wb 10th science

WBBSE 10th Class Science Solutions Physics Chapter 3 রাসায়নিক গণনা

WBBSE 10th Class Science Solutions Physics Chapter 3 রাসায়নিক গণনা

West Bengal Board 10th Class Science Solutions Physics Chapter 3 রাসায়নিক গণনা

West Bengal Board 10th Physics Solutions

বিষয়সংক্ষেপ

রাসায়নিক বিক্রিয়া: যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থ উৎপন্ন করে তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
  • যে পদার্থগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের বিক্রিয়ক বলে। অপরদিকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে নতুন ধর্ম-বিশিষ্ট যেসব পদার্থ উৎপন্ন হয় তাদের বিক্রিয়াজাত পদার্থ বলে।
রাসায়নিক সমীকরণ: চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
রাসায়নিক সমীকরণের সাহায্যে কোনো বিক্রিয়ার গুণগত ও পরিমাণগত তথ্য জানা যায়।
ভরের নিত্যতা সূত্র: পদার্থের ভর অবিনাশী, একে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না; যে-কোনো ভৌত বা রাসায়নিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পদার্থের রূপান্তর ঘটে মাত্র, পরিবর্তনের পূর্বে ও পরে পদার্থের মোট ভর অপরিবর্তিত থাকে। এই বিশ্বে মোট ভরের পরিমাণ ধ্রুবক।
ভর ও শক্তির তুল্যতা: আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ অনুসারে ভর ও শক্তি পরস্পর রূপান্তরযোগ্য। যেসব পরিবর্তনে শক্তির উদ্ভব হয় সেক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ ভর শক্তিতে এবং যেসব পরিবর্তনে শক্তির শোষণ ঘটে সেক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ শক্তি ভরে রূপান্তরিত হয়। এই রূপান্তরটি যে সমীকরণ মেনে চলে তা হল E = mc2 |
সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভরের পরিবর্তন এত সামান্য হয় যে এক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য হয় না।
C-12 স্কেলে মৌলের পারমাণবিক ভর: কোনো মৌলের একটি পরমাণু 1 টি 12C-পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাই হল ওই মৌলের পারমাণবিক ভর।
C-12 স্কেলে গ্যাসীয় পদার্থের আণবিক ভর: কোনো গ্যাসীয় পদার্থের 1 টি অণু 1 টি 12C-পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের তুলনায়। যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাই হল ওই গ্যাসের আণবিক ভর।
গ্রাম-আণবিক ভর: কোনো পদার্থের আণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে তাকে ওই পদার্থের গ্রাম-আণবিক ভর বলে।
গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্বঃ STP-তে 1 লিটার গ্যাসের গ্রামে প্রকাশিত ভরকে গ্যাসটির প্রমাণ ঘনত্ব বলে। যেমন—হাইড্রোজেনের প্রমাণ ঘনত্ব = 0.089g/L |
গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব বা আপেক্ষিক ঘনত্ব: একই চাপ ও উন্নতায় যে-কোনো গ্যাসের ভর, সমআয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের যতগুণ, সেই সংখ্যাকে ওই গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব বলে।
  • বাষ্পঘনত্ব দুটি ভরের অনুপাত হওয়ায় এর কোনো একক নেই।
  • উন্নতা ও চাপের পরিবর্তনে বাষ্পঘনত্বের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না।
প্রমাণ ঘনত্ব ও বাষ্পঘনত্বের মধ্যে সম্পর্ক: গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব (STP-তে 1L গ্যাসের ভর) = গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব × H2 এর প্রমাণ ঘনত্ব = গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব x 0.089g/L
বাষ্পঘনত্ব ও আণবিক ভরের মধ্যে সম্পর্ক:
গ্যাসের আণবিক ভর = 2 × গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব

বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

সংক্ষিপ্ত। দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

1. রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে? বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর – যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থ উৎপন্ন করে, তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
যে পদার্থগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের বিক্রিয়ক (reactants) বলে। অপরদিকে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে যেসব পদার্থ উৎপন্ন হয় তাদের বিক্রিয়াজাত পদার্থ (products) বলে।
2 রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর – বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরমাণু সংখ্যার সমতা বজায় রেখে চিহ্ন ও সংকেতের সাহায্যে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত প্রকাশকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
উদাহরণ: নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া উৎপন্ন হয়। এখানে বিক্রিয়ক হল নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থ হল অ্যামোনিয়া। বিক্রিয়াটির রাসায়নিক সমীকরণ হল— N2 + 3H2 → 2NH3 |
3. রাসায়নিক সমীকরণের তাৎপর্য লেখো।
উত্তর – রাসায়নিক সমীকরণ থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার গুণগত ও পরিমাণগত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
গুণগত তথ্য: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কী কী বিক্রিয়ক পদার্থ (মৌল বা যৌগ) বিক্রিয়া করে কী কী বিক্রিয়াজাত পদার্থ উৎপন্ন করে তা জানা যায়।
পরিমাণগত তথ্য: (1) বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলির অণু ও পরমাণুর সংখ্যা জানা যায়। (2) কত ভাগ ওজনের বিক্রিয়ক পরস্পর বিক্রিয়া করে কত ভাগ ওজনের বিক্রিয়াজাত পদার্থ উৎপন্ন করে অর্থাৎ বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলির ওজনগত সম্পর্ক জানা যায় (এখানে ওজন বলতে প্রকৃতপক্ষে ভরকেই বোঝানো হয়েছে)। (3) বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলি গ্যাসীয় হলে একই চাপ ও উন্নতায় ওদের আয়তনের অনুপাত অর্থাৎ আয়তনমাত্রিক সম্পর্ক জানা যায়।
4. 2H2 + O2 2H2O সমীকরণটি থেকে কী কী বিষয় জানা যায়?
উত্তর – প্রদত্ত সমীকরণটি থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানা যায়—
গুণগত তথ্য: হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে জল উৎপন্ন হয়।
পরিমাণগত তথ্য: (1) 2 মোল হাইড্রোজেন অণু, 1 মোল অক্সিজেন অণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে 2 মোল জলের অণু উৎপন্ন করে। (2) এক্ষেত্রে 2 × (2 × 1) বা 4 গ্রাম ভরের হাইড্রোজেন, (2 × 16) বা 32 গ্রাম ভরের অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে 2 × (2 × 1 + 16) বা 36 গ্রাম ভরের জল উৎপন্ন করে। (3) একই চাপ ও উন্নতায় 2 আয়তন হাইড্রোজেন, 1 আয়তন অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে 2 আয়তন জল উৎপন্ন করে। (4) STP -তে ( 2 × 22.4) বা 44.8 লিটার হাইড্রোজেন, 22.4 লিটার অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে (2 x 22.4) বা 44.8 লিটার স্টিম উৎপন্ন করে।
5. রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতাগুলি উল্লেখ করো।
উত্তর – রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতাগুলি হল— (1) বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলির গাঢ়ত্ব সম্পর্কে জানা যায় না। (2) বিক্রিয়াটির গতিবেগ সম্বন্ধে অর্থাৎ বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে কত সময়ের প্রয়োজন তা জানা যায় না। (3) বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়েছে কি না তা জানা যায় না।

6. (i) ভরের নিত্যতা সূত্রটি লেখো।

(ii) N2 + 3H2 → 2NH3 এই বিক্রিয়ায় ভরের নিত্যতা সূত্র মান্য হচ্ছে কি না দেখাও।
উত্তর – (i) পদার্থের ভর অবিনাশী, একে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না; যে-কোনো ভৌত বা রাসায়নিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পদার্থের রূপান্তর ঘটে মাত্র, পরিবর্তনের পূর্বে ও পরে পদার্থের মোট ভর অপরিবর্তিত থাকে। এই বিশ্বে মোট ভরের পরিমাণ ধ্রুবক।
(ii) N2 + 3H2 → 2NH3 সমীকরণ অনুসারে 14 × 2 = 28g_N2, 2 × 3 = 6g হাইড্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে (14 + 1 × 3 ) × 2 = 34g NH3 উৎপন্ন করে।
এক্ষেত্রে ভর হিসেবে বিক্রিয়কের পরিমাণ = (28 + 6)g = 34g। আবার, আগেই দেখা গেছে যে বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরিমাণ 34g। অতএব, এই বিক্রিয়ায় ভরের নিত্যতা সূত্র মান্য হয়েছে।
7. একটি লোহার খণ্ডকে আর্দ্র বায়ুতে রাখলে তার ভর বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ ঘটছে কি ?
উত্তর – লোহার খণ্ডের ভর মেপে আর্দ্র আবহাওয়ার মধ্যে কয়েকদিন ফেলে রাখলে দেখা যাবে লোহার গায়ে মরচে পড়েছে। এই মরচেযুক্ত লোহার খণ্ডের ভর প্রাথমিক ভরের চেয়ে বেশি হয়। তাই মনে হতে পারে ভরের সংরক্ষণ হয়নি। এক্ষেত্রে লোহার সঙ্গে বাতাসের O2 এবং জলীয় বাষ্প যুক্ত হয়ে মরচে, অর্থাৎ সোেদক ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3 · xH2O) উৎপন্ন করেছে। সুতরাং, লোহার ভর + সংযুক্ত অক্সিজেনের ভর + জলীয় বাষ্প (আর্দ্র বায়ুতে উপস্থিত)-এর ভর = মরচেযুক্ত লোহার ভর। অর্থাৎ, এই বিক্রিয়াতে ভরের সংরক্ষণ হয়।
8. মোমবাতির দহনের ফলে তার ভর হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ ঘটে কি?
উত্তর – মোমবাতি জ্বলার সময় বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) গ্যাস ও জলীয় বাষ্প (H2O) উৎপন্ন করে, যেগুলি উৎপন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে মিশে যায়। উৎপন্ন CO2 ও H2O-এর ভর মাপা সম্ভব হলে দেখা যেত, মোমবাতি এবং তার সাথে যুক্ত O2 এর মোট ভর, উৎপন্ন CO2 ও H2O-এর মোট ভরের সমান। সুতরাং, দহনের পূর্বে মোমবাতি ও সংযুক্ত O2 -এর মোট ভর এবং দহনের পরে অবশিষ্ট মোমবাতি, উৎপন্ন CO2 ও উৎপন্ন H2O-এর মোট ভর সমান হয়। অতএব, এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ ঘটে।
9. একটি ম্যাগনেশিয়াম ফিতাকে অক্সিজেন গ্যাসের মধ্যে পোড়ালে যে ছাই উৎপন্ন হয় তার ভর ম্যাগনেশিয়াম ফিতার ভরের থেকে বেশি হয়। এক্ষেত্রে ভরের সংরক্ষণ সূত্রটি লঙ্ঘিত হয় কি না ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – প্রকৃতপক্ষে দহনের সময় ম্যাগনেশিয়াম বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড (MgO) উৎপন্ন করে। অক্সিজেনের ভর যুক্ত হওয়ায় ছাইয়ের ভর বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, ম্যাগনেশিয়াম ফিতার ভর + ম্যাগনেশিয়ামের সাথে যুক্ত অক্সিজেনের ভর = উৎপন্ন ছাইয়ের ভর। সুতরাং, বিক্রিয়ার আগে ও পরে মোট ভর সমান থাকে অর্থাৎ ভরের সংরক্ষণ সূত্রটি লঙ্ঘিত হয় না।
10. অ্যাসিড-মিশ্রিত জলের তড়িবিশ্লেষণের ফলে ভরের সংরক্ষণ সূত্র লঙ্ঘিত হয় কি না ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – অ্যাসিড-মিশ্রিত জলের তড়িদবিশ্লেষণের ফলে জল বিশ্লিষ্ট হয়ে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন করে। তড়িদবিশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি যদি একটি বদ্ধ ফ্লাস্কে করা হয় তবে দেখা যাবে তড়িবিশ্লেষণের আগে এবং পরে ভরের কোনো পরিবর্তন হয় না। অর্থাৎ, অ্যাসিড-মিশ্রিত জলের ভর = অবশিষ্ট জলের ভর + উৎপন্ন H2 ও O2 এর মোট ভর। সুতরাং, অ্যাসিড-মিশ্রিত জলের তড়িবিশ্লেষণের সময় ভরের সংরক্ষণ সূত্র লঙ্ঘিত হয় না।
11. আইনস্টাইনের ‘ভর ও শক্তির তুল্যতা’ সূত্রটি গাণিতিক রূপসহ বিবৃত করো।
উত্তর – বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ অনুসারে ভর ও শক্তি পরস্পর রূপান্তরযোগ্য। ধরা যাক, কোনো প্রক্রিয়ায় m পরিমাণ ভর সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়ে E পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করল। এই রূপান্তরটি যে সমীকরণ মেনে ঘটে তা হল E = mc2, যেখানে c হল শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ।
12. সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয় কেন? কোন্ ধরনের বিক্রিয়ায় এই সমীকরণটি প্রযোজ্য? 
উত্তর – সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভরের পরিবর্তন এত সামান্য যে তা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। রাসায়নিক গণনার ক্ষেত্রেও বিক্রিয়াতে উৎপন্ন বা শোষিত তাপ, আলোক ইত্যাদি শক্তিকে উপেক্ষা করা হয়। তাই সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ভর ও শক্তির তুল্যতা সংক্রান্ত E = mc2 সূত্রটি প্রযোজ্য নয়।
উচ্চ শক্তির পরিবর্তন, যেখানে ভর ও শক্তির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে, সেখানে উক্ত সূত্রটি প্রযোজ্য হয় (যেমন—নিউক্লিয় বিক্রিয়া)।
13. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভরের পরিমাপযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটে না—ব্যাখ্যা করো।
অনুরূপ প্রশ্ন, সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপের শোষণ বা উদ্ভব হলেও ভরের হ্রাস বা বৃদ্ধি বোঝা যায় না কেন?
উত্তর – আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতাবাদ অনুযায়ী ভর ও শক্তি পরস্পর রূপান্তরযোগ্য। যেসব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির উদ্ভব হয় সেক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আবার যেসব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির শোষণ ঘটে সেক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ শক্তি ভর-এ রূপান্তরিত হয়। কিন্তু সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়াতে শক্তির (যেমন—তাপ) উদ্ভব বা শোষণের ফলে যে পরিমাণ ভরের হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে, তা এতই নগণ্য যে অতি সুবেদী তুলাযন্ত্রেও সেটি ধরা পড়ে না। তাই বলা যায়, রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভরের পরিমাপযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
14. উচ্চশক্তির বিক্রিয়ায় ভরের সংরক্ষণ হয় না—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – উচ্চশক্তির বিক্রিয়ায় (যেমন—নিউক্লিয় বিক্রিয়ায়) ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ শক্তির উদ্ভব হয়। এক্ষেত্রে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ, আইনস্টাইনের E = mc2 সমীকরণ থেকে নির্ণয় করা যায়। তাই বলা যায় যে, উচ্চশক্তির বিক্রিয়ায় ভরের সংরক্ষণ হয় না। তবে ভর ও শক্তির মোট মিলিত পরিমাণ যে-কোনো উচ্চশক্তির বিক্রিয়ার আগে ও পরে সর্বদা সমান থাকে।
15. 1 গ্রাম ভরকে সম্পূর্ণরূপে শক্তিতে রূপান্তরিত করলে E = mc2 সূত্রানুসারে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে?
উত্তর – ভর ও শক্তির পারস্পরিক রূপান্তর-সংক্রান্ত আইনস্টাইনের সমীকরণটি হল— E = mc2 যেখানে, E = শক্তি, m = ভর = 1g ও c = শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ = 3 × 1010cm · s-1
∴ E = 1 × ( 3 × 1010)2 erg = 9 × 1020 erg
       = 2.14 × 1013 cal [·:· 4.2 x 107 erg = 1 cal]
16. C-12 স্কেলে কোনো মৌলের পারমাণবিক ভরের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর – কোনো মৌলের একটি পরমাণু একটি 12C -পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাই হল C-12 স্কেলে ওই মৌলের পারমাণবিক ভর।
17. গ্রাম-পারমাণবিক ভর বলতে কী বোঝায় উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর – কোনো মৌলের পারমাণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যত গ্রাম হয়, সেটিই ওই মৌলটির গ্রাম-পারমাণবিক ভর। উদাহরণ: নাইট্রোজেনের পারমাণবিক ভর 14 এবং গ্রাম-পারমাণবিক ভর 14g ।
18. C-12 স্কেলে আণবিক ভরের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর – কোনো গ্যাসীয় পদার্থের 1 টি অণু 1 টি 12C-পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাই হল C-12 স্কেলে ওই গ্যাসের আণবিক ভর।
19. উদাহরণসহ গ্রাম-আণবিক ভর কাকে বলে লেখো।
উত্তর – কোনো পদার্থের আণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যত গ্রাম হয়, সেটিই ওই পদার্থের গ্রাম-আণবিক ভর।
উদাহরণ: নাইট্রোজেনের আণবিক ভর 28 এবং গ্রাম-আণবিক ভর 28g
20. রাসায়নিক সমীকরণের সাহায্যে ওজন-ওজন সংক্রান্ত গণনায় পালনীয় নিয়মগুলি লেখো।
উত্তর – ওজন ওজন সংক্রান্ত গণনায় পালনীয় নিয়মগুলি হল—
(1) বিক্রিয়াটির সমিত রাসায়নিক সমীকরণ সঠিকভাবে লিখতে হয়।
(2) সমীকরণে বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের সংকেতের নীচে প্রয়োজন অনুযায়ী ওদের আপেক্ষিক ভর বা মোল-সংখ্যা লেখা হয়। এক্ষেত্রে কোনো বিক্রিয়ক বা বিক্রিয়াজাত পদার্থের—(i) আপেক্ষিক ভর = পদার্থটির আণবিক ভর × সমীকরণে ব্যবহৃত অণুর সংখ্যা; (ii) মোল-সংখ্যা = পদার্থটির গ্রামে প্রকাশিত ভর : গ্রাম-আণবিক ভর।
(3) সমীকরণের নীচে লেখা আপেক্ষিক ভর বা মোল সংখ্যা এবং প্রশ্নে প্রদত্ত তথ্য থেকে ঐকিক নিয়মের সাহায্যে কোনো বিক্রিয়ক বা বিক্রিয়াজাত পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
21. গ্যাসের বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্ব বলা হয় কেন?
উত্তর – একই চাপ ও উন্নতায় যে-কোনো গ্যাসের ভর, সম-আয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই তুলনামূলক সংখ্যাটিই হল ওই গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব। সুতরাং, কোনো গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব, একই চাপ ও উয়তায় রাখা সমআয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের সাপেক্ষে নির্ণয় করা হয়। এ কারণেই বাষ্পঘনত্বকে আপেক্ষিক ঘনত্বও বলা হয়ে থাকে।
22. উন্নতাভেদে কোনো গ্যাসীয় পদার্থের বাষ্পঘনত্বের মান পরিবর্তিত হয় না কেন? ক্লোরিন গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব কত?
উত্তর – সমচাপ ও উন্নতায় নির্দিষ্ট আয়তনের কোনো গ্যাস, সম-আয়তন হাইড্রোজেনের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাই গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব। উন্নতা বৃদ্ধি বা হ্রাসের ফলে হাইড্রোজেন অথবা যে-কোনো গ্যাসের আয়তন সমানুপাতে বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। তাই উন্নতা পরিবর্তনে গ্যাসের বাষ্পঘনত্বের মান পরিবর্তিত হয় না।
ক্লোরিন গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 35.5।
23. গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব (normal density) ও বাষ্পঘনত্বের (vapour density) মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তর – গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব ও বাষ্পঘনত্বের পার্থক্য—
প্রমাণ ঘনত্ব বাষ্পঘনত্ব
(1) প্রমাণ উয়তা ও চাপে 1 লিটার যে-কোনো গ্যাসীয় পদার্থের গ্রামে প্রকাশিত ভরকে ওই গ্যাসটির প্রমাণ ঘনত্ব বলে। (1) একই উন্নতা ও চাপে নির্দিষ্ট আয়তন কোনো গ্যাসের ভর সম-আয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের তুলনায় যতগুণ ভারী, সেই সংখ্যাকে ওই গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব বলে।
(2) গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব উন্নতা ও চাপের উপর নির্ভরশীল। (2) গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব উন্নতা ও চাপের উপর নির্ভরশীল নয়।
(3) প্রমাণ ঘনত্বের একক g/L | (3) গ্যাসের বাষ্পঘনত্বের কোনো একক নেই।

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

1. ভরের সংরক্ষণ সূত্রের প্রবর্তক হলেন—
(a) ডালটন
(b) ল্যাভয়সিয়ে
(c) আরহেনিয়াস
(d) প্রাউস্ট
উত্তর – (b) ল্যাভয়সিয়ে
2. বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের মধ্যে ভরের পার্থক্য—
(a) নিম্নশক্তির রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দেখা যায়
(b) সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দেখা যায়
(c) উচ্চশক্তির রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দেখা যায়
(d) কখনোই দেখা যায় না।
উত্তর – (c) উচ্চশক্তির রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দেখা যায়
3. 112 mL O2 এর ওজন NTP-তে কত?
(a) 0.64g
(b) 0.96g
(c) 0.32g
(d) 0.16g
উত্তর – (d) 0.16g
4. A ও B বিক্রিয়া করে C এবং D উৎপন্ন করলে, কোন্‌টি সত্য হবে?
(a) A ও B-এর মোট ভর > Cও D-এর মোট ভর
(b) A ও B-এর মোট ভর < C ও D-এর মোট ভর
(c) A ও B-এর মোট ভর = C ও D-এর মোট ভর
(d) A-এর ভর = B-এর ভর এবং C-এর ভর = D-এর ভর
উত্তর – (c) A ও B-এর মোট ভর = C ও D-এর মোট ভর
5. ভর ও শক্তির তুল্যতা সমীকরণটি হল —
(a) E = 1/2 mv²
(b) E = mc2
(c) F = ma
(d) W = Fs
উত্তর – (b) E = mc2
6. STP-তে 0.5 mol CO2 এর আয়তন —
(a) 0.5L
(b) 11.2L
(c) 112L
(d) 22.4L
উত্তর – (b) 11.2L
7. E = mc2 সমীকরণটির সাথে কোন্ বিজ্ঞানীর নাম যুক্ত ?
(a) নিউটন
(b) প্ল্যাঙ্ক
(c) অ্যাভোগাড্রো
(d) আইনস্টাইন
উত্তর – (d) আইনস্টাইন
8. 6.022 × 1022 সংখ্যক জল অণুর ভর –
(a) 18 গ্রাম
(b) 1.8 গ্রাম
(c) 9 গ্রাম
(d) 0.18 গ্রাম
উত্তর – (b) 1.8 গ্রাম
9. 1 mol CaCO3 -কে উত্তপ্ত করলে STP-তে CO2 গ্যাস পাওয়া যায় —
(a) 22.4 L
(b) 11.2 L
(c) 5.6 L
(d) 44.8 L
উত্তর – (a) 22.4 L
10. ভর ও শক্তির মোট পরিমাণ যে-কোনো পরিবর্তনের পরে —
(a) হ্রাস পায়
(b) বৃদ্ধি পায়
(c) একই থাকে
(d) হ্রাস পায় ও বৃদ্ধি পায়
উত্তর – (c) একই থাকে
11. বিশুদ্ধ অক্সিজেনে একটি ম্যাগনেশিয়াম তারের দহনে তার ওজনের শতাংশিক বৃদ্ধি হল –
(a) 100%
(b) 66.7%
(c) 24%
(d) 80%
উত্তর – (b) 66.7%
12. NH4NO2 → N2 + 2H2O সমীকরণ অনুসারে 64g NH4NO2 এর বিয়োজনে উৎপন্ন N2 -এর পরিমাণ —
(a) 14g
(b) 28g
(c) 32g
(d) 40g
উত্তর – (b) 28g
13. 4 মোল Na-এর জলের সঙ্গে বিক্রিয়ায় STP-তে উৎপন্ন H2 গ্যাসের আয়তন হবে —
(a) 22.4 L
(b) 44.8 L
(c) 11.2 L
(d) 5.6 L
উত্তর – (c) 11.2 L
14. একটি গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 22 হলে STP-তে গ্যাসটির 44g পরিমাণের আয়তন হবে—
(a) 11.2 L
(b) 5.6 L
(c) 22.4 L
(d) 44.8 L
উত্তর – (c) 22.4 L
15. 2 মোল N2 এর সঙ্গে 6 মোল H2 এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন NH3 গ্যাসের মোল সংখ্যা —
(a) 6 মোল
(b) 2 মোল
(c) 8 মোল
(d) 4 মোল
উত্তর – (d) 4 মোল
16. বায়ুর গড় বাষ্পঘনত্ব —
(a) 14.4
(b) 16.5
(c) 17.2
(d) 20.1
উত্তর – (a) 14.4
17. গ্যাসীয় পদার্থের আণবিক ভর (M) ও বাষ্পঘনত্বের (D) সঠিক সম্পর্ক –
(a) 2M = D
(b) M = D2
(c) M = 3D
(d) M = 2D
উত্তর – (d) M = 2D
18. একটি গ্যাসের আণবিক ভর 46 হলে তার বাষ্পঘনত্ব –
(a) 23u
(b) 23amu
(c) 23g
(d) 23
উত্তর – (d) 23
19. কোন্ গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব 22 ?
(a) N2
(b) CO2
(c) O2
(d) CH4
উত্তর – (b) CO2
20. সালফার ট্রাইঅক্সাইডের বাষ্পঘনত্ব হল —
(a) 40
(b) 32
(c) 36
(d) 80
উত্তর – (a) 40
21. ভর ও শক্তির সমতুল্যতা অনুযায়ী, তাপমোচী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়াজাত পদার্থের ভর—
(a) তুল্যাঙ্ক পরিমাণে হ্রাস পাবে
(b) তুল্যাঙ্ক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে
(c) তুল্যাঙ্ক পরিমাণে হ্রাস বা বৃদ্ধি পাবে
(d) পরিবর্তিত হবে না
উত্তর – (a) তুল্যাঙ্ক পরিমাণে হ্রাস পাবে
22. একটি গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 32; নীচের কোনটি গ্যাসটির আণবিক ওজন?
(a) 8
(b) 16
(c) 32
(d) 64
উত্তর – (d) 64
23. 1.2g কার্বনের সম্পূর্ণ দহনে উৎপন্ন CO2 গ্যাসের STP-তে আয়তন —
(a) 1.2 L
(b) 2.24 L
(c) 4.8 L
(d) 4.4 L
উত্তর – (b) 2.24 L
24. উন্নতা বৃদ্ধিতে গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব—
(a) বাড়ে
(b) কমে
(c) বাড়ে অথবা কমে
(d) অপরিবর্তিত থাকে
উত্তর – (d) অপরিবর্তিত থাকে
25. মিথেনের আণবিক ওজন 16, নীচের কোন্‌টি এর বাষ্পঘনত্ব?
(a) 22.4
(b) 8
(c) 16
(d) 32
উত্তর – (b) 8

একটি বা দুটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও

1. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ‘ভরের সংরক্ষণ’ বলতে কী বোঝ?
উত্তর – যে-কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায়, বিক্রিয়ক পদার্থের মোট ভরের সঙ্গে বিক্রিয়াজাত পদার্থের মোট ভর সমান হয়। একেই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ‘ভরের সংরক্ষণ’ বলে।
2. ভরের নিত্যতা সূত্রের পরিবর্তে ভর ও শক্তির নিত্যতা সূত্রটি কখন প্রযোজ্য হয়?
উত্তর – উচ্চশক্তির রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভরের নিত্যতা সূত্রের পরিবর্তে ভর ও শক্তির নিত্যতা সূত্রটি প্রযোজ্য হয়।
3. ‘মোল’ কীসের একক?
উত্তর – মোল পদার্থের পরিমাণের একক।
4. STP -তে 22.4L কোনো গ্যাসের অণুর সংখ্যা কত?
উত্তর – STP -তে 22.4L কোনো গ্যাসের অণুর সংখ্যা 6.022 × 1023 |
5. কোনো গ্যাসের ভর mg এবং আণবিক ভর Mg/mol হলে মোল সংখ্যা কত?
উত্তর – গ্যাসটির মোল সংখ্যা = m/M
6. 1.8g জলে অণুর সংখ্যা কত?
1.8g জলে = 6.022 × 1022  সংখ্যক অণু থাকে।
7. 12g কার্বন থেকে 44g কার্বন ডাইঅক্সাইড পাওয়ার জন্য কত পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন?
উত্তর – এক্ষেত্রে 32g অক্সিজেন প্রয়োজন হবে।
8. 4 মোল জল উৎপন্ন করতে কত মোল H2 ও কত মোল O2 বিক্রিয়া করবে?
উত্তর – 4 মোল H2 ও 2 মোল O2 বিক্রিয়া করবে।
9. 36g জল তৈরি করতে কত গ্রাম হাইড্রোজেন প্রয়োজন?
উত্তর – 36g জল তৈরি করতে 4g হাইড্রোজেন প্রয়োজন।
10. 1 মোল CaCO3 -কে উত্তাপে সম্পূর্ণ বিয়োজিত করলে কত গ্রাম CaO পাওয়া যাবে?
উত্তর –
(40 + 16) g = 56g CaO পাওয়া যাবে।
11. 4 mol অ্যামোনিয়া বলতে কত ওজনের অ্যামোনিয়াকে বোঝায়?
উত্তর – 4 mol অ্যামোনিয়া বলতে (17 × 4) = 68g ওজনের অ্যামোনিয়াকে বোঝায়।
12. 12.046 × 1023 সংখ্যক নাইট্রোজেন অণুর ভর কত?
উত্তর – 6.022 × 1023 সংখ্যক নাইট্রোজেন অণুর ভর 28g।
∴ 12.046×1023 সংখ্যক নাইট্রোজেন অণুর ভর
13. STP-তে 50g একটি গ্যাসের আয়তন 44.8L হলে গ্যাসটির আণবিক ভর কত?
উত্তর – গ্যাসটির গ্রাম-আণবিক ভর = STP-তে 22.4L গ্যাসের ভর
∴ গ্যাসটির আণবিক ভর = 25
14. গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব কাকে বলে?
উত্তর – প্রমাণ চাপ ও উন্নতায় (STP-তে) 1 লিটার কোনো গ্যাসের গ্রামে প্রকাশিত ভরকে গ্যাসটির প্রমাণ ঘনত্ব বলে।
15. গ্যাসের আপেক্ষিক ঘনত্ব বা বাষ্পঘনত্ব কাকে বলে?
উত্তর – একই চাপ ও উন্নতায় কোনো গ্যাসের ভর সম-আয়তন হাইড্রোজেন গ্যাসের ভরের যতগুণ, সেই সংখ্যাটিকে ওই গ্যাসের আপেক্ষিক ঘনত্ব বা বাষ্পঘনত্ব বলে।
16. গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব ও আণবিক ভরের সম্পর্কটি লেখো।
উত্তর – আণবিক ভর (M) = 2 × বাষ্পঘনত্ব (D)।
17. গ্যাসের প্রমাণ ঘনত্ব ও বাষ্পঘনত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর – প্রমাণ ঘনত্ব = 0.089 x বাষ্পঘনত্ব ।
18. SO2 গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব সাধারণ বায়ুচাপে এবং 25°C উয়তায় 32। একই বায়ুচাপে ও 50°C-এ SO2 এর বাষ্পঘনত্ব কত হবে?
উত্তর – বাষ্পঘনত্ব, চাপ ও উয়তার ওপর নির্ভরশীল নয় বলে 50°C .উন্নতাতেও SO2 গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 32 হবে।
19. বায়ুর গড় বাষ্পঘনত্ব 14.4 হলে উপাদান গ্যাসগুলির গড় আণবিক ভর কত?
উত্তর – বায়ুর উপাদান গ্যাসগুলির গড় আণবিক ভর (2 × 14.4) = 28.8।
20. কোনো গ্যাস বায়ুর চেয়ে ভারী কি না কীভাবে বুঝবে?
উত্তর – কোনো গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব যদি বায়ুর বাষ্পঘনত্ব (14.4) অপেক্ষা বেশি হয় তবে গ্যাসটি বায়ুর চেয়ে ভারী হবে।
21. 5.6 লিটার একটি গ্যাসের STP-তে ভর 11g হলে ওই গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব কত হবে?
উত্তর – STP-তে 5.6 লিটার গ্যাসটির ভর 11g হলে, 22.4 লিটার গ্যাসটির ভর হবে = 44g। সুতরাং গ্যাসটির বাষ্পঘনত্ব = 44 ÷ 2 = 22।
22. একটি দ্বি-পরমাণুক গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 14 হলে গ্যাসটির পারমাণবিক গুরুত্ব কত হবে?
উত্তর – গ্যাসটির আণবিক ভর হবে ( 14 × 2) = 28। সুতরাং গ্যাসটির পারমাণবিক গুরুত্ব হবে (28 ÷ 2) = 14 |

শূন্যস্থান পূরণ করো

1. রাসায়নিক সমীকরণ থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার …………. ও …………. তথ্য জানা যায়।
উত্তর – গুণগত, পরিমাণগত
2. কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় …………. পদার্থগুলির মোট ভর = ………….. পদার্থগুলির মোট ভর।
উত্তর – বিক্রিয়ক, বিক্রিয়াজাত
3. লোহায় মরচে পড়ার ক্ষেত্রে …………. সংরক্ষণ ঘটে।
উত্তর – ভরের
4. E = mc2 সূত্রের প্রবক্তা হলেন ………….।
উত্তর – আইনস্টাইন
5. শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ হল ………….।
উত্তর – 3 × 108m · s-1
6. উচ্চশক্তির পরিবর্তনে কিছু পরিমাণ ভরের …………. বুপান্তর ঘটতে পারে।
উত্তর – শক্তিতে
7. সাধারণ বিক্রিয়ায় …………. -এর পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন ঘটে না।
উত্তর – ভর
8. ………… বিক্রিয়ায় ভরের পরিবর্তন পরিমাপ করা যায়।
উত্তর – নিউক্লিয়
9. STP-তে 22.4 L H2 -এর সঙ্গে 22.4 L ক্লোরিনের বিক্রিয়ায় ……….. L HCl উৎপন্ন হয়।
উত্তর – 44.8
10. হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় জল উৎপন্ন হলে মোল-সংখ্যার ……… ঘটে।
উত্তর – হ্রাস
11. কোনো গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব বলতে গ্যাসটির ভর সম-আয়তন ……….. গ্যাসের ভরের তুলনায় যত গুণ, সেই তুলনামূলক সংখ্যাকে বোঝায়।
উত্তর – হাইড্রোজেন
12. বাষ্পঘনত্ব চাপ ও উন্নতার ওপর নির্ভর ………….।
উত্তর – করে না
13. বাষ্পঘনত্ব একটি …………. বিহীন রাশি।
উত্তর – একক
14. STP-তে 1 লিটার H2 এর ভর ………….।
উত্তর – 0.089g
15. একটি গ্যাসের বাষ্পঘনত্ব 20 হলে, 80g গ্যাসের মোল সংখ্যা ………….।
উত্তর – 2

The Complete Educational Website

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *