে লঘুতর মাধ্যম ও যেটিতে আলোর বেগ কম সেটিকে ঘনতর মাধ্যম বলা হয়।
প্রশ্নানুসারে, কাচের তুলনায় জলে আলোর বেগ বেশি। অর্থাৎ কাচ ঘনতর ও জল লঘুতর মাধ্যম। অতএব, কাচ থেকে জলে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আলো ঘন থেকে লঘুতর মাধ্যমে যায়। সেক্ষেত্রে তির্যক আপতনের ক্ষেত্রে প্রতিসরণ কোণের মান আপতন কোণের মান অপেক্ষা বড়ো হবে।
3. আলোক সাপেক্ষে ঘন মাধ্যম ও পাদার্থিক ঘনত্বের বিচারে ঘন—দুটি কি একই?
উত্তর – আলোক সাপেক্ষে ঘন মাধ্যম ও পাদার্থিক ঘনত্বের বিচারে ঘন—এই দুটি বিষয় আলাদা। যেমন—জল ও তার্পিন তেলের ঘনত্ব যথাক্রমে 1g/cm3 ও 0.87g/cm3 এবং জল ও তার্পিন তেলের পরম প্রতিসরাঙ্ক যথাক্রমে 1.33 ও 1.47 । এক্ষেত্রে পাদার্থিক ঘনত্বের বিচারে জল, তার্পিন তেলের চেয়ে ঘন কিন্তু আলোক সাপেক্ষে জল হল লঘুতর মাধ্যম ও তার্পিন তেল হল ঘনতর মাধ্যম।
4. আলোকরশ্মি (i) লঘু থেকে ঘন (ii) ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রতিসৃত হলে অভিমুখের যে পরিবর্তন হয় তা চিত্রের সাহায্যে দেখাও।
অথবা, (i) লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে এবং (ii) ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণ চিত্রসহ দেখাও।
উত্তর – (i) আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্বের দিকে সরে যায় [চিত্র (a)]।
(ii) আলোকরশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে প্রতিসৃত রশ্মি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায় [চিত্র (b)]।
চিত্রের পরিচয়: AO→ আপতিত রশ্মি, OB → প্রতিসৃত রশ্মি, O→ আপতন বিন্দু, MON→ আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদতলের ওপর অঙ্কিত লম্ব, i → আপতন কোণ, r → প্রতিসরণ কোণ।
(1) নং ক্ষেত্রে r < i [চিত্র (a) ]
(2) নং ক্ষেত্রে r > i [চিত্র (b) ]
5. আলোর প্রতিসরণ সংক্রান্ত সূত্র দুটি বিবৃত করো। দ্বিতীয় সূত্রের গাণিতিক রূপটিও লেখো। 
উত্তর – আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি হল— (1) আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদতলের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে। (2) দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাত ধ্রুবক হয়।
মনে করি, 1 নং মাধ্যম থেকে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির 2 নং মাধ্যমে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণ i ও প্রতিসরণ কোণ r হলে,
যেখানে 1μ2 হল একটি ধ্রুবক যাকে 1 নং মাধ্যম সাপেক্ষে 2 নং মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।
6. কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর – প্রতিসরণের সময় তির্যক আপতনের ক্ষেত্রে আপতন কোণের ( i -এর) sine ও প্রতিসরণ কোণের (r -এর) sine-এর অনুপাতকে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।
, যেখানে 1μ2 হল 1নং মাধ্যম সাপেক্ষে 2 নং মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক।
7. প্রতিসরণের সময় আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর – আলোর প্রতিসরণের সময় কম্পাঙ্কের পরিবর্তন হয় না কিন্তু তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তন হয়। আলো লঘুতর থেকে ঘনতর মাধ্যমে প্রবেশ করলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য হ্রাস পায়। যেমন—শূন্যস্থান থেকে λ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কোনো আলোকরশ্মি μ প্রতিসরাঙ্কের কোনো মাধ্যমে প্রবেশ করলে ওই মাধ্যমে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য, λ1 = λ/μ |
8. কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক মাধ্যমের তাপমাত্রার ওপর কীভাবে নির্ভরশীল?
উত্তর – তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক হ্রাস পায়। কঠিন মাধ্যমের ক্ষেত্রে একই তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এই পরিবর্তন সবচেয়ে কম ও গ্যাসীয় মাধ্যমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি।
9. কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1 অপেক্ষা কম হতে পারে কি?
উত্তর – না, কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1 অপেক্ষা কম হতে পারে না। শূন্যস্থানে ও কোনো মাধ্যমে আলোর বেগ যথাক্রমে cυ হলে ওই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক, μ = c/υ । সর্বদা c > υ হয় তাই সর্বদা μ > 1 হয়।
10. পরম প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে?
আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর – শূন্যস্থান থেকে আলোকরশ্মি কোনো স্বচ্ছ ও সমসত্ত্ব মাধ্যমে তির্যকভাবে আপতিত হয়ে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাতকে ওই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।
যখন কোনো আলোকরশ্মি একটি মাধ্যম (শূন্যস্থান ব্যতীত) থেকে অন্য মাধ্যমে প্রতিসৃত হয় তখন আপাতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাতকে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলা হয়।
11. কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – কাচের পরম প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে বোঝায় শূন্যস্থান থেকে কোনো আলোকরশ্মি কাচ মাধ্যমে তির্যকভাবে আপতিত হয়ে কাচ মাধ্যমে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের sine ও প্রতিসরণ কোণের sine-এর অনুপাত 1.5 হয়।
12 প্রতিসরাঙ্কের মান কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর – প্রতিসরাঙ্কের মান নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভরশীল— (1) মাধ্যম দুটির প্রকৃতি (2) আপতিত আলোর বর্ণ (3) মাধ্যম দুটির উন্নতা।
13. আলোকরশ্মির এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে যাওয়ার সময় কোন্ ক্ষেত্রে স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য হয় না?
উত্তর – আলোকরশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতলে লম্বভাবে আপতিত হলে স্নেলের সূত্রটি প্রযোজ্য হয় না। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোকরশ্মির অভিমুখের কোনো পরিবর্তন হয় না, তবে দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোকরশ্মির গতিবেগের মানের পরিবর্তন হয়।
14. কোনো আলোকরশ্মি লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে গতিবেগ, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর – লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোকরশ্মির গতিবেগ ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য হ্রাস পায়, কিন্তু কম্পাঙ্ক অপরিবর্তিত থাকে।
15. কোনো আলোকরশ্মি ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে গতিবেগ, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর – কোনো আলোকরশ্মি ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোকরশ্মির গতিবেগ ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় কিন্তু কম্পাঙ্ক অপরিবর্তিত থাকে।
16. লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণে চ্যুতিকোণ নির্ণয় করো। ধরে নাও, আপতন কোণ = i এবং প্রতিসরণ কোণ = r |
উত্তর – 54 নং চিত্রে আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসৃত হয়েছে। দুই মাধ্যমের বিভেদতলে যদি রশ্মির অভিমুখ পরিবর্তিত না হত তাহলে রশ্মি OC পথে যেত; তাই ∠BOC = δ হল চ্যুতিকোণ।
আলোকরশ্মির লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসরণে [চিত্র 54] r < i হয়।
চিত্র থেকে পাই,
17. গ্লিসারিনের মধ্যে কাচদণ্ড ডোবালে তা আর দেখা যায় না।
উত্তর – কাচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 এবং গ্লিসারিনের প্রতিসরাঙ্কও প্রায় 1.5 । মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক পরিবর্তিত না হলে আলোকরশ্মির প্রতিসরণ হয় না। তাই দুই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক প্রায় সমান হওয়ার জন্য আলোকরশ্মি প্রায় কোনোরকম বিচ্যুতি ছাড়াই এদের বিভেদতল অতিক্রম করে সেইজন্য পুরোটাই একটি স্বচ্ছ মাধ্যম বলে মনে হয় অর্থাৎ এক্ষেত্রে আলোর প্রতিফলন বা প্রতিসরণ হয় না। এই জন্য গ্লিসারিনের মধ্যে কাচদণ্ড ডোবালে তা আর দেখা যায় না।
18. নক্ষত্রগুলো আকাশে মিটমিট করে কেন?
উত্তর – নক্ষত্রগুলো পৃথিবী থেকে অনেক দূরে আছে। তাই নক্ষত্র থেকে আসা আলোর পরিমাণ খুব কম হয়। এই আলোকরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এসে আমাদের চোখে পৌঁছোয়। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের উন্নতা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হওয়ার জন্য প্রতিসরাঙ্কও আলাদা হয়। এই কারণে নক্ষত্র থেকে আসা আলোকরশ্মির গতিপথ অনবরত বদলাতে থাকে এবং আমাদের চোখে আসা নক্ষত্রের আলোর তীব্রতাও পরিবর্তিত হয়, কখনও বেশি কখনও কম হয়। তাই নক্ষত্রগুলো আকাশে মিটমিট করছে বলে মনে হয়।
19. আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর – আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণের মধ্যে পার্থক্য—
আলোর প্রতিফলন আলোর প্রতিসরণ
1. কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে প্রতিফলক দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে আলোকরশ্মি আবার ওই মাধ্যমেই ফিরে আসে। 1. আলোর প্রতিসরণে আলোকরশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করে।
2. আলোর প্রতিফলনে আলোকরশ্মির বেগের পরিবর্তন হয় না। 2. আলোর প্রতিসরণে এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোকরশ্মির বেগের পরিবর্তন হয়।
3. আলোর প্রতিফলনে আপতন কোণ ও প্রতিফলন কোণ সমান হয়। 3. লম্বভাবে আপতন ব্যতীত আলোর প্রতিসরণে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণ সমান হয় না।
4. আলোর প্রতিফলনে আলোকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত থাকে। 4. আলোর প্রতিসরণে আলোকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তন হয়।
20. সমান্তরাল কাচফলকে আপতিত রশ্মি কখন ও কেন কোনো পার্শ্বসরণ ছাড়াই বিপরীত তল থেকে নির্গত হয়?
উত্তর – সমান্তরাল কাচফলকে এক পার্শ্বে আলোকরশ্মি লম্বভাবে আপতিত হলে রশ্মি কোনো পার্শ্বসরণ ছাড়াই বিপরীত তল থেকে নির্গত হয়।
আলোকরশ্মি লম্বভাবে আপতিত হলে i = 0°) প্রতিসরণ কোণ (r) -এর মান 0° হয়। তাই এক্ষেত্রে রশ্মির কোনো পার্শ্বসরণ হয় না।
21. আয়তাকার কাচফলকের মধ্যে আলোকরশ্মির পার্শ্বসরণের মান কী কী বিষয়ের ওপর নির্ভর করে? 
উত্তর – আয়তাকার কাচ ফলকের মধ্যে আলোকরশ্মির পার্শ্বসরণের মান নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভরশীল।
(1) আলোকরশ্মির বর্ণের জন্য কাচের প্রতিসরাঙ্ক, (2) আপতন কোণ ও (3) কাচফলকের বেধ।
22. সমান্তরাল কাচফলকে প্রতিসরণ ও প্রিজমে প্রতিসরণের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর –
সমান্তরাল কাচফলকে প্রতিসরণ প্রিজমে প্রতিসরণ
1. আলোকরশ্মির প্রতিসরণে আপতন কোণ ও নির্গম কোণ সর্বদা সমান। 1. ন্যূনতম চ্যুতি ছাড়া আপতন কোণ ও নির্গম কোণ সমান হয় না।
2. নির্গত রশ্মির কৌণিক চ্যুতি হয় না। 2. নির্গত রশ্মির কৌণিক চ্যুতি হয়।
23. কাচফলকে প্রতিসরণের ফলে আলোকরশ্মির চ্যুতি হয় না কেন?
উত্তর – ABCD হল একটি আয়তাকার কাচের স্ল্যাব এবং PQRS হল আলোকরশ্মির গতিপথ [চিত্র ]। আয়তাকার কাচের স্ল্যাবের একপার্শ্বে কোনো রশ্মি আপতিত হয়ে স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে গিয়ে যখন অপর পৃষ্ঠ থেকে নির্গত হবে তখন আপতিত রশ্মি ও নির্গত রশ্মি পরস্পরের সমান্তরাল হয়। তাই কৌণিক চ্যুতি শূন্য হয়। এক্ষেত্রে আলোকরশ্মির পার্শ্বসরণ হয়।
24. প্রিজমের প্রধান ছেদ কী?
উত্তর – প্রিজমের প্রান্তরেখার সঙ্গে সমকোণে কোনো সমতল কল্পনা করলে ওই সমতল প্রিজমকে একটি ত্রিভুজাকৃতি সমতলে ছেদ করে। একে প্রিজমের প্রধান ছেদ বলা হয়। চিত্র 60-এ PQR হল প্রিজমের প্রধান ছেদ।
25. একটি প্রিজম এঁকে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো—প্রতিসারক তল, প্রান্তরেখা, ভূমি, প্রধান ছেদ, প্রতিসারক কোণ।
উত্তর – চিত্র 61-এ একটি ত্রিভুজাকার প্রিজম দেখানো হয়েছে। এটি একটি স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমের অংশবিশেষ।
26. পূর্ণ প্রতিফলক প্রিজম বলতে কী বোঝ? এর একটি ব্যবহার লেখো।
উত্তর – যে প্রিজমের প্রধান ছেদ সমকোণী সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ হয়, সেই প্রিজমের সাহায্যে সহজেই আলোর পূর্ণ প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব। তাই এই ধরনের প্রিজমকে পূর্ণ প্রতিফলক প্রিজম বলা হয়। এক্ষেত্রে প্রিজমের প্রতিসারক কোণ 45° এবং সমকোণ সংলগ্ন যে-কোনো প্রতিসারক তলের মধ্য দিয়ে আলো লম্বভাবে প্রবেশ করলে আলোর অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন হয়, সেই প্রিজমকে পূর্ণ প্রতিফলক প্রিজম বলা হয়।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

1. সূর্যোদয়ের আগে ও সূর্যাস্তের পরে কিছু সময় সূর্যকে দেখা যায় আলোর যে ধর্মের জন্য তা হল —
(a) প্রতিসরণ
(b) অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন
(c) প্রতিফলন
(d) বিক্ষেপণ
উত্তর – (a) প্রতিসরণ
2. বায়ু থেকে কোনো স্বচ্ছ তরলে আলোর প্রতিসরণে আপতন কোণ 60° ও প্রতিসরণ কোণ 45° হলে চ্যুতিকোণ– 
(a) 10°
(b) 30°
(c) 15°
(d) 20°
উত্তর – (c) 15°
3. ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণে আপতন কোণ 30° ও প্রতিসরণ কোণ 45° হলে চ্যুতিকোণ–
(a) 10°
(b) 15°
(c) 20°
(d) 30°
উত্তর – (b) 15°
4. প্রতিসরণের ক্ষেত্রে কৌণিক চ্যুতির মান সর্বোচ্চ হয় যখন আপতন কোণ (i) এর মান—
(a) 45°
(b) 0°
(c) 90°
(d) 60°
উত্তর – (c) 90°
5. কোন্ আপতন কোণের জন্য লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমের আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে চ্যুতির মান সর্বনিম্ন হয়?
(a) 60°
(b) 0°
(c) 90°
(d) 45°
উত্তর – (b) 0°
6. লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় কোনো আলোকরশ্মির আপতন কোণ 70° এবং প্রতিসরণ কোণ 45° হলে চ্যুতিকোণ –
(a) 15°
(b) 25°
(c) 35°
(d) 115°
উত্তর – (b) 25°
7. প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণ যথাক্রমে 45° ও 30° হলে কৌণিক চ্যুতির মান হবে— 
(a) 75°
(b) 15°
(c) 7.5°
(d) 37.5°
উত্তর – (b) 15°
8. AB দুটি মাধ্যম (যেখানে μA > μB)। A মাধ্যম থেকে আলোকরশ্মি B মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণ হয় যথাক্রমে ir। নীচের কোন্ সম্পর্কটি সঠিক?
(a) r = i
(b) i < r
(c) i > r
(d) i + r = 0
উত্তর – (b) i < r
9. আলোর প্রতিসরণে আপতন কোণের মান কত হলে সমীকরণটি প্রযোজ্য হয় না?
(a) 90°
(b) 60°
(c) 45°
(d) 0°
উত্তর – (d) 0°
10. আলোর প্রতিসরণে আপতন কোণের মান কত হলে স্নেলের সূত্র প্রযোজ্য হয় না?
(a) 30°
(b) 0°
(c) 45°
(d) 60°
উত্তর – (b) 0°
11. কোনো আলোকরশ্মি একটি স্বচ্ছ কাচের স্ল্যাবের ওপর লম্বভাবে আপতিত হলে এর চ্যুতি কোণ কত হবে?
(a) 0°
(b) 180°
(c) 30°
(d) 90°
উত্তর – (a) 0°
12. কোনো আলোক মাধ্যমে আলোর বেগ বৃদ্ধি পেলে মাধ্যমের—
(a) প্রতিসরাঙ্ক প্রথমে বৃদ্ধি পায় পরে হ্রাস পায় |
(b) প্রতিসরাঙ্ক কমে
(c) প্রতিসরাঙ্ক একই থাকে
(d) প্রতিসরাঙ্ক বৃদ্ধি পায়
উত্তর – (b) প্রতিসরাঙ্ক কমে
13. আলোর প্রতিসরণে অপরিবর্তিত থাকে-
(a) আলোর গতিবেগ
(b) তরঙ্গদৈর্ঘ্য
(c) কম্পাঙ্ক
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (c) কম্পাঙ্ক
14. 60° প্রতিসারক কোণবিশিষ্ট একটি প্রিজমে প্রথম প্রতিসারক তলে আলোর প্রতিসরণে প্রতিসরণ কোণ 25° হলে দ্বিতীয় প্রতিসারক তলে আপতন কোণের মান হল —
(a) 35°
(b) 40°
(c) 25°
(d) 15°
উত্তর – (a) 35°
15. একটি সমবাহু প্রিজমের একপৃষ্ঠে রশ্মির আপতন কোণ 30° ও অপরপৃষ্ঠে প্রতিসরণ কোণ 50° হলে, চ্যুতি কোণের মান হল—
(a) 10°
(b) 20°
(c) 30°
(d) 40°
উত্তর – (b) 20°
16. কাচের স্ল্যাবে আপতিত রশ্মি ও নির্গত রশ্মির মধ্যবর্তী কোণ—
(a) 360°
(b) 0°
(c) 30°
(d) 90°
উত্তর – (b) 0°
17. প্রিজমের প্রতিসারক তল কয়টি?
(a) 1টি
(b) 2টি
(c) 3 টি
(d) 4টি
উত্তর – (b) 2টি
18. প্রিজমে আপতন কোণ বাড়াতে থাকলে চ্যুতিকোণ—
(a) বাড়ে
(b) কমে
(c) প্রথমে কমে, পরে বাড়ে
(d) প্রথমে বাড়ে,
উত্তর – (c) প্রথমে কমে, পরে বাড়ে

একটি বা দুটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও

1. A ও B দুটি মাধ্যমে আলোর বেগ যথাক্রমে 2 × 108 m/s ও 2.25 × 108 m/s । কোন্‌টি লঘুতর মাধ্যম?
উত্তর – B মাধ্যমে আলোর বেগ বেশি বলে B লঘুতর মাধ্যম।
2. x ও y দুটি মাধ্যমে আলোর বেগ যথাক্রমে 1.5 × 108 m/s ও 1.9 × 108 m/s। কোন্‌টি ঘনতর মাধ্যম?
উত্তর – x মাধ্যমে আলোর বেগ কম বলে x হল ঘনতর মাধ্যম।
3. A মাধ্যমে আলোর বেগ 2.5 × 108 m/s । B হল A-এর সাপেক্ষে লঘুতর মাধ্যম। তাহলে B মাধ্যমে আলোর বেগ 2.5 × 108 m/s- এর কম না বেশি?
উত্তর – B মাধ্যমে আলোর বেগ 2.5 × 108 m/s -এর বেশি।
4. A মাধ্যমে আলোর বেগ 2.5 × 108 m/s। B হল A সাপেক্ষে ঘনতর মাধ্যম। তাহলে B মাধ্যমে আলোর বেগ 2.5 × 108 m/s – এর কম না বেশি?
উত্তর – B মাধ্যমে আলোর বেগ 2.5 × 108 m/s -এর কম।
5. একটি আলোকরশ্মি প্রথম মাধ্যম থেকে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্বের দিকে বেঁকে যায়। মাধ্যম দুটির মধ্যে কোন্‌টি লঘুতর মাধ্যম?
উত্তর – প্রথম মাধ্যমটি হল লঘুতর মাধ্যম।
6. একটি আলোকরশ্মি প্রথম মাধ্যম থেকে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্ব থেকে দুরের দিকে সরে যায়। কোন্ মাধ্যমটি ঘনতর?
উত্তর – প্রথম মাধ্যমটি হল ঘনতর মাধ্যম।
7. আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে গেলে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে কোন্‌টি বড়ো?
উত্তর – আলোকরশ্মি লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে গেলে আপতন কোণ ও প্রতিসরণ কোণের মধ্যে আপতন কোণ বড়ো।
৪. আলোকরশ্মির প্রতিসরণে আপতন কোণ 0° হলে প্রতিসরণ কোণের মান কত?
উত্তর – আলোকরশ্মির প্রতিসরণে আপতন কোণ 0° হলে প্রতিসরণ কোণও হয় ০° ।
9. দুটি মাধ্যমে প্রতিসরণের সময়, লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে কোনো আলোকরশ্মির কৌণিক চ্যুতির পরিমাণ কত?
উত্তর – এক্ষেত্রে কৌণিক চ্যুতির পরিমাণ 0°।
10. প্রতিসরাঙ্কের একক কী?
উত্তর – প্রতিসরাঙ্ক হল এককবিহীন ভৌত রাশি।
11. দৃশ্যমান কোন্ বর্ণের আলোর ক্ষেত্রে কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বেশি?
উত্তর – দৃশ্যমান বেগুনি বর্ণের আলোর ক্ষেত্রে কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বেশি।
12. কোনো মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক 1 অপেক্ষা কম হতে পারে কি?
উত্তর – হ্যাঁ, কোনো মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক 1 অপেক্ষা কম হতে পারে, যেমন, কাচ সাপেক্ষে জলের প্রতিসরাঙ্ক 8/9 ।
13. জল থেকে একটি আলোকরশ্মি কাচে প্রবেশ করলে এক্ষেত্রে কাচের প্রতিসরাঙ্ক পরম না আপেক্ষিক?
উত্তর – এক্ষেত্রে কাচের প্রতিসরাঙ্ক আপেক্ষিক।
14. বায়ু সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 হলে কাচের সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক কত?
উত্তর – বায়ু সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 হলে কাচের সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক হবে 1/1.5 ।
15. আলোর যখন প্রতিসরণ হয় তখন কম্পাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর – আলোর যখন প্রতিসরণ হয় তখন কম্পাঙ্ক অপরিবর্তিত থাকে।
16. নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসরণের সময় তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কীরূপ পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর – নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রতিসরণের সময় তরঙ্গদৈর্ঘ্য হ্রাস পায়।
17. আয়তাকার কাচের স্ল্যাবে কোনো আলোকরশ্মি তির্বকভাবে আপতিত হলে আপতিত রশ্মি ও নির্ঘুম রশ্মি কি একই সরলরেখায় থাকে?
উত্তর – না, নির্গম রশ্মির পার্শ্বসরণ হয়।
18. প্রিজমের প্রান্তরেখা কাকে বলে?
উত্তর – প্রতিসারক তল দুটি যে সরলরেখা বরাবর মিলিত হয় তাকে প্রিজমের প্রান্তরেখা বলা হয়।
19. প্রিজমের ভূমি কাকে বলে?
উত্তর – প্রিজমের প্রান্তরেখার বিপরীত দিকের আয়তাকার তলকে তুমি বলে।
20. প্রিজমের প্রতিসারক কোণ কোনটি?
উত্তর – প্রিজমের প্রতিসারক তল দুটির মধ্যবর্তী কোণকে প্রিজমের প্রতিসারক কোণ বলা হয়।
21. একটি প্রিজমের কয়টি আয়তাকার তল আছে? 
উত্তর – একটি প্রিজমের তিনটি আয়তাকার তল আছে।
22. প্রিজমের ভূমির সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি নির্গত হওয়ার পর কোন্ দিকে বেঁকে যায়—ভূমির দিকে না শীর্ষকোণের দিকে?
উত্তর – প্রিজমের ভূমির সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি নির্গত হওয়ার পর ভূমির দিকে বেঁকে যায়।
23. পারিপার্শ্বিক মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক প্রিজমের উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের চেয়ে বেশি হলে প্রিজমের ভূমির সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি নির্গত হওয়ার পর কোন্ দিকে বেঁকে যায়—ভূমির দিকে না শীর্ষকোণের দিকে?
উত্তর –এক্ষেত্রে প্রিজম থেকে নির্গত রশ্মি শীর্ষকোণের দিকে বেঁকে যায়।

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. জলে তির্যকভাবে ডোবানো একটি পেনসিলকে ওপর থেকে দেখলে বাঁকা লাগে আলোর …….. জন্য।
উত্তর – প্রতিসরণের
2. জল থেকে কাচে প্রবেশ করলে আলোর বেগ ……… যায়।
উত্তর – কমে
3. লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে প্রবেশ করলে আপতন কোণ প্রতিসরণ কোণের তুলনায় ……… হয়।
উত্তর – বড়ো
4. ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করলে আপতন কোণ প্রতিসরণ কোণের তুলনায় ……… হয়।
উত্তর – ছোটো
5. দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আলোকরশ্মি ………. কোণে আপতিত হলে প্রতিসৃত রশ্মির অভিমুখের পরিবর্তন হয় না।
উত্তর –
6. আপতন কোণের মান বাড়তে থাকলে চ্যুতির মান ………..।
উত্তর – বাড়ে
7. উন্নতা বৃদ্ধিতে কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক ………..।
উত্তর – কমে
8. কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক (শূন্যস্থান ব্যতীত) ……… অপেক্ষা বেশি হয়।
উত্তর – 1
9. একটি আয়তাকার কাচফলকের ফোকাস দৈর্ঘ্য ………..।
উত্তর – অসীম
10. প্রিজমে আপতন কোণের মান বাড়াতে থাকলে চ্যুতিকোণ প্রথমে ………..।
উত্তর – কমে

TOPIC – C লেন্স

সংক্ষিপ্ত/ দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

1. লেন্স কী?
উত্তর – দুটি গোলীয় তল বা একটি গোলীয় ও একটি সমতল দ্বারা সীমাবদ্ধ স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলা হয়।
2. উত্তল লেন্স কাকে বলে?
উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয় কেন?
উত্তর – যে লেন্সের মাঝের অংশটি মোটা ও প্রান্তের দিক ক্রমশ সরু তাকে উত্তল লেন্স বলা হয়।
বায়ুতে থাকা একটি উত্তল লেন্সের ওপর সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিসরণের পর তা অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়, তাই উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয় [চিত্র] ।
3. অবতল লেন্স কাকে বলে? অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
উত্তর – যে লেন্সের মাঝের অংশটি সরু এবং প্রান্তের দিক ক্রমশ মোটা হয় তাকে অবতল লেন্স বলা হয়ে থাকে।
বায়ুতে থাকা একটি অবতল লেন্সের ওপর সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ আপতিত হলে প্রতিসরণের পর তা অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয়, তাই অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় [চিত্র]।
4. চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো: লেন্সের (i) বক্তৃতা কেন্দ্র (ii) বক্তৃতা ব্যাসার্ধ (iii) প্রধান অক্ষ। 
উত্তর – (i) বক্তৃতা কেন্দ্র: একটি লেন্সের কোনো গোলীয় তল যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্রতা কেন্দ্র বলা হয়।
72(a) ওঁ (b) নং চিত্রে যথাক্রমে উত্তল লেন্স ও অবতল লেন্সের বামদিকের ও ডানদিকের গোলীয় তল দুটির বক্রতা কেন্দ্র যথাক্রমে C1 ও C2 | (ii) বক্তৃতা ব্যাসার্ধ: একটি লেন্সের কোনো গোলীয় তল যে গোলকের অংশ তার ব্যাসার্ধকে ওই তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলা হয়।
72(a) নং চিত্রে C1L1 ও C2L1 হল যথাক্রমে উত্তল লেন্সের বামদিক ও ডানদিকের গোলীয় তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ এবং 72(b) নং চিত্রে C1P1 ও C2P2 হল অবতল লেন্সের বামদিক ও ডানদিকের গোলীয় তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ।
(iii) প্রধান অক্ষ: কোনো লেন্সের দুটি তল গোলীয় হলে লেন্সটির বক্রতা কেন্দ্র দুটির সংযোজী সরলরেখাকে ওই লেন্সের প্রধান অক্ষ বলা হয়।
72(a) ও (b) নং চিত্রে C1C2 হল যথাক্রমে উত্তল ও অবতল লেন্সের প্রধান অক্ষ।
5. উত্তল লেন্সের অভিসারী ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – মনে করি, উত্তল লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ লেন্সের ওপর আপতিত হল [চিত্র ]। উত্তল লেন্সে এই সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছের প্রতিসরণ কেমন হবে তা জানার জন্য লেন্সকে অসংখ্য ছোটো ছোটো খণ্ডিত প্রিজমের সমষ্টি হিসেবে ধরা হল। প্রধান অক্ষের ওপরের ও নীচের প্রিজমগুলির ভূমি প্রধান অক্ষের দিকে। তাই প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি যে-কোনো ছোটো প্রিজমের ওপর আপতিত হলে প্রতিসরণের পর প্রিজমের ভূমির দিকে বেঁকে যায়। ফলে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের ওপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে মিলিত হয়, অর্থাৎ উত্তল লেন্স সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে। এইজন্য উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয়।
6. অবতল লেন্সের অপসারী ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – মনে করি, অবতল লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ লেন্সের ওপর আপতিত হল [চিত্র ]। অবতল লেন্সে এই সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছের প্রতিসরণ কেমন হবে তা জানার জন্য লেন্সকে অসংখ্য ছোটো ছোটো খণ্ডিত প্রিজমের সমষ্টি হিসেবে ধরা হল। প্রধান অক্ষের ওপর ও নীচের প্রিজমগুলির ভূমি অবতল লেন্সের প্রান্তের দিকে হয়। তাই প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে আপতিত রশ্মি যে-কোনো ছোটো প্রিজমের ওপর আপতিত হলে প্রতিসরণের পর ভূমির দিকে অর্থাৎ অবতল লেন্সের প্রান্তের দিকে বেঁকে যায়। ফলে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের ওপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, অর্থাৎ অবতল লেন্স সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে। এইজন্য অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয়।
7. কোনো উত্তল লেন্সের আলোককেন্দ্র বলতে কী বোঝায়?
আলোককেন্দ্রগামী রশ্মির চ্যুতি কত?
উত্তর – আলোকরশ্মি যদি কোনো লেন্সের একটি তলে আপতিত হয়ে লেন্সের মধ্য দিয়ে গিয়ে অন্য তল থেকে নির্গত হওয়ার সময় আপতিত রশ্মির সঙ্গে সমান্তরালভাবে নির্গত হয়, তাহলে লেন্সের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় রশ্মিটি প্রধান অক্ষকে যে বিন্দুতে ছেদ করে তাকে লেন্সের আলোককেন্দ্র বলে।
75 নং চিত্রে একটি উত্তল লেন্সের ওপর AB হল আপতিত রশ্মি ও CD হল নির্গম রশ্মি এবং AB || CD। এই অবস্থায় BC রশ্মি লেন্সের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় প্রধান অক্ষকে আলোককেন্দ্র O-তে ছেদ করে।
আলোককেন্দ্রগামী রশ্মির চ্যুতি শূন্য হয়।
8. পাতলা লেন্স কাকে বলে? পাতলা লেন্সের আলোককেন্দ্রের চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো।
উত্তর – পাতলা লেন্স: যে লেন্সের বেধ তার দুটি গোলীয় তলের বক্রতা ব্যাসার্ধের তুলনায় নগণ্য তাকে পাতলা লেন্স বলা হয়।
পাতলা লেন্সের আলোককেন্দ্র: পাতলা লেন্সের আলোককেন্দ্র হল প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত এমন একটি বিন্দু, যার মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি গেলে রশ্মির চ্যুতি বা পার্শ্বসরণ—কোনোটিই হয় না।
76 (a) ও (b) নং চিত্রে যথাক্রমে পাতলা উত্তল লেন্স ও পাতলা অবতল লেন্সের আলোককেন্দ্র হল O ।
9. চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো: উত্তল লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস।
উত্তর – কোনো উত্তল লেন্সের প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দু
থেকে আগত অপসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছ লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে নির্গত হলে ওই বিন্দুকে উত্তল লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস বলে। 77 নং চিত্রে F1 হল উত্তল লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস।
10. চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো: অবতল লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস।
উত্তর – কোনো অবতল লেন্সের প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত একটি বিন্দুর দিকে পরিচালিত অভিসারী রশ্মিগুচ্ছ লেন্সের ওপর আপতিত হয়ে লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে নির্গত হলে ওই বিন্দুকে অবতল লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস বলা হয়। 78 নং চিত্রে F1 হল অবতল লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস।
11. চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো: উত্তল লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস।
উত্তর – উত্তল লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত আলোকরশ্মিগুচ্ছ লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের ওপর একটি বিন্দুতে মিলিত হয় [চিত্র 79]। এই বিন্দুকে উত্তল লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস (F2) বলা হয়।
12. অবতল লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাসের চিত্রসহ সংজ্ঞা লেখো।
উত্তর – অবতল লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে আপতিত আলোকরশ্মিগুচ্ছ লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত একটি বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়। [চিত্র 80]। এই বিন্দুকে অবতল লেন্সের দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস F2 বলা হয়।
13. উত্তল লেন্সের গৌণ ফোকাস বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – উত্তল লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে আনতভাবে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ লেন্সের ওপর আপতিত হয়ে প্রতিসরণের পর ফোকাস তলের ওপর একটি বিন্দুতে মিলিত হলে ওই বিন্দুকে গৌণ ফোকাস বলা হয়।
81 নং চিত্রে F’ হল উত্তল লেন্সের গৌণ ফোকাস।
14. অবতল লেন্সের গৌণ ফোকাস বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – অবতল লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে আনতভাবে সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ লেন্সের ওপর আপতিত হয়ে প্রতিসরণের পর ফোকাস তলের ওপর কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হলে ওই বিন্দুকে গৌণ ফোকাস বলা হয়। 82 নং চিত্রে F’ হল অবতল লেন্সের গৌণ ফোকাস।
15. কোনো লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য কীসের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর – কোনো লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভরশীল। (1) পারিপার্শ্বিক মাধ্যম সাপেক্ষে লেন্সের উপাদানের প্রতিসরাঙ্ক, (2) আপতিত আলোর বর্ণ, (30 লেন্সের দুই গোলীয় তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ।
16. উত্তল লেন্স দ্বারা কোনো বিস্তৃত বস্তুর বিবর্ধিত সদবিম্ব গঠন চিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করো।
অথবা, উত্তল লেন্সের সাহায্যে কীভাবে সৎ ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করা যায় ?
উত্তর – উত্তল লেন্স দ্বারা কোনো বস্তুর বিবর্ধিত সদ্‌বিম্ব পেতে গেলে বস্তুকে ফোকাস দূরত্ব বা f-এর চেয়ে বেশি কিন্তু 2f অপেক্ষা কম দূরত্বে রাখতে হবে।
চিত্রে ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত একটি পাতলা উত্তল লেন্স L1L2 -এর প্রধান অক্ষের ওপর f অপেক্ষা বেশি কিন্তু 2f-এর কম দূরত্বে লম্বভাবে অবস্থিত O1O2 একটি বিস্তৃত বস্তু। O হল লেন্সের আলোককেন্দ্র। O2 থেকে আগত প্রধান অক্ষের সমান্তরাল O2A রশ্মি লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর মুখ্য ফোকাস F2 -এর মধ্য দিয়ে যায়। অপর একটি রশ্মি O2O লেন্সের আলোককেন্দ্রের মধ্য দিয়ে কোনোরকম চ্যুতি ছাড়াই সোজা চলে যায়। প্রতিসৃত রশ্মি দুটি Iবিন্দুতে ছেদ করে। I2 থেকে প্রধান অক্ষের ওপর I1I2 লম্ব টানা হল। I1Iহল O1O2 বস্তুর সবিম্ব। এখানে প্রতিবিম্বের সাইজ বস্তুর তুলনায় বড়ো এবং প্রতিবিম্ব বস্তু সাপেক্ষে উলটো অর্থাৎ প্রতিবিম্ব সৎ, বিবর্ধিত ও অবশীর্ষ।
17. একটি লেন্সের সাহায্যে ঘরের দেয়ালে একটি মোমবাতির প্রতিবিম্ব গঠন করা হল। প্রতিবিম্বটির সাইজ মোমবাতির সমান। এই অবস্থায় মোমবাতি ও দেয়ালের মধ্যে দূরত্ব 80cm হলে লেন্সটির প্রকৃতি কী? এর ফোকাস দৈর্ঘ্যই বা কত ?
উত্তর – এক্ষেত্রে লেন্সটির সাহায্যে দেয়ালে বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতিবিম্বটি সৎ। একমাত্র উত্তল লেন্সের সাহায্যেই সদ্‌বিম্ব  গঠন করা যায়। তাই, লেন্সটি অবশ্যই উত্তল প্রকৃতির।
উত্তল লেন্সের সামনে দ্বিগুণ ফোকাস (2f) দূরত্বে বস্তু থাকলে লেন্স থেকে 2f দূরত্বেই বস্তুর সমান সাইজের সদ্‌বিম্ব গঠিত হয়। এই কারণে, ব্যবহৃত লেন্সটির ক্ষেত্রে 2f + 2f = 80 বা, f = 20cm । অর্থাৎ লেন্সটির ফোকাস দৈর্ঘ্য 20 cm |
18. একটি সরল ক্যামেরার গঠন সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
অনুরূপ প্রশ্ন, চিত্রসহ একটি ফোটোগ্রাফিক ক্যামেরার গঠন বর্ণনা করো।
উত্তর – একটি সরল ক্যামেরার মূল অংশগুলি হল— (1) আলোকনিরুদ্ধ বাক্স, (2) অভিলক্ষ্য, (3) ডায়াফ্রাম, (4) শাটার, (5) পর্দা, (6) ফোটোপ্লেট। একটি সরল ক্যামেরার বিভিন্ন অংশের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হল।
  1. আলোকনিরুদ্ধ বাক্স: একটি ভাঁজ করা চামড়ার বা শক্ত কালো কাগজের বাক্স, এর দৈর্ঘ্য প্রয়োজনমতো বাড়ানো বা কমানো যায়। এর ভিতরের অংশ কালো রং করা থাকে যাতে বাক্সের দেয়াল থেকে আলোর প্রতিফলন না হয় ৷
  2. অভিলক্ষ্য: বাক্সের সামনে উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি উত্তল লেন্স (L) বসানো থাকে। একে অভিলক্ষ্য বলা হয়।
  3. ডায়াফ্রাম: ডায়াফ্রাম (D) হল লেন্সের পিছনে একটি বৃত্তাকার ছিদ্র যা কতকগুলি ধাতব পাতের সমন্বয়ে তৈরি। ছিদ্রের ব্যাস পরিবর্তন করে ক্যামেরার ভিতর আলো প্রবেশের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ছিদ্রের ব্যাস কম হলে লেন্সের কার্যকর উন্মেষ কম হয় এবং কম আলো প্রবেশ করলে প্রতিবিম্ব স্পষ্ট হয়।
  4. শাটার: শাটারের (S) সাহায্যে ক্যামেরার মধ্যে কতটা সময় ধরে আলো প্রবেশ করবে অর্থাৎ আলোকসম্পাতকাল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর সাহায্যে আলোকসম্পাতকালের সময়কাল 0.1s থেকে 0.01s -এর মধ্যে রাখা হয়। ছবি ভালো হবে না খারাপ হবে তা অনেকটাই আলোকসম্পাতকালের ওপর নির্ভর করে।
  5. পর্দা: ক্যামেরার পিছনে যে জায়গায় ছবি তৈরি হয় সেটি হল পর্দা (P)। প্রথমে পদার স্থানে একটি ঘষা কাচ রেখে, শাটার খুলে ভাঁজ করা বাক্সের সাহায্যে লেন্স ও পদার মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে বা বাড়িয়ে ঘষা কাচের ওপর বস্তুর প্রতিবিম্বকে ফোকাস করা হয়। এরপর শাটার বন্ধ করে একটি ফোটোপ্লেট বা ফিল্ম পর্দার স্থানে রাখা হয়। এতে সিলভার ও হ্যালোজেনের একটি আলোকসংবেদী পদার্থের প্রলেপ দেওয়া থাকে। ফিল্ম-এ ছবি গঠিত হওয়ার পর একে একটি আলোকনিরুদ্ধ কাঠের বাক্সে রাখা হয়।
19. সরল ক্যামেরা দ্বারা কোনো বস্তুর ছবি তোলার নীতি লেখো।
উত্তর – উত্তল লেন্সের সামনে দ্বিগুণ ফোকাস দূরত্বের চেয়ে বেশি দূরত্বে একটি বস্তু থাকলে লেন্সের অপর পাশে ফোকাস দূরত্বের চেয়ে বেশি কিন্তু দ্বিগুণ ফোকাস দূরত্বের চেয়ে কম দূরত্বে বস্তুর অবশীর্ষ, খর্বকায়, সবিম্ব গঠিত হয়। লেন্সের এই ধর্মের সাহায্যে ক্যামেরায় ছবি তোলা হয়।
20. ক্যামেরার অভিলক্ষ্যকে এগোনো বা পিছোনোর ব্যবস্থা থাকে কেন?
উত্তর – ক্যামেরার সামনে বস্তু বিভিন্ন দূরত্বে থাকে, তাই প্রতিবিম্ব দূরত্বও বিভিন্ন হয়। অভিলক্ষ্যকে এগিয়ে বা পিছিয়ে প্রতিবিম্ব দূরত্বকে পরিবর্তন করা হয় যাতে ফিল্ম-এর ওপর বস্তুর স্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। সেজন্য ক্যামেরার অভিলক্ষ্যকে এগোনো বা পিছোনোর ব্যবস্থা থাকে।
21 একটি সরল ক্যামেরায় কী ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়? ক্যামেরায় তোলা ছবির বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর – সরল ক্যামেরায় উত্তল লেন্স ব্যবহৃত হয়।
ক্যামেরায় তোলা ছবি হল সদ্‌বিম্ব। এটি বস্তু সাপেক্ষে উলটো বা অবশীর্ষ। প্রতিবিম্বের সাইজ সর্বদাই বস্তু অপেক্ষা ক্ষুদ্র হয়।
22. ক্যামেরায় ফোকাস করা (focusing) বলতে কী বোঝ? ক্যামেরার লেন্সটির অবস্থান নির্দিষ্ট থাকলে যে-কোনো দূরত্বের বস্তুর স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব হত কি না তা বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর – ক্যামেরার লেন্সের সাহায্যে এর ফিল্মের ওপর প্রতিবিম্ব গঠন হল ক্যামেরার ফোকাসিং।
সঠিক ফোকাসিং হলে গঠিত প্রতিবিম্বটি সর্বাপেক্ষা সুস্পষ্ট হয়। লেন্স থেকে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বস্তুর সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব গঠন করার জন্য পৃথকভাবে বস্তুগুলিকে ফোকাসিং করাটা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। ফোকাসিং করার জন্য ক্যামেরার লেন্সটিকে সামনে-পিছনে সরানোর ব্যবস্থা থাকে। লেন্সটিকে এইভাবে সরানোর ব্যবস্থা না থাকলে শুধু একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের বস্তুরই স্পষ্ট ছবি উঠত।
23. চোখের অভিযোজন কাকে বলে?
উত্তর – চোখের মণি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছোটো বা বড়ো হয়ে চোখে প্রবিষ্ট আলোর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। চোখের এই ক্ষমতাকে অভিযোজন বলে।
24. চোখের উপযোজন কাকে বলে?
উত্তর – সিলিয়ারি মাংসপেশির সাসপেন্সরি লিগামেন্টের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে চক্ষুলেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ও হ্রাস করে দূরের ও কাছের বস্তুর প্রতিবিম্বকে রেটিনায় গঠন করার ক্ষমতাকে চোখের উপযোজন বলা হয়।
25. চোখের নিকট বিন্দু কী?
উত্তর – বিনা শ্রান্তিতে অর্থাৎ কষ্ট না করে চোখ থেকে সর্বাপেক্ষা নিকটতম যে বিন্দু পর্যন্ত একটি বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায় তাকে চোখের নিকট বিন্দু বলে।
26. চোখের দূর বিন্দু কী?
উত্তর – বিনা শ্রান্তিতে অর্থাৎ কষ্ট না করে চোখ থেকে সর্বাপেক্ষা দূরের যে বিন্দু পর্যন্ত একটি বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায় তাকে চোখের দূর বিন্দু বলে।
27. মানুষের চোখের চিত্র অঙ্কন করে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো এবং চোখে কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন রশ্মিচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর –
28. মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশের গঠন ও কাজ সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
উত্তর – মানুষের চোখের বিভিন্ন অংশগুলি হল—
  • অক্ষিগোলক: মানুষের চোখ প্রায় গোলকাকার, একে অক্ষিগোলক বলা হয়। এটি মাথার খুলির শক্ত চক্ষুকোটরের (eye socket) মধ্যে ছয়টি পেশির দ্বারা এমনভাবে আটকানো থাকে যাতে স্বাধীনভাবে অক্ষিগোলককে ঘোরানো যায়।
  • শ্বেতমণ্ডল: অক্ষিগোলককে ঘিরে একটি সাদা, অস্বচ্ছ তন্তুময় কলার আবরণ থাকে, একে শ্বেতমণ্ডল বলা হয়।
  • কর্নিয়া; শ্বেতমণ্ডলের সামনে, মোটামুটি চোখের মাঝের স্বচ্ছ অংশ এবং এর বক্রতা বাকি অংশের তুলনায় বেশি। এই অংশের প্রতিসরাঙ্ক প্রায় 1.33, একে কর্নিয়া বলা হয়। কর্নিয়ার মধ্য দিয়ে চোখে আলো প্রবেশ করে।
  • অ্যাকোয়াস হিউমার; কর্নিয়ার পিছনে একটি প্রকোষ্ঠ আছে যা 1:33 প্রতিসরাঙ্কের একটি স্বচ্ছ, নোনতা জলীয় পদার্থ দ্বারা পূর্ণ, এই জলীয় পদার্থকে অ্যাকোয়াস হিউমার বলে। এটি চোখকে ফুলিয়ে রাখে।
  • আইরিস: এটি একটি গোলাকার রঙিন ঝিল্লির পর্দা যার কেন্দ্রে একটি গোলাকার ছিদ্র বা তারারন্ধ্র থাকে। চোখে কতটা আলো প্রবেশ করবে তা আইরিস নিয়ন্ত্রণ করে।
  • চোখের লেন্স:আইরিসের ঠিক পিছনে থাকে চোখের লেন্স যা স্বচ্ছ ও নমনীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত। এটি একটি উভোত্তল লেন্স যার গড় প্রতিসরাঙ্ক 1.45। এই লেন্সের সামনের তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ পিছনের তলের তুলনায় বেশি। এই লেন্সকে সঠিক অবস্থানে আটকে রাখে সাসপেন্সরি লিগামেন্ট। সিলিয়ারি পেশি, সাসপেন্সরি লিগামেন্টের সাহায্যে চোখের লেন্সের বক্রতা পরিবর্তন করে ফোকাস দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন ঘটায়।
  • রেটিনা: অক্ষিগোলকের ভিতরের স্তর যা আলোকসংবেদী কোশ, তন্ত্র ইত্যাদি দ্বারা গঠিত তাকে রেটিনা বলা হয়। চোখের লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী প্রকোষ্ঠ স্বচ্ছ, জেলির মতো পদার্থ বা ভিট্রিয়াস হিউমার দ্বারা পূর্ণ। রেটিনা চক্ষু নার্ভের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। রেটিনায় কোনো বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠিত হলে সেই অনুভূতি চক্ষু নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছোয় এবং দেখার অনুভূতি জাগায়।
29. দীর্ঘ দৃষ্টি কী?
চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – যদি চোখ দূরের জিনিস দেখতে পেলেও কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের ত্রুটিকে দীর্ঘ দৃষ্টি (long sighted-ness) বা হাইপারমেট্রোপিয়া (hypermetropia) বলা হয়।
কোনো ব্যক্তির চোখের নিকট বিন্দু দূরে সরে গেলে এই ত্রুটি দেখা যায়। মনে করি, N হল স্বাভাবিক চোখের নিকট বিন্দু। এখানে N বিন্দুর প্রতিবিম্ব রেটিনায় গঠিত না হয়ে রেটিনার পিছনে গঠিত হয় [চিত্র 97] এবং চোখ সর্বোচ্চ উপযোজন প্রয়োগ করে সর্বাপেক্ষা নিকটতম N’ বিন্দুর প্রতিবিম্ব রেটিনায় গঠন করে। N’ হল দীর্ঘ দৃষ্টি ত্রুটিসম্পন্ন চোখের নিকট বিন্দু।
30. দীর্ঘ দৃষ্টির কারণগুলি লেখো।
উত্তর – দীর্ঘ দৃষ্টির কারণগুলি হল – (1) অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় ছোটো হলে এবং (2) চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে দীর্ঘ দৃষ্টিজনিত ত্রুটি দেখা যায়।
31. কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করে দীর্ঘ দৃষ্টি প্রতিকার করা যায়?
কীভাবে এই ত্রুটির প্রতিকার করা যায় তা চিত্রসহ লেখো।
অথবা, উত্তল লেন্স দ্বারা কোন ধরনের দৃষ্টি ত্রুটি প্রতিকার করা হয় ?
উত্তর – উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করলে দীর্ঘ দৃষ্টিজনিত ত্রুটি দূর করা যায়।
মনে করি, দীর্ঘ দৃষ্টি ত্রুটিযুক্ত কোনো ব্যক্তির নিকট বিন্দু N’ এবং সুস্থ চোখের নিকট বিন্দু N [চিত্র 98]। উত্তল লেন্সটির ফোকাস দৈর্ঘ্য এমন হবে যাতে, লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর N বিন্দুর অসবিম্ব N’ বিন্দুতে গঠিত হয়। ফলে ব্যক্তি N বিন্দুকে N’ বিন্দুতে দেখে।
32. হ্রস্ব দৃষ্টি কী? চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – যদি চোখ কাছের জিনিস দেখতে পেলেও দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে চোখের ত্রুটিকে হ্রস্ব দৃষ্টি (short sightedness) বা মায়োপিয়া (myopia) বলা হয়।
দূরবর্তী বস্তু থেকে আসা সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ চোখের লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর রেটিনায় মিলিত না হয়ে রেটিনার সামনে একটি বিন্দু A -তে মিলিত হয় [চিত্র]। এক্ষেত্রে দূর বিন্দু অসীমে অবস্থিত না হয়ে চোখের সামনে কোনো বিন্দুতে (যেমন চিত্র 99-তে F) সরে আসে।
33. হ্রস্ব দৃষ্টির কারণগুলি লেখো।
উত্তর – হ্রস্ব দৃষ্টির কারণগুলি হল— (1) অক্ষিগোলকের আকার স্বাভাবিকের তুলনায় বড়ো হলে এবং (2) চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে হ্রস্ব দৃষ্টিজনিত ত্রুটি দেখা যায়।
34. কোন্ ধরনের লেন্স ব্যবহার করে হ্রস্ব দৃষ্টিজনিত ত্রুটি প্রতিকার করা যায় ? কীভাবে এই ত্রুটির প্রতিকার করা যায় তা চিত্রসহ লেখো।
উত্তর – উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের অবতল লেন্সযুক্ত চশমা ব্যবহার করলে হ্রস্ব দৃষ্টিজনিত ত্রুটি দূর করা যায়।
অবতল লেন্সটির ফোকাস দৈর্ঘ্য এমন হবে যাতে দূরবর্তী কোনো বস্তু থেকে আগত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ, অবতল লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর মনে হবে F বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে এবং প্রতিবিম্ব রেটিনায় গঠিত হবে [চিত্র]।
35. মানুষের চোখে কীভাবে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় তা সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর – আমরা যখন কোনো বস্তু দেখি তখন বস্তু থেকে আগত আলোকরশ্মিগুচ্ছ অ্যাকোয়াস হিউমার হয়ে চক্ষু লেন্সের ওপর আপতিত হয়। চক্ষু লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর আলোকরশ্মিগুচ্ছ ভিট্রিয়াস হিউমারের মধ্য দিয়ে গিয়ে রেটিনায় সৎ, অবশীর্ষ প্রতিবিম্ব গঠন করে। রেটিনায় আলোকসংবেদী রড কোশ ও কোন কোশ আলোকরশ্মিতে উদ্দীপিত হয় এবং এই উদ্দীপনা চক্ষু নার্ভের মাধ্যমে সেরিব্রামের অক্সিপিটাল খণ্ডের ভিস্যুয়াল কর্টেক্স অংশে পৌঁছোয়। প্রতিবিম্ব অবশীর্ষ হলেও মস্তিষ্কের বিশেষ প্রক্রিয়া বস্তুকে সোজাভাবে দেখতে সাহায্য করে।
36. মানুষের চোখকে ক্যামেরার সঙ্গে তুলনা করা হয় কেন?
সরল ক্যামেরার ফোকাসিং-এর সঙ্গে মানব চক্ষুর ফোকাসিং-এর মূল পার্থক্য লেখো।
উত্তর – ক্যামেরার সামনে বস্তু রাখলে যেমন ক্যামেরার ফিল্মে তার ছবি (সদ্‌বিম্ব) গঠিত হয়, তেমনি চোখের সামনে কোনো বস্তু থাকলে চোখের পর্দায় (রেটিনায়) ওই বস্তুর সদ্‌বিম্ব গঠিত হয়। এইদিক দিয়ে মানুষের চোখ ক্যামেরার সঙ্গে তুলনীয়।
সরল ক্যামেরায় বিভিন্ন দূরত্বের বস্তুর প্রতিটির সুস্পষ্ট ছবি পেতে হলে প্রতিবার ক্যামেরার লেন্সটিকে সামনে-পিছনে করে একে ফোকাসিং করা হয়। কিন্তু মানব চক্ষুর অক্ষিলেন্সটির বক্রতা (curvature) সিলিয়ারি পেশি (একটি অনৈচ্ছিক পেশি)-র সাহায্যে সহজেই পরিবর্তিত হয়। ফলে অক্ষিলেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্যও প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তিত হয়। তাই 25cm (সুস্থ চোখের নিকট বিন্দু) থেকে অসীমে (সুস্থ চোখের দূর বিন্দুর অবস্থান) থাকা যে-কোনো বস্তুর সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব অক্ষিলেন্সের মাধ্যমে রেটিনায় গঠিত হতে পারে।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

1. সমতলোত্তল লেন্সের আলোককেন্দ্র—
(a) প্রধান অক্ষ ও সমতল পৃষ্ঠের ছেদবিন্দুতে অবস্থিত
(b) প্রধান অক্ষের ওপর, লেন্সের বাইরে, সমতল পৃষ্ঠের কাছে অবস্থিত
(c) প্রধান অক্ষ ও উত্তল পৃষ্ঠের ছেদবিন্দুতে অবস্থিত
(d) প্রধান অক্ষের ওপর, লেন্সের বাইরে, উত্তল পৃষ্ঠের কাছে অবস্থিত
উত্তর – (c) প্রধান অক্ষ ও উত্তল পৃষ্ঠের ছেদবিন্দুতে অবস্থিত
2. উত্তলাবতল লেন্সের—
(a) উত্তল পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ অবতল পৃষ্ঠের তুলনায় কম
(b) উত্তল ও অবতল পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ সমান
(c) উত্তল পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ অবতল পৃষ্ঠের তুলনায় বেশি
(d) একটি পৃষ্ঠ অবতল ও অপরটি সমতল
উত্তর – (c) উত্তল পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ অবতল পৃষ্ঠের তুলনায় বেশি
3. অবতলোত্তল লেন্সের—
(a) উত্তল পৃষ্ঠের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ অবতল পৃষ্ঠের থেকে কম
(b) উত্তল ও অবতল পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ সমান
(c) উত্তল পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধ অবতল পৃষ্ঠের থেকে বেশি
(d) একটি পৃষ্ঠ উত্তল ও অপরটি সমতল
উত্তর – (a) উত্তল পৃষ্ঠের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ অবতল পৃষ্ঠের থেকে কম
4. লেন্সের আলোককেন্দ্র—
(a) একটি সচল বিন্দু
(b) একটি নির্দিষ্ট বিন্দু
(c) অসীমে অবস্থিত একটি বিন্দু
(d) কোনো বিন্দুই নয়
উত্তর – (b) একটি নির্দিষ্ট বিন্দু
5. জলের মধ্যে বায়ুর বুদ্বুদ কীসের ন্যায় আচরণ করে?
(a) উত্তল দর্পণ
(b) অবতল দর্পণ
(c) অভিসারী লেন্স
(d) অপসারী লেন্স
উত্তর – (d) অপসারী লেন্স
6. লেন্সের মুখ্য ফোকাস—
(a) একটি
(b)  দুটি
(c) তিনটি
(d) চারটি
উত্তর – (b)  দুটি
7. কাচ নির্মিত কোনো লেন্সকে জলে নিমজ্জিত করলে ফোকাস দৈর্ঘ্যের কী পরিবর্তন হয়?
(a) বৃদ্ধি পায়
(b) হ্রাস পায়
(c) অপরিবর্তিত থাকে
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (a) বৃদ্ধি পায়
8. কোনো লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য নির্ভর করে—
(a) শুধুমাত্র লেন্সের উপাদানের পরম প্রতিসরাঙ্কের ওপর
(b) শুধুমাত্র লেন্সের দুই গোলীয় পৃষ্ঠের বক্রতা ব্যাসার্ধের ওপর
(c) শুধুমাত্র উপাদানের পরম প্রতিসরাঙ্কের ওপর
(d) আলোর বর্ণ, লেন্সের দুই গোলীয় পৃষ্ঠের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ, লেন্সের উপাদান ও মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্কের ওপর
উত্তর – (d) আলোর বর্ণ, লেন্সের দুই গোলীয় পৃষ্ঠের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ, লেন্সের উপাদান ও মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্কের ওপর
9. একটি পাতলা উত্তল লেন্সের আলোককেন্দ্র ও ফোকাসের মধ্যে একটি বস্তু রাখা আছে। বস্তুটির প্রতিবিম্বের প্রকৃতি কোন্‌টি?
(a) সৎ ও অবশীর্ষ
(b) অসৎ ও অবশীর্ষ
(c) সৎ ও সমশীর্ষ
(d) অসৎ ও সমশীর্ষ
উত্তর – (d) অসৎ ও সমশীর্ষ
10. উত্তল লেন্স কোনো বস্তুর বিবর্ধিত সদ্‌দ্বিম্ব গঠন করে, যখন বস্তু –
(a) f -এর কম দূরত্বে থাকে
(b) f -এর বেশি কিন্তু 2f -এর কম দূরত্বে থাকে
(c) 2f দূরত্বে থাকে
(d) 2f -এর বেশি দূরত্বে থাকে
উত্তর – (b) f -এর বেশি কিন্তু 2f -এর কম দূরত্বে থাকে
11. উত্তল লেন্স কোনো বস্তুর বিবর্ধিত অসবিম্ব গঠন করে যখন বস্তু দূরত্ব –
(a) f -এর সমান
(b) 2f -এর সমান
(c) f -এর কম
(d) 2f -এর বেশি
উত্তর – (c) f -এর কম
12. উত্তল লেন্স কোনো বস্তুর খর্বকায় সদ্‌বিম্ব গঠন করে যখন বস্তু দূরত্ব —
(a) f -এর বেশি, 2f -এর কম
(b) f -এর কম
(c) 2f -এর সমান
(d) 2f -এর বেশি
উত্তর – (d) 2f -এর বেশি
13. উত্তল লেন্স কোনো বস্তুর সমান সাইজের সদ্‌বিম্ব গঠন করে যখন বস্তু দূরত্ব –
(a) f -এর কম
(b) 2f -এর সমান
(c) 2f -এর বেশি
(d) f -এর বেশি, 2f -এর কম
উত্তর – (b) 2f -এর সমান
14. অবতল লেন্স তার সামনে থাকা কোনো বস্তুর—
(a) সর্বদা বিবর্ধিত অসবিম্ব গঠন করে
(b) সর্বদা খর্বকায় অসদ্বিম্ব গঠন করে
(c) সর্বদা সমান সাইজের অসদ্বিম্ব গঠন করে
(d) বিবর্ধিত সদ্‌বিম্ব গঠন করে
উত্তর – (b) সর্বদা খর্বকায় অসদ্বিম্ব গঠন করে
15. উত্তল লেন্সের সামনে বস্তু f -এর বেশি কিন্তু 2f -এর কম দূরত্বে থাকলে প্রতিবিম্ব দূরত্ব হবে—
(a) অপর পাশে f -এর কম দূরত্বে
(b) অপর পাশে 2f -এর বেশি দূরত্বে
(c) বস্তুর দিকে f -এর বেশি দূরত্বে
(d) অপর পাশে 2f দূরত্বে
উত্তর – (b) অপর পাশে 2f -এর বেশি দূরত্বে
16. উত্তল লেন্সের সামনে বস্তু 2f -এর বেশি দূরত্বে থাকলে প্রতিবিম্ব দূরত্ব হবে—
(a) অপর পাশে 2f -এর বেশি দূরত্বে
(b) অপর পাশে f -এর বেশি কিন্তু 2f -এর কম দূরত্বে
(c) বস্তুর দিকে f -এর বেশি দূরত্বে
(d) অপর পাশে 2f দূরত্বে
উত্তর – (b) অপর পাশে f -এর বেশি কিন্তু 2f -এর কম দূরত্বে
17. উত্তল লেন্সের সামনে f -এর কম দূরত্বে বস্তু থাকলে প্রতিবিম্ব দূরত্বের মান—
(a) সর্বদা বস্তু দূরত্বের থেকে কম হয়
(b) বস্তু দূরত্বের কম বা বেশি হতে পারে
(c) সর্বদা বস্তু দূরত্বের চেয়ে বেশি হয়
(d) বস্তু দূরত্বের সমান বা কম হয়
উত্তর – (c) সর্বদা বস্তু দূরত্বের চেয়ে বেশি হয়
18. অবতল লেন্সের সামনে কোনো বস্তু থাকলে প্রতিবিম্ব দূরত্ব—
(a) সর্বদা বস্তু দূরত্বের চেয়ে বেশি হবে
(b) সর্বদা বস্তু দূরত্বের চেয়ে কম হবে
(c) বস্তু দূরত্বের বেশি বা সমান হবে
(d) বস্তু দূরত্বের সমান বা কম হবে
উত্তর – (b) সর্বদা বস্তু দূরত্বের চেয়ে কম হবে
19. কোনো উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে বস্তুকে অসীমে রাখলে প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
(a) আলোককেন্দ্রে
(b) অসীমে
(c) ফোকাসে
(d)  দ্বিগুণ ফোকাস দূরত্বে
উত্তর – (c) ফোকাসে
20. উত্তল লেন্সের সামনে এবং f ও 2f -এর মধ্যে বস্তুকে রাখলে প্রতিবিম্ব হয়—
(a) সৎ, বিবর্ধিত
(b) সোজা, ছোটো
(c) অবশীর্ষ, সমান
(d) অসৎ, বিবর্ধিত
উত্তর – (a) সৎ, বিবর্ধিত
21. বস্তু অপেক্ষা বড়ো অসবিম্ব গঠিত হয়—
(a) উত্তল লেন্সে
(b) অবতল লেন্সে
(c) সমতল দর্পণে
(d) উত্তল দর্পণে
উত্তর – (a) উত্তল লেন্সে
22. কোনো উত্তল লেন্সে বস্তু দূরত্ব ও প্রতিবিম্ব দূরত্বের মান যথাক্রমে 10 cm ও 20 cm হলে রৈখিক বিবর্ধন—
(a) 1/2
(b) 2
(c) 1/4
(d) 4
উত্তর – (b) 2
23. উত্তল লেন্স তার সামনে থাকা কোনো বস্তুর যখন অসবিম্ব গঠন করে তখন বিবর্ধন (m) –
(a) m > 1
(b) m < 1
(c) m = 1
(d) m ≤ 1
উত্তর – (a) m > 1
24. বিবর্ধক কাচের 0.1m দূরে রাখা বস্তুর প্রতিবিম্ব 40 cm দূরে পাওয়া গেল। এক্ষেত্রে বিবর্ধন –
(a) 0.4
(b) 14
(c) 4
(d) 45
উত্তর – (c) 4

একটি বা দুটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও

1. লেন্স কাকে বলে?
উত্তর – দুটি গোলীয় তল বা একটি গোলীয় ও একটি সমতল দ্বারা সীমাবদ্ধ স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলা হয়।
2. সমতলাবতল লেন্স কী?
উত্তর – যে অবতল লেন্সের একটি প্রতিসারক তল অবতল ও অপর প্রতিসারক তল সমতল তাকে সমতলাবতল লেন্স বলা হয় [চিত্র]।
3. সমতলোত্তল লেন্স কী?
উত্তর – যে উত্তল লেন্সের একটি প্রতিসারক তল উত্তল ও অপর প্রতিসারক তল সমতল তাকে সমতলোত্তল লেন্স বলা হয় [চিত্র]।
4. কোনো লেন্সের আলোককেন্দ্র কি লেন্সের বাইরে থাকতে পারে?
উত্তর – হ্যাঁ, কোনো লেন্সের আলোককেন্দ্র লেন্সের বাইরে থাকতে পারে। উদাহরণ—অবতলোত্তল লেন্স, উত্তলাবতল লেন্স।
5. পাতলা লেন্সে আপতিত রশ্মি আলোককেন্দ্র অভিমুখী হলে প্রতিসৃত রশ্মির গতিপথ কীরূপ হবে?
উত্তর – লেন্সে আপতিত রশ্মি আলোককেন্দ্র অভিমুখী হলে রশ্মিটি ওই একই পথ ধরে প্রতিসৃত হবে।
6. বায়ু মাধ্যমে কোন্ লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয় ?
উত্তর – বায়ু মাধ্যমে উত্তল লেন্সকে অভিসারী লেন্স বলা হয়।
7. বায়ু মাধ্যমে কোন্ লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয়?
উত্তর – বায়ু মাধ্যমে অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয়।
8. কী ধরনের লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে?
উত্তর – অবতল লেন্স সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অপসারী আলোকরশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে।
9. সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী আলোকরশ্মিতে পরিণত করতে কী ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়?
উত্তর – সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছকে অভিসারী আলোকরশ্মিতে পরিণত করতে উত্তল লেন্স ব্যবহার করা হয়।
10. লেন্সের ফোকাস বলতে কী বোঝ?
উত্তর – লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ লেন্সে প্রতিসরণের পরে একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে) কিংবা কোনো নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে)। উল্লিখিত নির্দিষ্ট বিন্দুটি হল লেন্সের ফোকাস।
11. লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কী?
উত্তর – কোনো লেন্সের আলোককেন্দ্র থেকে মুখ্য ফোকাসের দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব বলা হয়।
12. লেন্সের ফোকাস তল কী?
উত্তর – লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্ব ও মুখ্য ফোকাসগামী কাল্পনিক সমতলকে ফোকাস তল বলা হয়।
13. লেন্সের গৌণ ফোকাস বিন্দুর সংখ্যা কতগুলি?
উত্তর – লেন্সের গৌণ ফোকাস বিন্দু অসংখ্য।
14. অবতল লেন্সে প্রতিসৃত রশ্মিগুচ্ছ প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হলে বস্তুর প্রকৃতি কীরুপ হয় ?
উত্তর – অবতল লেন্সে প্রতিসৃত রশ্মিগুচ্ছ প্রধান অক্ষের সমান্তরাল হলে বস্তু হয় অসৎ।
15. কোনো লেঙ্গে সামনে থাকা কোনো বস্তুর সর্বদাই অসদবিম্ব গঠিত হয়। লেন্সটির প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর – লেন্সটি অবশ্যই অবতল (বা অপসারী) লেন্স।
16. কোনো লেন্সে বস্তুর একটি বিশেষ অবস্থানে বস্তুর সমান সাইজের প্রতিবিম্ব গঠিত হল। লেন্সটির প্রকৃতি কীরুপ?
উত্তর – এক্ষেত্রে লেন্সটি অবশ্যই উত্তল প্রকৃতির।
17. রোদ-চশমায় কী ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয় ?
উত্তর – অবতলোত্তল লেন্স যার দুই পৃষ্ঠের বক্তৃতা ব্যাসার্ধ সমান।
18. একটি লেন্সের পিছনে আঙুল রেখে উলটো দিক দিয়ে দেখলে আঙুলটা ছোটো দেখায়। লেন্সটি কী প্রকৃতির?
উত্তর – লেন্সটি অবতল প্রকৃতির।
19. একটি লেন্সের পিছনে আঙুল রেখে উলটো দিক দিয়ে দেখলে আঙুলটা বড়ো দেখায়। লেন্সটি কী প্রকৃতির?
উত্তর – লেন্সটি উত্তল প্রকৃতির।
20. লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠনে আলোর কোন্ ধর্ম ব্যবহৃত হয়?
উত্তর – লেন্স দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠনে আলোর প্রতিসরণ ধর্ম ব্যবহৃত হয়।
21. একটি বস্তুকে একটি উত্তল লেন্সের ফোকাসে রাখা হলে ওই বস্তুটির প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
উত্তর – এক্ষেত্রে প্রতিবিম্ব অসীমে গঠিত হবে।
22. f ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি উত্তল লেন্স থেকে কত দূরে বস্তু রাখলে সৎ এবং বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব পাওয়া যাবে?
উত্তর – এক্ষেত্রে বস্তু দূরত্ব হবে f -এর বেশি কিন্তু 2f -এর কম।
23. একটি উত্তল লেন্স সাপেক্ষে বস্তুর অবস্থান কোথায় হলে প্রতিবিম্বের আকার ও বস্তুর আকার সমান হবে? 
উত্তর – একটি উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব f হলে লেন্স সাপেক্ষে 2f দূরত্বে বস্তুর অবস্থান হলে প্রতিবিম্বের আকার ও বস্তুর আকার সমান হবে।
24, কী ধরনের লেন্সের ক্ষেত্রে আলোককেন্দ্র লেন্সের বাইরে অবস্থান করে?
উত্তর – উত্তলাবতল এবং অবতলোত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে।
25. 10 cm ফোকাস দৈর্ঘ্যের একটি উত্তল লেন্সের সাহায্যে বইয়ের ছোটো ছোটো লেখাগুলোকে পড়ার জন্য লেন্সটিকে কোথায় রাখতে হবে?
উত্তর – লেন্সটিকে বই থেকে 10 cm অপেক্ষা কম দূরত্বে রাখতে হবে।
26. লেন্সের ক্ষমতার SI একক কী?
উত্তর – dioptre (D) বা m-1
27. বিবর্ধক কাচের লেন্স উত্তল না অবতল?
উত্তর – বিবর্ধক কাচের লেন্স উত্তল।
28. একটি উত্তল লেন্সের অর্ধেকটা কালো কাগজে মুড়ে দিলে বস্তুর পূর্ণ প্রতিবিম্ব গঠন হবে কি?
উত্তর – হ্যাঁ, অর্ধেক কালো কাগজে মোড়া লেন্সটির সাহায্যে বস্তুর পূর্ণ প্রতিবিম্ব গঠন হবে।
29. একটি উত্তল লেন্সের অর্ধেকটা কালো কাগজে মুড়ে দিলে বস্তুর প্রতিবিশ্বের কীরুপ পরিবর্তন হবে?
উত্তর – লেন্সের কালো কাগজে মোড়া অর্ধেক অংশ দিয়ে আলোর প্রতিসরণ না হওয়ার জন্য প্রতিবিম্বের উজ্জ্বলতা হ্রাস পাবে।
30. কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন 2.5 –এর অর্থ কী?
উত্তর – কোনো বস্তুর প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন 2.5 বলতে বোঝায় প্রতিবিম্বের উচ্চতা বস্তুর উচ্চতার 2.5 গুণ।
31. কোনো বস্তুকে উত্তল লেন্স হতে 2f দূরত্বে রাখলে লেন্সে প্রতিসরণের ফলে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের বিবর্ধন কত? 
উত্তর – এক্ষেত্রে প্রতিবিম্বের বিবর্ধনের মান হবে 1।
32. বিবর্ধক কাচরূপে উত্তল লেন্সকে কীভাবে ব্যবহার করবে?
উত্তর – উত্তল লেন্সের ফোকাস দূরত্বের মধ্যে কোনো বস্তুকে রাখলে বিবর্ধক কাচ হিসেবে ব্যবহার করা যায়, এক্ষেত্রে লেন্সের অপর পৃষ্ঠ থেকে দেখলে বস্তুটিকে সমশীর্ষ এবং বড়ো দেখায়।
33. রৈখিক বিবর্ধন এককবিহীন রাশি কেন? 
উত্তর – রৈখিক বিবর্ধন প্রতিবিম্বের উচ্চতা ও বস্তুর উচ্চতার অনুপাত অর্থাৎ দুটি সমজাতীয় রাশির অনুপাত। তাই রৈখিক বিবর্ধন এককবিহীন রাশি।
34. 10 cm ফোকাস দৈর্ঘ্যের কোনো উত্তল লেন্স থেকে বস্তুকে কত দূরে রাখলে প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন 1 হবে?
উত্তর – ফোকাস দৈর্ঘ্য, f = 10 cm | অতএব বস্তু দূরত্ব হবে, 2f = 2 × 10 cm = 20 cm |
35. অবতল লেন্স কোনো বস্তুর বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করতে পারে কি?
উত্তর – না, অবতল লেন্স কোনো বস্তুর বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব গঠন করতে পারে না।
36. 1.45 প্রতিসরাঙ্কবিশিষ্ট কোনো কাচের লেন্সকে একটি তরলে ডোবালে সেটি অদৃশ্য হয়ে যায়। তরলের প্রতিসরাঙ্ক কত?
উত্তর – ওই তরলের প্রতিসরাঙ্ক 1.45।
37. সিনেমার পর্দায় কী ধরনের প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
উত্তর – সিনেমার পর্দায় গঠিত প্রতিবিম্ব সৎ ও বিবর্ধিত।
38. ক্যামেরায় কোন্ ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয়?
উত্তর – ক্যামেরায় উত্তল লেন্স ব্যবহৃত হয়।
39. ক্যামেরায় বস্তুর সবিম্ব না অসবিম্ব গঠিত হয়?
উত্তর – ক্যামেরায় বস্তুর সদ্‌বিম্ব গঠিত হয়।
40. চোখের লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী অংশে কী থাকে?
উত্তর – চোখের লেন্স ও রেটিনার মধ্যবর্তী অংশে থাকে ভিট্রিয়াস হিউমার।
41. রেটিনার মূল কাজ কী?
উত্তর – রেটিনার মূল কাজ হল বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করা।
42. রেটিনার কোন অংশে আলোক সংবেদনশীল কোনো কোশ থাকে না?
উত্তর – অন্ধ বিন্দুতে আলোক সংবেদনশীল কোনো কোশ থাকে না।
43. দূরের বস্তু দেখার সময় সিলিয়ারি পেশির কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর – দূরের বস্তু দেখার সময় সিলিয়ারি পেশি প্রসারিত হয়।
44. কাছের বস্তু দেখার সময় সিলিয়ারি পেশির কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর – কাছের বস্তু দেখার সময় সিলিয়ারি পেশি সংকুচিত হয়।
45. দূরের বস্তু দেখার সময় সাসপেন্সরি লিগামেন্টের কীরূপ পরিবর্তন হয় ?
উত্তর – দূরের বস্তু দেখার সময় সাসপেন্সরি লিগামেন্টের সংকোচন হয়।
46. কাছের বস্তু দেখার সময় সাসপেন্সরি লিগামেন্টের কীরূপ পরিবর্তন হয়?
উত্তর – কাছের বস্তু দেখার সময় সাসপেন্সরি লিগামেন্টের প্রসারণ হয়।
47. দূরের বস্তু দেখার সময় চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বেশি না কম হয়?
উত্তর – দূরের বস্তু দেখার সময় চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বেশি হয়।
48. কাছের বস্তু দেখার সময় চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য বেশি না কম হয়?
উত্তর – কাছের বস্তু দেখার সময় চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য কম হয়।
49. সুস্থ চোখের দূর বিন্দু কোথায় অবস্থিত হয়?
উত্তর – সুস্থ চোখের ক্ষেত্রে দূর বিন্দু অসীমে অবস্থিত হয়।
50. মানুষের চোখে কতটা আলো প্রবেশ করবে তা চোখের কোন্ অংশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ? 
উত্তর – চোখে কতটা আলো প্রবেশ করবে তা আইরিস নিয়ন্ত্রণ করে।
51. চক্ষু লেন্স কী প্রকৃতির লেন্স?
উত্তর – চক্ষু লেন্স উত্তল লেন্স।
52. চক্ষু লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব সৎ না অসৎ?
উত্তর – চক্ষু লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্ব সৎ।
53. দৃষ্টি পাল্লা কী?
উত্তর – চোখের নিকট বিন্দু থেকে দূর বিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে দৃষ্টি পাল্লা বলে।
54. সুস্থ চোখের দৃষ্টি পাল্লা লেখো।
উত্তর – সুস্থ চোখের ক্ষেত্রে দৃষ্টি পাল্লা 25 cm থেকে অসীম পর্যন্ত।
55. কোন্ ধরনের লেন্সের দ্বারা হ্রস্ব দৃষ্টির প্রতিকার করা যায় ?
উত্তর – উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের অবতল লেন্সের দ্বারা হ্রস্ব দৃষ্টির প্রতিকার করা যায়।

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. সমোত্তল লেন্সের উভয় তলের বক্রতা ব্যাসার্ধ ……….।
উত্তর – সমান
2. লেন্সের থেকে বস্তু বা প্রতিবিম্বের দূরত্ব ………. -এর সাপেক্ষে পরিমাপ করা হয়।
উত্তর – আলোককেন্দ্র
3. পাতলা লেন্সের ……… -এর মধ্য দিয়ে আলোকরশ্মি গেলে তার কোনো চ্যুতি হয় না।
উত্তর – আলোককেন্দ্র
4. জলে ডোবালে কোনো উত্তল লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য ……….. পায়।
উত্তর – বৃদ্ধি
5. একটি উত্তল লেন্সের 0.25 m দূরে বস্তু থাকলে যদি প্রতিবিম্ব 75 cm দূরে গঠিত হয় তাহলে বিবর্ধনের মান ……….।
উত্তর – 3
6. অবতল লেন্স সর্বদা কোনো বস্তুর ……….., ………… অসবিম্ব গঠন করে।
উত্তর – খর্বকায়, সমশীর্ষ
7. ক্যামেরার অভিলক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় ……….. লেন্স।
উত্তর – উত্তল
8. সুস্থ চোখের দূর বিন্দু চোখ থেকে ……….. দূরত্বে অবস্থিত।
উত্তর – অসীম

TOPIC – D আলোর বিচ্ছুরণ ও আলোক তরঙ্গ

সংক্ষিপ্ত| দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

1. আলোকের বিচ্ছুরণ কাকে বলে?
উত্তর – বহুবর্ণী বা যৌগিক আলোকরশ্মি কোনো প্রতিসারক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে গেলে বিভিন্ন বর্ণে ভেঙে যাওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলা হয়।
2. প্রিজমের কোনো প্রতিসারক তলে সাদা আলো আপতিত হলে, অপর প্রতিসারক তলের সামনে কোনো পর্দা রাখলে পর্দায় সাতটি রং দেখা যায় কেন?
উত্তর – সাদা আলো সাতটি বর্ণের সমষ্টি। এই সাতটি বর্ণের জন্য কাচের প্রতিসরাঙ্ক আলাদা—লাল বর্ণের জন্য সবচেয়ে কম ও বেগুনি বর্ণের জন্য সবচেয়ে বেশি। প্রিজমের ওপর সাদা আলো ফেলা হলে। সাতটি বর্ণের আলোই একই কোণে আপতিত হলে প্রথম প্রতিসারক তলে প্রতিসরণের পর সাতটি বর্ণের আলোর প্রতিসরণ কোণ বা চ্যুতিকোণ সাত রকম হবে এবং দ্বিতীয় প্রতিসারক তলে প্রতিসরণের সময় তাদের চ্যুতি আরও বেড়ে যায়, তাই পর্দায় সাতটি বর্ণের আলো দেখতে পাওয়া যায়।
3. একটি আয়তাকার কাচের স্ল্যাবের ওপর সাদা আলো পড়লে তার বিচ্ছুরণ হয় না কেন?
উত্তর – মনে করি, একটি আয়তাকার কাচের স্ল্যাব PQRS [চিত্র ]- এর PQ পার্শ্বে সাদা আলো আপতিত হল। এই আলো অসংখ্য রশ্মির সমষ্টি। সাদা আলোর সাতটি বর্ণের জন্য কাচের প্রতিসরাঙ্ক আলাদা হওয়ায় PQ বিভেদতলে প্রতিটি রশ্মির বিচ্ছুরণ হবে, এখন কাচের স্ল্যাবটি আয়তাকার হওয়ায় এই বর্ণালিগুলি স্ল্যাবের অপর পার্শ্ব দিয়ে নির্গত হওয়ার সময় একে অন্যের ওপর সমাপতিত হয়ে পুনরায় সাদা আলো গঠন করে। কেবলমাত্র একেবারে দুই প্রান্তের একদিকে লাল ও অপর দিকে বেগুনি বর্ণের আলো প্রতিসৃত হয়—যার পরিমাণ প্রতিসৃত সাদা আলোর তুলনায় নগণ্য। তাই আয়তাকার কাচের স্ল্যাবে সাদা আলোর বিচ্ছুরণ দেখা যায় না।
4. প্রিজম বর্ণ সৃষ্টি করে না, শুধুমাত্র যৌগিক আলোর বিচ্ছুরণ ঘটায়—একটি পরীক্ষার সাহায্যে দেখাও।
উত্তর – প্রিজম বর্ণ সৃষ্টি করে না; কেবলমাত্র সাদা আলোয় বর্তমান বিভিন্ন বর্ণকে পৃথক করে। এটি দেখানোর জন্য একটি পরীক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখ করা হল। খুব সরু ছিদ্র S-এর মধ্য দিয়ে সাদা আলোকরশ্মি P1 প্রিজমে আপতিত হয়েছে [চিত্র ]। প্রিজম থেকে নির্গত রশ্মি পর্দা C1 এর ওপর VR বর্ণালি গঠন করেছে। C1 পর্দাতেও একটি খুব সরু ছিদ্র S1 আছে। পর্দাটিকে ওপর-নীচে সরিয়ে বর্ণালির যে-কোনো একটি বর্ণের আলোকরশ্মিকে (ধরা যাক, হলুদ বর্ণের রশ্মিকে) S1 -এর মধ্য দিয়ে পাঠিয়ে অপর একটি প্রিজম P2-এর ওপরে ফেলা হল। P2 থেকে নির্গত রশ্মি অপর একটি পর্দা C2 -এর ওপরে পড়েছে। দেখা যাবে, রশ্মিটি বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত হয়নি অর্থাৎ কোনো বর্ণালি দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য বর্ণের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। সুতরাং প্রিজম কোনো বর্ণ সৃষ্টি করে না। যদি প্রিজম কোনো বর্ণ সৃষ্টি করত তাহলে দ্বিতীয় প্রিজমে প্রতিসরণের পরেও বর্ণালি পাওয়া যেত।
5. স্নেলের সূত্রের সাহায্যে আলোর বিচ্ছুরণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক লাল বর্ণের আলোর জন্য সবচেয়ে কম ও বেগুনি বর্ণের আলোর জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ সাদা আলোর সাতটি বর্ণের আলোর জন্য প্রতিসরাঙ্কের ক্রমটি হল,
μR < μO < μY < μG < μB < μI < μ|
মনে করি, লাল ও বেগুনি বর্ণের দুটি আলোকরশ্মি বায়ু থেকে বায়ু ও কাচের বিভেদতলে i কোণে আপতিত হল [চিত্র ]। এই দুই বর্ণের আলোর জন্য প্রতিসরণ কোণ যথাক্রমে rRrV হলে,
স্নেলের সূত্রানুযায়ী, লাল বর্ণের আলোর
অর্থাৎ, কাচ মাধ্যমে বেগুনি আলোর প্রতিসরণ কোণ কম ও লাল আলোর প্রতিসরণ কোণ বেশি হবে। সুতরাং, সাদা আলো একইভাবে আপতিত হলে প্রতিসরণের পর সাতটি বর্ণের আলোকরশ্মির প্রত্যেকের প্রতিসরণ কোণ আলাদা হওয়ার জন্য রশ্মিগুলি ভেঙে যাবে। এটাই হল আলোর বিচ্ছুরণ।
6. লাল ও বেগুনি আলোর জন্য কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক যথাক্রমে μRμV হলে প্রমাণ করো, μR < μV |
উত্তর – কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক μ হলে,
একই আপতন কোণ i-এর জন্য লাল ও বেগুনি বর্ণের রশ্মির ক্ষেত্রে প্রতিসরণ কোণ যথাক্রমে  rRrV হলে,
আবার চ্যুতিকোণ, δ = (i-r) –এর থেকে বলা যায়, আপতন কোণ (i) যদি ধ্রুবক হয় তবে প্রতিসরণ কোণ (r) যত বেশি হবে চ্যুতি (δ) -ও তত কম হবে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, লাল ও বেগুনি আলোকরশ্মি দুটি যদি একই কোণে কোনো মাধ্যমে আপতিত হয়, তবে লাল আলোর কৌণিক চ্যুতি বেগুনি আলোর কৌণিক চ্যুতি অপেক্ষা কম হয়।
7. বর্ণালি কাকে বলে? সাদা আলোর বর্ণালিতে রঙের ক্রম কী ধরনের থাকে?
উত্তর – বহুবর্ণী বা কোনো যৌগিক আলোর বিচ্ছুরণের ফলে বিভিন্ন বর্ণের আলোর যে পটি পাওয়া যায় তাকে বর্ণালি বলা হয়।
প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর বিচ্ছুরণের ফলে পর্দায় যে বর্ণালি উৎপন্ন হয় তার নীচ থেকে ওপরদিকে বর্ণগুলি যেভাবে সাজানো থাকে তা হল—বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই বর্ণগুলির আদ্যাক্ষরগুলি নিয়ে গঠিত ক্রমটি হল বেনীআসহকলা। আর বর্ণগুলির ইংরেজি (Violet, Indigo, Blue, Green, Yellow, Orange, Red) আদ্যাক্ষরগুলি নিয়ে গঠিত ক্রমটি হল VIBGYOR |
8. শূন্যস্থানে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না কেন?
উত্তর – শূন্যস্থানে দৃশ্যমান আলোকরশ্মির সব বর্ণের আলোকরশ্মিই একই
বেগে ( 3 × 108 m/s) গতিশীল হয়। তাই সাদা বা কোনো যৌগিক আলোর বিচ্ছুরণ হয় না।
9. শূদ্ধ ও অশুদ্ধ বর্ণালি কাকে বলে?
রংধনু শুদ্ধ না অশুদ্ধ বর্ণালি?
উত্তর – যে বর্ণালিতে প্রত্যেকটি বর্ণকে পৃথকভাবে এবং স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে শুদ্ধ বর্ণালি বলে। আবার যে বর্ণালিতে প্রত্যেকটি বর্ণকে পৃথকভাবে এবং স্পষ্টভাবে দেখা যায় না তাকে অশুদ্ধ বর্ণালি বলে।
রংধনু অশুদ্ধ বর্ণালির উদাহরণ।
10. কোনো বস্তুর বর্ণের কারণ কী?
উত্তর – কোনো অস্বচ্ছ বস্তুর ওপর সাদা আলো ফেললে ওই বস্তু যে বর্ণের আলোকে প্রতিফলিত করে, বস্তুকে সেই বর্ণের বলে মনে হয় এবং কোনো স্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়ে যে বর্ণের আলো সংবাহিত হয় বস্তুকে সেই রঙের মনে হয়।
11. সূর্যালোকে জবা ফুলকে লাল কিংবা গাছের পাতা সবুজ দেখানোর কারণ কী?
উত্তর – কোনো অস্বচ্ছ বস্তু সূর্যালোকে থাকলে ওই বস্তু যে বর্ণের আলোকে প্রতিফলিত করে, বস্তুকে সেই বর্ণের বলে মনে হয়।
জবা ফুলের ওপর সূর্যালোক আপতিত হলে জবা ফুল লাল আলো ব্যতীত সব আলো শোষণ করে নেয়, শুধুমাত্র লাল আলোকেই প্রতিফলিত করে তাই জবা ফুলকে লাল দেখায়। আবার সবুজ পাতাকে সবুজ দেখায় কারণ সূর্যালোক পাতায় পড়লে পাতা শুধুমাত্র সবুজ আলোকেই প্রতিফলিত করে।
12. লাল কাচকে খুব গুঁড়ো করলে রং অনেক হালকা দেখায় কেন?
উত্তর – লাল কাচ, লাল ব্যতীত অন্য সব রঙের আলো শোষণ করে নেয়। সূর্যালোকে ওই কাচগুঁড়ো রাখলে বেশিরভাগ রশ্মি প্রতিফলিত হয় আর কিছু রশ্মি গুঁড়োর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে নির্গত হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে কাচ গুঁড়োগুলির বেধ খুব কম তাই আপতিত আলোকরশ্মির শোষণ হয় না। শুধুমাত্র যে সমস্ত টুকরোর বেধ বেশি সেখানে লাল ছাড়া সব আলো শোষিত হয়। তাই গোটা লাল কাচ অপেক্ষা গুঁড়ো লাল কাচ থেকে কম পরিমাণ লাল আলো প্রতিফলিত হয়। এই কারণে লাল কাচকে গুঁড়ো করলে রং অনেক হালকা দেখায়।
13. রাত্রিতে নীল আলোয় আলোকিত কোনো ঘরে লাল জবা ফুলকে কেমন দেখাবে? 
উত্তর – রাত্রিতে নীল আলোয় আলোকিত কোনো ঘরে লাল জবা ফুলকে দেখলে, জবা ফুলকে কালো দেখাবে। কারণ জবা ফুল লাল ব্যতীত সব আলো শোষণ করে। ঘরের নীল আলো জবা ফুলের ওপর পড়লে জবা ফুল তা শোষণ করে নেবে, কোনো আলোই প্রতিফলিত করবে না।
14. কোনো বস্তুর রং সাদা বা কালো বলতে কী বোঝ?
উত্তর – কালো বা সাদা কোনো মৌলিক বর্ণ নয়। কোনো বস্তু যদি সব আলো শোষণ করে নেয় তবে তাকে কালো দেখায় এবং যদি সূর্যালোকের সাতটি বর্ণের আলোই প্রতিফলিত করে তবে তাকে সাদা দেখায়। যেমন—কালো ছাতার ওপর সূর্যালোক পড়লে ছাতা সব আলো শোষণ করে নেয় কোনো আলোই প্রতিফলিত করে না তাই কালো ছাতা কালো দেখায়, আবার সাদা কাপড়ে সূর্যের আলো পড়লে কাপড় সব বর্ণের আলোকেই প্রতিফলিত করে তাই সাদা কাপড়কে সাদা দেখায়।
15. একটি লাল ও নীল কাচকে একসঙ্গে রেখে সূর্যকে দেখলে কেমন দেখাবে?
উত্তর – লাল কাচের ওপর সূর্যের আলো পড়লে, লাল কাচ লাল ব্যতীত সব আলোকে শোষণ করে নেয় তাই নীল কাচের ওপর শুধুমাত্র লাল আলো আপতিত হয়। কিন্তু নীল কাচ আবার লাল আলোকে শোষণ করে নেয়, ফলে প্রতিফলিত হওয়ার মতো কোনো বর্ণের আলোকরশ্মি-ই না থাকায় দর্শকের চোখে কোনো আলো পৌঁছোবে না। তাই সূর্যকে কালো দেখাবে।
16. নীল কাচের ভিতর দিয়ে সাদা ফুলকে কেমন দেখাবে?
উত্তর – কোনো স্বচ্ছ বস্তুর (যেমন—বায়ু, জল, কাচ) মধ্য দিয়ে যে বর্ণের আলো নির্গত হয়, বস্তুকে সেই বর্ণের মনে হয়। নীল কাচের ভিতর দিয়ে সাদা ফুলকে নীল দেখাবে। সাদা ফুল থেকে আগত সাতটি বর্ণের আলো নীল কাচে প্রবেশ করলে নীল কাচ নীল রং ব্যতীত সব আলো শোষণ করে নেবে এবং দর্শকের চোখে শুধুমাত্র নীল আলোই আসবে। তাই ফুলকে নীল দেখাবে।
17. পরিপূরক বর্ণ কাকে বলে?
উত্তর – সাদা আলোর বর্ণালির একদিকের কোনো বর্ণের সঙ্গে বিপরীত দিকের কোনো বর্ণ সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে যদি সাদা বর্ণ পাওয়া যায় তবে ওই দুটি বর্ণকে পরিপূরক বর্ণ বলে। যেমন—নীল ও হলুদ হল পরিপূরক বর্ণ।
18. সাদা জামাকাপড় কাচার পর নীল দেওয়া হয় কেন?
উত্তর – কয়েকবার কাচার পর সাদা জামাকাপড় কিছুটা হলদে দেখায়। তখন উপযুক্ত পরিমাণ নীল, জলে গুলে তাতে ওই জামাকাপড় ডোবালে হলদে ভাব কমে যায় এবং জামাকাপড় ধবধবে সাদা লাগে। এর কারণ নীল ও হলুদ পরস্পর পরিপূরক বর্ণ।
19. X -রশ্মির ব্যবহার লেখো।
উত্তর – X -রশ্মির কয়েকটি ব্যবহার হল— (1) হাড়ের গঠন জানার জন্য, (2) ক্যানসারের চিকিৎসায় (3) কেলাসিত পদার্থের গঠন জানার জন্য, (4) এয়ারপোর্টে সন্দেহজনক যাত্রীদের মালপত্র পরীক্ষা করতে X -রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
20. X -রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।
উত্তর – অতিরিক্ত X -রশ্মির প্রভাবে ক্যানসার, টিউমার ইত্যাদি প্রাণঘাতী রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণও বিঘ্নিত হতে পারে। মাতৃগর্ভে শিশুর ওপর X -রশ্মির প্রভাব খুবই ক্ষতিকর।
21. অতিবেগুনি রশ্মির ব্যবহার লেখো। 
উত্তর – অতিবেগুনি রশ্মির কয়েকটি ব্যবহার হল— (1) জীবাণুনাশক কাজে, (2) প্রাকৃতিক মূল্যবান রত্ন, ঘি প্রভৃতির বিশুদ্ধতা নির্ণয়ে, (3) ভিটামিন D উৎপাদনে, (4) ত্বকের কিছু সংক্রমণ, যেমন সোরিয়াসিস চিকিৎসায় অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
22. অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।
উত্তর – অতিরিক্ত অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে— (1) সানবার্ন, (2) ত্বকের ক্যানসার, (3) চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমনকি অন্ধত্বও দেখা দিতে পারে।
23. আলোর বিক্ষেপণ বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তুলনায় ছোটো কোনো ধূলিকণা বা গ্যাস অণুর ওপর আলোকরশ্মি আপতিত হলে ওই কণা আলোকতরঙ্গ থেকে শক্তি শোষণ করে এবং ওই শক্তিকে একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরঙ্গে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনাকে আলোর বিক্ষেপণ বলা হয়।
24. বিপদ সংকেত হিসেবে লাল আলো ব্যবহৃত হয় কেন?
উত্তর – দৃশ্যমান আলোকরশ্মিগুলির মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, ফলে লাল আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম হয়। তাই লাল আলো বায়ুমণ্ডল ভেদ করে বহুদূর চলে যেতে পারে। সুতরাং, কোনো বিপজ্জনক জায়গায় আসার অনেক আগেই গাড়ির চালক লাল আলো দেখে বিপদ সম্পর্কে সতর্ক হতে পারে।
25. গাড়ির কুয়াশাভেদী আলো হলুদ হয় কেন?
উত্তর – কুয়াশা দৃশ্যমান আলোকে চারিদিকে বিক্ষিপ্ত করে দেয়, তাই দূরের জিনিস দেখা যায় না। হলুদ বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় বিক্ষেপণ কম হয় এবং কুয়াশার মধ্য দিয়ে দেখতে সুবিধা হয়। তবে লাল আলোর বিক্ষেপণ আরও কম কিন্তু চোখ লাল অপেক্ষা হলুদ আলোতে বেশি সংবেদনশীল তাই গাড়ির কুয়াশাভেদী আলো (fog light) হলুদ বর্ণের হয়।
26. চাঁদের আকাশের রং কেমন দেখাতে পারে বলে তোমার ধারণা?
উত্তর – চাঁদে বায়ুমণ্ডলের অনুপস্থিতির জন্য চাঁদের আকাশ থেকে সূর্যালোকের বিক্ষেপণ হয় না। তাই চন্দ্রপৃষ্ঠে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকের চোখে কোনো বিক্ষেপিত আলো পৌঁছোয় না এবং চাঁদের আকাশ কালো দেখায়।
27. দিনের বেলায় পৃথিবীর আকাশ নীল দেখায় কেন?
উত্তর – সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসার পূর্বে অনেকটা পথ বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যায়। বায়ুমণ্ডলের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র ধূলিকণা, গ্যাসের অণু সূর্যালোকের বিক্ষেপণ ঘটায়। দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি বলে লাল আলোর বিক্ষেপণ কম হয় কিন্তু নীল বা বেগুনি বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এই আলোর বেশি বিক্ষেপণ হয় এবং চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের চোখ বেগুনি অপেক্ষা নীল আলোর জন্য বেশি সংবেদনশীল বলে আমরা আকাশকে নীল দেখি।
28. সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায় কেন?
উত্তর – সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের সময় সূর্য দিগন্তে থাকে, তাই সূর্যরশ্মিকে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে অনেকটা বেশি পথ অতিক্রম করে পৃথিবীতে পৌঁছোতে হয়। সূর্যালোকের সাতটি আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

1. সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মি—
(a) একবর্ণী
(b) দ্বিবর্ণী
(c) ত্রিবর্ণী
(d) বহুবর্ণী
উত্তর – (d) বহুবর্ণী
2. লাল, নীল, সবুজ ও হলুদ আলোর মধ্যে কোন্‌টির জন্য কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সবচেয়ে বেশি?
(a) লাল
(b) নীল
(c) সবুজ
(d) হলুদ
উত্তর – (b) নীল
3. লাল, নীল, সবুজ ও হলুদ আলোর মধ্যে কোন্‌টির জন্য কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সবচেয়ে কম?
(a) লাল
(b) নীল
(c) সবুজ
(d) হলুদ
উত্তর – (a) লাল
4. সাধারণভাবে প্রতিসরাঙ্ক বলতে কোন্ বর্ণের আলোর জন্য বোঝায়?
(a) লাল
(b) নীল
(c) সবুজ
(d) হলুদ
উত্তর – (d) হলুদ
5. সবুজ আলোর প্রতিসরাঙ্ক—
(a) লাল আলোর চেয়ে বেশি
(b) নীল আলোর চেয়ে বেশি
(c) বেগুনি আলোর চেয়ে বেশি
(d) হলুদ আলোর চেয়ে কম
উত্তর – (a) লাল আলোর চেয়ে বেশি
6. প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে যে বর্ণের বিচ্যুতি সর্বাধিক সেটি কোন্‌টি?
(a) লাল
(b) হলুদ
(c) বেগুনি
(d) সবুজ
উত্তর – (c) বেগুনি
7. প্রিজমের মধ্য দিয়ে সাদা আলোর প্রতিসরণে কোন্ বর্ণের আলোর চ্যুতি সর্বনিম্ন?
(a) লাল
(b) হলুদ
(c) সবুজ
(d) বেগুনি
উত্তর – (a) লাল
8. সাদা আলোর প্রিজমের মধ্য দিয়ে বিচ্ছুরণ হলে পর্দায় সবার ওপরে দেখা যায়—
(a) বেগুনি বর্ণ
(b) লাল বর্ণ
(c) হলুদ বর্ণ
(d) সবুজ বর্ণ
উত্তর – (b) লাল বর্ণ
9. সাদা আলোর প্রিজমের মধ্য দিয়ে বিচ্ছুরণ হলে পর্দায় সবার নীচে দেখা যায়—
(a) বেগুনি বর্ণ
(b) নীল বর্ণ
(c) লাল বর্ণ
(d) কমলা বর্ণ
উত্তর – (a) বেগুনি বর্ণ
10. কোন্ জোড়াটি সাদা আলোর বিশুদ্ধ বর্ণালির দুটি প্রান্তিক বর্ণ?
(a) লাল ও সবুজ
(b) বেগুনি ও কমলা
(c) নীল ও আকাশি
(d) লাল ও বেগুনি
উত্তর – (d) লাল ও বেগুনি
11. সবুজ রঙের একটি অস্বচ্ছ বস্তুকে কোন্ রঙের আলোয় দেখলে বস্তুটিকে সবুজই দেখাবে?
(a) লাল
(b) সবুজ
(c) নীল
(d) a এবং c
উত্তর – (b) সবুজ
12. যে রঙের আলোকে মধ্যবর্ণ বা মধ্য রশ্মি বলে তা হল-
(a) সবুজ
(b) লাল
(c) বেগুনি
(d) হলুদ
উত্তর – (d) হলুদ
13. বর্ণালি সৃষ্টির কারণ, আলোর-
(a) প্রতিফলন
(b) প্রতিসরণ
(c) বিচ্ছুরণ
(d) বিক্ষেপণ
উত্তর – (c) বিচ্ছুরণ
14. যখন একটি একবর্ণী আলো প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায় তখন সেটি বিভক্ত হয় —
(a) 3 টি বর্ণে
(b) 5 টি বর্ণে
(c) 7 টি বর্ণে
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (d) কোনোটিই নয়
15. কালো কাপড়—
(a) সব বর্ণের আলোকে প্রতিফলিত করে
(b) সব বর্ণের আলোকে শোষণ করে
(c) শুধুমাত্র লাল বর্ণের আলোকে শোষণ করে
(d) শুধুমাত্র হলুদ বর্ণের আলোকে প্রতিফলিত করে
উত্তর – (b) সব বর্ণের আলোকে শোষণ করে
16. নীল কাচের ওপর লাল কাচ রেখে ওপর থেকে দেখলে নীল কাচকে কোন্ রঙের মনে হবে?
(a) নীল
(b) লাল
(c) হলুদ
(d) কালো
উত্তর – (d) কালো
17. যে-কোনো মাধ্যমে আলোর বেগ শূন্যস্থানের চেয়ে-
(a) বেশি
(b) কম
(c) সমান
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (b) কম
18. আলোকরশ্মি বায়ু থেকে জলে প্রবেশ করলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য —
(a) বৃদ্ধি পায়
(b) হ্রাস পায়
(c) অপরিবর্তিত থাকে
(d) বৃদ্ধি পাবে বা হ্রাস পাবে তা আপতন কোণের ওপর নির্ভরশীল
উত্তর – (b) হ্রাস পায়
19. একটি আলোকরশ্মি লঘুতর মাধ্যম থেকে ঘনতর মাধ্যমে প্রবেশ করলে—
(a) বেগ বৃদ্ধি পায়
(b) কম্পাঙ্ক অপরিবর্তিত থাকে
(c) তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়
(d) প্রতিসরণ কোণ > আপতন কোণ হয়
উত্তর – (b) কম্পাঙ্ক অপরিবর্তিত থাকে
20. আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বাড়লে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক—
(a) বাড়ে
(b) কমে
(c) অপরিবর্তিত থাকে
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর – (b) কমে
21. 7000Å তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একটি আলোকরশ্মি কোনো মাধ্যমে প্রবেশ করলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য হয় 5000Å। ওই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক –
(a) 1.6
(b) 1.5
(c) 1.4
(d) 1.2
উত্তর – (b) 1.5
22. আলো একটি—
(a) চুম্বকীয় তরঙ্গ
(b) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
(c) অনুপ্রস্থ তরঙ্গ
(d) তির্যক তরঙ্গ
উত্তর – (d) তির্যক তরঙ্গ
23. বায়ুমণ্ডল না থাকলে মেঘমুক্ত আকাশকে কেমন দেখাত?
(a) নীল
(b) বেগুনি
(c) লাল
(d) কালো
উত্তর – (d) কালো
24. নীচের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গগুলির মধ্যে কোন্‌টির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?
(a) অতিবেগুনি রশ্মি
(b) দৃশ্যমান আলো
(c) মাইক্রো তরঙ্গ
(d) X -রশ্মি
উত্তর – (c) মাইক্রো তরঙ্গ
25. নীচের কোন্‌টির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?
(a) X -রশ্মি
(b) γ -রশ্মি
(c) অবলোহিত রশ্মি
(d) অতিবেগুনি রশ্মি
উত্তর – (c) অবলোহিত রশ্মি

একটি বা দুটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও

1. একবর্ণী আলোকরশ্মি কাকে বলে?
উত্তর – একটিমাত্র বর্ণ দ্বারা গঠিত আলোকরশ্মিকে একবর্ণী আলোকরশ্মি বলে।
2. লাল ও নীল বর্ণের আলোর জন্য কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক যথাক্রমে μrμb হলে কোন্‌টির মান বেশি?
উত্তর – এখানে μb > μr
3. শূন্যস্থানে লাল ও নীল বর্ণের বেগ একই না আলাদা?
উত্তর – শূন্যস্থানে লাল ও নীল বর্ণের বেগ একই।
4. প্রিজমের একটি প্রতিসারক তলে সাদা আলো আপতিত হলে কোন্ বর্ণের আলোর প্রতিসরণ কোণ সবচেয়ে বেশি হবে?
উত্তর – লাল আলোর প্রতিসরণ কোণ সবচেয়ে বেশি হবে।
5. প্রিজমের একটি প্রতিসারক তলে সাদা আলো আপতিত হলে কোন্ বর্ণের আলোর প্রতিসরণ কোণ সবচেয়ে কম হবে?
উত্তর – বেগুনি আলোর প্রতিসরণ কোণ সবচেয়ে কম হবে।
6. লাল ও বেগুনি আলোর মধ্যে কোন্‌টির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত বেশি?
উত্তর – লাল ও বেগুনি আলোর মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষাকৃত বেশি।
7. কোন্ মাধ্যমে আলোর বেগ সর্বাধিক?
উত্তর – শূন্যস্থানে আলোর বেগ সর্বাধিক।
8. শুদ্ধ বর্ণালি গঠনের সময় প্রিজমকে কোন্ বর্ণের আলোর ন্যূনতম চ্যুতির অবস্থানে বসানো হয়?
উত্তর – প্রিজমকে হলুদ বর্ণের আলোর ন্যূনতম চ্যুতির অবস্থানে বসানো হয়।
9. সাদা আলো একবর্ণী না বহুবর্ণী আলো?
উত্তর – সাদা আলো বহুবর্ণী আলো।
10. একটি লাল কাচের মধ্য দিয়ে চাঁদকে দেখলে কেমন দেখাবে?
উত্তর – একটি লাল কাচের মধ্য দিয়ে চাঁদকে দেখলে লাল দেখাবে।
11. শূন্যস্থানে আলোর বেগ কত?
উত্তর – শূন্যস্থানে আলোর বেগ 3 × 108 m/s
12. তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালির কোন্‌টির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম (বা কম্পাঙ্ক সবচেয়ে বেশি)?
উত্তর – তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালির γ -রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম (বা কম্পাঙ্ক সবচেয়ে বেশি)।
13. তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালির কোন্‌টির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি (বা কম্পাঙ্ক সবচেয়ে কম)?
উত্তর – তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালির রেডিয়ো তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি (বা কম্পাঙ্ক সবচেয়ে কম)।
14. কত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো দর্শনের অনুভূতি জাগায় ?
উত্তর – 4000 Å থেকে 8000 Å তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো চোখে দর্শনের অনুভূতি জাগায়।
15. কোনো মাধ্যমে আলোকতরঙ্গের বেগ আলোর কম্পাঙ্কের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত? 
উত্তর – কোনো আলোকতরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য λ, কোনো মাধ্যমে ওই আলোর কম্পাঙ্ক v হলে ওই মাধ্যমে আলোর বেগ, v = vλ |
16. অবলোহিত রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষা হ্রস্ব না দীর্ঘ?
উত্তর – অবলোহিত রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অপেক্ষা দীর্ঘ।
17. সাদা আলোর বর্ণালিতে কোন্ আলোর চ্যুতি সবচেয়ে কম হয়?
উত্তর – সাদা আলোর বর্ণালিতে লাল বর্ণের আলোর চ্যুতি সবচেয়ে কম হয়।
18. কাচের তৈরি প্রিজমকে জলে নিমজ্জিত করলে কি. সাদা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারবে?
উত্তর – হ্যাঁ, প্রিজমকে জলে নিমজ্জিত করলেও সাদা আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারবে।
19. রংধনু যখন গঠিত হয় তখন সূর্য কোন্‌দিকে থাকে?
উত্তর – আকাশে যখন রংধনু গঠিত হয় তখন সূর্য থাকে আকাশের রংধনুর উলটোদিকে।
20. আলোকের বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও।
উত্তর – আলোকের বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ হল রংধনু।
21. দিনের বেলায় আকাশ নীল দেখায় আলোর কোন ধর্মের জন্য ?
উত্তর – দিনের বেলায় আকাশ নীল দেখায় আলোর বিক্ষেপণের জন্য।
22. দৃশ্যমান আলোর মধ্যে কোন্ আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি?
উত্তর – দৃশ্যমান আলোর মধ্যে বেগুনি বর্ণের আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
23. বিপদ সংকেত হিসেবে কোন্ বর্ণের আলো ব্যবহৃত হয়?
উত্তর – বিপদ সংকেত হিসেবে লাল আলো ব্যবহৃত হয়।
24. দৃশ্যমান আলোর মধ্যে কোন্ আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম?
উত্তর – দৃশ্যমান আলোর মধ্যে লাল আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক হলুদ আলোর চেয়ে লাল আলোর জন্য ………..।
উত্তর – কম
2. লাল ও বেগুনি বর্ণের দুটি আলোকরশ্মি বায়ু থেকে কাচে একই কোণে আপতিত হলে যদি আলো দুটির জন্য প্রতিসরণ কোণ যথাক্রমে rRrV হলে ………. > ………..।
উত্তর – rR , rV
3. সবুজ পাতায় সূর্যালোক আপতিত হলে ……… আলো ছাড়া সব আলো পাতা শোষণ করে।
উত্তর – সবুজ
4. সূর্যের আলোয় লাল ও নীল কাচের প্লেটকে একসঙ্গে রাখলে সূর্যকে ……… দেখায়।
উত্তর – কালো
5. …….. , নীল, ………. হল মৌলিক বর্ণ।
উত্তর – লাল, সবুজ
6. প্রিজমে আলোর বিচ্ছুরণে ওপর থেকে দুই নম্বরে থাকে ……… আলো।
উত্তর – কমলা
7. প্রিজম বর্ণ সৃষ্টি ………..।
উত্তর – করে না
৪. কোনো নির্দিষ্ট স্বচ্ছ মাধ্যমে (শূন্যস্থান ব্যতীত) সব বর্ণের আলোর বেগ ………..।
উত্তর – বিভিন্ন
9. প্রাকৃতিক বর্ণালির উদাহরণ হল ………..।
উত্তর – রংধনু
10. X-রশ্মির চেয়ে Y -রশ্মির শক্তি ………..।
উত্তর – বেশি
11. রেডিয়ো তরঙ্গের তুলনায় মাইক্রো তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ………..।
উত্তর – কম
12. কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর বিক্ষেপণ ………. হয়।
উত্তর – বেশি
13. বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোর বিক্ষেপণ ……… হয়।
উত্তর –  কম
14. মাইক্রোওয়েভের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ইনফ্রারেডের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তুলনায় ………..।
উত্তর –  বেশি
15. কেলাসিত পদার্থের গঠন জানার জন্য ব্যবহৃত হয় ……… রশ্মি।
উত্তর –  X
16. রেডিয়ো থেরাপিতে ক্যানসার কোশ ধ্বংস করার কাজে ব্যবহৃত হয় ………. রশ্মি।
উত্তর –  γ
17. বিচ্ছুরণের জন্য আলোর ……….. দায়ী।
উত্তর –  প্রতিসরণ

The Complete Educational Website

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *