WBBSE 10th Class Science Solutions Biology Chapter 5 পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (TOPIC 1 নাইট্রোজেন চক্র)
West Bengal Board 10th Class Science Solutions Biology Chapter 5 পরিবেশ, তার সম্পদ এবং তাদের সংরক্ষণ (TOPIC 1 নাইট্রোজেন চক্র)
West Bengal Board 10th Biology Solutions
TOPIC 1 নাইট্রোজেন চক্র
বিষয়সংক্ষেপ
- আমাদের আশেপাশের সজীব ও জড় উপাদান নিয়ে তৈরি হয় পরিবেশ।
- পরিবেশের জড় উপাদানগুলির মধ্য নাইট্রোজেন গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুর 78.09% হল নাইট্রোজেন। নাইট্রোজেন ও অন্যান্য মৌলগুলি চক্রাকারে পরিবেশ ও জীবদেহে আবর্তিত হয়। একে বলা হয় পরিপোষক চক্র বা জৈব-ভূরাসায়নিক চক্র।
- নাইট্রোজেনের চক্রাকার আবর্তন বা নাইট্রোজেন চক্রের মূল ধাপগুলি হল—নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ, মাটি থেকে নাইট্রোজেনের জীবদেহে প্রবেশ, অ্যামোনিফিকেশন ও নাইট্রিফিকেশন পদ্ধতিতে জীবদেহ থেকে মাটিতে নাইট্রোজেনের পুনঃপ্রবেশ এবং ডিনাইট্রিফিকেশন বা নাইট্রোজেনের মুক্তি।
- নাইট্রোজেন মাটিতে নানাভাবে নাইট্রোজেন-ঘটিত যৌগরূপে আবদ্ধ হয়। যেমন—বজ্রপাত-জাতীয় প্রাকৃতিক পদ্ধতি, স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম), সায়ানোব্যাকটেরিয়া, Nostoc (নস্টক) প্রভৃতি জীবজ পদ্ধতিতে নাইট্রোজেনের আবদ্ধ-করণ ঘটায়। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্প পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন অন্য যৌগে পরিণত হয় ও মাটিতে আবদ্ধ হয়।
- অ্যামোনিফিকেশন পদ্ধতিতে জীবাণুর Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস) দ্বারা জীবের রেচন পদার্থ ও মৃতদেহ থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন প্রবেশ করে । পরিবেশের অ্যামোনিয়া ব্যাকটেরিয়ার Nitrosomonus (নাইট্রোসোমোনাস) ক্রিয়ায় নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে পরিণত হয়, একে বলে নাইট্রিফিকেশন। মাটির নাইট্রোজেন বা নাইট্রোজেন-ঘটিত যৌগ ব্যাকটেরিয়ার Pseudomonas denitrificans (সিউডোমোনাস ডিনাইট্রিফিক্যানস) ক্রিয়ায় বায়ুতে মুক্ত হয়, একে বলে ডিনাইট্রিফিকেশন।
- মানুষের নানা ক্রিয়াকলাপ পরিবেশের নাইট্রোজেন চক্রের ক্ষতিসাধন করে। জীবাশ্ম জ্বালানির দহন ও নাইট্রোজেন সার ব্যবহার N2O, বৃদ্ধি করে। এটি একটি গ্রিনহাউস গ্যাস। আবার NO গ্যাসটির ঘনত্ব বাড়ায় গাড়ির থেকে নির্গত ধোঁয়া। নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলি অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায়, ফলে জলের অম্লীকরণ ঘটে।
বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর
1. একটি রেখাচিত্রের বা পর্যায়চিত্রের মাধ্যমে নাইট্রোজেন চক্রের বর্ণনা দাও।
অথবা, নাইট্রোজেন চক্রের ধাপগুলি একটি পর্যায় চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – নাইট্রোজেন চক্র: বাতাসে নাইট্রোজেনের পরিমাণ শতকরা 78.09 ভাগ। এ ছাড়াও মাটির মধ্যে নাইট্রেট, নাইট্রাইট এবং অন্য যৌগ হিসেবে নাইট্রোজেন আবদ্ধ থাকে। প্রকৃতির নাইট্রোজেন চক্র যে পর্যায়ে হয়, সেগুলি হল—নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ বা আবদ্ধকরণ, মাটির নাইট্রোজেন জীবদেহে প্রবেশ, জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ এবং নাইট্রোজেনের মুক্তি।
- নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ বা আবদ্ধকরণ: যে পদ্ধতিতে বায়ুর নাইট্রোজেন মাটিতে মেশে এবং নাইট্রোজেনঘটিত যৌগে পরিণত হয়, তাকে নাইট্রোজেন সংযোজন বা স্থিতিকরণ বা আবদ্ধকরণ বলে। এই স্থিতিকরণ প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে ঘটে থাকে। এগুলি হল— [i] প্রাকৃতিক আবদ্ধকরণ: বজ্রপাত ও অগ্ন্যুৎপাতের সময়ে বাতাসের নাইট্রোজেন গ্যাস অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) গঠন করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয় ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2) গঠন করে। নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রাস অ্যাসিড (HNO2) ও নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) -এ পরিণত হয় এবং তা মাটিতে নেমে আসে।
N2 + O2 → 2NO; 2NO + O2 → 2NO2;
2NO2 + H2O → HNO2 + HNO3
এই দু-প্রকার অ্যাসিড মাটির ধাতব লবণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাইট্রেট যৌগ (পটাশিয়াম নাইট্রেট, ক্যালশিয়াম নাইট্রেট প্রভৃতি) গঠন করে। [ii] জীবজ আবদ্ধকরণ: [a] বিভিন্নপ্রকার অণুজীব, যেমন—Azotobacter (অ্যাজোটোব্যাকটর), Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম) প্রভৃতি, বাতাসের মুক্ত নাইট্রোজেনকে নিজদেহে আবদ্ধ করে। মৃত্যুর পরে এদের দেহের নাইট্রোজেনঘটিত যৌগগুলি মাটিতে মিশে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া বলে। [b] বিভিন্ন প্রকার নীলাভ-সবুজ শৈবাল সরাসরি বাতাসের নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে মাটির নাইট্রোজেন যৌগের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যেমন— Anabaena (অ্যানাবিনা), Nostoc (নস্টক) ইত্যাদি। [c] মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া, যেমন— Rhizobium (রাইজোবিয়াম) ছোলা, মটর প্রভৃতি শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে অর্বুদ (nodule) গঠন করে বসবাস করে এবং বায়ু থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন শোষণ করে নানাপ্রকার নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ উৎপাদন করে। এইসব ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যুর পরে তাদের দেহের নাইট্রোজেনঘটিত যৌগগুলি মাটিতে মিশে যায় ও নাইট্রোজেনের আবদ্ধকরণ ঘটে।

[iii] শিল্পজাত আবদ্ধকরণ: কলকারখানায় বিভিন্ন ধরনের নাইট্রোজেন-সমৃদ্ধ সার তৈরি হয়। যেমন—হ্যাবার বস (Haber-Bosch) পদ্ধতিতে 300-400°C তাপমাত্রায় এবং 35-100 MPa চাপে (MPa = মেগাপাসকাল, চাপের মেট্রিক বা SI একক) N
2 ও H
2 যুক্ত হয়ে NH
3 উৎপন্ন হয়। NH
3 ও অন্যান্য N
2 -যুক্ত সার প্রয়োগের ফলে মাটিতে নাইট্রোজেন সংবন্ধন ঘটে।

-
মাটির নাইট্রোজেন জীবদেহে প্রবেশ: উদ্ভিদ, মাটিতে আবদ্ধ নাইট্রোজেনঘটিত লবণ শোষণ করে এবং নিজদেহের চাহিদাপূরণ করে। এই নাইট্রোজেন উদ্ভিদদেহে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনরূপে অবস্থান করে। প্রাণীরা খাদ্যের মাধ্যমে তা গ্রহণ করে নিজদেহে প্রবেশ করায় এবং প্রাণীদেহে প্রাণীজ প্রোটিনরূপে অবস্থান করে।
- জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ: জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ ঘটে দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে। এই পদ্ধতি দুটি হল—[i] অ্যামোনিফিকেশন: উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ এবং প্রাণীর নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থ বিভিন্ন বিয়োজক দ্বারা বিয়োজিত হয়ে মাটিতে নাইট্রোজেনঘটিত যৌগের পরিমাণ বাড়ায়। এরপর এই যৌগগুলি অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস) ও Micrococcus (মাইক্রোকক্কাস)-র দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয়ে যে প্রক্রিয়ায় অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয়, তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে। [ii] নাইট্রিফিকেশন: মাটির অ্যামোনিয়া বিভিন্নপ্রকার নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয়ে নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে পরিণত হয়, যে প্রক্রিয়ায় তাকে নাইট্রিফিকেশন বলে। নাইট্রিফিকেশনে অংশগ্রহণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে অ্যামোনিয়া বা অ্যামোনিয়াম আয়নগুলি মাটিতে Nitrosomonus (নাইট্রোসোমোনাস) নামক ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় নাইট্রাইট যৌগে পরিণত হয় (নাইট্রাইটেশন)। তারপর মাটিতে বসবাসকারী Nitrobacter (নাইট্রোব্যাকটর) নামক ব্যাকটেরিয়া নাইট্রাইট যৌগকে নাইট্রেটে পরিণত করে (নাইট্রেটেশন)।
- নাইট্রোজেনের মুক্তি বা মোচন বা ডিনাইট্রিফিকেশন: যে প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকাস্থিত নাইট্রাইট ও নাইট্রেট যৌগ থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে, তাকে ডিনাইট্রিফিকেশন বা নাইট্রোজেন মোচন বলে। এতে সাহায্য করে Thiobacillus (থায়োব্যাসিলাস), Pseudomonas (সিউডোমোনাস) ‘ইত্যাদি ডিনাইটিফাইং ব্যাকটেরিয়া।
[Note: N2 চক্রের প্রতিটি ধাপ পৃথক প্রশ্ন হিসেবে আসতে পারে।]
2. নাইট্রোজেন চক্রে, বায়ুর N2 অণুজীব দ্বারা কীভাবে আবদ্ধ হয় তা আলোচনা করো।
উত্তর – বায়ুর নাইট্রোজেন অণুজীব দ্বারা আবদ্ধকরণ: কিছুকিছু অণুজীব বায়ুর নাইট্রোজেনকে, নাইট্রোজেনঘটিত যৌগে রূপান্তরিত করে মাটিতে আবদ্ধ করে। অণুজীব দ্বারা নাইট্রোজেন স্থিতিকরণকে জীবজ আবদ্ধ-করণ বলে। দুই ধরনের অণুজীব দ্বারা এই পদ্ধতিটি সম্পন্ন হয়। এখানে সেগুলি আলোচনা করা হল।
- স্বাধীনজীবী অণুজীব দ্বারা আবদ্ধকরণ: কিছু স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া, যেমন—Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম), Azotobacter (অ্যাজোটোব্যাকটর) প্রভৃতি ও Nostoc (নস্টক), Anabaena (অ্যানাবিনা) প্রভৃতি সায়ানোব্যাকটেরিয়া (নীলাভ-সবুজ শৈবাল) বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে নাইট্রোজেন-ঘটিত যৌগ গঠন করে। এদের মৃত্যুর পরে নাইট্রোজেনঘটিত যৌগগুলি মাটিতে মিশে যায়।
- মিথোজীবী অণুজীব দ্বারা আবদ্ধকরণ: ছোলা, মশুর, সিম প্রভৃতি শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে যে অর্বুদ বা নডিউল থাকে, তাতে Rhizobium (রাইজোবিয়াম) নামক অ্যাজোটোব্যাকটর ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে।
এই ব্যাকটেরিয়া বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন শোষণ করে, তার কিছুটা ভাগ আশ্রয়দাতা উদ্ভিদকে সরবরাহ করে তাকে সাহায্য করে ও বাকি অংশ নিজের দেহে সঞ্চিত রেখে পরবর্তীকালে ব্যবহার করে। ব্যাকটেরিয়া ও উদ্ভিদটির মৃত্যুর পরে তাদের দেহের নাইট্রোজেন যৌগ মাটিতে মিশে যায়।
3. মানব ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নাইট্রোজেন চক্রকে প্রভাবিত করে এবং মানব ক্রিয়াকলাপে মুক্ত অধিক নাইট্রোজেনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করো।
অংশ প্রশ্ন, নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হওয়ার ফলে যেসব ঘটনা ঘটছে তার যে-কোনো প্রধান তিনটি ঘটনা ব্যাখ্যা করো।
অংশ প্রশ্ন, “মানুষের ক্রিয়াকলাপের ফলে নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হচ্ছে”—দুটি ঘটনা উল্লেখ করে এর যথার্থতা প্রমাণ করো।
অথবা, ‘মানব ক্রিয়াকলাপের ফলে নাইট্রোজেন চক্র ব্যাহত হচ্ছে’ —ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – নাইট্রোজেন চক্রে প্রভাব সৃষ্টিকারী মানব ক্রিয়াকলাপ
- নাইট্রোজেন সারের ব্যবহার: জমির ফসল বৃদ্ধির জন্য জমিতে নাইট্রোজেন (নাইট্রেট, N-P-K সার প্রভৃতি) সার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পরিবেশে N2O, NO2 প্রভৃতি গ্যাসগুলির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
- নাইট্রোজেন স্থিতিকারী উদ্ভিদচাষ: শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদ, যেমন—বিন, টর, ডাল, বাদাম, ছোলা, রাজমা, সয়াবিন প্রভৃতি কৃষিজ উদ্ভিদগুলি প্রোটিনের জোগানদার বলে তাদের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বায়ুর নাইট্রোজেন অধিকমাত্রায় মাটিতে আবদ্ধ হচ্ছে।
- জীবাশ্ম জ্বালানির দহন: খনিজ তেল, কয়লার দহনে নাইট্রিক অক্সাইড (NO), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2) গ্যাসের মুক্তি ঘটে। ফলে পরিবেশে নাইট্রোজেনের জোগান বৃদ্ধি পায়।
মানব ক্রিয়াকলাপে মুক্ত অধিক নাইট্রোজেনের ক্ষতিকর প্রভাব
অতিরিক্ত নাইট্রোজেনের প্রভাবে পরিবেশের প্রদত্ত ক্ষতিকর পরিবর্তনগুলি ঘটে থাকে।
- বিশ্ব উন্নায়ন: নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাসটি তাপশোষী গ্রিনহাউস গ্যাস বা সূর্যালোকের প্রতিফলনে সৃষ্ট অবলোহিত আলো বা উত্তাপ শোষণ করে গ্রিনহাউস প্রভাব তথা বিশ্ব উয়ায়ন ঘটায়।
- আলোক-রাসায়নিক ধোঁয়াশা বা ফোটোকেমিকাল স্বাগ: পেট্রোলিয়াম দহনজাত নাইট্রিক অক্সাইড, হাইড্রোকার্বন ও আলোকের উপস্থিতিতে PAN (পারঅক্সি-অ্যাসিটাইল নাইট্রেট) উৎপন্ন করে যা আলোক-রাসায়নিক ধোঁয়াশা উৎপন্ন করে। এটি দৃশ্যদূষণ ও শ্বাসনালীর প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি সমস্যা সৃষ্টি করে।
- অম্লীকরণ: নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলি বৃষ্টির জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে, যা অম্লবৃষ্টির অন্যতম উপাদান। অম্লবৃষ্টি জলজ জীব ও উদ্ভিদ ধ্বংস করে নদী, হ্রদ, পুকুর প্রভৃতির বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য বিনষ্ট করে। এ ছাড়া অম্লবৃষ্টির প্রভাবে বনজ সম্পদের বিনাশ, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
4. নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে? নাইট্রোজেন চক্রের যে-কোনো তিনটি ধাপে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর – নাইট্রোজেন চক্র: যে সুনির্দিষ্ট চক্রাকার পথে পরিবেশ থেকে নাইট্রোজেন জীবদেহে প্রবেশ করে ও দেহ থেকে আবার পরিবেশে ফিরে এসে পরিবেশে নাইট্রোজেনের সাম্য বজায় রাখে, তাকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।
নাইট্রোজেন চক্রে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা: নাইট্রোজেন চক্রের বিভিন্ন ধাপে ব্যাকটেরিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। এর মধ্যে কয়েকটির কথা এখানে উল্লেখ করা হল।
- জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ: জীবদেহ থেকে নাইট্রোজেনের মাটিতে পুনঃপ্রবেশ ঘটে দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে। এই পদ্ধতি দুটি হল—[i] অ্যামোনিফিকেশন: উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ এবং প্রাণীর নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থ বিভিন্ন বিয়োজক দ্বারা বিয়োজিত হয়ে মাটিতে নাইট্রোজেনঘটিত যৌগের পরিমাণ বাড়ায়। এরপর এই যৌগগুলি অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস) ও Micrococcus (মাইক্রোকক্কাস)-র দ্বারা বিশিষ্ট হয়ে যে প্রক্রিয়ায় অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয়, তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে। [ii] নাইট্রিফিকেশন: মাটির অ্যামোনিয়া বিভিন্নপ্রকার নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা বিশ্লিষ্ট হয়ে নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে পরিণত হয় যে প্রক্রিয়ায়, তাকে নাইট্রিফিকেশন বলে। নাইট্রিফিকেশনে অংশগ্রহণকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে অ্যামোনিয়া বা অ্যামোনিয়াম আয়নগুলি মাটিতে Nitrosomonas (নাইট্রোসোমোনাস) নামক ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় নাইট্রাইট যৌগে পরিণত হয় (নাইট্রাইটেশন)। তারপর মাটিতে বসবাসকারী Nitrobacter (নাইট্রোব্যাকটর) নামক ব্যাকটেরিয়া নাইট্রাইট যৌগকে নাইট্রেটে পরিণত করে (নাইট্রেটেশন)।
- নাইট্রোজেনের মুক্তি বা মোচন বা ডিনাইট্রিফিকেশন: যে প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকাস্থিত নাইট্রাইট ও নাইট্রেট যৌগ থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়ে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে, তাকে ডিনাইট্রিফিকেশন বা নাইট্রাজেন মোচন বলে। এতে সাহায্য করে (থায়োব্যাসিলাস), Pseudomonas (সিউডোমোনাস) ইত্যাদি ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. জৈব-ভূরাসায়নিক চক্র কাকে বলে?
উত্তর – যে চক্রাকার পথে জীবদেহের গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলগুলি (C, H, O, N, P, S, Ca) পরিবেশ থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পরিবেশে আবর্তিত হয়, তাকে জৈব-ভূরাসায়নিক চক্র বলে। প্রকৃতির জৈব-ভূরাসায়নিক চক্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল নাইট্রোজেন চক্র।
2. ব্যবহৃত হলেও পরিবেশের মৌলিক উপাদানগুলির ঘাটতি না হওয়ার কারণ কী?
উত্তর – জীব পরিবেশ থেকে অনবরত বিভিন্নপ্রকার মৌলিক উপাদান গ্রহণ করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিবেশে ওইসব উপাদানগুলির ঘাটতি হয় না, তার প্রধান কারণ- (1) জীব পরিবেশের কোনো মৌলিক উপাদানই স্থায়ীভাবে অপসারিত করে না। এ ছাড়া উপাদানগুলি অনির্দিষ্টকাল ধরে আবদ্ধ করেও রাখে না। (2) জীব পরিবেশ থেকে যেসব মৌলিক উপাদান গ্রহণ করে তা রেচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অথবা মৃত্যুর পরে পচনের মাধ্যমে পুনরায় পরিবেশে ফিরিয়ে দেয়।
3. পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পাতাগুলি বিভিন্নভাবে রূপান্তরিত হয় কেন?
উত্তর – পতঙ্গভুক মাংসাশী উদ্ভিদেরা যে মাটিতে জন্মায়, সেখানে নাইট্রোজেনের ঘাটতি দেখা যায়। নাইট্রোজেনের চাহিদা মেটানোর জন্য এরা পতঙ্গ ধরে। সেইজন্য এই উদ্ভিদের পাতাগুলি বিভিন্নভাবে রূপান্তরিত হয়। এরা প্রোটিনভঙ্গক উৎসেচকের সাহায্যে প্রাণীজ প্রোটিনকে ভেঙে সরলতর করে যা উদ্ভিদ দ্বারা শোষিত হয়। যেমন—কলসপত্রী, সূর্যশিশির প্রভৃতি।
4. নাইট্রোজেন সংবন্ধন বা সংযোজন বা স্থিতিকরণ কাকে বলে ?
উত্তর – বায়ুর নাইট্রোজেন যে সকল পদ্ধতিতে মাটিতে মেশে এবং নাইট্রোজেনঘটিত যৌগে পরিণত হয়, সেই পদ্ধতিগুলিকে একত্রে নাইট্রোজেন সংবন্ধন বা সংযোজন বা স্থিতিকরণ বলে।
5. বজ্রপাতের সঙ্গে নাইট্রোজেন চক্রের সম্পর্ক কী?
অথবা, নাইট্রোজেনের প্রাকৃতিক আবদ্ধকরণ বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – বজ্রপাতের সময়ে বাতাসের নাইট্রোজেন গ্যাস অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইড (NO) ও নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2) গঠন করে। এই NO2 বৃষ্টির জলে নাইট্রাস অ্যাসিড (HNO2) বা নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) রূপে মিশে মাটিতে নেমে আসে। এভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ ঘটে।
N2 + O2 → 2NO, 2NO + O2 → 2NO2
6. নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে কী তৈরি করে?
অথবা, নাইট্রোজেন চক্রে অ্যাসিড সৃষ্টির ভূমিকা কী ?
উত্তর – নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে নাইট্রাস অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড-এ পরিণত হয় ও অ্যাসিড বৃষ্টির উপাদানরূপে পৃথিবীপৃষ্ঠে নেমে আসে। এর ফলে মাটি, নদী ও সমুদ্রের অম্লীকরণ ঘটে।।
2NO2 + H2O → HNO2 + HNO3
7. জীবজ নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ বলতে কী বোঝ ?
উত্তর – নীলাভ-সবুজ শৈবাল বা সায়ানোব্যাকটেরিয়া এবং কিছু বিশেষ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া, বাতাসের নাইট্রোজেনকে বিশেষ উৎসেচক, নাইট্রোজিনেজ-এর সাহায্যে বিজারিত করে অ্যামোনিয়ায় পরিণত করে এবং প্রোটোপ্লাজমে অঙ্গীভূত করে। একে জীবজ নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ (biological nitrogen fixation) বলে।
8. মাটির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধিতে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা কী?
উত্তর – রাইজোবিয়াম, ক্লসট্রিডিয়াম প্রভৃতি ব্যাকটেরিয়া বায়ুর মুক্ত N2 -কে বিভিন্ন যৌগে পরিণত করে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ তথা জমির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি করে। মাটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন অণুজীবেরা বিয়োজনের মাধ্যমে জৈববস্তু (হিউমাস) গঠন করে, যা মাটির মৌলের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে ও মাটির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধি করে।
9. নাইট্রোজেন চক্রে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা কী?
উত্তর – নাইট্রোজেন চক্রে ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ব্যাকটেরিয়া পরিবেশ থেকে মুক্ত নাইট্রোজেন সংবন্ধন করে মাটিতে নাইট্রাইটরূপে আবদ্ধ করে। পরে অন্য কিছু ব্যাকটেরিয়া মাটির নাইট্রাইটকে জারিত করে নাইট্রেটে পরিণত করে। নাইট্রোজেন চক্রের অন্তিম পর্যায়ে, মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহকে বিশ্লিষ্ট করে ব্যাকটেরিয়া বিভিন্নপ্রকার মৌলিক উপাদান পরিবেশে মুক্ত করে।
10. মুক্তজীবী ডাইঅ্যাজোট্রফ বা মুক্ত নাইট্রোজেন আবদ্ধকারী জীবাণুর নাম লেখো।
উত্তর – (1) অবায়ুজীবী নাইট্রোজেন আবদ্ধকারী জীবাণু: মাটিতে থাকা Clostridium (ক্লস্ট্রিডিয়াম), কাদায় থাকা Methanococcus (মিথেনোকক্কাস) নামক আর্কিয়া, সমুদ্রের তলদেশে থাকা Desulfovibrio (ডিসালফোভিব্রিও)।
(2)বায়ুজীবী নাইট্রোজেন আবদ্ধকারী জীবাণু: Azotobacter vinelandii (অ্যাজোটোব্যাকটার ভাইনল্যানডি)।
(3) অক্সিজেন উৎপাদনকারী সালোকসংশ্লেষকারী জীবাণু: এরা সালোকসংশ্লেষ করলেও নাইট্রোজেন আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়। যেমন—Anabaena cylindrica (অ্যানাবিনা সিলিনড্রিকা), Nostoc commune (নস্টক কমিউন) প্রভৃতি নীলাভ সবুজ শৈবাল, Plectonema (প্লেকটোনিমা)।
11. লেগহিমোগ্লোবিন কী ? এর গুরুত্ব কী?
অনুরূপ প্রশ্ন, লেগ হিমোগ্লোবিন কোথায় থাকে?
উত্তর – লেগহিমোগ্লোবিন: লেগহিমোগ্লোবিন হল শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী অর্বুদে উপস্থিত গোলাপি বর্ণের রঙ্গক পদার্থ, যা রাসায়ানিকভাবে হিমোগ্লোবিন সদৃশ।
গুরুত্ব: এই রঙ্গকটি অর্বুদ, ব্যাকটেরয়েড এবং তার চারাপাশের পোষক কোশের কোশপর্দার মধ্যবর্তী স্থানে থাকে। এই রঙ্গকটি হল অক্সিজেন গ্রাহক, যা মুক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে।
12. অ্যামোনিফিকেশন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – অ্যামোনিফিকেশন: যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন জীবাণুর দ্বারা উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ অথবা প্রাণীর নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ অ্যামোনিয়ায় রূপান্তরিত হয়, তাকে অ্যামোনিফিকেশন বলে।
উদাহরণ: Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস) এবং Micrococcous (মাইক্রোকক্কাস) প্রভৃতি অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া এই পদ্ধতি সম্পন্ন হতে সাহায্য করে।
13. নাইট্রিফিকেশন কাকে বলে ?
উত্তর – যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন জীবাণুর দ্বারা মৃত্তিকাস্থিত অ্যামোনিয়া, নাইট্রাইটে ও তারপর নাইট্রেটে রূপান্তরিত হয়, তাকে নাইট্রিফিকেশন বলে। বিভিন্ন নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া, যেমন—Nitrosomonas (নাইট্রোসোমোনাস) এবং Nitrobacter (নাইট্রোব্যাকটর) এই পদ্ধতিটি সম্পন্ন করে।
14. নাইট্রিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা কী?
উত্তর – বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ এবং বর্জ্য পদার্থে উপস্থিত নাইট্রোজেন অ্যামোনিয়ায় পরিণত হয়। Nitrosomonas (নাইট্রোসোমোনাস) নামক ব্যাকটেরিয়া অ্যামোনিয়াকে জারিত করে নাইট্রাইটে পরিণত করে। পরে Nitrobacter (নাইট্রোব্যাকটর) নামক ব্যাকটেরিয়া মাটির নাইট্রাইটকে জারিত করে নাইট্রেটে পরিণত করে। এইভাবে ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে নাইট্রোজেন মাটিতে আবদ্ধ হয়।
15. নাইট্রিফিকেশনের জন্য দায়ী জীবাণুগুলির নাম লেখো।
উত্তর – (1) অ্যামোনিয়া থেকে নাইট্রাইট তৈরি: [i] ব্যাকটেরিয়া: Nitrosomonas (নাইট্রোসোমোনাস), Nitrosococcus (নাইট্রোসোকক্কাস)। [ii] আর্কিয়া: Nitrosopumilus (নাইট্রোসোপিউমিলাস), Nitrososphaera (নাইট্রোসোস্ফেরা)।
(2) নাইট্রাইট থেকে নাইট্রেট তৈরি: Nitrobacteria (নাইট্রোব্যাকটেরিয়া), Nitrospira (নাইট্রোস্পাইরা) নামক ব্যাকটেরিয়া।
16. ডিনাইট্রিফিকেশন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – ডিনাইট্রিফিকেশন: যে পদ্ধতিতে, জীবাণুর দ্বারা নাইট্রেট বা অন্য নাইট্রোজেন-ঘটিত যৌগ ভেঙে গিয়ে পুনরায় নাইট্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং তা পুনরায় বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়, তাকে ডিনাইট্রিফিকেশন বলে।
উদাহরণ: Pseudomonas (সিউডোমোনাস), Thiobacillus (থায়োব্যাসিলাস) প্রভৃতি ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া এই পদ্ধতি সম্পন্ন হতে সাহায্য করে।
17. নাইট্রোজেন চক্রের গুরুত্ব কী ?
উত্তর – (1) নাইট্রোজেন চক্রের মাধ্যমে পরিবেশে নাইট্রোজেনের ভারসাম্য রক্ষিত হয়। (2) জীবদেহের কোশ গঠনের জন্য যে নাইট্রোজেনের প্রয়োজন হয়, তা নাইট্রোজেন চক্রের দ্বারা জীবদেহে পরিবাহিত হয়। ফলে জীবজগতের অস্তিত্ব বজায় থাকে।
18. নাইট্রোজেন চক্রকে মানুষের কোন্ ক্রিয়াকলাপ প্রভাবিত করে ?
উত্তর – (1) জমিতে ব্যবহৃত নাইট্রোজেন সার শিম্বজাতীয় উদ্ভিদ চাষে অর্বুদ গঠন দ্বারা মাটিতে নাইট্রোজেন মাত্রা প্রভূত বৃদ্ধি পায়। (2) কয়লা, তেল প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে মুক্ত NO2 কালক্রমে বাতাসে নাইট্রোজেন গ্যাস মুক্ত করে। (3) অটোমোবাইল নির্গত নাইট্রোজেন অক্সাইডগুলি অ্যাসিড বৃষ্টির মতো ক্ষতিকর ঘটনা ঘটায়।
19. মানুষের ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নাইট্রোজেন চক্র তথা পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে?
অনুরূপ প্রশ্ন, অতিরিক্ত নাইট্রোজেনের প্রভাবে পরিবেশে দুটি ক্ষতিকর পরিবর্তন সম্পের্ক লেখো।
উত্তর – (1) জীবাশ্ম জ্বালানি ও নাইট্রোজেন সার-জাত নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) একটি গ্রিনহাউস গ্যাস। এটি বায়ুর উন্নতা বৃদ্ধি করে বিশ্ব উন্নায়ন ঘটিয়ে থাকে।
(2) অটোমোবাইল-জাত নাইট্রিক অক্সাইড (NO) আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে, এটি একটি পরিবেশদূষক যা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে।
(3) নাইট্রোজেনের অক্সাইডগুলি অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায়, ফলে বাস্তুতন্ত্র, স্মৃতিসৌধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
1. প্রোটিন, প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিক অ্যাসিড, ক্লোরোফিল ইত্যাদির গঠনের একটি প্রধান উপাদান হল—
(a) ক্যালশিয়াম
(b) ম্যাগনেশিয়াম
(c) নাইট্রোজেন
(d) হিলিয়াম
উত্তর – (c) নাইট্রোজেন
2. নীচের কোনটি নাইট্রোজেন চক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়?
(a) নাইট্রিফিকেশন
(b) ইউট্রোফিকেশন
(c) অ্যামোনিফিকেশন
(d) ডিনাইট্রিফিকেশন
উত্তর – (b) ইউট্রোফিকেশন
3. নীচের যেটি নাইট্রোজেন সংবন্ধনকারী ব্যাকটেরিয়া নয়, সেটি হল—
(a) রাইজোবিয়াম
(b) মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস
(c) নস্টক
(d) অ্যাজোটোব্যাকটর
উত্তর – (d) অ্যাজোটোব্যাকটর
4. শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের (মটর গাছের) মূলে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া হল —
(a) Rhizobium sp.
(b) Azotobactor sp.
(c) Clostridium sp.
(d) Bacillus sp.
উত্তর – (d) Bacillus sp.
5. যেসব ব্যাকটেরিয়া বায়ুর মৌল নাইট্রোজেনকে, নাইট্রোজেনের বিভিন্ন যৌগ হিসেবে মাটিতে ধরে রাখতে সাহায্য করে, তাদের বলে—
(a) মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া
(b) পরজীবী ব্যাকটেরিয়া
(c) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া
(d) মৃতজীবী ব্যাকটেরিয়া
উত্তর – (c) নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া
6. নাইট্রোজেন স্থিতিকারী শৈবালটি হল-
(a) ভলভক্স
(b) স্পাইরোগাইরা
(c) ক্ল্যামাইডোমোনাস
(d) অ্যানাবিনা
উত্তর – (d) অ্যানাবিনা
7. মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে N2 -এর সংবন্ধন ঘটে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন-
(a) জন
(b) লেগহিমোগ্লোবিন
(c) খনিজ মৌল
(d) অ্যামোনিয়া
উত্তর – (b) লেগহিমোগ্লোবিন
৪. লেগহিমোগ্লোবিন যে ব্যাকটেরিয়ার কাজে সাহায্য করে সেটি-
(a) রাইজোবিয়াম
(b) ক্লসট্রিডিয়াম
(c) অ্যাজোটোব্যাকটর
(d) সিউডোমোনাস
উত্তর – (a) রাইজোবিয়াম
9. লেগহিমোগ্লোবিন নাইট্রোজেন চক্রের কোন্ ধাপের সঙ্গে যুক্ত?
(a) নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ
(b) নাইট্রিফিকেশন
(c) ডিনাইট্রি-ফিকেশন
(d) অ্যামোনিফিকেশন
উত্তর – (a) নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ
10. লেগহিমোগ্লোবিন কোথায় থাকে?
(a) শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে
(b) ছত্রাকের দেহে
(c) সাধারণ উদ্ভিদের মূলে
(d) ব্যাকটেরিয়ার দেহে
উত্তর – (a) শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে
11. নীচের কোন্টি মাটির উর্বরতা হ্রাস করে?
(a) নস্টক
(b) সিউডোমোনাস
(c) নাইট্রোলব্যাকটর
(d) রাইজোবিয়াম
উত্তর – (b) সিউডোমোনাস
12. কোন্টি N2 -সংবন্ধনকারী ব্যাকটেরিয়া নয় ?
(a) অ্যাজোটোব্যাকটর
(b) নস্টক
(c) রাইজোবিয়াম
(d) ক্লসট্রিডিয়াম
উত্তর – (b) নস্টক
13. কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাইট্রোজেনের শিল্পঘটিত স্থিতিকরণ ঘটে?
(a) হেবার পদ্ধতি
(b) হেলমন্টস পদ্ধতি
(c) রাইমার টিম্যান বিক্রিয়া
(d) ফ্রিডেল ক্রাফট্স বিক্রিয়া
উত্তর – (a) হেবার পদ্ধতি
14. Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস) হল একপ্রকার-
(a) মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া
(b) অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া
(c) ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া
(d) ইউরিফাইং ব্যাকটেরিয়া
উত্তর – (b) অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া
15. অ্যামোনিফাইং ব্যাকটেরিয়া হল—
(a) ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস
(b) রাইজোবিয়াম
(c) ক্লসট্রিডিয়াম
(d) অ্যাজোলা
উত্তর – (a) ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস
16. অ্যামোনিয়া থেকে নাইট্রেট উৎপাদনকে বলে—
(a) অ্যামোনিফিকেশন
(b) ডিনাইটিফিকেশন
(c) ক্যালশিফিকেশন
(d) নাইট্রিফিকেশন
উত্তর – (d) নাইট্রিফিকেশন
17. নাইট্রোজেন চক্রের নাইট্রিফিকেশন নামক ধাপটির শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্যটি হল—
(a) মৃত জীবদেহের প্রোটিন বিয়োজিত হয়ে অ্যামোনিয়া গঠন
(b) অ্যামোনিয়া থেকে প্রথমে নাইট্রাইট ও পরে নাইট্রেট গঠন
(c) নাইট্রেট থেকে নাইট্রোজেন গঠন
(d) নাইট্রোজেন থেকে অ্যামোনিয়া গঠন
উত্তর – (b) অ্যামোনিয়া থেকে প্রথমে নাইট্রাইট ও পরে নাইট্রেট গঠন
18. নীচের কোন্ জীবাণুটি নাইট্রিফিকেশনে অংশগ্রহণ করে?
(a) নাইট্রোসোমোনাস
(b) অ্যাজোটোব্যাকটর
(c) সিউডোমোনাস
(d) থায়োব্যাসিলাস
উত্তর – (a) নাইট্রোসোমোনাস
19. Pseudomonas (সিউডোমোনাস) জীবাণুটি নাইট্রোজেন চক্রের নীচের কোন্ ধাপের সাথে যুক্ত?
(a) নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ
(b) নাইট্রিফিকেশন
(c) ডিনাইট্রিফিকেশন
(d) অ্যামোনিফিকেশন
উত্তর – (b) নাইট্রিফিকেশন
20. মাটির নাইট্রেট বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় প্রথমে অ্যামোনিয়া এবং পরে মুক্ত নাইট্রোজেন গ্যাসে পরিণত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মেশে। এই প্রক্রিয়াকে বলে—
(a) নাইট্রিফিকেশন
(b) অ্যামোনিফিকেশন
(c) ডিনাইটিফিকেশন
(d) সিমবায়োসিস
উত্তর – (c) ডিনাইটিফিকেশন
21. নাইট্রোজেন মোচনকারী বা ডিনাইট্রিফাইং অণুজীব হল—
(a) নাইট্রোব্যাকটর
(b) অ্যাজোটোব্যাকটর
(c)অ্যানাবিনা
(d) সিউডোমোনাস
উত্তর – (d) সিউডোমোনাস
22. নাইট্রোজেন চক্রের ডিনাইট্রিফিকেশন পদ্ধতির ক্ষেত্রে কোন্টি সঠিক ধাপ?
(a) নাইট্রাইট → নাইট্রেট → অ্যামোনিয়া
(b) নাইট্রেট → নাইট্রাইট → নাইট্রোজেন → অ্যামোনিয়া
(c) অ্যামোনিয়া → নাইট্রাইট → নাইট্রেট → নাইট্রোজেন
(d) নাইট্রেট → নাইট্রাইট → অ্যামোনিয়া →নাইট্রোজেন
উত্তর – (d) নাইট্রেট → নাইট্রাইট → অ্যামোনিয়া →নাইট্রোজেন
23. নাইট্রেট থেকে নাইট্রোজেন উৎপন্ন হওয়াকে বলে-
(a) নাইট্রিফিকেশন
(b) অ্যামোনিফিকেশন
(c) ডিনাইট্রিফিকেশন
(d) সিমবায়োসিস
উত্তর – (c) ডিনাইট্রিফিকেশন
24. পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিয়োজক হল—
(a) প্রাণী
(b) উদ্ভিদ
(c) ব্যাকটেরিয়া
(d) ভাইরাস
উত্তর – (c) ব্যাকটেরিয়া
25. মানুষের ক্রিয়াকলাপে পরিবেশে নাইট্রোজেনের যে যৌগগুলির বৃদ্ধি ঘটছে, তা হল –
(a) N2O
(b) NO
(c) NH3
(d) সবকটি
উত্তর – (d) সবকটি
26. ওজোন গহ্বর সৃষ্টিতে দায়ী নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ হল-
(a) N2
(b) NO ও NO2
(c) HNO3 ও HNO2
(d) NH3
উত্তর – (b) NO ও NO2
27. যে পদ্ধতিতে অম্লবৃষ্টি হয়, তা হল –
(a) অ্যামোনিফিকেশন
(b) নাইটিফিকেশন
(c) ডিনাইটিফিকেশন
(d) অম্লীকরণ
উত্তর – (d) অম্লীকরণ
28. অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী নাইট্রোজেনের যৌগগুলি হল—
(a) NO2
(b) NO
(c) HNO3
(d) সবকটি
উত্তর – (d) সবকটি
দু-একটি শব্দে বা বাক্যে উত্তর দাও
1. জৈব-ভূরাসায়নিক চক্রের কাজ কী?
উত্তর – জৈব-ভূরাসায়নিক চক্রের কাজ হল পরিবেশের প্রয়োজনীয় মৌলগুলির ভারসাম্য রক্ষা করা।
2. একটি গ্যাসের নাম লেখো যা উদ্ভিদের প্রয়োজন, কিন্তু উদ্ভিদ বায়ু থেকে গ্যাসটিকে সরাসরি গ্রহণে অক্ষম।
উত্তর – নাইট্রোজেন গ্যাস।
3. মাটিতে নাইট্রোজেন কী অবস্থায় থাকে?
উত্তর – মাটিতে নাইট্রোজেন নাইট্রেট ও নাইট্রাইট লবণ হিসেবে থাকে।
4. জীবদেহে নাইট্রোজেনের প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর – জীবদেহের প্রোটিন গঠনের জন্য নাইট্রোজেন একটি অপরিহার্য উপাদান।
5. দুটি পতঙ্গভুক উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর – কলসপত্রী ও সূর্যশিশির।
6. মাটিতে নাইট্রোজেনের জীবজ আবদ্ধকরণ কী কী উপায়ে হয়?
উত্তর – মাটিতে নাইট্রোজেনের জীবজ আবদ্ধকরণ দুটি উপায়ে হয়, যথা—স্বাধীনজীবী অণুজীব দ্বারা ও মিথোজীবী অণুজীব দ্বারা।
7. জীবজ নাইট্রোজেন আবদ্ধকরণ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণকারী দুটি জীবাণুর নাম লেখো।
উত্তর – Azotobacter (অ্যাজোটোব্যাকটর) ও Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম)।
৪. নাইট্রোজেন স্থিতিকারী একটি মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
উত্তর – Rhizobium leguminosoreum (রাইজোবিয়াম লেগুমিনো-সোরিয়াম)।
9. একটি স্বাধীনজীবী নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
উত্তর – Clostridium (ক্লসট্রিডিয়াম)।
10. দুটি নাইট্রোজেন স্থিতিকারী উদ্ভিদের নাম লেখো যারা শিম্বগোত্রীয় নয়।
উত্তর – ঝাউ এবং পাইন।
11. রাইজোবিয়াম ও মটরগাছের পুষ্টিগত আদান-প্রদানকারী উপাদানের নাম লেখো।
উত্তর – Rhizobium (রাইজোবিয়াম) মটরকে অ্যামোনিয়াম যৌগ সরবরাহ করে বিনিময়ে উদ্ভিদটি থেকে শর্করা খাদ্যরূপে সংগ্রহ করে।
12. দুটি নীলাভ-সবুজ শৈবালের উদাহরণ দাও, যারা সরাসরি বায়ুমণ্ডল থেকে N2 শোষণ করে?
অথবা, নাইট্রোজেন স্থিতিকারী দুটি শৈবালের নাম লেখো।
উত্তর – Nostoc (নস্টক) এবং Anabaena (অ্যানাবিনা)।
13. একটি নাইট্রোজেন স্থিতিকারী অ্যাকটিনোব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
উত্তর – Frankia (ফ্র্যাংকিয়া)।
14. কোন্ জীব বায়ু থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন গ্যাস শোষণে সক্ষম?
উত্তর – Nostoc (নস্টক) ও Rhizobium (রাইজোবিয়াম)।
15. নাইট্রোজেন আবদ্ধকারী উৎসেচকটির নাম লেখো।
উত্তর – নাইট্রোজিনেজ।
16. অ্যানাবিনা কোন ফার্নে বসবাস করে? [Purulia Govt. Girls’ High School]
উত্তর – অ্যাজোলা।
17. নাইট্রোজেনঘটিত দুটি সারের নাম লেখো।
উত্তর – ইউরিয়া
[CO(NH2)2] ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH4NO3)।
18. কোন সার ব্যবহারে মাটি আম্লিক হয়ে পড়ে?
উত্তর – ইউরিয়া।
19. নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হওয়ার পদ্ধতির নাম কী ?
উত্তর – হ্যাবার বস।
20. জীবের মৃতদেহ এবং বর্জ্য ও রেচন পদার্থের বিয়োজনে অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর – অ্যামোনিফিকেশন।
21. অ্যামোনিফাইং বা অ্যামোনিফিকেশন করে এইরকম একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম কী?
উত্তর – Bacillus mycoides (ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস)।
22. নাইট্রিফিকেশনের অন্তর্গত ধাপগুলি কী কী?
উত্তর – নাইট্রাইটেশন এবং নাইট্রেটেশন।
23. নাইট্রিফিকেশনের অন্তর্গত কোন প্রক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া থেকে নাইট্রাইট উৎপন্ন হয়?
উত্তর – নাইট্রাইটেশন।
24. একটি নাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
উত্তর – Nitrosomonas (নাইট্রোসোমোনাস)।
25.
চিহ্নিত স্থানে ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
উত্তর – A→ নাইট্রোসোমোনাস, B→ নাইট্রোব্যাকটর।
ROPHERE
26. নাইট্রেট থেকে নাইট্রোজেন উৎপন্ন হওয়াকে কী বলে?
উত্তর – ডিনাইট্রিফিকেশন।
27. কোন প্রকার ব্যাকটেরিয়া নাইট্রেটকে নাইট্রোজেনে রূপান্তরিত করে?
উত্তর – ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া।
28. একটি ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটিরিয়ার নাম লেখো।
উত্তর – Thiobacillus denitrificans (থায়োব্যাসিলাস ডিনাইট্রি-ফিক্যানস্)।
29. নাইট্রোজেন চক্রের পরিবর্তনে সৃষ্ট দুটি পরিবেশগত সমস্যার নাম লেখো।
উত্তর – অ্যাসিড বৃষ্টি ও গ্রিনহাউস প্রভাব।
30. মানব ক্রিয়াকলাপজনিত একটি পরিবেশগত ক্ষতি উল্লেখ করো।
উত্তর – জীবাশ্ম জ্বালানি ও সার ব্যবহারে মুক্ত নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) একটি গ্রিনহাউস গ্যাস যা বিশ্ব উয়ায়ন ঘটায়।
31. একটি মানব ক্রিয়াকলাপের নাম লেখো যা নাইট্রোজেন চক্রকে প্রভাবিত করে।
উত্তর – নাইট্রোজেনঘটিত সার ব্যবহার।
শূন্যস্থান পূরণ করো
1. পতঙ্গের দেহ থেকে ……… ঘটিত যৌগ সংগ্রহ করে কলসপত্রী ও সূর্যশিশির।
উত্তর – নাইট্রোজেন
2. বায়ুর নাইট্রোজেন, যে পদ্ধতিতে মাটিতে আবদ্ধ হয়, তাকে নাইট্রোজেনের ……..বলা হয়।
উত্তর – আবদ্ধকরণ
3. বজ্রপাতের সময়ে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় ……… উৎপন্ন হয়।
উত্তর – নাইট্রিক অক্সাইড
4. অ্যাজোটোব্যাকটর হল একটি ………. নাইট্রোজেন স্থিতিকারী ব্যাকটেরিয়া।
উত্তর – স্বাধীনজীবী
5. অ্যানাবিনা হল একপ্রকার ……….।
উত্তর – সায়ানোব্যাকটেরিয়া
6. মটর, ছোলা, বিন ইত্যাদি হল ……… উদ্ভিদ।
উত্তর – শিম্বগোত্রীয়
7. ……….. পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়।
উত্তর – হ্যাবার বস
৪. নাইট্রোব্যাকটর একটি ………. ব্যাকটেরিয়া।
উত্তর – নাইট্রিফাইং
9. মাটির অ্যামোনিয়া, নাইট্রাইট এবং পরে নাইট্রেটে পরিণত হয় ……… পদ্ধতিতে।
উত্তর – নাইট্রিফিকেশন
10. একটি ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটেরিয়া হল ……….।
উত্তর – সিউডোমোনাস
11. ডিনাইট্রিফিকেশন প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে যে গ্যাসটি উৎপন্ন হয় তা হল ……….।
উত্তর – নাইট্রোজেন
12. যানবাহনের ধোঁয়ায় নাইট্রোজেনঘটিত প্রধান যৌগ হল ……….।
উত্তর – নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড(NO2)
13. নাইট্রিক অক্সাইড একটি প্রাথমিক দূষক যা ……… সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
উত্তর – অম্লবৃষ্টি